Unit Price:
৳ 8.05
(2 x 10: ৳ 161.00)
Strip Price:
৳ 80.50
Also available as:
নির্দেশনা
মাঝারি থেকে তীব্র ব্যথাজনিত উপসর্গসমূহে ট্রামাডল কার্যকরভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। উপসর্গসমূহ নিম্নরূপঃ
- অস্ত্রপচার পরবর্তী ব্যথা।
- কলিক ও স্পাসটিক ব্যথা।
- ক্যান্সারের ব্যথা।
- সনিড়বহিত সংযুক্তি সংক্রান্ত ব্যথা।
- ঘাড় ও পিঠের ব্যথা উপসর্গজনিত ব্যথা।
- অষ্টিওপোরোসিস এর উপসর্গজনিত ব্যথা।
মাত্রা ও সেবনবিধি
ট্রামাডল ক্যাপসুলঃ স্বাভাবিক সেবনমাত্রা ৫০-১০০ মি.গ্রা. প্রতি চার থেকে ছয় ঘন্টা অন্তর। তীব্র ব্যথার (Acute) ক্ষেত্রে প্রারম্ভিক মাত্রা ১০০ মি.গ্রা. প্রয়োজন। ক্রনিক ব্যথার (Chronic pain) ক্ষেত্রে ৫০ মি.গ্রা. প্রারম্ভিক মাত্রা নির্দেশিত। পরবর্তী মাত্রাসমূহ ৫০-১০০ মি.গ্রা. প্রতি চার থেকে ছয় ঘন্টা অন্তর। ব্যথার তীব্রতার উপর ভিত্তি করে কি মাত্রার ও কতবার প্রয়োগ করতে হবে তা নির্ধারিত হয়ে থাকে। মুখে ব্যবহারের ক্ষেত্রে দৈনিক সর্বোচ্চ মাত্রা ৪০০ মি.গ্রা. এর বেশী হওয়া উচিত নয়।
ট্রামাডল এসআর ক্যাপসুলঃ একটি এস আর ক্যাপসুল ১২ ঘন্টা অন্তর। ব্যথার তীব্রতার উপর ভিত্তি করে কি মাত্রার প্রয়োগ করতে হবে তা নির্ধারিত হয়ে থাকে। তবে তা ১২ ঘন্টার কম ব্যবধানে ব্যবহার করা উচিত নয়। দৈনিক সর্বোচ্চ মাত্রা ৪০০ মি.গ্রা. এর বেশি হওয়া উচিত নয়।
ট্রামাডল ইঞ্জেকশনঃ প্রতি চার থেকে ছয় ঘন্টা পরপর ৫০-১০০ মি.গ্রা. মাত্রায় আইএম ও আইভি ২-৩ মিনিট ব্যপী অথবা ইনফিউশনের মাধ্যমে দেয়া যেতে পারে। অস্ত্রোপচারোত্তর ব্যথার চিকিৎসায় প্রারম্ভিক মাত্রা হিসেবে ১০০ মি.গ্রা. ব্যবহার করতে হবে যা ১০-২০ মিনিট অন্তর অন্তর ৫০ মি.গ্রা. মাত্রার ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রথম ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ মি.গ্রা. পর্যন্ত দেয়া যেতে পারে। দৈনিক সর্বোচ্চ মাত্রা ৫০-১০০ মি.গ্রা. প্রতি চার থেকে ছয় ঘণ্টা হিসেবে ৬০০ মি.গ্রা. পর্যন্ত।
ট্রামাডল সাপোজিটরিঃ ট্রামাডল সাপোজিটরি পায়ূপথে ব্যবহার্য। প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক মাত্রা হচ্ছে ১০০ মি.গ্রা. ট্রামাডল হাইড্রোক্লোরাইড ছয় ঘণ্টা অন্তর। সাধারণভাবে দৈনিক ৪০০ মি.গ্রা. ট্রামাডল হাইড্রোক্লোরাইড (৪টি ট্রামাডল সাপোজিটরি) যথেষ্ট। তবে ক্যান্সার এর ব্যথায় এবং অস্ত্রোপচারে পরবর্তী ব্যথায় আরও অধিক মাত্রায় ব্যবহার করা যেতে পারে।
ট্রামাডল এসআর ক্যাপসুলঃ একটি এস আর ক্যাপসুল ১২ ঘন্টা অন্তর। ব্যথার তীব্রতার উপর ভিত্তি করে কি মাত্রার প্রয়োগ করতে হবে তা নির্ধারিত হয়ে থাকে। তবে তা ১২ ঘন্টার কম ব্যবধানে ব্যবহার করা উচিত নয়। দৈনিক সর্বোচ্চ মাত্রা ৪০০ মি.গ্রা. এর বেশি হওয়া উচিত নয়।
ট্রামাডল ইঞ্জেকশনঃ প্রতি চার থেকে ছয় ঘন্টা পরপর ৫০-১০০ মি.গ্রা. মাত্রায় আইএম ও আইভি ২-৩ মিনিট ব্যপী অথবা ইনফিউশনের মাধ্যমে দেয়া যেতে পারে। অস্ত্রোপচারোত্তর ব্যথার চিকিৎসায় প্রারম্ভিক মাত্রা হিসেবে ১০০ মি.গ্রা. ব্যবহার করতে হবে যা ১০-২০ মিনিট অন্তর অন্তর ৫০ মি.গ্রা. মাত্রার ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রথম ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ মি.গ্রা. পর্যন্ত দেয়া যেতে পারে। দৈনিক সর্বোচ্চ মাত্রা ৫০-১০০ মি.গ্রা. প্রতি চার থেকে ছয় ঘণ্টা হিসেবে ৬০০ মি.গ্রা. পর্যন্ত।
ট্রামাডল সাপোজিটরিঃ ট্রামাডল সাপোজিটরি পায়ূপথে ব্যবহার্য। প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক মাত্রা হচ্ছে ১০০ মি.গ্রা. ট্রামাডল হাইড্রোক্লোরাইড ছয় ঘণ্টা অন্তর। সাধারণভাবে দৈনিক ৪০০ মি.গ্রা. ট্রামাডল হাইড্রোক্লোরাইড (৪টি ট্রামাডল সাপোজিটরি) যথেষ্ট। তবে ক্যান্সার এর ব্যথায় এবং অস্ত্রোপচারে পরবর্তী ব্যথায় আরও অধিক মাত্রায় ব্যবহার করা যেতে পারে।
ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া
সাধারণভাবে ট্রামাডলের সাথে অন্য ওষুধের পারষ্পরিক বিক্রিয়া নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করার তেমন প্রয়োজন নেই। মনোএমাইন অক্সিডেজ ইনহিবিটরস-ই একমাত্র ওষুধ যা ট্রামাডলের সাথে ব্যবহারের জন্য নির্দেশিত নয়। কার্বামাজেপিন ও ট্রামাডল একত্রে ব্যবহার করলে ট্রামাডলের বিপাকক্রিয়া উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে যার ফলে ট্রামাডলের মাত্রা বৃদ্ধি করার প্রয়োজন হতে পারে।
প্রতিনির্দেশনা
ট্রামাডলের প্রতি অতি সংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা যাবে না। এ ছাড়াও এলকোহল জনিত বিষক্রিয়া, হিপনোটিক, কেন্দ্রিয়ভাবে কার্যম ব্যথানাশক ওষুধ, অপয়েড অথবা সাইকোট্রোপিক ওষুধ সমূহের সাথেও ট্রামাডল ব্যবহার করা যাবে না।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, কোষ্ঠ্যকাঠিন্য, মাথা ব্যথা, একাকিত্ব, বমি হওয়া, ফুসকুড়ি, স্নায়ুবিক উত্তেজনা, দূর্বলতা ইত্যাদি। কদাচিৎ সংঘটিত প্রতিক্রিয়াগুলো হচ্ছে- অসুস্থ বোধ হওয়া, এলার্জি বিক্রিয়া, ওজনহীনতা, রক্তনালীর প্রসারণ, পেটে ব্যথা,ক্ষুধামন্দা ইত্যাদি।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
গর্ভাবস্থায় ট্রামাডলের ব্যবহারের নিরাপত্তা এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ট্রামাডল পাসেন্টা ভেদ করতে পারে। সুতরাং একান্ত অপরিহার্য না হলে গর্ভাবস্থায় ট্রামাডল ব্যবহার না করাই শ্রেয়। মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয় বলে দুগ্ধদানকারী মায়েদের ট্রামাডল হাইড্রোক্লোরাইড গ্রহণ করা উচিত নয়।
সতর্কতা
শ্বাস-প্রশ্বাসের হার কমে যাওয়াঃ যখন কোন অবশকারী ওষুধ অথবা এলকোহলের সাথে ট্রামাডল অধিক মাত্রায় ব্যবহার করা হয় তখন শ্বাস-প্রশ্বাসের হার কমে যেতে পারে।
অপয়েড নির্ভরশীলতাঃ অপয়েড ওষুধ সমূহের উপর নির্ভরশীল রোগীদের ক্ষেত্রে ট্রামাডল নির্দেশিত নয়।
স্নায়ূতন্ত্রীয় নিস্তেজকারক এর সাথে ব্যবহারঃ স্নায়ূতন্ত্রীয় ডিপ্রেসেণ্ট যেমন এলকোহল, অপয়েড, এনেসথেটিক, ফেনোথায়াজিন।
ট্রাঙ্কুলাইজার ও সিডেটিভ হিপনোটিক এর সাথে ব্যবহারঃ এই ক্ষেত্রে ট্রামাডল সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত।
অপয়েড নির্ভরশীলতাঃ অপয়েড ওষুধ সমূহের উপর নির্ভরশীল রোগীদের ক্ষেত্রে ট্রামাডল নির্দেশিত নয়।
স্নায়ূতন্ত্রীয় নিস্তেজকারক এর সাথে ব্যবহারঃ স্নায়ূতন্ত্রীয় ডিপ্রেসেণ্ট যেমন এলকোহল, অপয়েড, এনেসথেটিক, ফেনোথায়াজিন।
ট্রাঙ্কুলাইজার ও সিডেটিভ হিপনোটিক এর সাথে ব্যবহারঃ এই ক্ষেত্রে ট্রামাডল সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত।
বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার
এক বছরের বেশী বয়সের শিশুদের ক্ষেত্রে ট্রামাডল ১-২ মি.গ্রা./কেজি দেহ ওজন হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। ১০০ মি.গ্রা. ট্রামাডল হাইড্রোক্লোরাইড সাপোজিটরি এবং সাস্টেইনড রিলিজ ক্যাপসুল শিশু ও ১৪ বৎসর নীচের কিশোর/কিশোরীদের দেয়া যাবে না।
থেরাপিউটিক ক্লাস
Opioid analgesics
সংরক্ষণ
আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, ৩০° ডিগ্রী সেঃ তাপমাত্রার নীচে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।