Unit Price:
৳ 8.03
(3 x 10: ৳ 240.90)
Strip Price:
৳ 80.30
নির্দেশনা
ইনোটেন নিম্নোক্ত উপসর্গে নির্দেশিত-
- বাতজনিত অস্থিসন্ধির ব্যথা
- অস্থিসন্ধির প্রদাহ
- এনকাইলােজিং স্পনডিলাইটিস
- টেন্ডাইটিস
- মচকে যাওয়া জনিত প্রদাহ
- ঘাড়ের অথবা কোমড়ের পরিধমনী প্রদাহ
- তীব্র বাত।
ঔষধের মাত্রা
নির্ধারিত প্রয়োগমাত্রা: বাতজনিত অস্থিপ্রদাহ ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে দৈনিক ২০ মিগ্রা মাত্রা নির্দিষ্ট সময়ে প্রয়োগ করতে হবে।
বাতজনিত তীব্র অস্থি প্রদাহে: দৈনিক ৪০ মিগ্রা মাত্রা প্রথম দুই দিন ও দৈনিক ২০ মিগ্রা মাত্রা পরবর্তী ৫ দিন প্রয়ােগ করতে হবে।
দীর্ঘস্থায়ী রােগের ক্ষেত্রে: চিকিৎসা শুরুর প্রথম দিকেই ওষুধের ক্রিয়া দেখা যায় ও পরবর্তীতে ওষুধের ক্রিয়া বাড়তে থাকে। দীর্ঘস্থায়ী রােগের চিকিৎসায় দৈনিক ২০ মিগ্রা এর বেশী মাত্রা ব্যবহার করা উচিত নয়। সেক্ষেত্রে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। দীর্ঘদিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে দৈনিক ১০ মিগ্রা মাত্রা ব্যবহার করা যেতে পারে।
বিশেষ মাত্রা নির্দেশনা: উপরে নির্দেশিত প্রয়ােগমাত্রা বয়স্ক, কিডনি ও লিভারের রােগীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা না থাকায় শিশুদের ক্ষেত্রে কোন মাত্রা নির্দেশনা নেই।
বাতজনিত তীব্র অস্থি প্রদাহে: দৈনিক ৪০ মিগ্রা মাত্রা প্রথম দুই দিন ও দৈনিক ২০ মিগ্রা মাত্রা পরবর্তী ৫ দিন প্রয়ােগ করতে হবে।
দীর্ঘস্থায়ী রােগের ক্ষেত্রে: চিকিৎসা শুরুর প্রথম দিকেই ওষুধের ক্রিয়া দেখা যায় ও পরবর্তীতে ওষুধের ক্রিয়া বাড়তে থাকে। দীর্ঘস্থায়ী রােগের চিকিৎসায় দৈনিক ২০ মিগ্রা এর বেশী মাত্রা ব্যবহার করা উচিত নয়। সেক্ষেত্রে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। দীর্ঘদিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে দৈনিক ১০ মিগ্রা মাত্রা ব্যবহার করা যেতে পারে।
বিশেষ মাত্রা নির্দেশনা: উপরে নির্দেশিত প্রয়ােগমাত্রা বয়স্ক, কিডনি ও লিভারের রােগীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা না থাকায় শিশুদের ক্ষেত্রে কোন মাত্রা নির্দেশনা নেই।
সেবনবিধি
ট্যাবলেটটি এক গ্লাস পানির সাথে সেবন করতে হবে। ঔষধটি খাদ্য গ্রহনের সাথে সাথে বা খাদ্য গ্রহনের পর সেবন করতে হবে।
ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া
অন্যান্য NSAID এর ক্ষেত্রে, স্যালিসাইলেট ইনোটেনকে প্রােটিন বাইন্ডিং থেকে বিযুক্ত করে এবং ইনোটেন ক্লিয়ারেন্স ও বিতরনের পরিমান বাড়িয়ে দেয়। স্যালিসাইলেট এবং NSAID এর একসাথে ব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে। কারন এর ফলে পাকস্থলির উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।
একত্রে মিথােট্রেক্সেট ও অন্যান্য NSAID এর চিকিৎসায় মেথােট্রেক্সেট এর রেনাল টিউবুলার নিঃসরণ কমে যায়, প্লাজমায় ঘনত্ব বেড়ে যায় এবং মেথােট্রেক্সেট এর তীব্র বিষক্রিয়া দেখা দেয়। তাই NSAID যেমন ইনোটেনের সাথে মেথােট্রেক্সেট পর্যায়ক্রমে ব্যবহার করলে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় দেখা যায় যে ইনোটেন এর সাথে পেনিসিলামিন, প্রােবেনিসিড, স্বর্ণ ঘটিত ওষুধ পর্যায়ক্রমে প্রয়ােগ করে রােগীদের উপর কোন বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
যেহেতু ইনোটেন লিথিয়াম এর রেনাল ক্লিয়ারেন্স কমিয়ে দেয় তাই এর পর্যায়ক্রমে প্রয়ােগ রক্তরসে লিথিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে লিথিয়ামের বিষক্রিয়ার সম্ভাবনাও বাড়িয়ে দেয়।
NSAID এর মত ইনোটেন পটাশিয়াম স্পেয়ারিং ডাইইউরেটিক এর সাথে পর্যায়ক্রমে প্রয়ােগ করা উচিত নয়। এই দুই শ্রেণীর উপাদানের পারস্পরিক ক্রিয়ার ফলে হাইপারক্যালিমিয়া ঘটে এবং মূত্রসংবহনতন্ত্রে অকার্যকারিতা দেখা দেয়।
একত্রে মিথােট্রেক্সেট ও অন্যান্য NSAID এর চিকিৎসায় মেথােট্রেক্সেট এর রেনাল টিউবুলার নিঃসরণ কমে যায়, প্লাজমায় ঘনত্ব বেড়ে যায় এবং মেথােট্রেক্সেট এর তীব্র বিষক্রিয়া দেখা দেয়। তাই NSAID যেমন ইনোটেনের সাথে মেথােট্রেক্সেট পর্যায়ক্রমে ব্যবহার করলে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় দেখা যায় যে ইনোটেন এর সাথে পেনিসিলামিন, প্রােবেনিসিড, স্বর্ণ ঘটিত ওষুধ পর্যায়ক্রমে প্রয়ােগ করে রােগীদের উপর কোন বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
যেহেতু ইনোটেন লিথিয়াম এর রেনাল ক্লিয়ারেন্স কমিয়ে দেয় তাই এর পর্যায়ক্রমে প্রয়ােগ রক্তরসে লিথিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে লিথিয়ামের বিষক্রিয়ার সম্ভাবনাও বাড়িয়ে দেয়।
NSAID এর মত ইনোটেন পটাশিয়াম স্পেয়ারিং ডাইইউরেটিক এর সাথে পর্যায়ক্রমে প্রয়ােগ করা উচিত নয়। এই দুই শ্রেণীর উপাদানের পারস্পরিক ক্রিয়ার ফলে হাইপারক্যালিমিয়া ঘটে এবং মূত্রসংবহনতন্ত্রে অকার্যকারিতা দেখা দেয়।
প্রতিনির্দেশনা
টেনােক্সিকাম নিম্নলিখিত রােগীদের ক্ষেত্রে প্রয়ােগ করা উচিত নয়-
- টেনােক্সিকাম এর প্রতি সংবেদনশীল রােগী
- স্যালিসাইলেট অথবা অন্যান্য NSAID যাদের ক্ষেত্রে হাঁপানী, ন্যাজাল প্রদাহ ও অ্যালার্জি সৃষ্টি করে
- পাকস্থলীর প্রদাহ, পাকস্থলী ও অন্ত্রের ক্ষতের রােগী।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
ফ্রিকোয়েন্সি ১% এর বেশি:
- গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্ট: গ্যাস্ট্রিক, এপিগ্যাস্ট্রিক এবং পেটের অস্বস্তি, অর্জীণ, বুক জ্বালাপোড়া, বমি বমি ভাব।
- কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র: মাথা ঘােরা, মাথা ব্যথা।
- গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্ট: কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, স্টোমাটাইটিস, গ্যাস্ট্রাইটিস, বমিভাব, আলসার, গ্র্যাস্ট্রিক-রক্তপাত সহ হেমেটেসিস এবং মেলেনা।
- মধ্যম্নায়ুতন্ত্র: ক্লান্তি, ঘুমের ব্যাঘাত, ক্ষুধামন্দা, শুকনাে মুখ এবং ভার্টিগো ।
- ত্বক: চুলকানি (পায়ু অঞ্চলে), এরিথমা, ফুসকুড়ি। মূত্রাশয়।
- মূত্রনালী এবং কিডনী: BUN বা ক্রিয়েটিনিন।
- যকৃত ও পিত্তথলি: লিভারের এনজাইম কার্যকলাপ বৃদ্ধি করে।
- কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম: ধড়ফড়।
- কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র: চোখের ব্যাঘাত।
- ত্বক: স্টিভেন্স-জনসন সিনড্রোম, আলােক সংবেদনশীলতা প্রতিক্রিয়া, ভাস্কুলাইটিস।
- রক্ত: রক্ত স্বল্পতা, অ্যাগ্রানুলােকাইটোসিস, লিউকোপেনিয়া, থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া।
- সংবেদনশীল প্রতিক্রিয়া: শ্বাস-প্রশ্বাস এর সমস্যা, হাঁপানি, অ্যানাফিল্যাক্সিস, অ্যানজিওইডিমা।
- কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম: উচ্চ রক্তচাপ।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
প্রাণীদেহের উপর পরীক্ষায় কোন টেরাটোজেনিক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তবে এক্ষেত্রে গর্ভবতীদের উপর কোন পরীক্ষা হয়নি। NSAID যেহেতু প্রােষ্টাগ্ল্যানডিন উৎপাদনে বাধা দেয়, সেহেতু গর্ভাবস্থার শেষের দিকে প্রয়ােগ করলে গর্ভস্থ শিশুর ডাক্টাস আর্টেরিওসাস বন্ধ হয়ে যেতে পারে। প্রসবকালীন সময়ে প্রয়ােগ করলে প্রসবব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয় ও প্রসব বিলম্বিত হয়। গর্ভাবস্থার শেষ তিন মাস টেনােক্সিকাম ব্যবহার পরিহার করতে হবে। টেনােক্সিকাম একক মাত্রায় প্রয়ােগ করে দেখা গেছে যে এটি খুব স্বল্প পরিমান (০.২%) মাতৃদুগ্ধে নি:সরিত হয়। দুগ্ধদাত্রী যে সকল মা টেনােক্সিকাম গ্রহণ করেন তাদের সন্তানদের উপর এর কোন বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তথাপি বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনার কারণে টেনােক্সিকাম সেবনকারী মায়েদের দুগ্ধদান বন্ধ রাখতে হবে।
সতর্কতা
NSAID মূত্রসংবহনতন্ত্রে প্রােষ্টাগ্ল্যানডিন উৎপাদন কমিয়ে দেয় ফলে বৃক্কীয় মূত্রসংবহনতন্ত্রের ও দেহে পানি ও খনিজ লবনের ভারসাম্য রক্ষায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। রােগীদের হৃৎপিন্ড ও কিডনির কার্যকারিতা ভালভাবে পর্যবেক্ষন করতে হবে (BUN, ক্রিয়েটিনিন, ওজন বৃদ্ধি) মূত্রসংবহনতন্ত্রের রােগী, ডায়াবেটিস রােগী যাদের (মূত্রসংবহনতন্ত্রের সমস্যা রয়েছে, যকৃতের সিরোসিস, কনজেসটিভ হার্ট ফেইলিওর এর রােগী), কিডনির উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টিকারী ওষুধ ব্যবহারকারী, ডাইইউরেটিক ও কর্টিকোষ্টেরয়েড ব্যবহারকারী।
ইনোটেন অনুচক্রিকা একত্রীকরণে বাধা দেয় ফলে রক্তের হেমােষ্টেসিসও বাধা প্রাপ্ত হয়। রক্তের কোয়াগুলেশন ফ্যাক্টর, রক্তজমাট বদ্ধতার সময়, প্রােথ্ম্থিনটাইম, ও অ্যাকটিভেটেড প্রােথ্রম্বিনটাইমের উপর ইনোটেনের কোন উল্লেখযােগ্য প্রভাব নেই।
ইনোটেন অনুচক্রিকা একত্রীকরণে বাধা দেয় ফলে রক্তের হেমােষ্টেসিসও বাধা প্রাপ্ত হয়। রক্তের কোয়াগুলেশন ফ্যাক্টর, রক্তজমাট বদ্ধতার সময়, প্রােথ্ম্থিনটাইম, ও অ্যাকটিভেটেড প্রােথ্রম্বিনটাইমের উপর ইনোটেনের কোন উল্লেখযােগ্য প্রভাব নেই।
বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার
শিশু ও কিশােরদের ক্ষেত্রে ব্যবহার: ১৬ বছরের নিচে শিশুদের ক্ষেত্রে ইনোটেন এর নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা প্রতিষ্ঠিত নয় ।
যানবাহন ও যন্ত্র ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে: ইনোটেন ব্যবহার মাথাঘােরা, ঝিমুনি ও দৃষ্টির ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। ফলে ব্যবহারকারীকে যানবাহন ও যন্ত্রচালনা থেকে বিরত থাকতে হবে।
যানবাহন ও যন্ত্র ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে: ইনোটেন ব্যবহার মাথাঘােরা, ঝিমুনি ও দৃষ্টির ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। ফলে ব্যবহারকারীকে যানবাহন ও যন্ত্রচালনা থেকে বিরত থাকতে হবে।
থেরাপিউটিক ক্লাস
Drugs for Osteoarthritis, Drugs used for Rheumatoid Arthritis, Non-steroidal Anti-inflammatory Drugs (NSAIDs)
সংরক্ষণ
৩০° সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার উপরে সংরক্ষণ থেকে বিরত থাকুন। আলাে ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, ঠাণ্ডা ও শুষ্ক স্থানে রাখুন। সকল ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।