নির্দেশনা

গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকালে আয়রন, ফলিক এসিড, জিংক, বি-ভিটামিনসমূহ এবং ভিটামিন-সি-এর ঘাটতি পূরণে অথবা আয়রন, ফলিক এসিড, জিংক, বি-ভিটামিনসমূহ এবং ভিটামিন-সি-এর প্রতিরোধমূলক চিকিৎসায় এই প্রিপারেশনটি নির্দেশিত।

উপাদান

প্রতিটি ক্যাপসুলে রয়েছে-
  • কার্বনাইল আয়রণ (মৌলিক আয়রণ এর সমতূল্য) আইএনএন ৫০ মি.গ্রা.
  • জিংক সালফেট মনোহাইড্রেট বিপি ৬১.৮০ মি.গ্রা. যা ২২.৫০ মি.গ্রা. মৌলিক জিংকের সমতূল্য
  • ফলিক এসিড বিপি ০.৫ মি.গ্রা.
  • নিকোটিনামাইড বিপি ১০ মি.গ্রা.
  • রিবোফ্লাভিন বিপি ২ মি.গ্রা.
  • পাইরিডক্সিন হাইড্রোক্লোরাইড বিপি ১ মি.গ্রা.
  • এসকরবিক এসিড ইউএসপি ৫০ মি.গ্রা.
  • থায়ামিন মনোনাইট্রেট বিপি ২ মি.গ্রা.

ফার্মাকোলজি

আয়রন: আয়রন সাপ্লিমেন্ট হিসেবে কার্বনাইল আয়রন হল আরও কার্যকর এবং নিরাপদ পছন্দ, কারণ এতে রয়েছে উচ্চ জৈব প্রাপ্যতা, কম বিষাক্ততা এবং উন্নত জিআই সহনশীলতা।

ফলিক এসিড: স্নায়ু নলের স্বাভাবিক স্বাস্থ্যকর বিকাশের জন্য এবং একটি কোষ থেকে সম্পূর্ণ রূপে একটি পূর্ণাঙ্গ শিশুর কোষ বিভাগের জন্য ফলিক এসিডের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।

ভিটামিন বি কমপ্লেক্স: অনাগত শিশুদের বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য ভিটামিন বি কমপ্লেক্স প্রয়োজন।

ভিটামিন সি: ভিটামিন সি ভ্রুণের ঝিল্লিতে কোলাজেন গঠনের ভূমিকা পালন করে।

জিংক সালফেট: জিংক ভ্রুণের বৃদ্ধি ও উন্নয়ন, কেন্দ্রিয় স্নায়ু তন্ত্রের বিকাশ ও কার্যকারিতা এবং উন্নত মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি।

মাত্রা ও সেবনবিধি

প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে: দৈনিক ১টি ক্যাপসুল খাবার পূর্বে অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দেশিত।

শিশু ও কিশোর/কিশোরীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার: বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে শিশু ও কিশোর/কিশোরীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার সুপারিশকৃত।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

কার্বনাইল আয়রণ টেট্রাসাইক্লিন, কুইনোলোন, লেভোডোপা, লেভোথাইরক্সিন, মিথাইলডোপ এবং পেনিসিলামিন এর শোষণ শরীরে ব্যাহত করে। ফলিক এসিড এন্টিএপিলেপটিক ওষুধের সাথে বিক্রিয়া করে ফলে ফেনোবারবিটাল, ফিনাইটোইন এবং প্রাইমিডন এর মাত্রা প্লাজমায় কমে যায়।

প্রতিনির্দেশনা

যাদের এই ওষুধের কোন উপাদানের প্রতি জ্ঞাত অতিসংবেদনশীলতা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ওষুধটি প্রতিনির্দেশিত। এছাড়া হিমোলাইটিক অ্যানিমিয়াতে আয়রন প্রতিনির্দেশিত।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

ফলিক এসিড পরবর্তীতে কিছু অ্যালার্জিক রিএ্যাকশন ঘটতে পারে। এছাড়াও আয়রনের জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা যেতে পারে, বিশেষত বয়স্কদের ক্ষেত্রে।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

সঠিকভাবে আয়রনের ঘাটতি নিশ্চিত হলেই কেবলমাত্র প্রথম তিন মাসে আয়রন গ্রহণ করা যেতে পারে। গর্ভাবস্থায় শেষ দিনগুলিতে আয়রনের ঘাটতি প্রতিরোধে এবং খাদ্যের অপর্যাপ্ততায় জিংক এবং ফলিক এসিডের ব্যবহার যুক্তিযুক্ত।

সতর্কতা

যেসব রোগীদের আয়রন ওভারলোড হতে পারে, যেমন হিমোক্রোম্যাটোসিস, হিমোলাইটিক অ্যানিমিয়া অথবা রেড সেল অ্যাপ্লাসিয়া রোগীদের ক্ষেত্রে বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। আয়রন টেট্রাসাইক্লিনের সাথে চিলেট গঠন করে এবং এর শোষণ ব্যাহত করে।

মাত্রাধিক্যতা

অতিরিক্ত আয়রনের কারণে শক্তিহীনতা, বমি বমি ভাব, পেট ব্যথা, কলো মল, দূর্বল ও দ্রুত পালস্, জ্বর, কোমা, খিঁচুনী ঘটতে পারে।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Iron, Vitamin & Mineral Combined preparation

সংরক্ষণ

শুষ্ক স্থানে অনধিক ৩০°সে. তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করুন। আর্দ্রতা থেকে দূরে রাখুন। ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।