1 ml ampoule: ৳ 155.00
This medicine is unavailable

নির্দেশনা

ক্যালসিট্রিওল নিম্নোক্ত উপসর্গে নির্দেশিত-
  • রজঃনিবৃত্তির পরবর্তীকালীন হাঁড় ক্ষয়
  • বৃক্কের অস্টিওডিজট্রফিতে
  • অপারেশনের পরবর্তী হাইপোপ্যারাথাইরয়ডিজম
  • ইডিওপ্যাথিক হাইপোপ্যারাথাইরয়ডিজম
  • সিউডো হাইপোপ্যারাথাইরয়ডিজম
  • মাঝারি থেকে তীব্র বৃক্ক অকার্যকর রোগীদের সেকেন্ডারি হাইপারপ্যারাথাইরয়ডিজম (প্রি-ডায়ালাইসিস)
  • ভিটামিন ডি-এর অভাবজনিত রিকেটস।

ফার্মাকোলজি

ক্যালসিট্রিওল হচ্ছে ভিটামিন ডি৩-এর অন্যতম প্রধান মেটাবলাইট। ক্যালসিট্রিওল কিডনীতে তার প্রিকার্সর ২৫-হাইড্রোক্সি কোলেক্যালসিফেরল হতে উৎপন্ন হয়। ক্যালসিট্রিওল ক্যালসিয়ামের আন্ত্রিক শোষন বাড়িয়ে দেয় এবং হাঁড়ের মিনারালাইজেশন নিয়ন্ত্রণ করে। ক্যালসিট্রিওলের প্রধান ভূমিকা হল হাঁড়ে অস্টিওব্লাস্টিক ক্রিয়াকে বাড়িয়ে দিয়ে ক্যালসিয়ামের সাম্যাবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা।

মাত্রা ও সেবনবিধি

রক্তে ক্যালসিয়ামের ঘনত্বের উপর ভিত্তি করে প্রত্যেক রোগীর ক্যালসিট্রিওল-এর দৈনিক মাত্রা নির্ধারন করতে হবে।

রজ:নিবৃত্তির পরবর্তীকালীন হাড়েঁর ক্ষয়ের ক্ষেত্রে: ক্যালসিট্রিওলের নির্ধারিত মাত্রা হচ্ছে ০.২৫ মাইক্রোগ্রাম দিনে দুইবার।

বৃক্কের অস্টিওডিজট্রফিতে (ডায়ালাইসিস রোগীদের ক্ষেত্রে):ক্যালসিট্রিওলের দৈনিক প্রাথমিক মাত্রা হচ্ছে ০.২৫ মাইক্রোগ্রাম। যাদের রক্তে ক্যালসিয়ামের লেভেল স্বাভাবিক অথবা কিছুটা কম তাদের এক দিন পরপর ০.২৫ মাইক্রোগ্রাম মাত্রা যথেষ্ট।

হাইপোপ্যারাথাইরয়ডিজম এবং রিকেটস-এর ক্ষেত্রে: ক্যালসিট্রিওলের নির্দেশিত প্রাথমিক মাত্রা হচ্ছে দিনে ০.২৫ মাইক্রোগ্রাম যা সকালে সেবন করতে হবে। যদি ২-৪ সপ্তাহের মধ্যে কাঙ্খিত ফলাফল না পাওয়া গেলে সেক্ষেত্রে ২-৪ সপ্তাহের ব্যবধানে ঔষধের মাত্রা বাড়ানো যেতে পারে।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

থায়াজিড ডাইউরেটিকস-এর সাথে ক্যালসিট্রিওল-এর যুগপৎ ব্যবহারে হাইপারক্যালসেমিয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। যেসব রোগী ডিজিটালিস গ্রহন করে তাদের ক্ষেত্রে ক্যালসিট্রিওল-এর মাত্রা সতর্কতার সাথে নির্ধারণ করতে হবে কারন হাইপারক্যালসেমিয়া হলে রোগীদের কার্ডিয়াক এরিথমিয়া হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। ম্যাগনেসিয়াম আছে এমন ঔষধ (যেমন-এন্টাসিড) হাইপারম্যাগনেসেমিয়া ঘটাতে পারে।

প্রতিনির্দেশনা

ক্যালসিট্রিওল-এর যে কোন উপাদানের প্রতি রোগীদের অতিসংবেদনশীলতায় এটি প্রতিনিদের্শিত। হাইপারক্যালসিয়াম আছে এমন রোগীদের ক্ষেত্রেও এটি প্রতিনির্দেশিত।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

মানবদেহের উপর ভিটামিন ডি ব্যবহারে ট্যারাটোজেনিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। প্রত্যাশিত সুবিধা, ভ্রূনের ঝুঁকির চেয়ে বেশী না হলে গর্ভাবস্থায় ক্যালসিট্রিওল ব্যবহার করা যেতে পারে। ক্যালসিট্রিওল গ্রহনকালীন সময়ে মায়েরা স্তন্যদান করাতে পারবে কিন্তু মা এবং ভ্রূনের সিরামে ক্যালসিয়ামের মাত্রা পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে।

বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার

মাঝারি থেকে তীব্র বৃক্ক অকার্যকর রোগীদের সেকেন্ডারি হাইপারপ্যারাথাইরয়ডিজম (প্রি-ডায়ালাইসিস):
  • প্রাপ্ত বয়স্ক এবং ৩ বা তদুর্ধ্ব বয়সের শিশু রোগীদের ক্ষেত্রে ক্যালসিট্রিওলের নির্দেশিত প্রাথমিক মাত্রা হচ্ছে দিনে ০.২৫ মাইক্রোগ্রাম। প্রয়োজন অনুযায়ী এই মাত্রা দিনে ০.৫ মাইক্রোগ্রাম পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে।
  • ৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে ক্যালসিট্রিওলের নির্দেশিত প্রাথমিক মাত্রা হচ্ছে দিনে ১০ থেকে ১৫ ন্যানোগ্রাম/কেজি।
  • প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে: প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে মাত্রা পরিবর্তনের প্রয়োজন নাই।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Vitamin in bone formation, Vitamin-D preparations

সংরক্ষণ

আলো ও তাপ থেকে দূরে শুষ্ক স্থানে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।