নির্দেশনা

ম্যাগনেসিয়াম সালফেট ইনজেকশন সাধারনত হাইপারম্যাগনেসেমিয়া চিকিৎসার জন্য এবং ম্যাগনেসিয়াম এর ঘাটতি পূরণে ব্যবহার করা হয়। মাঝে মাঝে এটি অনিয়মিত হৃদস্পন্দন এবং রোচক ঔষধ হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। মাগনেসিয়াম সালফেটের খিচুনি বিরোধী বৈশিষ্ট্য আছে যদি মাংসপেশীতে প্রয়োগ করা হয়। এটি খিচুনি প্রতিরোধ, ও নিয়ন্ত্রনেও ব্যবহার করা হয়। এটি অ্যাজমা ও হার্টের ব্যাধিতেও ব্যবহার করা হয়।

ফার্মাকোলজি

ম্যাগনেসিয়াম হচ্ছে অন্তসংক্রান্ত তরলের দ্বিতীয় বিস্তর ধনাত্বক আয়ন। এটি উৎসেচক অস্ত্রের কার্যকলাপ এর জন্য অপরিহার্য। এটি নিউরোকেমিক্যাল ট্রান্সমিশন এবং পেশী স্থায়িত্ততে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।

মাত্রা ও সেবনবিধি

প্রাপ্তবয়স্কদের-
  • মাংসপেশীতে: তীব্র হাইপারম্যাগনেসেমিয়া: ১ থেকে ৫ গ্রাম দৈনিক বিভক্ত মাত্রায় ধীরে ধীরে মাংসপেশীতে প্রয়োগ করতে হবে। প্রতিদিন বারবার প্রয়োগ করতে হবে যতক্ষন না পর্যন্ত সিরামে ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থানে আসে।
  • শিরায়: ১ থেকে ৪ গ্রাম ম্যাগনেসিয়াম সালফেট দৈনিক প্রয়োগ করতে হবে।
  • সাধারন মাত্রাব্যাপ্তি: প্রতিদিন ১ থেকে ৪০ গ্রাম।
অপ্রাপ্তবয়স্কদের-
  • মাংসপেশীতে: ২০ থেকে ৪০ মি.গ্রা./কেজি ওজন ২০% দ্রবনের মধ্যে দ্রবীভূত করে বারবার প্রয়োগ করতে হবে যতক্ষন প্রয়োজন।
  • একলাম্পসিয়াতে: প্রথমে ১ থেকে ২ গ্রাম ২৫% দ্রবনে দ্রবীভূত করে মাংসপেশীতে প্রয়োগ করতে হবে। পরবর্তীকালে ১ গ্রাম প্রতি ৩০ মিনিট পর পর প্রয়োগ করতে হবে যতক্ষন উপশম প্রাপ্ত না হয়।
শিশু এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ব্যবহার বিধি: ম্যাগনেসিয়াম সালফেট মধ্য থেকে তীব্র অ্যাজমাতে সাহায্যকারী হিসেবে শিশু এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

অন্যান্য ঔষধের সাথে: ম্যাগনেসিয়াম সালফেট ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার (নিফেডিপিন) এর সাথে দেওয়া হলে নিম্নরক্তচাপ হতে পারে। ম্যাগনেসিয়াম সালফেট স্নায়ুপেশীরোধক ঔষধের সাথে দেওয়া হলে তার প্রভাব বাড়িয়ে দিতে পারে। ম্যাগনেসিয়াম সালফেট নিম্নোক্ত ঔষধের সাথে দেওয়া হলে শ্বাসযন্ত্রের বিষণ্নতা হতে পারে।
  • বারবিচুরেটস
  • ওপিওয়েডস
  • অ্যামিনোগ্লাইকোসাইওস অ্যান্টিবায়োটিকস
খাবারের সাথে: কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

প্রতিনির্দেশনা

ম্যাগনেসিয়াম সালফেট হার্ট ব্লক, মায়োকার্ডিয়াম এবং কিডনীর স্বাভাবিক ক্রিয়াতে প্রতিনির্দেশিত।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

সাধারন: হাইপারম্যাগনেসেমিয়ার লক্ষন সমূহ হচ্ছে বমি বমি ভাব, উদগিরণ, ত্বক লাল, তৃষ্ণা বৃদ্ধি, রক্তের নিম্নচাপ, তন্দ্রাভাব ও পেশীদূর্বলতা।

বিরল: উদারাময় অথবা ত্বক জ্বালাপোড়া হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

মাগনেসিয়াম সালফেট প্লাসেন্টা অতিক্রম করে, তাই গর্ভাবতী মহিলাদের প্রয়োগ করার আগে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ম্যাগনেসিয়াম সালফেট মায়ের দুধের সাথে বের হয় কিনা জানা যায়নি, তবে সেক্ষেত্রে ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

সতর্কতা

রেচনতন্ত্রের জটিলতা, পেশীদৌবর্ল্য, গর্ভাবস্থায়, সিরাম-ম্যাগনেসিয়াম সমাহরন / ঘনীভবন পর্যবেক্ষন করতে হবে।

মাত্রাধিক্যতা

হাইপারম্যাগনেসেমিয়ার লক্ষণ সমূহ হচ্ছে: শ্বাসযন্ত্রের বিষণ্নতা, ডিপ টেন্ডন রিফ্লেক্সেস, বমি বমি ভাব, উদগিরন, ত্বকলাল, তৃষ্ণা বৃদ্ধি, তন্দ্রাভাবস ও পেশীদূর্বলতা ।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Specific mineral preparations

সংরক্ষণ

আলো থেকে দূরে, শুষ্ক ও ঠান্ডা স্থানে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।