1 tablet kit:
৳ 1,000.00
নির্দেশনা
ইবানড্রন মহিলা এবং পুরুষদের অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে ও চিকিৎসায় নির্দেশিত।
ফার্মাকোলজি
অস্টিওপোরোসিস একটি রোগ যেটা হাড়কে দুর্বল করে ফেলে। অস্টিওপোরোসিস পুরুষ এবং মহিলা উভয় ক্ষেত্রে হতে পারে তবে মেনোপজ (৪৫-৫০ বছর বেশী বয়স্ক মহিলাদের মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া) পরবর্তী মহিলাদের বেশী হয়ে থাকে। অস্টিওপোরোসিসে প্রথম দিকে উপসর্গগুলি দেখা দেয় না। তা সত্ত্বেও অস্টিওপোরোসিসের রোগীদের উচ্চতা কিছুটা কমে যেতে পারে এবং তাদের হাড় বিশেষ করে মেরুদন্ড, হাতের কব্জি, হিপ বোন ভেঙ্গে যেতে পারে। অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করা যায় এবং সঠিক ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা করা যায়।
ইবানড্রোনিক এসিড অস্টিওক্লাস্টের কার্যক্রম প্রতিরোধ করে এবং বোন রিসপর্শন ও টার্নওভার হ্রাস করে। এটি মেনোপজ পরবর্তী মহিলাদের বোন টার্নওভার হার কমিয়ে পর্যায়ক্রমে হাড়ের ওজন বৃদ্ধি করে। ইবানড্রোনেট খাদ্যনালীর ঊর্ধ্বাংশে শোষিত হওয়ার পর হাড়ের সাথে দ্রুত আবদ্ধ হয় অন্যথায় অপরিবর্তিতভাবে মূত্রের সাথে বেরিয়ে যায়।
ইবানড্রোনিক এসিড অস্টিওক্লাস্টের কার্যক্রম প্রতিরোধ করে এবং বোন রিসপর্শন ও টার্নওভার হ্রাস করে। এটি মেনোপজ পরবর্তী মহিলাদের বোন টার্নওভার হার কমিয়ে পর্যায়ক্রমে হাড়ের ওজন বৃদ্ধি করে। ইবানড্রোনেট খাদ্যনালীর ঊর্ধ্বাংশে শোষিত হওয়ার পর হাড়ের সাথে দ্রুত আবদ্ধ হয় অন্যথায় অপরিবর্তিতভাবে মূত্রের সাথে বেরিয়ে যায়।
ঔষধের মাত্রা
ইবান্ড্রোনিক এসিড ট্যাবলেট মাসে একটি করে খেতে হয়। ইবান্ড্রোনিক এসিড খাওয়ার জন্য এমন একটি দিন বেছে নিন যা আপনার জন্য মনে রাখা সুবিধাজনক (যেমন মাসের প্রথম দিন)। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
অস্টিওপোরোসিসের চিকিৎসা এবং প্রতিরোধে প্রতিমাসে একটি ইবান্ড্রোনিক এসিড ১৫০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট সেব্য।
যকৃতের রোগীদের ক্ষেত্রে: প্রয়োগ মাত্রায় কোন পরিবর্তন করার প্রয়োজন নেই।
কিডনীর রোগীদের ক্ষেত্রে: সামান্য থেকে মাঝারি ধরনের কিডনীর সমস্যায় (ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স ৩০ মি.লি./মিনিট বা এর বেশী হলে) প্রয়োগ মাত্রায় কোন পরিবর্তন করার প্রয়োজন নেই।
বয়স্কদের ক্ষেত্রে: প্রয়োগমাত্রায় কোন পরিবর্তন করার প্রয়োজন নেই।
অস্টিওপোরোসিসের চিকিৎসা এবং প্রতিরোধে প্রতিমাসে একটি ইবান্ড্রোনিক এসিড ১৫০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট সেব্য।
যকৃতের রোগীদের ক্ষেত্রে: প্রয়োগ মাত্রায় কোন পরিবর্তন করার প্রয়োজন নেই।
কিডনীর রোগীদের ক্ষেত্রে: সামান্য থেকে মাঝারি ধরনের কিডনীর সমস্যায় (ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স ৩০ মি.লি./মিনিট বা এর বেশী হলে) প্রয়োগ মাত্রায় কোন পরিবর্তন করার প্রয়োজন নেই।
বয়স্কদের ক্ষেত্রে: প্রয়োগমাত্রায় কোন পরিবর্তন করার প্রয়োজন নেই।
সেবনবিধি
সর্বোচ্চ শোষণ এবং কার্যকারিতার জন্য ইবান্ড্রোনিক এসিড ১৫০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট নির্ধারিত দিনে সকালে ঘুম থেকে উঠে খাদ্য ও অন্য ওষুধ খাওয়ার কমপক্ষে ১ ঘন্টা আগে এক গ্লাস সাধারণ খাবার পানি দিয়ে খেতে হবে। ইবান্ড্রোনিক এসিড খাওয়ার ১ ঘন্টার মধ্যে শোয়া যাবে না। এসময়টুকু বসে বা দাঁড়িয়ে বা স্বাভাবিক কাজ করে বা হেঁটে কাটানো যেতে পারে। কোন মাসের ডোজ বাদ পড়লে পরবর্তী ট্যাবলেট খাওয়ার দিনটি যদি অন্তত ৭ দিন পরে থাকে তবে মনে পড়ার পরের দিন সকালেই ইবান্ড্রোনিক এসিড ১৫০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট খেতে হবে এবং পরবর্তী ট্যাবলেট নির্ধারিত দিনেই খেতে হবে। কিন্তু পরবর্তী ট্যাবলেট খাওয়ার দিনটি ৭ দিনের মধ্যে হলে, ভুলে যাওয়া ডোজটি না খেয়ে পরবর্তী নির্ধারিত দিনেই ট্যাবলেটটি খেতে হবে। এক সপ্তাহে দুটি ইবান্ড্রোনিক এসিড ১৫০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট খাওয়া যাবে না।
ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া
ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য মাল্টিভ্যালেন্ট ক্যাটায়ন (অ্যালুমিনিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন) ইবানড্রোনেটের শোষণ ব্যাহত করায় ইবানড্রন নেয়ার পর ১ ঘন্টা পরে খাদ্য বা অন্য ওষুধ খেতে হবে।
প্রতিনির্দেশনা
ইবানড্রোনিক এসিড বা এর যেকোন উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীল রোগীদের জন্য ইহা প্রতিনির্দেশিত।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
ইবানড্রন এর প্রধান পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো হচ্ছে ডিসপেপ্সিয়া, বমিবমি ভাব, ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, পেশীতে ব্যথা, মাথা ব্যথা, মাথা ঝিমঝিম করা।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকালে ইবান্ড্রোনিক এসিড খাওয়া উচিত নয়।
সতর্কতা
হাইপোক্যালসেমিয়া এবং হাড় ও খনিজ পদার্থের বিপাকের সমস্যা চিকিৎসা করে ইবানড্রন থেরাপী শরু করতে হবে। রোগীদের পর্যাপ্ত পরিমান ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি গ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ এবং পরিপাকতন্ত্রের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি কমাতে সেবনবিধি মেনে চলতে হবে।
থেরাপিউটিক ক্লাস
Bisphosphonate preparations
সংরক্ষণ
আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, ৩০ ডিগ্রী সেঃ তাপমাত্রার নীচে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।