নির্দেশনা
সংবেদনশীল জীবাণুগুচ্ছের দ্বারা সৃষ্ট নিম্নলিখিত সংক্রমণসমূহে ফিক্স-এ নির্দেশিতঃ
- অজটিল মুত্রনালীর সংক্রমণ যা ই. কলাই ও প্রোটিয়াস মিরাবিলিস দ্বারা হয়ে থাকে।
- ওটাইটিস মিডিয়া যা হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জি, মোরাক্সেলা ক্যাটারালিস ও স্ট্রেপ্টোকক্কাস পায়োজেনস দ্বারা হয়ে থাকে।
- ফ্যারিনজাইটিস এবং টনসিলাইটিস যা স্ট্রেপ্টোকক্কাস পায়োজেনস দ্বারা হয়ে থাকে।
- একিউট ব্রংকাইটিস এবং একিউট এক্সাসারবেশন অব ক্রনিক ব্রংকাইটিস যা স্ট্রেপ্টোকক্কাস নিউমোনি এবং হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জি দ্বারা হয়ে থাকে।
- অজটিল গনেরিয়া (সার্ভিক্যাল/ইউরেথ্রাল) যা নেইসিরিয়া গনেরি দ্বারা হয়ে থাকে।
ফার্মাকোলজি
সেফিক্সিম একটি তৃতীয় প্রজন্মের সেফালোস্পোরিন জাতীয় এবং মুখে সেবনযোগ্য সেমিসিনথেটিক এন্টিবায়োটিক। এটি সহজেই অর্জিত প্লাজমা ঘনত্বে বহুবিধ গ্রাম পজিটিভ ও গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে থাকে। এটি ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীর গঠনে বাধা প্রদান করে ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে। বিটা-ল্যাকটামেজ এনজাইমের উপস্থিতিতেও সেফিক্সিম সুস্থিত। ফলে বিটা-ল্যাকটামেজ উপস্থিতির কারণে যে সকল জীবাণু পেনিসিলিন ও কিছু কিছু সেফালোস্পোরিনের প্রতি রেজিস্ট্যান্ট, সে সকল জীবাণুর বিরুদ্ধের সেফিক্সিম কার্যকরী। খাদ্যের সাথে অথবা খাদ্য ছাড়া যে কোন ভাবে সেবন করলে এটি প্রায় ৪০% থেকে ৫০% বিশোষিত হয়।
মাত্রা ও সেবনবিধি
সাধারনত চিকিৎসার সময়কাল ৭ দিন। তবে রোগের তীব্রতা অনুযায়ী ১৪ দিন পর্যন্ত দেয়া যেতে পারে।
প্রাপ্ত বয়স্ক এবং ১২ বছরের ঊর্ধ্বে শিশুদের ক্ষেত্রে: প্রাপ্ত বয়স্কদের বেলায় নির্দেশিত মাত্রা হচ্ছে প্রতিদিন ২০০-৪০০ মিঃগ্রাঃ (১ থেকে ২ টি ক্যাপসুল) একত্রে অথবা দু’টি বিভক্ত মাত্রায় সেবন করতে হবে। অজটিল সার্ভিক্যাল/ইউরেথ্রাল গনোকক্কাল সংক্রমণের চিকিৎসায় একক মাত্রায় সেফিক্সিম ৪০০ মিঃগ্রাঃ নির্দেশিত।
শিশু (৬ মাস অথবা তার ঊর্ধ্বে) এর ক্ষেত্রে: সাধারণত ৮ মিঃগ্রাঃ/কেজি/দিনে দৈহিক একক মাত্রায় অথবা দু’টি বিভক্ত মাত্রায় অথবা শিশুর বয়স অনুসারে সেবন করতে হবেঃ
প্রাপ্ত বয়স্ক এবং ১২ বছরের ঊর্ধ্বে শিশুদের ক্ষেত্রে: প্রাপ্ত বয়স্কদের বেলায় নির্দেশিত মাত্রা হচ্ছে প্রতিদিন ২০০-৪০০ মিঃগ্রাঃ (১ থেকে ২ টি ক্যাপসুল) একত্রে অথবা দু’টি বিভক্ত মাত্রায় সেবন করতে হবে। অজটিল সার্ভিক্যাল/ইউরেথ্রাল গনোকক্কাল সংক্রমণের চিকিৎসায় একক মাত্রায় সেফিক্সিম ৪০০ মিঃগ্রাঃ নির্দেশিত।
শিশু (৬ মাস অথবা তার ঊর্ধ্বে) এর ক্ষেত্রে: সাধারণত ৮ মিঃগ্রাঃ/কেজি/দিনে দৈহিক একক মাত্রায় অথবা দু’টি বিভক্ত মাত্রায় অথবা শিশুর বয়স অনুসারে সেবন করতে হবেঃ
- ১/২ থেকে ১ বছর: ৭৫ মিঃগ্রাঃ।
- ১ থেকে ৪ বছর: ১০০ মিঃগ্রাঃ।
- ৫ থেকে ১০ বছর: ২০০ মিঃগ্রাঃ।
- ১১ থেকে ১২ বছর: ৩০০ মিঃগ্রাঃ।
- টাইফয়েড জ্বরের ক্ষেত্রে মাত্রা ১০ মিঃগ্রাঃ/কেজি/দিনে হিসাবে ১৪ দিন পর্যন্ত।
ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া
কার্বামাজেপিন: যুগপৎ ব্যবহার কার্বামাজেপিন-এর প্লাজমা ঘনত্ব বৃদ্ধি করে। ওয়ারফেরিন এবং অন্যান্য এণ্টিকোয়াগোলেণ্ট: যুগপৎ ব্যবহার প্রোথ্রোম্বিন সময় বৃদ্ধি করে।
প্রতিনির্দেশনা
সেফিক্সিম বা অন্য কোন সেফালোস্পোরিন এন্টিবায়োটিকের প্রতি অতিসংবেদনশীলতায় এটি প্রতিনির্দেশিত।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
ঔষধটি সাধারণত সুসহনীয়। সচরাচর দৃষ্ট পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো হচ্ছে- ডায়রিয়া এবং মলের ধরণ পরিবর্তন যা সাধারণত উচ্চ মাত্রায় ঔষধ সেবনের কারণে হয়ে থাকে। ডায়রিয়া গুরুতর হলে ঔষধ সেবন বন্ধ করতে হবে। স্বল্প পরিলক্ষিত অন্যান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সমূহ হচ্ছে বমি বমি ভাব, পেট ব্যথা, বদহজম, বমি, পেট ফাঁপা, মাথাব্যথা এবং মাথাঘোরা বিভিন্ন ধরনের এলার্জি যেমন ফুঁসকুড়ি, চুলকানি, আমবাত, ঔষধ জনিত জ্বর এবং সন্ধি ব্যথা পরিলক্ষিত হয়। এই প্রতিক্রিয়া সমূহ খুব কম ক্ষেত্রেই দেখা যায় যা চিকিৎসা বন্ধ করার সাথে সাথে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
গর্ভাবস্থায় ব্যবহারের সুনিয়ন্ত্রিত ও পর্যাপ্ত তথ্য নেই। যেহেতু প্রাণিজ প্রজনন গবেষণা সর্বদা মানবদেহে কার্যকারিতা সম্বন্ধে পূর্ব ধারণা দেয় না, সেহেতু এই ঔষধটি গর্ভাবস্থায় সুনির্দিষ্টভাবে প্রয়োজন হলেই ব্যবহার করা উচিত। সেফিক্সিম মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয় কিনা তা এখনও জানা যায় নাই। সুতরাং মাতৃদাত্রী মায়েদের ক্ষেত্রে সেফিক্সিম ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
সতর্কতা
যাদের অন্ত্রনালীর রোগ, বিশেষ করে বৃহদন্ত্রে প্রদাহ রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ বৃক্কীয় অকার্যকারিতায় এবং যাদের অবিরাম এম্বুলেটরী পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস এবং হিমোডায়ালাইসিস করতে হয় তাদের ক্ষেত্রে ঔষধটি সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হয়। শুধুমাত্র গুরুতর বৃক্কীয় অকার্যকারিতায় (ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স <২০ মিঃলিঃ/মিঃ) মাত্রা পরিবর্তন করতে হয়, এ ক্ষেত্রে দৈনিক একক মাত্রা ২০০ মিঃগ্রাঃ এর অধিক অতিক্রম করা উচিৎ নয়।
মাত্রাধিক্যতা
মাত্রাধিক্যে গ্যাস্ট্রিক ল্যাভেজ নির্দেশিত। সেফিক্সিম এর কোন এন্টিডোট নেই। হিমোডায়ালাইসিস বা পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস দ্বারা রক্তপ্রবাহ হতে তেমন বিশেষ পরিমান সেফিক্সিম অপসারন করা যায় না। প্রাপ্ত বয়স্ক স্বাস্থ্যবান সেচ্ছাকর্মীদের কিছু সংখ্যক এর ক্ষেত্রে একক মাত্রায় ২ গ্রাম পর্যন্ত সেফিক্সিম সেবনে যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে, তা সাধারন মাত্রা সেবনে যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় তা থেকে আলাদা নয়।
থেরাপিউটিক ক্লাস
Third generation Cephalosporins
পুনর্গঠন প্রণালী
সাস্পেনশন তৈরীর নিয়ম: পানি মেশানোর পূর্বে বোতলটি ভালভাবে ঝাঁকিয়ে পাউডারগুলো আলগা করে নিন। তারপর সাস্পেনশনে ফুটানো পানি ঠান্ডা করে দু’বারে বোতলে ঢালুন এবং পাউডার সম্পূর্ণ মিশে না যাওয়া পর্যন্ত ঝাঁকিয়ে নিন।
সংরক্ষণ
আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, ৩০°সেঃ তাপমাত্রার নীচে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
রাসায়নিক গঠন
Molecular Formula : | C16H15N5O7S2 |
Chemical Structure : |