নির্দেশনা

ইস্পাগুল হাস্ক নিম্নোক্ত উপসর্গে নির্দেশিত-
  • কোষ্ঠকাঠিন্য
  • উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল
  • অর্শ বা পাইলস
  • ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম
  • রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা হ্রাস।
এছাড়া ইস্পাগুল হাস্ক সহজে বিচলনযােগ্য নরম মল তৈরি করে বলে মলদ্বারের ফাটল, কোলন ক্যান্সার, এনাল ফিশার, মলদ্বার বা রেক্টাল সার্জারীর পরে এবং গর্ভাবস্থায় ব্যবহৃত হয়।

উপাদান

প্রতি চামচ এ কার্যকরী উপাদান হিসাবে রয়েছে ৩.৫ গ্রাম সিলিয়াম হাঙ্ক। এই হাস্ক পানির সংমিশ্রণে ঘন আঁশযুক্ত পানীয় তৈরি করে যা কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটের সমস্যা নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়।

বিবরণ

সিলিয়াম এক প্রকার মৃদু বিরেচক এবং এতে ৮০% সলিউবােল ফাইবার আছে। সিলিয়ামের প্রধান রাসায়নিক উপাদান হিসাবে রয়েছে মিউসিলেজ যা কোষ্ঠকাঠিন্য, অর্শ বা পাইলস এবং কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসায় অত্যন্ত কার্যকর। এটি পাকস্থলী ও অন্ত্রের মিউকাস এর পিচ্ছিলতা আরাে বাড়িয়ে দেয়, যা পেটের পীড়া ও আলসার নিরাময়ে সাহায্য করে। সিলিয়াম রক্তে কোলেস্টেরল (ক্ষতিকর চর্বি) ও গ্লুকোজের মাত্রা হ্রাস করে যা মেদবহুল ও ডায়াবেটিক রােগীদের জন্য বিশেষ উপকারী।

ঔষধের মাত্রা

সাধারণ মাত্রা: পূর্ণ এক চামচ দিনে ১-৩ বার।

প্রাপ্ত বয়স্ক এবং ১২ বছর বয়সের উপরের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে
: সাধারণত এক চামচ জেল দিনে ২ বার অথবা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী।

৬ থেকে ১২ বছর বয়সী বাচ্চাদের ক্ষেত্রে
: অর্ধেক থেকে এক চামচ জেল পানিসহ দিনে দুই বার খাবারের পরে অথবা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী।

৬ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের ক্ষেত্রে
: চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করা যেতে পারে অন্যথায় প্রযোজ্য নয়।

এই জেল গ্রহণের পর অতিরিক্ত এক গ্লাস পানি পান করা ভালো।

সেবনবিধি

  • সরবরাহকৃত চামচের সাহায্যে সাধারণত এক চামচ পরিমাণ পাউডার নিন।
  • খালি গ্রাসে সম্পূর্ন। পাউডার ঢালুন।
  • গ্লাসে ১৫০ মি.লি, বা ২/৩ ভাগ পানি মিশিয়ে নাড়ন এবং তাৎক্ষণিক পান করুন।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

কোন উল্লেখযােগ্য প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয় নাই।

প্রতিনির্দেশনা

যে সকল রােগীদের অন্ত্রের প্রতিবন্ধকতা বা জটিলতা আছে তাদের ক্ষেত্রে প্রতিনির্দেশিত।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

পেট ফাঁপা, এবডােমিনাল ডিসটেনশন, অন্ত্রের প্রতিবন্ধকতা।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Bulk-forming laxatives, Herbal and Nutraceuticals

সংরক্ষণ

ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।