Unit Price:
৳ 7.00
(3 x 10: ৳ 210.00)
Strip Price:
৳ 70.00
নির্দেশনা
ফেনোগার্ড নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে নির্দেশিত- হাইপারলিপিডেমিয়া টাইপ II-এ, II-বি, III, IV এবং V রোগীর ক্ষেত্রে, যাদের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পরও আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি।
ফার্মাকোলজি
ফেনোফাইব্রেট একটি ফাইব্রিক এসিড জাতক। মুখে খাওয়ার পর ফেনোফাইব্রেট দ্রুত পানি দ্বারা বিশেষিত হয়ে-এর ফার্মাকোলজিক্যাল সক্রিয় অবস্থা ফেনোফাইব্রিক এসিডে পরিণত হয়। ফেনোফাইব্রিক এসিড মোট কোলেস্টেরল, LDL কোলেস্টেরল, অ্যাপোলাইপোপ্রোটিন বি, মোট ট্রাইগিসারাইড ও VLDL-এর পরিমাণ কমায়। এছাড়াও ফেনোফাইব্রেট HDL এবং অ্যাপো Al ও অ্যাপো All এর পরিমাণ বাড়ায়। ফেনোফাইব্রেট প্রস্রাবের মাধ্যমে ইউরিক এসিড নিষ্কাষণ বাড়িয়ে দিয়ে রক্তে ইউরিক এসিডের পরিমাণ কমায়। ফেনোফাইব্রেটের মাইক্রোনাইজড্ ফর্মুলেশন এর নন-মাইক্রোনাইজড্ ফর্মুলেশন অপেক্ষা অনেক বেশী পরিশোষিত হয়।
মাত্রা ও সেবনবিধি
ফেনোফাইব্রেট ক্যাপসুল ২০০ মি.গ্রা. দিনে ১ বার নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে নির্দেশিত- প্রাইমারী হাইপারকোলেস্টেরোলেমিয়া, হাইপারট্রাইগ্লাইসেরিডেমিয়া ও মিক্সড হাইপারলিপিডেমিয়া। খাদ্যের সাথে ফেনোফাইব্রেট সেবন করলে এর পরিশোষণ প্রায় ৩৫% বেড়ে যায়।
ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া
ফেনোগার্ড ওয়ারফেরিন-এর এন্টি-কোয়াগুলেন্ট কার্যকারীতা বাড়িয়ে দেয়। এন্টি-ডায়াবেটিক ওষুধের সাথে সেবন করলে এটি গ্লুকোজ টলারেন্স বাড়িয়ে দেয় এবং সহযোগীমূলক ক্রিয়া দেখা যায়। ফেনোগার্ড সাইক্লোস্পোরিনের নেফ্রোটক্সিসিটি বাড়িয়ে দেয়। HMG-CoA রিডাকটেজ ইনহিবিটর এর সাথে ফেনোগার্ড-এর ব্যবহার র্যাবডোমায়োলাইসিস হবার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। এ ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তবে নিম্ন মাত্রায় স্ট্যাটিন এর সাথে ফেনোগার্ডের ব্যবহার সুসহনীয়।
প্রতিনির্দেশনা
ফেনোফাইব্রেট-এর প্রতি অতি সংবেদনশীল, মারাত্মক কিডনী ও যকৃতের অসমকার্যকারীতা, পিত্তথলির সমস্যা, স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে, কিটোপ্রোফেনের আলোক-সংবেদনশীলতার ক্ষেত্রে প্রতিনির্দেশিত।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
পরিপাকতন্ত্রীয় (উদাহরণস্বরূপ- বমিবমি ভাব, ক্ষুধামন্দা, পেটে ব্যথা), চুলকানি, আর্টিকেরিয়া, পুরুষত্বহীনতা। এছাড়া মাথা ব্যথা, ঝিমঝিম ভাব, মাথা ঘোরা, অবসাদ, চুলপড়া, মায়োটক্সিসিটি বিরল ক্ষেত্রে দেখা গেছে ।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে ফেনোফাইব্রেট নির্দেশিত নয়।
সতর্কতা
যেসব রোগীর কিডনীর সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে আলাদা সাবধানতা নিতে হবে, কেননা যদি ক্রমাগত সিরাম ক্রিয়েটিনিন বাড়তে থাকে অথবা নির্দেশিত মাত্রা অনুসরণে ব্যর্থ হয়, তবে মায়োটক্সিসিটি হতে পারে। যদি মায়োটক্সিসিটি সন্দেহ করা হয় অথবা ক্রিয়েটিনিন কাইনেজ-এর ঘনত্ব বেড়ে যায়, সে ক্ষেত্রে ঔষধ সেবন বন্ধ রাখা উচিত। প্রথম ১ বছরের জন্য প্রতি ৩ মাস অন্তর লিভার ফাংশান টেস্ট করা উচিত।
থেরাপিউটিক ক্লাস
Fibrates
সংরক্ষণ
৩০°সে. এর উপরে সংরক্ষণ করা হতে বিরত থাকুন। আলো থেকে দূরে এবং শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।