নির্দেশনা

অ্যানিডুলা নিম্নলিখিত আক্রমণাত্মক ফাঙ্গাসের সংক্রমণে নির্দেশিত-
  • প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশু রোগীদের (১ মাস বা তারও বেশি বয়সী) ক্যান্ডিডেমিয়া এবং অন্যান্য ধরণের ক্যানডিডা সংক্রমণে (পেটের ভেতরের ফোঁড়া এবং পেরিটোনাইটিস)
  • প্রাপ্তবয়স্কদের ইসোফেজিয়াল ক্যান্ডিডিয়াসিসে

ফার্মাকোলজি

অ্যানিডুলাফাঞ্জিন এন্টিফাঙ্গাল কার্যকরিতাসহ একটি অর্ধ-সিনথেটিক ইকাইনোক্যান্ডিন। অ্যানিভুলাফাঞ্জিন ফাঙ্গাসের মাঝে অবস্থিত এনজাইম গুকান সিনথেসকে বাধা প্রদান করে। এরফলে ফাঙ্গাস কোষ প্রাচীরের একটি অপরিহার্য উপাদান 1,3-D-glucan গঠন বিঘ্নিত হয়।

মাত্রা ও সেবনবিধি

চিকিৎসার সময়কাল: চিকিৎসার ৩৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে ১০০ মি.গ্রা. মাত্রা ব্যবহারকে সমর্থন করার জন্য পর্যাপ্ত ডাটা নেই।

কিডনি ও হেপাটিক সমস্যার রোগীদের ক্ষেত্রে: লঘু, মধ্যম অথবা গুরুতর হেপাটিক সমস্যাজানিত রোগীদের ক্ষেত্রে মাত্রা সমন্বয়ের প্রয়োজন নেই। যেকোনো ধরণের রেনাল সমস্যা এমনকি ডায়ালাইসিসের রোগীদের ক্ষেত্রেও মাত্রা সমন্বয়ের প্রয়োজন নেই।

অন্যান্য বিশেষ পপুলেশনের ক্ষেত্রে: লিঙ্গ, ওজন, জাতিগত, HIV পজিটিভ অথবা বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে কোনো মাত্রার সমন্বয়ের প্রয়োজন নেই।
 
প্রাপ্তবয়স্ক শিশু (১ মাস বা তারও বেশি বয়সী)
ক্যান্ডিডেমিয়া এবং অন্যান্য ধরণের ক্যানডিডা সংক্রমণে
প্রথম দিনে ২০০ মি.গ্রা. লোডিং মাত্রায়, পরবর্তীতে ১০০ মি.গ্রা. করে দিনে একবার রক্ষনাবেক্ষন মাত্রায় শেষ ক্যালচার পজিটিভ থেকে কমপক্ষে ১৪ দিন পর্যন্ত প্রথম দিনে ৩ মি.গ্রা./কেজি (২০০ মি.গ্রা. বেশি নয়) লোডিং মাত্রায়, পরবর্তীতে ১.৫ মি.গ্রা./কেজি (১০০ মি.গ্রা. বেশি নয়) করে দিনে একবার রক্ষনাবেক্ষন মাত্রায় শেষ ক্যালচার পজিটিভ থেকে কমপক্ষে ১৪ দিন পর্যন্ত
ইসোফেজিয়াল ক্যান্ডিডিয়াসিসে
প্রথম দিনে ১০০ মি.গ্রা. লোডিং মাত্রায়, পরবর্তীতে ৫০ মি.গ্রা. করে দিনে একবার রক্ষনাবেক্ষন মাত্রায় কমপক্ষে ১৪ দিনের জন্য এবং লক্ষনসমূহ সমাধানের পরেও কমপক্ষে ৭ দিনের জন্য অনুমোদিত নয় 

সেবনবিধি: শুধুমাত্র শিরাপথে ব্যবহারের জন্য। অ্যানিডুলাফাঞ্জিন ৩.৩৩ মি.গ্রা./মি.লি. ঘনত্বের জন্য ইনজেকশন তৈরির পানির সাথে পুনঃগঠন করা উচিত এবং পরবর্তীতে ০.৭৭ মি.গ্রা./মি.লি. ঘনত্বের সাথে মেশানো উচিত। অ্যানিডুলাফাঞ্জিন বোলাস ইনজেকশন হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

সাইক্লোস্পোরিন, ট্যাক্রোলিমাস, রিফামপিন, ভরিকোনাজোল এবং এমফোটেরিসিন বি এর সাথে অ্যানিডুলাের একাধিক মাত্রা গ্রহণের ফলেও অ্যানিভুলাফাঞ্জিনের স্থিতিশীল ফার্মাকোকিনেটিক্স অবস্থার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি। উল্লেখিত ওষুধসমূহের সাথে অ্যানিডুলা প্রয়োগে কোনো মাত্রার সমন্বয়ের প্রয়োজন নেই।

প্রতিনির্দেশনা

অ্যানিডুলাফাঞ্জিন, অ্যানিডুলাফাঞ্জিনের যেকোনো উপাদান অথবা অন্যান্য ইকাইনক্যান্ডিনের প্রতি অতিসংবেদনশীল রোগীদের জন্য প্রতিনির্দেশিত।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

সর্বাধিক সাধারণ পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াগুলো হলো- হাইপোক্যালিমিয়া, বমি-বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, ডিসপেপসিয়া, পেটে ব্যথা, পাইরেক্সিয়া, অনিদ্রা, হাইপোটেনশন, মাথাব্যথা, রক্তস্বল্পতা, এবং থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

গর্ভবতী মহিলাদের অ্যানিডুলাফাঞ্জিন ব্যবহারের উপর কোনো তথ্য নেই যা একটি ওষুধ সম্পর্কিত প্রতিকূলতা বিস্তারের ঝুঁকি বিষয়ে অবহিত করে। মানুষের দুধে অ্যানিডুলাফাঞ্জিনের উপস্থিতি, বুকের দুধ খাওয়ানো শিশুর উপর প্রভাব বা দুধ উৎপাদনের উপর কোনো তথ্য নেই।

সতর্কতা

হেপাটিক প্রতিক্রিয়া: অস্বাভাবিক লিভার পরীক্ষার ঝুঁকি, হেপাটাইসিস, হেপাটিক ব্যার্থতা; থেরাপির সময় হেপাটিক ক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করুন।

অতিসংবেদনশীল: শকসহ আনাফিলাক্সিস রিপোর্ট করা হয়েছে।

মাত্রাধিক্যতা

ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলাকালীন সময়কালে একক মাত্রা হিসেবে ৪০০ মি.গ্রা. মাত্রা অনিচ্ছাকৃতভাবে লোডিং মাত্রা হিসেবে প্রয়োগ করা হয়েছিল। তবে সেখানে ক্লিনিক্যাল প্রতিকূল ঘটনার কোনো রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Candida infections, Echinocandins

পুনর্গঠন প্রণালী

পুনঃগঠন দিকনির্দেশনাঃ অ্যানিডুলা ইনজেকশন তৈরির পানির সাথে পুনঃগঠন করতে হবে এবং পরবর্তীতে ৫% ডেক্সট্রোজ, ০.৯% সোডিয়াম ক্লোরাইড বা সাধারণ স্যালাইনের সাথে মেশাতে হবে। শিরাপথে প্রয়োগের ব্যাগ (অথবা বোতল) যার মাঝে ৫% ডেক্সট্রোজ, ০.৯% সোডিয়াম ক্লোরাইড বা সাধারণ স্যালাইন এ ভায়ালের থেকে পুনঃগঠিত মিশ্রণ সাবধানতার সাথে স্থানান্তর করণ যা ০.৭৭ মি.গ্রা./মি.লি. অ্যানিডুলাের ঘনত্ব নিশ্চিত করবে।

সংরক্ষণ

অ-পুনঃগঠিত ভায়ালের ক্ষেত্রে: ২-৮° সে. এ রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষন করুন। ফ্রীজ করবেন না।
ভায়ালে পুনঃগঠিত সলুশনের ক্ষেত্রে: ২৫° সে. এর মাঝে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত সংরক্ষন করুন। ফ্রীজ করবেন না।
ইনফিউশন সলুশনের ক্ষেত্রে: ২৫ °সে. এর মাঝে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত সংরক্ষন করুন। ফ্রীজ করবেন না।