লেমো ট্যাবলেট

লেমো একটি এন্টি-এপিলেপটিক ওষুধ যা নিম্নোক্ত নির্দেশনায় নির্দেশিত:

মৃগীরোগ: ২ বছর ও তার চেয়ে অধিক বয়সী রোগীদের সংযোজিত চিকিৎসায়

• পারশিয়াল অনসেট সিজার
• প্রাইমারী জেনারালাইজড টনিক-ক্লনিক সিজার
• লেনক্স গ্যাস্টউট সিনড্রোম-এর জেনেরালাইজড সিজার

মৃগীরোগ: ১৬ বছর ও তার চেয়ে অধিক বয়সী রোগীদের জন্য একক থেরাপি চিকিৎসায়

বাইপোলার ডিজঅর্ডার: ১৮ বছর ও আর চেয়ে অধিক বয়সী রোগীদের চিকিৎসায়।

লেমো হলো একটি ফিনাইলট্রায়াজিন এন্টি-এপিলেপটিক যা বিভিন্ন ধরনের মৃগীরোগ ও বাইপোলার ডিজঅর্ডার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। লেমো ভোলটেজ সেনসিটিভ সোডিয়াম চ্যানেলকে বন্ধ করার মাধ্যমে এপিলেপটিক সিজার নিয়ন্ত্রণ করে, যার ফলে নিউরোনাল মেমব্রেন স্থিতিশীল হয় এবং প্রিসিন্যাপটিক উত্তেজক নিউরোট্রান্সমিটার (যেমন- গুটামেট এবং এসপারটেট) এর নিঃসরণ বন্ধ হয়।

ভ্যালপ্রোয়েট লেমোের মাত্রা দুই গুণের বেশি বাড়িয়ে দেয়। কার্বামাজেপাইন, ফেনিটোইন, ফেনোবারবিটাল, প্রিমিডোন এবং রিফামপিন, লেমোের মাত্রা প্রায় ৪০% কমিয়ে দেয়। ইস্ট্রোজেন সম্বলিত মৌখিক গর্ভনিরোধক লেমোের মাত্রা প্রায় ৫০% কমিয়ে দেয়। প্রোটিয়েজ বাধাদানকারী লোপিনাভির/রিটোনাভির এবং এটাজানাভির/রিটোনাভির ল্যামট্রিজিনের মাত্রা প্রায় ৫০% এবং ৩২% কমিয়ে দেয়।

ওষুধ অথবা তার উপাদানগুলোর প্রতি অতিসংবেদনশীলতা (যেমন- ফুসকুড়ি, এনজিওইডিমা, তীব্র ছুলি, তীব্র চুলকানি, মুখের অভ্যন্তরে ক্ষত)।

প্রাপ্তবয়স্ক: মাথাঘোরা, মাথাব্যথা, একটি বস্তুকে দুটি দেখা, স্থির হয়ে দাঁড়াতে না পারা, বমিবমি ভাব, ঝাপসা দেখা, ঘুমঘুমভাব, গলবিল প্রদাহ এবং ফুসকুড়ি।

শিশু: বমি, ডায়রিয়া, সংক্রমণ, জ্বর, পেট ব্যথা এবং কাঁপুনি।

প্রেগন্যান্সী ক্যাটাগরী সি। ল্যামোট্রিজিন মাতৃদুগ্ধের মাধ্যমে নিঃসরণ হয়।

ফুসকুড়ি দেখা যাওয়ার সাথে সাথে ওষুধ বন্ধ করে দিতে হবে। রক্তের ভারসাম্যের ব্যাঘাত (যেমন- নিউট্রোপেনিয়া, প্রমবোসাইটোপেনিয়া, প্যানসাইটোপেনিয়া): হতে পারে। রক্তস্বল্পতা, অপ্রত্যাশিত সংক্রমণ অথবা রক্তপাত এর লক্ষণ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। আত্মহত্যার প্রবণতা এবং কল্পনা: রোগীর আত্মহত্যার প্রবণতা এবং কল্পনার দিকে নজর রাখতে হবে। এসেপটিক মেনিনজাইটিস: মেনিনজাইটিস এর লক্ষণ পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

Primary anti-epileptic drugs

শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। আলো থেকে দূরে, ২৫° সে. তাপমাত্রার নিচে এবং শুষ্কস্থানে রাখুন।