Unit Price:
৳ 90.00
(3 x 10: ৳ 2,700.00)
Strip Price:
৳ 900.00
নির্দেশনা
জিস্টল স্তন বা এন্ডোমেট্রিয়ামের উন্নত কারসিনোমার উপশমকারী চিকিৎসার (যেমন: অকার্যকর, বা মেটাস্ট্যাটিক রোগ) জন্য নির্দেশিত। সার্জারি, রেডিয়েশন বা কেমোথেরাপির মতো গৃহীত পদ্ধতির পরিবর্তে এটি ব্যবহার করা উচিত নয়।
ফার্মাকোলজি
মেজেস্ট্রল অ্যাসিটেট একটি সিন্থেটিক, অ্যান্টিনিওপ্লাস্টিক এবং প্রজেস্টেশনাল ড্রাগ। এন্ডোমেট্রিয়াল কারসিনোমার বিরুদ্ধে মেজেস্ট্রল অ্যাসিটেটের অ্যান্টিনিওপ্লাস্টিক ক্রিয়া কিভাবে প্রদর্শন করে তা এখনো অজানা, তবে পিটুইটারি গোনাডোট্রপিন উৎপাদনে বাধা এবং ফলস্বরূপ ইস্ট্রোজেন নিঃসরণ হ্রাস কারণ হতে পারে। অন্যান্য স্টেরয়েড হরমোনের ক্রিয়া পরিবর্তন এবং সরাসরি টিউমার কোষগুলোতে সাইটোটক্সিক ক্রিয়া প্রয়োগ স্তনের কারসিনোমার উপর মেজেস্ট্রল অ্যাসিটেটের অ্যান্টিনিওপ্লাস্টিক ক্রিয়াকে ব্যাহত করে। মেটাস্ট্যাটিক ক্যান্সারে, কিছু কিছু টিস্যুতে হরমোন রিসেপ্টর উপস্থিত থাকতে পারে তবে সবগুলোতে নয়। রিসেপ্টরের কার্যপ্রণালী একটি চক্রাকার প্রক্রিয়া যেখানে ডিম্বাশয় দ্বারা উৎপাদিত ইস্ট্রোজেন টার্গেট কোষে প্রবেশ করে সাইটোপ্লাজমিক রিসেপ্টরের সাথে একটি কমপ্লেক্স গঠন করে কোষের নিউক্লিয়াসে পরিবাহিত হয়। এটি সেখানে জীন ট্রান্সক্রিপশনকে প্রণোদিত করে এবং কোষের স্বাভাবিক কার্যাবলীকে রদবদল করে। মেজেস্ট্রেল অ্যাসিটেটের ফার্মাকোলজিক ডোজ শুধুমাত্র হরমোন-নির্ভর স্তন ক্যান্সার কোষের সংখ্যাই কমায় না বরং এই কোষগুলোতে ইস্ট্রোজেনের প্রভাবগুলোকে সংশোধন ও বিলুপ্ত করতেও সক্ষম।
মেজেস্ট্রল অ্যাসিটেটের প্লাজমা লেভেল ব্যবহৃত পরিমাপ পদ্ধতির উপর নির্ভর করে। ১৬০ মি.গ্রা. ট্যাবলেটের একক ডোজ মুখে গ্রহণের ২ থেকে ৩ ঘন্টা পরে সর্বোচ্চ প্লাজমা ঘনত্ব পাওয়া যায়। মেজেস্ট্রল অ্যাসিটেটের প্লাজমা অর্ধায়ু ৩৩ থেকে ৩৮ ঘন্টা। ওষুধের মাত্রা আনুমানিক ৬৬% প্রস্রাবের মাধ্যমে এবং ২০% মলের মাধ্যমে নির্গত হয়।
মাত্রা ও সেবনবিধি
স্তন ক্যান্সার: প্রতিদিন ১৬০ মি.গ্রা.।
এন্ডোমেট্রিয়াল কারসিনোমা: প্রতিদিন বিভক্ত মাত্রায় ৪০-৩২০ মি.গ্রা।
মেজেস্ট্রল অ্যাসিটেট-এর কার্যকারিতা নির্ধারণের জন্য কমপক্ষে ২ মাস অবিরাম চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।
এন্ডোমেট্রিয়াল কারসিনোমা: প্রতিদিন বিভক্ত মাত্রায় ৪০-৩২০ মি.গ্রা।
মেজেস্ট্রল অ্যাসিটেট-এর কার্যকারিতা নির্ধারণের জন্য কমপক্ষে ২ মাস অবিরাম চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।
ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া
ওষুধের সাথে: একই সাথে জিস্টল ও অন্যান্য ওষুধ গ্রহণে সম্ভাব্য কোন মিথস্ক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়নি।
খাদ্য এবং অন্যান্যের সাথে: ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টোজেন শরীরে তরল ধারণ করতে পারে, বিশেষ করে যখন উচ্চ মাত্রায় বা দীর্ঘ সময়ের জন্য দেওয়া হয়। যে সকল রোগীদের অতিরিক্ত তরল জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এমন ধরনের ওষুধের সাথে থেরাপি সতর্কতার সাথে পরিচালনা করা উচিত।
খাদ্য এবং অন্যান্যের সাথে: ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টোজেন শরীরে তরল ধারণ করতে পারে, বিশেষ করে যখন উচ্চ মাত্রায় বা দীর্ঘ সময়ের জন্য দেওয়া হয়। যে সকল রোগীদের অতিরিক্ত তরল জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এমন ধরনের ওষুধের সাথে থেরাপি সতর্কতার সাথে পরিচালনা করা উচিত।
প্রতিনির্দেশনা
- মেজেস্ট্রল অ্যাসিটেট বা এর যেকোনো উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীলতার ইতিহাস।
- নিশ্চিত বা সন্দেহজনক গর্ভাবস্থা।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
ওজন বৃদ্ধি: ওজন বৃদ্ধি জিস্টলের একটি সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। ওজন বৃদ্ধি মূলত ক্ষুধা বৃদ্ধির কারণে হয় তবে এর শরীরে তরল জমা হওয়ার সাথে কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।
থ্রম্বোইম্বোলিক ফেনোমেনা: থ্রোম্বোইম্বোলিক ঘটনা হিসেবে থ্রোম্বোপ্লিবাইটিস এবং পালমোনারি এমবোলিজম (কিছু মারাত্মক ক্ষেত্রে) লক্ষ্য করা হয়েছে।
গ্লুকোকর্টিকয়েডের প্রভাব: জিস্টলের গ্লুকোকর্টিকয়েডের কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে মূল্যায়ন করা হয়নি। জিস্টলের দীর্ঘ দিন ব্যবহারে নতুন ডায়াবেটিস মেলাইটাসের সূচনা, পূর্বে বিদ্যমান ডায়াবেটিস মেলাইটাসের তীব্রতা বৃদ্ধি এবং কুশিং সিনড্রোম লক্ষ্য করা হয়েছে। এছাড়াও দীর্ঘমেয়ায়ী জিস্টল থেরাপি গ্রহণ বা প্রত্যাহার করা রোগীদের মধ্যে অ্যাড্রেনাল হরমোনের অপ্রতুলতা লক্ষ্য করা গেছে।
অন্যান্য: বমি বমি ভাব, শ্বাসকষ্ট, টিউমার ফ্লেয়ার, হাইপারগ্লাইসেমিয়া, গ্লুকোজ অসহিষ্ণুতা, অ্যালোপেসিয়া, উচ্চ রক্তচাপ, কার্পাল টানেল সিনড্রোম, মেজাজ পরিবর্তন, হট ফ্ল্যাশ, অস্বাচ্ছন্দ্য বোধ, অস্থিরতা, অলসতা, ঘাম এবং ফুসকুড়ি।
থ্রম্বোইম্বোলিক ফেনোমেনা: থ্রোম্বোইম্বোলিক ঘটনা হিসেবে থ্রোম্বোপ্লিবাইটিস এবং পালমোনারি এমবোলিজম (কিছু মারাত্মক ক্ষেত্রে) লক্ষ্য করা হয়েছে।
গ্লুকোকর্টিকয়েডের প্রভাব: জিস্টলের গ্লুকোকর্টিকয়েডের কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে মূল্যায়ন করা হয়নি। জিস্টলের দীর্ঘ দিন ব্যবহারে নতুন ডায়াবেটিস মেলাইটাসের সূচনা, পূর্বে বিদ্যমান ডায়াবেটিস মেলাইটাসের তীব্রতা বৃদ্ধি এবং কুশিং সিনড্রোম লক্ষ্য করা হয়েছে। এছাড়াও দীর্ঘমেয়ায়ী জিস্টল থেরাপি গ্রহণ বা প্রত্যাহার করা রোগীদের মধ্যে অ্যাড্রেনাল হরমোনের অপ্রতুলতা লক্ষ্য করা গেছে।
অন্যান্য: বমি বমি ভাব, শ্বাসকষ্ট, টিউমার ফ্লেয়ার, হাইপারগ্লাইসেমিয়া, গ্লুকোজ অসহিষ্ণুতা, অ্যালোপেসিয়া, উচ্চ রক্তচাপ, কার্পাল টানেল সিনড্রোম, মেজাজ পরিবর্তন, হট ফ্ল্যাশ, অস্বাচ্ছন্দ্য বোধ, অস্থিরতা, অলসতা, ঘাম এবং ফুসকুড়ি।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
প্রেগনেন্সি ক্যাটাগরি-ডি। গর্ভাবস্থার প্রথম চার মাসে প্রজেস্টেশনাল ওষুধ ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয় না। মাতৃদুগ্ধে খুব অল্প পরিমাণে (প্রায় ০.১%) নির্গত হয়। এই পরিমাণ ওষুধ নবজাতকের উপর কোন ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে কিনা তা এখনো জানা যায়নি। তবুও নবজাতকের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনার কারণে, মেজেস্ট্রল অ্যাসিটেট দ্বারা চিকিৎসার সময় স্তন্যদান বন্ধ করা শ্রেয়।
সতর্কতা
সাধারণ: পুনরাবৃত্ত বা মেটাস্ট্যাটিক ক্যান্সার চিকিৎসায় যেকোনো রোগীর জন্য ঘনিষ্ঠ নজরদারির প্রয়োজন। থ্রম্বোইম্বোলিক রোগের ইতিহাস রয়েছে এমন রোগীদের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার: মেজেস্ট্রেল অ্যাসিটেট ব্যবহারের ফলে পূর্বে বিদ্যমান ডায়াবেটিস রোগীর ইনসুলিনের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি লক্ষ্য করা হয়েছে।
ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার: মেজেস্ট্রেল অ্যাসিটেট ব্যবহারের ফলে পূর্বে বিদ্যমান ডায়াবেটিস রোগীর ইনসুলিনের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি লক্ষ্য করা হয়েছে।
বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার
শিশু ও বয়ঃসন্ধিকালীন ব্যবহার: শিশু রোগীদের নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার: অল্পবয়সী রোগীদের তুলনায় ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী রোগীরা ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া জানায় কিনা তা জিস্টলের অপর্যাপ্ত ক্লিনিকাল স্টাডি থেকে জানা যায়নি।
বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার: অল্পবয়সী রোগীদের তুলনায় ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী রোগীরা ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া জানায় কিনা তা জিস্টলের অপর্যাপ্ত ক্লিনিকাল স্টাডি থেকে জানা যায়নি।
মাত্রাধিক্যতা
দিনে ১৬০০ মি.গ্রা. এর মতো উচ্চ মাত্রায় জিস্টল দিয়ে গবেষণায় কোনো গুরুতর অপ্রত্যাশিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
সংরক্ষণ
আলো থেকে দূরে, শুষ্ক ও ঠান্ডা (৩০°সেঃ তাপমাত্রার নিচে) স্থানে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাহিরে রাখুন।