Unit Price:
৳ 1.50
(100's pack: ৳ 150.00)
Also available as:
নির্দেশনা
পেনিসিলিনের প্রতি সংবেদনশীল এবং মুখে সেব্য পেনিসিলিনের চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময়যােগ্য জীবাণু দ্বারা সংঘঠিত লঘু থেকে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। যেমন;
- নাক, কান এবং গলার ইনফেকশন -টনসিলের প্রদাহ, গলবিলের প্রদাহ, কণ্ঠনালীর প্রদাহ, মধ্যকর্ণের প্রদাহ
- শ্বসনতন্ত্রের নিম্নাংশের ইনফেকশন -ব্ৰহাইটিস ও নিউমােনিয়া, ব্রংকোনিউমােনিয়া
- Group-এ বিটা-হিমােলাইটিক স্ট্রেপ্টোকক্কাই দ্বারা সংঘঠিত ইনফেকশন, যেমন- আরক্ত জ্বর (স্কারলেট ফিভার), সংক্রামক চর্মরােগ (ইরাইসিপেলাস), বাতজ্বর
- ত্বকের ইনফেকশন, যেমন- যেকোন প্রকার পুঁজ যুক্ত চর্ম রােগ (পায়ােডার্মিয়া), একের পর এক ছােট ফোঁড়া হওয়া(ফ্রাংকিউলােসিস), সংযােজক কলার প্রদাহ (ফ্লেগমন), ইরাইসিপেলােয়েড, মানচিত্রের ন্যায় ছােপ যুক্ত জিহ্বা (ইরাইথেমা মাইগ্রেনস)
- ব্যাকটেরিয়া জনিত লসিকাবহ নালীর প্রদাহ(লিম্ফ্যাডিনাইটিস্) ও লসিকাবহ নালীর প্রদাহ(লিফ্যানজাইটিস্)
- মুখগহ্বর, মাড়ি বা চোয়াল এর ইনফেকশন -প্রদাহজনিত ক্ষরণ, ২য় ও ৩য় পর্যায়ের বিলম্বিত দন্তোদগম, অন্তঃগহ্বরের ফিস্টুলা, ভাইরাস জনিত মাড়ি বা ঠোটের দুপাশের প্রদাহ-পরবর্তী গ্রাম পজিটিভ প্যাথােজেন দ্বারা সংঘঠিত সেকেন্ডারি ইনফেকশন
ফার্মাকোলজি
ফেনােক্সিমিথাইল পেনিসিলিন বা পেনিসিলিন-ভি এসিড-স্ট্যাবল্ এবং ক্ষুদ্রান্ত্রের উপরিভাগ থেকে শােষিত হয়। বিভিন্ন প্রকার ফেনােক্সিমিথাইল পেনিসিলিনের মধ্যে ফেনােক্সিমিথাইল পেনিসিলিনের পটাশিয়াম লবণ সবচেয়ে ভাল শােষিত হয়। ইহা খাবারের সাথে দেওয়া যায় তবে খাবারের ১ ঘন্টা পূর্বে বা খাবারের ২ ঘন্টা পরে এর সর্বোচ্চ শােষণ হয়। ইহা গ্রাম পজিটিভ ব্যাকটেরিয়ার বিরূদ্ধে কাজ করে। পেনিসিলিন-জি এর তুলনায় ইহার সুবিধা হল ইহা পাকস্থলির এসিডে বিনষ্ট হয় না।
ঔষধের মাত্রা
ফেনােক্সিমিথাইল পেনিসিলিনের ডোজ, কার্যকারক অণুজীবের সংবেদনশীলতা এবং সংক্রমণের তীব্রতা অনুসারে নির্ধারণ করা উচিত এবং রোগীর ক্লিনিকাল প্রতিক্রিয়ার সাথে যা সামঞ্জস্যপূর্ন হওয়া উচিত।
প্রাপ্ত বয়স্ক: ২৫০-৫০০ মি.গ্রা. ৬ ঘন্টা পরপর।
শিশু (১ বছরের উপরে):
প্রাপ্ত বয়স্ক: ২৫০-৫০০ মি.গ্রা. ৬ ঘন্টা পরপর।
শিশু (১ বছরের উপরে):
- ১২৫-২৫০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট ৬ ঘন্টা পরপর।
- ১২৫ মি.গ্রা./৫ মি.লি. পাউডার ফর সাসপেনসন: ১-২ চা চামচ (৫-১০ মি.লি.) ৬ ঘন্টা পরপর।
- ২৫০ মি.গ্রা./৫ মি.লি. পাউডার ফর সাসপেনসন: ১/২- ১ চা চামচ (২.৫-৫ মি.লি.) ৬ ঘন্টা পরপর।
- ৬২.৫-১২৫ মি.গ্রা. ৬ ঘন্টা পরপর।
- ১২৫ মি.গ্রা./৫ মি.লি. পাউডার ফর সাসপেনসন: ১/২- ১ চা চামচ (২.৫-৫ মি.লি.) ৬ ঘন্টা পরপর অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।
সেবনবিধি
ফেনােক্সিমিথাইল পেনিসিলিন খালি পেটে বিশেষ করে খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে গ্রহণ করা উত্তম। ট্যাবলেটটি চিবানাে ছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ তরলের সঙ্গে গ্রহণ করতে হবে। এই সিরাপ ব্যবহারের আগে বােতল ভালভাবে ঝাঁকিয়ে নিতে হবে।
ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া
খাদ্য: খাবারের সাথে গ্রহণ করলে শােষনের মাত্রা কমে যায়। তাই শােষনের সর্বোচ্চ মাত্রা নিশ্চিত করতে খালি পেটে, সম্ভব হলে খাওয়ার ১ ঘন্টা আগে ফেনােক্সিমিথাইল পেনিসিলিন গ্রহণ করা উত্তম।
ওষুধের সাথে পারস্পরিক ক্রিয়া: পেনিসিলিনের সাথে মেথােট্রেক্সেট প্রয়ােগ করলে রক্তে মেথােট্রেক্সেটের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে বিষক্রিয়া ঘটতে পারে। তাই রক্তে মেথােট্রেক্সেটের পরিমাণ পর্যবেক্ষণ দরকার।
ফেনােক্সিমিথাইল পেনিসিলিন দ্বারা চিকিৎসার ফলে যদি ডায়রিয়া হয় তাহলে তা অন্যান্য মুখে সেব্য ওষুধের শােষণ এবং কার্যকারিতা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। যদি পেনিসিলিন অন্য ব্যাকটেরিওস্ট্যাটিক কেমােথেরাপিউটিক বা এ্যণ্টিবায়ােটিকের (যেমন - টেট্রাসাইক্লিনস, ক্লোরামফেনিকল) সাথে ব্যবহার করা হয় তাহলে পেনিসিলিনের কার্যকারিতা বন্ধ বা বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। প্রােবেনেসিডের সাথে ব্যবহার করলে বৃক্ক দিয়ে পেনিসিলিনের নিঃসরণ বাধাগ্রস্ত হয়। ইনডােমেথাসিন, ফিনাইলবিউটাজোন, সেলিসাইলেটস বা সালফিনপাইরাজোনের সাথে ব্যবহার করলে রক্তে ফেনােক্সিমিথাইলপেনিসিলিনের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে এবং রক্তে তা দীর্ঘ সময় থেকে যেতে পারে।
পেনিসিলিন ব্যবহারের ফলে রক্তে ইস্ট্রোজেন বা জেস্টাজেনের ঘনত্ব কমে যায়। যার ফলে জন্মবিরতিকরণ পিলের কার্যকারিতা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
যদি এমাইনােগ্লাইকোসাইডস (যেমন - নিওমাইসিন) দ্বারা ইন্টেস্টাইন বিশুদ্ধ করা হয় তাহলে ফেনােক্সিমিথাইল পেনিসিলিন এর শােষণ কমে যেতে পারে। পেনিসিলিন এবং এপ্টিকোয়াগুলাপ্টের সহযােগী ব্যবহারে (যেমন- ওয়ারফারিন) প্রগ্লোম্বিনের সময়/আইএনআর দীর্ঘায়িত করতে পারে।
পরীক্ষাগার এবং নমুনা পরীক্ষায় প্রতিবন্দ্বকতা: মূত্রে নন এনজাইমেটিক গ্লুকোজ নির্ধারণ এবং ইউরােবিলিনােজেন পরীক্ষায় মিথ্যা ইতিবাচক ফল পাওয়া যায়।
ওষুধের সাথে পারস্পরিক ক্রিয়া: পেনিসিলিনের সাথে মেথােট্রেক্সেট প্রয়ােগ করলে রক্তে মেথােট্রেক্সেটের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে বিষক্রিয়া ঘটতে পারে। তাই রক্তে মেথােট্রেক্সেটের পরিমাণ পর্যবেক্ষণ দরকার।
ফেনােক্সিমিথাইল পেনিসিলিন দ্বারা চিকিৎসার ফলে যদি ডায়রিয়া হয় তাহলে তা অন্যান্য মুখে সেব্য ওষুধের শােষণ এবং কার্যকারিতা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। যদি পেনিসিলিন অন্য ব্যাকটেরিওস্ট্যাটিক কেমােথেরাপিউটিক বা এ্যণ্টিবায়ােটিকের (যেমন - টেট্রাসাইক্লিনস, ক্লোরামফেনিকল) সাথে ব্যবহার করা হয় তাহলে পেনিসিলিনের কার্যকারিতা বন্ধ বা বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। প্রােবেনেসিডের সাথে ব্যবহার করলে বৃক্ক দিয়ে পেনিসিলিনের নিঃসরণ বাধাগ্রস্ত হয়। ইনডােমেথাসিন, ফিনাইলবিউটাজোন, সেলিসাইলেটস বা সালফিনপাইরাজোনের সাথে ব্যবহার করলে রক্তে ফেনােক্সিমিথাইলপেনিসিলিনের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে এবং রক্তে তা দীর্ঘ সময় থেকে যেতে পারে।
পেনিসিলিন ব্যবহারের ফলে রক্তে ইস্ট্রোজেন বা জেস্টাজেনের ঘনত্ব কমে যায়। যার ফলে জন্মবিরতিকরণ পিলের কার্যকারিতা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
যদি এমাইনােগ্লাইকোসাইডস (যেমন - নিওমাইসিন) দ্বারা ইন্টেস্টাইন বিশুদ্ধ করা হয় তাহলে ফেনােক্সিমিথাইল পেনিসিলিন এর শােষণ কমে যেতে পারে। পেনিসিলিন এবং এপ্টিকোয়াগুলাপ্টের সহযােগী ব্যবহারে (যেমন- ওয়ারফারিন) প্রগ্লোম্বিনের সময়/আইএনআর দীর্ঘায়িত করতে পারে।
পরীক্ষাগার এবং নমুনা পরীক্ষায় প্রতিবন্দ্বকতা: মূত্রে নন এনজাইমেটিক গ্লুকোজ নির্ধারণ এবং ইউরােবিলিনােজেন পরীক্ষায় মিথ্যা ইতিবাচক ফল পাওয়া যায়।
প্রতিনির্দেশনা
ফেনােক্সিমিথাইলপেনিসিলিন প্রতি বা এর কোন উপাদানের প্রতি অতি সংবেদনশীলতা আছে এমন কোন রােগীকে অবশ্যই ইহা দেওয়া যাবে না। যেসব রােগীদের বমি এবং ডায়রিয়াসহ তীব্র পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা আছে তাদেরকে ইহা দেওয়া যাবে না।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
মাঝে মধ্যে ত্বকে অতি সংবেদনশীলতা (যেমন - ত্বক লাল হওয়া ও চুলকানাে, হামের মত লাল লাল হয়ে যাওয়া অথবা স্কারলেটিনফরম র্যাশ, প্রুরাইটাস), ইওসিনােফিলিয়া বা আরাে মারাত্মক এলার্জি বিক্রিয়া ঘটতে পারে যেমন- ওষুধের কারণে জ্বর, ভাস্কুলাইটিস, সিরাম সিকনেস বা ইন্টারস্টিশিয়াল নেফ্রাইটিস। এ্যানাফাইল্যাকটিক বা এ্যানাফাইল্যাকটয়েড রিঅ্যাকশন এর সাথে এনজিওনিওরােটিক ইডিমা, স্বরযন্ত্রের ইডিমা, শ্বাসনালীর বিক্ষেপ সংক্রান্ত খিঁচুনি এবং আঘাত ঘটতে পারে।
এ্যানাফাইল্যাকটিক বা এ্যানাফাইল্যাকটয়েড রিঅ্যাকশন ঘটার লক্ষণ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে চিকিৎসা বন্ধ করতে হবে। কদাচিৎ ত্বকে র্যাশ বা মিউকাস মেমব্রেনে প্রদাহ বিশেষ করে মুখের চারপাশে, মুখ শুকিয়ে যাওয়া এবং মুখের স্বাদ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
বিশেষ ক্ষেত্রে মারাত্মক ফোস্কাযুক্ত ত্বকের প্রদাহ দেখা দিতে পারে (স্টিভেন-জনসন এবং লায়েন্স সিনড্রম)। ক্ষুধামন্দা, বমি, পেট ব্যথা, পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়াসহ পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। মাঝেমধ্যে ডায়রিয়া এণ্টেরােকোলাইটিসেরও লক্ষণ হিসেবে দেখা দিতে পারে যা কখনাে কখনাে রক্তক্ষয়ী হয়।
সিউডােমেমব্রেনাস কোলাইটিস হচ্ছে একটি বিশেষ ধরণের এন্টেরােকোলাইটিস যা এ্যান্টি বায়ােটিকের কারণে হতে পারে (অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্লোসট্রিডিয়াম ডিফিকাইল এর কারণে হয়)। কোন রােগীর চিকিৎসা চলাকালে বা চিকিৎসা শুরুর প্রথম সপ্তাহে তীব্র ধারাবাহিক ডায়রিয়া দেখা দিলে তা অবশ্যই বিবেচনায় আনতে হবে। এমনকি যদি শুধুমাত্র সিউডােমেমব্রেনাস কোলাইটিস এর একমাত্র কারণ হয় তারপরও ফেনােক্সিমিথাইল পেনিসিলিন প্রয়ােগ সাথে সাথে বন্ধ করতে হবে। এ ধরণের কোলাইটিসের জন্য একজন চিকিৎসক দ্বারা তাৎক্ষনিক এবং সঠিক চিকিৎসা করানাে দরকার। এক্ষেত্রে যেসব ওষুধ ইন্টেসটিনাল পেরিস্টালসিস বন্ধ করতে পারে সেগুলাে সেবন করা যাবে না। উচ্চমাত্রায়, দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে শ্বেত রক্তকণিকা (যেমন লিউকোপেনিয়া, গ্র্যানুলােসাইটোপেনিয়া, এ্যাগ্র্যানুলােসাইটোসিস), অনুচক্রিকা (হমােলাইটিক রক্ত শূন্যতার কারণে), গ্রমবােসাইটস অথবা প্যানসাইটোপেনিয়া এবং মায়েলােসাপ্রেশন হতে পারে। স্পাইরােচেটাল ইনফেকশনের চিকিৎসার সময় হারজেইমার রিএ্যাকশান হতে পারে যার সাধারণ লক্ষণগুলাে হচ্ছে জ্বর, শীত বােধ করা, মাথা ব্যথা এবং অস্থিসন্ধির ব্যথা। বিশেষ ক্ষেত্রে ওষুধ দ্বারা এ্যাসেপটিক মেনিনজাইটিসও হতে পারে।
একেবারে বিরল কিছু ক্ষেত্রে, ফেনােক্সিমিথাইল পেনিসিলিন দ্বারা চিকিৎসা করলে অস্থায়ীভাবে দাঁতের রঙের পরিবর্তন ঘটতে পারে। এ্যান্টিবায়ােটিক প্রয়ােগ, বিশেষ করে দীর্ঘ সময় ধরে প্রয়ােগ করলে অনুজীবের প্রতিরােধ ক্ষমতা বেড়ে যেতে পারে।
বিটা-ল্যাকটাম সমূহ রােগীর এনসেফালােপ্যাথির ঝুঁকির প্রবণতা (যার মধ্যে খিঁচুনি, বিভ্রান্তি, চেতনা হ্রাস, চলাফেরায় অব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত) বিশেষ করে ওভারডােজ বা রেনাল ইনফেকশনের ক্ষেত্রে বৃদ্ধি করে।
এ্যানাফাইল্যাকটিক বা এ্যানাফাইল্যাকটয়েড রিঅ্যাকশন ঘটার লক্ষণ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে চিকিৎসা বন্ধ করতে হবে। কদাচিৎ ত্বকে র্যাশ বা মিউকাস মেমব্রেনে প্রদাহ বিশেষ করে মুখের চারপাশে, মুখ শুকিয়ে যাওয়া এবং মুখের স্বাদ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
বিশেষ ক্ষেত্রে মারাত্মক ফোস্কাযুক্ত ত্বকের প্রদাহ দেখা দিতে পারে (স্টিভেন-জনসন এবং লায়েন্স সিনড্রম)। ক্ষুধামন্দা, বমি, পেট ব্যথা, পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়াসহ পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। মাঝেমধ্যে ডায়রিয়া এণ্টেরােকোলাইটিসেরও লক্ষণ হিসেবে দেখা দিতে পারে যা কখনাে কখনাে রক্তক্ষয়ী হয়।
সিউডােমেমব্রেনাস কোলাইটিস হচ্ছে একটি বিশেষ ধরণের এন্টেরােকোলাইটিস যা এ্যান্টি বায়ােটিকের কারণে হতে পারে (অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্লোসট্রিডিয়াম ডিফিকাইল এর কারণে হয়)। কোন রােগীর চিকিৎসা চলাকালে বা চিকিৎসা শুরুর প্রথম সপ্তাহে তীব্র ধারাবাহিক ডায়রিয়া দেখা দিলে তা অবশ্যই বিবেচনায় আনতে হবে। এমনকি যদি শুধুমাত্র সিউডােমেমব্রেনাস কোলাইটিস এর একমাত্র কারণ হয় তারপরও ফেনােক্সিমিথাইল পেনিসিলিন প্রয়ােগ সাথে সাথে বন্ধ করতে হবে। এ ধরণের কোলাইটিসের জন্য একজন চিকিৎসক দ্বারা তাৎক্ষনিক এবং সঠিক চিকিৎসা করানাে দরকার। এক্ষেত্রে যেসব ওষুধ ইন্টেসটিনাল পেরিস্টালসিস বন্ধ করতে পারে সেগুলাে সেবন করা যাবে না। উচ্চমাত্রায়, দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে শ্বেত রক্তকণিকা (যেমন লিউকোপেনিয়া, গ্র্যানুলােসাইটোপেনিয়া, এ্যাগ্র্যানুলােসাইটোসিস), অনুচক্রিকা (হমােলাইটিক রক্ত শূন্যতার কারণে), গ্রমবােসাইটস অথবা প্যানসাইটোপেনিয়া এবং মায়েলােসাপ্রেশন হতে পারে। স্পাইরােচেটাল ইনফেকশনের চিকিৎসার সময় হারজেইমার রিএ্যাকশান হতে পারে যার সাধারণ লক্ষণগুলাে হচ্ছে জ্বর, শীত বােধ করা, মাথা ব্যথা এবং অস্থিসন্ধির ব্যথা। বিশেষ ক্ষেত্রে ওষুধ দ্বারা এ্যাসেপটিক মেনিনজাইটিসও হতে পারে।
একেবারে বিরল কিছু ক্ষেত্রে, ফেনােক্সিমিথাইল পেনিসিলিন দ্বারা চিকিৎসা করলে অস্থায়ীভাবে দাঁতের রঙের পরিবর্তন ঘটতে পারে। এ্যান্টিবায়ােটিক প্রয়ােগ, বিশেষ করে দীর্ঘ সময় ধরে প্রয়ােগ করলে অনুজীবের প্রতিরােধ ক্ষমতা বেড়ে যেতে পারে।
বিটা-ল্যাকটাম সমূহ রােগীর এনসেফালােপ্যাথির ঝুঁকির প্রবণতা (যার মধ্যে খিঁচুনি, বিভ্রান্তি, চেতনা হ্রাস, চলাফেরায় অব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত) বিশেষ করে ওভারডােজ বা রেনাল ইনফেকশনের ক্ষেত্রে বৃদ্ধি করে।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
ফেনােক্সিমিথাইলপেনিসিলিন প্লাসেন্টা অতিক্রম করতে পারে। গর্ভাবস্থায় যে কোন সময়, সঠিক নির্দেশনায় ইহা ব্যবহার করা যেতে পারে। ইহা বুকের দুধে অল্প পরিমাণে নির্গত হতে পারে। স্তন্যদানকালে ইহা ব্যবহার করা যেতে পারে তবে সে ক্ষেত্রে শিশুদের ডায়রিয়া এবং মিউকাস মেমব্রেনে ইস্ট কোলনি তৈরি হতে পারে।
সতর্কতা
পেনিসিলিন এবং সেফালােস্পােরিনের মধ্যে ক্রস এলার্জির সম্ভাবনা বিবেচনায় রাখতে হবে। হৃদরােগে আক্রান্ত বা অন্য কোন কারণে তীব্র ইলেকট্রোলাইট সমস্যায় ভুগছে এমন রােগীদের চিকিৎসা করার সময় ফেনােক্সিমিথাইল পেনিসিলিন তে যে পটাসিয়াম আছে তা বিবেচনায় রাখতে হবে। বিটা-ল্যাকটাম সমূহ রােগীর এনসেফালােপ্যাথির ঝুঁকির প্রবণতা (যার মধ্যে খিঁচুনি, বিভ্রান্তি, চেতনা হ্রাস, চলাফেরায় অব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত) বিশেষ করে ওভারডােজ বা রেনাল ইনফেকশনের ক্ষেত্রে বৃদ্ধি করে।
এ্যন্টিবায়ােটিক দীর্ঘ সময় ধরে প্রয়ােগ করলে প্রতিরােধী অনুজীবের বংশবিস্তার ঘটতে পারে। এজন্য নিয়মিত বিরতিতে রােগীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা উচিত। যদি সেকেন্ডারি সংক্রমন হয় সেক্ষেত্রে যথাপােযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। ডায়াবেটিস রােগীদের ক্ষেত্রে ফেনােক্সিমিথাইল পেনিসিলিন তে বিদ্যমান শর্করা বিবেচনায় আনতে হবে।
বিটা-ল্যাকটাম সমূহ রােগীর এনসেফালােপ্যাথির ঝুঁকির বৃদ্ধি করে। এনসেফালােপ্যাথির মত বিরূপ প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে (যার মধ্যে খিঁচুনি, বিভ্রান্তি, চেতনা হ্রাস, চলাফেরায় অব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত) রােগীর কোন যন্ত্র পরিচালনা অথবা গাড়ি চালনা হতে বিরত থাকতে হবে।
এ্যন্টিবায়ােটিক দীর্ঘ সময় ধরে প্রয়ােগ করলে প্রতিরােধী অনুজীবের বংশবিস্তার ঘটতে পারে। এজন্য নিয়মিত বিরতিতে রােগীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা উচিত। যদি সেকেন্ডারি সংক্রমন হয় সেক্ষেত্রে যথাপােযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। ডায়াবেটিস রােগীদের ক্ষেত্রে ফেনােক্সিমিথাইল পেনিসিলিন তে বিদ্যমান শর্করা বিবেচনায় আনতে হবে।
বিটা-ল্যাকটাম সমূহ রােগীর এনসেফালােপ্যাথির ঝুঁকির বৃদ্ধি করে। এনসেফালােপ্যাথির মত বিরূপ প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে (যার মধ্যে খিঁচুনি, বিভ্রান্তি, চেতনা হ্রাস, চলাফেরায় অব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত) রােগীর কোন যন্ত্র পরিচালনা অথবা গাড়ি চালনা হতে বিরত থাকতে হবে।
মাত্রাধিক্যতা
ফেনােক্সিমিথাইলপেনিসিলিন এর বিষক্রিয়া ঘটার সম্ভাবনা কম এবং এর সহনশীলতার পরিসীমা অনেক বেশি। একাধিক মাত্রার ওষুধ একসাথে খেলে ফেনােক্সিমিথাইলপেনিসিলিন এর কোন তীব্র বিষক্রিয়া ঘটে না। বিটা-ল্যাকটাম অ্যান্টিবায়ােটিকসমূহ প্রয়ােগে রােগীর এনসেফালােপ্যাথির ঝুঁকির প্রবণতা বিশেষ করে ওভারডােজ বা রেনাল ইনফেকশনের ক্ষেত্রে বৃদ্ধি হয়। অতিরিক্ত মাত্রার ক্ষেত্রে ওষুধ বন্ধ করা ব্যতীত অন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রয়ােজন নেই। হেমােডায়ালাইসিস এর মাধ্যমে ফেনােক্সিমিথাইলপেনিসিলিন অপসারন করা যায়।
থেরাপিউটিক ক্লাস
Benzylpenicillin & Phenoxymethyl penicillin
সংরক্ষণ
আলাে থেকে দূরে ঠান্ডা ও শুকনাে স্থানে রাখুন।