ট্রাইহেক্সিফেনিডিল হাইড্রোক্লোরাইড
নির্দেশনা
ট্রাইহেক্সিফেনিডিল হাইড্রোক্লোরাইড ট্যাবলেট সহযোগী চিকিৎসা হিসেবে সবধরনের পারকিনসোনিজমে (পোস্টএনসেফালাইটিক, আর্টেরিওসক্লেরোটিক এবং ইডিওপ্যাথিক) নির্দেশিত। লেভোডোপা দিয়ে এই ধরনের পারকিনসোনিজমের চিকিৎসাকালীন প্রায়শই এটি সহযোগী চিকিৎসা হিসেবে উপকারী। এছাড়াও, এটি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উপর ক্রিয়াশীল ওষুধ যেমন ডাইবেনজোক্সাজেপাইন, ফেনোথায়াজাইন, থায়োজেনথিন এবং বিউটাইরোফেনোন দ্বারা সৃষ্ঠ এক্সট্রাপাইরামিডাল উপসর্গ নিয়ন্ত্রণে নির্দেশিত।
বিবরণ
ট্রাইহেক্সিফেনিডিল হাইড্রোক্লোরাইড প্যারাসিমপেথেটিক নার্ভাস সিস্টেমে সরাসরি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এটি পেশী টিস্যুর উপর প্রত্যক্ষ এবং প্যারাসিমপেথেটিক নার্ভাস সিস্টেমে নিবারক হিসেবে কাজ করার মাধ্যমে মসৃণ পেশীকে শিথিল করে।
মাত্রা ও সেবনবিধি
ব্যক্তিবিশেষে মাত্রা আলাদা হওয়া উচিত। প্রাথমিক মাত্রা অল্প হওয়া উচিত এবং পরবর্তীতে ধীরে ধীরে বাড়াতে হবে, বিশেষ করে ৬০ বছর উর্ধ্ব রোগীদের ক্ষেত্রে। ট্রাইহেক্সিফিনিডিল খাবারের আগে বা পরে দিতে হবে কিনা তা রোগী কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় তার উপর নির্ভরশীল। পোস্টএনসেফালাইটিক রোগী যারা সাধারণত অতিরিক্ত লালা নিঃসরণ করে, তারা এটি খাবারের পরে গ্রহণ করতে পছন্দ করতে পারে, তাছাড়া তাদের সামান্য পরিমাণ এট্রোপিন প্রয়োজন হতে পারে, এই অবস্থায় এটি একটি কার্যকর সহায়তাকারী। যদি ট্রাইহেক্সিফিনিডিল অতিরিক্ত মুখ শুষ্ক প্রবন হয়, তবে এটি খাবারের পূর্বে গ্রহণ করাই উত্তম যদি না এটি বমি বমি ভাব তৈরী করে। যদি খাবারের পর গ্রহণ করা হয়, প্রবৃত্ত তৃষ্ণা পুদিনা চকলেট, চিউইং গাম অথবা পানি দিয়ে নিবারণ করা যেতে পারে। পারকিনসোনিজম চিকিৎসার আকষ্মিক প্রত্যাহার পারকিনসোনিজমের উপসর্গকে তীব্র অবস্থায় নিয়ে যেতে পারে; তাই আকষ্মিক প্রত্যাহার এড়িয়ে চলা উচিত। আকষ্মিক প্রত্যাহার নিউরোলেপ্টিক ম্যালিগন্যান্ট উপসর্গসমূহ (এনএমএস) সৃষ্টি করতে পারে।
ইডিওপ্যাথিক পারকিনসোনিজম: পারকিনসোনিজমের প্রাথমিক চিকিৎসা হিসাবে প্রথম দিন ১ মি.গ্রা. ট্রাইহেক্সিফিনিডিল ট্যাবলেট হিসাবে প্রয়োগ করা যেতে পারে। পরবর্তীতে ৩ থেকে ৫ দিনের বিরতিতে ২ মি.গ্রা. করে বাড়িয়ে দিনে মোট মাত্রা ৬ থেকে ১০ মি.গ্রা. পর্যন্ত করা যেতে পারে। যেটি সর্বোচ্চ সন্তোষজনক মাত্রা পাওয়া যায় তার উপর দৈনিক সর্বমোট মাত্রা নির্ভর করবে। অনেক রোগীই প্রতিদিন সর্বমোট ৬ থেকে ১০ মি.গ্রা. মাত্রায় উপকারীতা পেয়ে থাকে, কিন্তু কিছু রোগী প্রধানত পোষ্টএনসেফালাইটিক শ্রেণীতে দৈনিক সর্বমোট ১২ থেকে ১৫ মি.গ্রা. মাত্রা দরকার হতে পারে।
ওষুধ-প্রবৃত্ত পারকিনসোনিজম: সাধারণভাবে প্রযুক্ত ঘুমের ওষুধ বিশেষ করে ফেনোথায়াজাইন, থায়োজেনথিন এবং বিউটাইরোফেনোন প্রয়োগের ফলে সৃষ্ট এক্সট্রাপাইরামিডাল প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে ট্রাইহেক্সিফিনিডিল এর আকার এবং মাত্রা প্রয়োগিকভাবে নির্ণেয়। দৈনিক সর্বোচ্চ মাত্রা সাধারণত ৫ এবং ১৫ মি.গ্রা. এর মধ্যে, যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই প্রতিক্রিয়া দিনে সর্বমোট মাত্র ১ মি.গ্রা. মাত্রায় সন্তোষজনকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা গেছে। চিকিৎসা অবিভক্ত ১ মি.গ্রা. মাত্রায় করার সুপারিশ করা যেতে পারে। যদি এক্সট্রাপাইরামিডাল অভিব্যক্তি কয়েক ঘন্টার মধ্যে নিয়ন্ত্রণে না আসে, পরবর্তীতে মাত্রা অগ্রগতিশীলভাবে বাড়ানো যেতে পারে যতক্ষণ না সন্তোষজনক নিয়ন্ত্রণ অর্জিত হয়। ট্রাইহেক্সিফিনিডিল চিকিৎসা প্রবর্তন করার সময়ে ঘুমের ওষুধের মাত্রা কখনও কখনও সন্তোষজনক নিয়ন্ত্রণ পাওয়া যেতে পারে এবং এক্সট্রাপাইরামিডাল প্রতিক্রিয়া ব্যতীত কাঙ্খিত ক্রিয়া বজায় রাখা যায়। কয়েকদিন ধরে প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখার পর কখনও কখনও ট্রাইহেক্সিফিনিডিল এর কম মাত্রা বজায় রাখা সম্ভব। ট্রাইহেক্সিফিনিডিল হাইড্রোক্লোরাইড চিকিৎসা বন্ধ করে দেওয়ার পরও এই ধরনের প্রতিক্রিয়া বহুদিন ধরে উপশমিত থাকার উদাহরণ রয়েছে।
লেভোডোপার সাথে ব্যবহার: ট্রাইহেক্সিফিনিডিল যখন লেভোডোপার সাথে ব্যবহার করা হবে তখন প্রত্যেকেরই সাধারণ মাত্রা কমানোর প্রয়োজন হতে পারে। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং উপসর্গ নিয়ন্ত্রণের উপর ভিত্তি করে সতর্কতার সাথে সমন্বয় করা প্রয়োজন। সাধারণত ট্রাইহেক্সিফিনিডিল এর মাত্রা দিনে ৩ থেকে ৬ মি.গ্রা. বিভক্ত মাত্রায় পর্যাপ্ত।
অন্যান্যা প্যারাসিম্প্যাথেটিক ইনহিবিটরস এর সাথে ব্যবহার: অন্যান্য প্যারাসিম্প্যাথেটিক ইনহিবিটরের সাথে ট্রাইহেক্সিফিনিডিল সম্পূর্ণ অথবা আংশিক প্রতিস্থাপন করা যেতে পারে। সাধারণ কৌশল হলো প্রাথমিকভাবে আংশিক প্রতিস্থাপন, সাথে সাথে অন্যান্য ওষুধের মাত্রা প্রগতিশীলভাবে কমানো সেই সাথে ট্রাইহেক্সিফিনিডিল এর মাত্রা বাড়ানো হয়।
ট্রাইহেক্সিফিনিডিল এর দৈনিক মোট পরিমাণ তিনটি বিভক্ত মাত্রায় এবং খাবার সময় সবচেয়ে বেশী সহনশীল। উচ্চমাত্রা >১০মিগ্রা, চারটি বিভক্তভাবে, তিনটি মাত্রা খাওয়ার সময় এবং চতুর্থটি ঘুমানোর আগে দেয়া যেতে পারে
শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহার: শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহারের নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা প্রতিষ্ঠিত নয়।
ইডিওপ্যাথিক পারকিনসোনিজম: পারকিনসোনিজমের প্রাথমিক চিকিৎসা হিসাবে প্রথম দিন ১ মি.গ্রা. ট্রাইহেক্সিফিনিডিল ট্যাবলেট হিসাবে প্রয়োগ করা যেতে পারে। পরবর্তীতে ৩ থেকে ৫ দিনের বিরতিতে ২ মি.গ্রা. করে বাড়িয়ে দিনে মোট মাত্রা ৬ থেকে ১০ মি.গ্রা. পর্যন্ত করা যেতে পারে। যেটি সর্বোচ্চ সন্তোষজনক মাত্রা পাওয়া যায় তার উপর দৈনিক সর্বমোট মাত্রা নির্ভর করবে। অনেক রোগীই প্রতিদিন সর্বমোট ৬ থেকে ১০ মি.গ্রা. মাত্রায় উপকারীতা পেয়ে থাকে, কিন্তু কিছু রোগী প্রধানত পোষ্টএনসেফালাইটিক শ্রেণীতে দৈনিক সর্বমোট ১২ থেকে ১৫ মি.গ্রা. মাত্রা দরকার হতে পারে।
ওষুধ-প্রবৃত্ত পারকিনসোনিজম: সাধারণভাবে প্রযুক্ত ঘুমের ওষুধ বিশেষ করে ফেনোথায়াজাইন, থায়োজেনথিন এবং বিউটাইরোফেনোন প্রয়োগের ফলে সৃষ্ট এক্সট্রাপাইরামিডাল প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে ট্রাইহেক্সিফিনিডিল এর আকার এবং মাত্রা প্রয়োগিকভাবে নির্ণেয়। দৈনিক সর্বোচ্চ মাত্রা সাধারণত ৫ এবং ১৫ মি.গ্রা. এর মধ্যে, যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই প্রতিক্রিয়া দিনে সর্বমোট মাত্র ১ মি.গ্রা. মাত্রায় সন্তোষজনকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা গেছে। চিকিৎসা অবিভক্ত ১ মি.গ্রা. মাত্রায় করার সুপারিশ করা যেতে পারে। যদি এক্সট্রাপাইরামিডাল অভিব্যক্তি কয়েক ঘন্টার মধ্যে নিয়ন্ত্রণে না আসে, পরবর্তীতে মাত্রা অগ্রগতিশীলভাবে বাড়ানো যেতে পারে যতক্ষণ না সন্তোষজনক নিয়ন্ত্রণ অর্জিত হয়। ট্রাইহেক্সিফিনিডিল চিকিৎসা প্রবর্তন করার সময়ে ঘুমের ওষুধের মাত্রা কখনও কখনও সন্তোষজনক নিয়ন্ত্রণ পাওয়া যেতে পারে এবং এক্সট্রাপাইরামিডাল প্রতিক্রিয়া ব্যতীত কাঙ্খিত ক্রিয়া বজায় রাখা যায়। কয়েকদিন ধরে প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখার পর কখনও কখনও ট্রাইহেক্সিফিনিডিল এর কম মাত্রা বজায় রাখা সম্ভব। ট্রাইহেক্সিফিনিডিল হাইড্রোক্লোরাইড চিকিৎসা বন্ধ করে দেওয়ার পরও এই ধরনের প্রতিক্রিয়া বহুদিন ধরে উপশমিত থাকার উদাহরণ রয়েছে।
লেভোডোপার সাথে ব্যবহার: ট্রাইহেক্সিফিনিডিল যখন লেভোডোপার সাথে ব্যবহার করা হবে তখন প্রত্যেকেরই সাধারণ মাত্রা কমানোর প্রয়োজন হতে পারে। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং উপসর্গ নিয়ন্ত্রণের উপর ভিত্তি করে সতর্কতার সাথে সমন্বয় করা প্রয়োজন। সাধারণত ট্রাইহেক্সিফিনিডিল এর মাত্রা দিনে ৩ থেকে ৬ মি.গ্রা. বিভক্ত মাত্রায় পর্যাপ্ত।
অন্যান্যা প্যারাসিম্প্যাথেটিক ইনহিবিটরস এর সাথে ব্যবহার: অন্যান্য প্যারাসিম্প্যাথেটিক ইনহিবিটরের সাথে ট্রাইহেক্সিফিনিডিল সম্পূর্ণ অথবা আংশিক প্রতিস্থাপন করা যেতে পারে। সাধারণ কৌশল হলো প্রাথমিকভাবে আংশিক প্রতিস্থাপন, সাথে সাথে অন্যান্য ওষুধের মাত্রা প্রগতিশীলভাবে কমানো সেই সাথে ট্রাইহেক্সিফিনিডিল এর মাত্রা বাড়ানো হয়।
ট্রাইহেক্সিফিনিডিল এর দৈনিক মোট পরিমাণ তিনটি বিভক্ত মাত্রায় এবং খাবার সময় সবচেয়ে বেশী সহনশীল। উচ্চমাত্রা >১০মিগ্রা, চারটি বিভক্তভাবে, তিনটি মাত্রা খাওয়ার সময় এবং চতুর্থটি ঘুমানোর আগে দেয়া যেতে পারে
শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহার: শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহারের নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা প্রতিষ্ঠিত নয়।
ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া
ট্রাইহেক্সিফিনিডিল হাইড্রোক্লোরাইড এর সাথে ক্যানাবিনওয়েডস, বারবিচুরেটস, ওপিয়েটস এবং অ্যালকোহলের সংযোজক ক্রিয়া থাকতে পারে এবং এজন্য সম্ভাব্য অপব্যবহার বিদ্যমান। অ্যালকোহল বা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের অবসাদকারী বস্তুর সাথে ট্রাইহেক্সিফিনিডিল হাইড্রোক্লোরাইড এর ব্যবহারে তন্দ্রাক্রিয়া বাড়িয়ে দিতে পারে। মনোএ্যামিন অক্সিডেজ ইনহিবিটর এবং ট্রাইসাইক্লিক এ্যান্টিডিপ্রেশ্যান্ট যাদের অর্থপূর্ণ এ্যান্টিকোলিনার্জিক ক্রিয়া রয়েছে এই ধরনের ওষুধের সেকেন্ডারী এ্যান্টিকোলিনার্জিক ক্রিয়া থাকার করণে এ্যানিডিসকাইনেটিক বস্তুসমূহের এ্যান্টিকোলিনার্জিক ক্রিয়া বাড়িয়ে দিতে পারে। এ্যান্টিকোলিনার্জিক বস্তুসমূহ যেমন ট্রাইহেক্সিফিনিডিল হাইড্রোক্লোরাইড এর নিওরোলেপ্টিক চিকিৎসার সময়ে ওষুধ প্রবৃত্ত পারকিনসোনিজম প্রতিরোধে প্রতিষেধক হিসাবে ব্যবহার সুপারিশকৃত নয়। এ্যান্টিকোলিনার্জিক এবং নিওরোলেপ্টিক এর একত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে টারডাইভ ডিসকাইনেসিয়া বিকাশের উচ্চ ঝুঁকি থাকতে পারে। লেভোডোপা এবং ট্রাইহেক্সিফিনিডিল হাইড্রোক্লোরাইড এর একত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে উভয়ের মাত্রাই কমানোর প্রয়োজন হতে পারে যেহেতু সহপ্রয়োগে ওষুধ প্রবৃত্ত অনিয়ন্ত্রিত গতিবিধিকে বাড়িয়ে দিতে পারে।
প্রতিনির্দেশনা
ট্রাইহেক্সিফিনিডিল হাইড্রোক্লোরাইডের প্রতি সংবেদনশীলতা আছে এমন রোগীদের ক্ষেত্রে ট্রাইহেক্সিফিনিডিল হাইড্রোক্লোরাইড এর ব্যবহার নিষিদ্ধ। যে সমস্ত রোগীদের নেরো এঙ্গেল গ্লুকোমা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও ট্রাইহেক্সিফিনিডিল হাইড্রোক্লোরাইড এর ব্যবহার নিষিদ্ধ। দীর্ঘ মেয়াদী ব্যবহারের ফলে নেরো এঙ্গেল গ্লুকোমার দরুণ অন্ধত্বের প্রমাণ রয়েছে।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
সকল রোগীর ৩০-৫০% ক্ষেত্রে এর মৃদু পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া যেমন মুখের শষ্কতা, ঝাপসা দৃষ্টি, মাথাঘোরা, হালকা বমি বমি ভাব অথবা স্নায়ুবিক দৌর্বল্য অনুভব করতে পারে। যদিও এই ধরণের অনুভুতিগুলো ট্রাইহেক্সিফিনিডিল হাইড্রোক্লোরাইড এর ক্ষেত্রে বেলাডোনা অ্যালকালয়েড থেকে কম পীড়াজনক এবং আনঅ্যালিনেটেড পারকিনসোনিজম থেকে কম বিঘ্নকারী। এই ধরণের প্রতিক্রিয়া কম বলা হয়ে থাকে এবং চিকিৎসা চলতে চলতে কমে যায়। যদিও এই ধরনের প্রতিক্রিয়াগুলি আপনা আপনি বিলুপ্ত হয়ে যায়, পূর্বেই মাত্রার প্রকার, ওষুধের পরিমাণ অথবা মাত্রার মধ্যবর্তী সময় সমন্বয় করে প্রায়শই এই প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। মুখের অতিরিক্ত শুষ্কতাজনিত আনুষঙ্গিক সাপুুরেটিভ প্যারেটাইটিস, ত্বকের ফুসকুড়ি, কোলনের প্রসারণ, প্যারালাইটিক ইলিয়াস এবং কিছু মানসিক অভিব্যক্তি যেমন বিভ্রম, হ্যালুসিনেশন এবং মস্তিষ্কবিকৃতি যেগুলো এট্রোপিন জাতীয় যেকোন ওষুধের ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্নভাবে ঘটার উদাহরণ রয়েছে, ট্রাইহেক্সিফিনিডিল হাইড্রোক্লোরাইড এর ক্ষেত্রে তা বিরল। সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া যা ট্রাইহেক্সিফিনিডিল হাইড্রোক্লোরাইড সহ যেকোন ধরনের এট্রোপিন জাতীয় ওষুধ সাথে সম্পর্কিত সেগুলোর মধ্যে রয়েছে কগনিটিভ ডিসফাংশনস, দ্বিধাগ্রস্ততা এবং স্মৃতিবিকলতা, কৌষ্ঠকাঠিন্য, নিদ্রালতা, মূত্রসম্বন্ধীয় কুষ্ঠা বা ধরে রাখার অক্ষমতা, ট্যাকিকার্ডিয়া, চক্ষুতারার প্রসারণ, ইন্ট্রাঅকিউলার চাপ বেড়ে যাওয়া, কোরিফরম গতিবিধি, দূর্বলতা, বমি এবং মাথাব্যথা। আকষ্মিক চিকিৎসা প্রত্যাহার পারকিনসোনিজমের তীব্রতা বাড়িয়ে দেয়ার প্রমাণ রয়েছে। আকস্মিক চিকিৎসা প্রত্যাহার নিউরোলেপটিক ম্যালিগন্যান্ট উপসর্গসমূহ তৈরী করতে পারে। ট্রাইহেক্সিফিনিডিল হাইড্রোক্লোরাইড গ্রহণকারী রোগীদের ক্ষেত্রে এঙ্গেল ক্লোসার গ্লুকোমার তথ্য পাওয়া গেছে (কিছু কিছু ক্ষেত্রে অন্ধতে¦র তথ্য পাওয়া গেছে)। আপাতবিরোধী সাইনাস ব্রাডিকার্ডিয়া, ত্বকের শুষ্কতা এবং সাইক্লোপ্লেজিয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে যেসকল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াসমূহ পরিলক্ষিত হয় সেগুলো ছাড়াও শিশুদে মধ্যে নিম্নোক্ত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো দেখা যায়ঃ হাইপারকাইনেসিয়া, সাইকোসিস, ভুলে যাওয়ার প্রবণতা, ওজন কমে যাওয়া, অস্থিরতা, কোরীয়া এবং নিদ্রাসম্বন্ধীয় পরিবর্তন।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
প্রাণী বা মানুষের গর্ভকালীন কোন নিয়ন্ত্রিত উপাত্ত নেই। ট্রাইহেক্সিফিনিডিল হাইড্রোক্লোরাইড কেবল তখনই গর্ভাবস্থায় সুপারিশকৃত যখন প্রয়োজন পরিষ্কারভাবে প্রতিষ্ঠিত এবং ক্ষতির চেয়ে উপকারীতা বেশি হয়। এই ওষুধ দুধের সাথে নিঃসৃত কিনা তা জানা নেই। যেহেতু অনেক ওষুধ দুধের সাথে নিঃসৃত হয়, ট্রাইহেক্সিফিনিডিল হাইড্রোক্লোরাইড স্তন্যদানকারী মায়ের ক্ষেত্রে ব্যবহারের সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। অন্যান্য এ্যান্টিকোলিনার্জিকের সাথে ট্রাইহেক্সিফিনিডিল হাইড্রোক্লোরাইড দুগ্ধদানকে বাধাদান করতে পারে। সুতরাং ট্রাইহেক্সিফিনিডিল হাইড্রোক্লোরাইড কেবল তখনই সেব্য যখন মায়ের প্রত্যাশিত উপকারীতা শিশুর সম্ভাব্য ক্ষতির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
সতর্কতা
ট্রাইহেক্সিফিনিডিল হাইড্রোক্লোরাইড দিয়ে চিকিৎসার পূর্বে রোগীর চক্ষুসম্বন্ধীয় মূল্যায়ন করতে হবে এবং ইন্ট্রাঅকিউলার প্রেসার নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এ্যান্টিকোলিনার্জিক ওষুধসমূহের ব্যবহারে ইন্ট্রাঅকিউলার প্রেসার বৃদ্ধির সাথে সাথে এঙ্গেল ক্লেসারকে অধঃক্ষিপ্ত করতে পারে। যদি চিকিৎসাকালীন ঝাপটা দৃষ্টি তৈরী হয়, নেরো এঙ্গেল গ্লুকোমা হওয়ার সম্ভাবনা বিবেচনা করা উচিত। নেরো এঙ্গেল গ্লুকোমা বৃদ্ধির দরুণ অন্ধত্বের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। গরম আবহাওয়া বিশেষ করে যখন অন্যান্য এট্রোপিন জাতীয় ওষুধের সাথে দীর্ঘদিন অসুস্থ রোগীকে, অ্যালকোহল সেবী যাদের কেন্দ্রী স্নায়ুতন্ত্রের রোগ রয়েছে, অথবা যারা গরম আবহাওয়ায় হস্তচালিত শ্রম দিয়ে থাকে তাদেরকে ট্রাইহেক্সিফিনিডিল হাইড্রোক্লোরাইড সতর্কতার সাথে দেয়া উচিত। যখন ঘামের অসুবিধা থাকে তখন তৎক্ষনাৎ অ্যানহাইড্রোসিস ঘটতে পারে। যদি অ্যানহাইড্রোসিসের প্রমাণ থাকে তবে হাইপারথার্মিয়া বিবেচনা করা উচিত। ঘর্ম প্রক্রিয়া বন্ধ না হয়ে যেন শারীরিক তাপমাত্রার সাম্যাবস্থা বজায় রাখতে পারে এজন্য মাত্রা কমানো উচিত। উপরোল্লিখিত অবস্থায় এ্যান্টিকোলিনার্জিক ব্যবহারের ফলে মারাত্বক অ্যানহাইড্রোসিস এবং প্রাণঘাতী হাইপারথার্মিয়া ঘটতে পারে। নিউরোলেপ্টিক ম্যালিগন্যান্টি সিনড্রোমঃ ট্রাইহেক্সিফিনিডিল হাইড্রোক্লোরাইড এর মাত্রা কমানো বা বন্ধ করার সাথে সাথে একটি সম্ভাব্য প্রাণঘাতী জটিল উপসর্গ মাঝে মাঝে দেখা যায় যাকে নিউরোলেপ্টিক ম্যালিগন্যান্ট সিনড্রোম (এনএমএস) বলা হয়। এনএমএস এর ক্লিনিক্যাল বৈশিষ্ট্যসমূহ হলো হাইপারপাইরেক্সিয়া, মাংসপেশী শক্ত হয়ে যাওয়া, পরিবর্তিত মানসিক অবস্থা এবং অনৈচ্ছিক গতিবিধির অস্থায়িত্ব (অনিয়মিত স্পন্দন অথবা রক্তচাপ, ট্যাকিকার্ডিয়া, ডায়াফোরেসিস এবং কার্ডিয়াক ডিসদিমিয়াস)।
মাত্রাধিক্যতা
মানুষের ক্ষেত্রে ৩০০ মি.গ্রা. পর্যন্ত (৫ মি.গ্রা./কেজি) মাত্রা কোন মারাত্বক খারাপ অবস্থা বা অস্বাভাবিকতা ছাড়াই গ্রহণ করা গেছে। যদিও অন্যান্য সিএনএস-ডিপ্রেশ্যান্ট বস্তুসমূহের সাথে ট্রাইহেক্সিফিনিডিলের অতিমাত্রা গ্রহণের সাথে সংশ্লিষ্ট অথবা যেসব রোগীদের সংকটাপন্ন রেসপিরেটরি অবস্থা বিদ্যমান তাদের ক্ষেত্রে বিরলভাবে মৃত্যুর ঘটনা জ্ঞাপিত হয়েছে। প্রাণনাশের সাথে সম্পর্কিত ট্রাইহেক্সিফিনিডিলের রক্তে ঘনত্বের ব্যাপ্তি হলো ০.০৩ থেকে ০.০৮ মি.গ্রা./লি.।
লক্ষণ ও উপসর্গসমূহ: ট্রাইহেক্সিফিনিডিলের অতিমাত্রা এট্রোপিন ইনটক্সিকেশনের প্রতিরুপ কেন্দ্রীয় উপসর্গসমূহ (কেন্দ্রীয় এ্যান্টিকোনালিনার্জক উপসর্গসমূহ) তৈরি করে। সঠিক রোগনির্ণয় নির্ভর করে প্যারাসিম্প্যাথেটিক বাধার প্রান্তস্থ লক্ষণসমূহ, বিস্তৃত এবং মন্থর চক্ষুতারাসহ গরম, শুষ্ক ত্বক: রক্তিম মুখ, মুখ, গলবিল, নাক এবং শ্বাসনালীদ্বয়ের কম নিঃসরণ, শ্বাসের নোংরা গন্ধ: উত্থিত তাপমাত্রা; ট্যাকিকার্ডিয়া, কার্ডিয়াক, এরিদমিয়াস; অন্ত্রের শব্দ কমে যাওয়া এবং ইউরিনারি রিটেনশন চিহ্নিতকরণের উপর। নিউরোসাইকিয়াট্রিক উপসর্গসমূহ যেমন ডেলিরিয়াম, অস্থিতিবোধ, এনজাইটি, বিভ্রম, বিহবলতা, দ্বিধাগ্রস্ততা, অসংলগ্নতা, উৎকন্ঠা, হাইপারঅ্যাকটিভিটি, অপসংগতি, ঠোট চাপড়ানো এবং স্বাদগ্রাহী গতিবিধি, স্মৃতিশক্তি হ্রাস, মস্তিষ্কবিকৃতি, লড়াকুভাব এবং খিঁচুনি উপস্থিত থাকতে পারে। অবস্থা অসাড়তা, কোমা, প্যারালাইসিস, কার্ডিয়াক এবং রেসপিরেটরি গতিরোধ এবং মৃত্যুর দিকে যেতে পারে।
চিকিৎসা: লক্ষণাত্বক এবং সহায়ক থেরাপি তীব্র অতিমাত্রার চিকিৎসায় অন্তর্ভুক্ত। শোষণক্রিয়া কমানোর জন্য গ্যাস্ট্রিক ল্যাভেজ অথবা অন্যান্য পদ্ধতি প্রয়োগ করা উচিত। যদি সিএনএস উত্তেজনা পরিলক্ষিত হয় তবে সামান্য পরিমাণ ডায়াজেপাম অথবা অল্প সময় ক্রিয়াশীল বারবিচুরেট প্রয়োগ করা যেতে পারে। ফেনোথায়াজাইন এর ব্যবহার নিষিদ্ধ কারণ তাদের কোমাসৃষ্টিকারী এ্যান্টিমাসকারিনিক ক্রিয়া টক্সিসিটিকে তীব্র করতে পারে। রেসপিরেটরি সাপোর্ট, কৃত্রিম শ্বাসক্রিয়া অথবা ভ্যাসোপ্রেসার বস্তুসমূহ প্রয়োজনীয় হতে পারে। হাইপারপাইরেক্সিয়া অবশ্যই বিপরীতমুখী করতে হবে, ফ্লুইড ভলিউম প্রতিস্থাপন করতে হবে এবং এসিড ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। ইউরিনারী ক্যাথেটারাইজেশন প্রয়োজন হতে পারে। ট্রাইহেক্সিফিনিডিল হাইড্রোক্লোরাইড ডায়ালাইসিস করা যায় কিনা তা জানা নেই।
লক্ষণ ও উপসর্গসমূহ: ট্রাইহেক্সিফিনিডিলের অতিমাত্রা এট্রোপিন ইনটক্সিকেশনের প্রতিরুপ কেন্দ্রীয় উপসর্গসমূহ (কেন্দ্রীয় এ্যান্টিকোনালিনার্জক উপসর্গসমূহ) তৈরি করে। সঠিক রোগনির্ণয় নির্ভর করে প্যারাসিম্প্যাথেটিক বাধার প্রান্তস্থ লক্ষণসমূহ, বিস্তৃত এবং মন্থর চক্ষুতারাসহ গরম, শুষ্ক ত্বক: রক্তিম মুখ, মুখ, গলবিল, নাক এবং শ্বাসনালীদ্বয়ের কম নিঃসরণ, শ্বাসের নোংরা গন্ধ: উত্থিত তাপমাত্রা; ট্যাকিকার্ডিয়া, কার্ডিয়াক, এরিদমিয়াস; অন্ত্রের শব্দ কমে যাওয়া এবং ইউরিনারি রিটেনশন চিহ্নিতকরণের উপর। নিউরোসাইকিয়াট্রিক উপসর্গসমূহ যেমন ডেলিরিয়াম, অস্থিতিবোধ, এনজাইটি, বিভ্রম, বিহবলতা, দ্বিধাগ্রস্ততা, অসংলগ্নতা, উৎকন্ঠা, হাইপারঅ্যাকটিভিটি, অপসংগতি, ঠোট চাপড়ানো এবং স্বাদগ্রাহী গতিবিধি, স্মৃতিশক্তি হ্রাস, মস্তিষ্কবিকৃতি, লড়াকুভাব এবং খিঁচুনি উপস্থিত থাকতে পারে। অবস্থা অসাড়তা, কোমা, প্যারালাইসিস, কার্ডিয়াক এবং রেসপিরেটরি গতিরোধ এবং মৃত্যুর দিকে যেতে পারে।
চিকিৎসা: লক্ষণাত্বক এবং সহায়ক থেরাপি তীব্র অতিমাত্রার চিকিৎসায় অন্তর্ভুক্ত। শোষণক্রিয়া কমানোর জন্য গ্যাস্ট্রিক ল্যাভেজ অথবা অন্যান্য পদ্ধতি প্রয়োগ করা উচিত। যদি সিএনএস উত্তেজনা পরিলক্ষিত হয় তবে সামান্য পরিমাণ ডায়াজেপাম অথবা অল্প সময় ক্রিয়াশীল বারবিচুরেট প্রয়োগ করা যেতে পারে। ফেনোথায়াজাইন এর ব্যবহার নিষিদ্ধ কারণ তাদের কোমাসৃষ্টিকারী এ্যান্টিমাসকারিনিক ক্রিয়া টক্সিসিটিকে তীব্র করতে পারে। রেসপিরেটরি সাপোর্ট, কৃত্রিম শ্বাসক্রিয়া অথবা ভ্যাসোপ্রেসার বস্তুসমূহ প্রয়োজনীয় হতে পারে। হাইপারপাইরেক্সিয়া অবশ্যই বিপরীতমুখী করতে হবে, ফ্লুইড ভলিউম প্রতিস্থাপন করতে হবে এবং এসিড ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। ইউরিনারী ক্যাথেটারাইজেশন প্রয়োজন হতে পারে। ট্রাইহেক্সিফিনিডিল হাইড্রোক্লোরাইড ডায়ালাইসিস করা যায় কিনা তা জানা নেই।
থেরাপিউটিক ক্লাস
Antiparkinson drugs
সংরক্ষণ
৩০°সে. এর উপরে সংরক্ষণ করা হতে বিরত থাকুন। আলো থেকে দূরে এবং শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।