এডাপালিন

নির্দেশনা

এডাপালিন ক্রীম অথবা জেল ব্রণের চিকিৎসায় নির্দেশিত এবং শুধুমাত্র ত্বকে ব্যবহার্য।

ফার্মাকোলজি

এডাপালিন রেটিনয়েড রিসেপ্টরের উপর কাজ করে যা মুখ, বুক পিঠের ত্বকে প্রচুর পরিমানে রয়েছে বায়োকেমিক্যাল ফার্মাকোলজিকাল গবেষণায় দেখা যায় যে, এডাপালিন এপিথেলিয়াল কোষসমূহের বিভাজন প্রক্রিয়া, কেরাটিনাইজেশন এবং প্রদাহ পদ্ধতিকে নিয়ন্ত্রণ করে যার সবগুলোই ব্রণ-এর তীব্রতা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এডাপালিন সুনির্দিষ্টভাবে রেটিনয়িক এসিড নিউক্লিয়ার রিসেপ্টরেরর সঙ্গে বন্ধনযুক্ত হওয়ার মাধ্যমে ফলিকুলার এপিথেলিয়াল কোষসমূহের বিভাজন সংযুক্তি স্বাভাবিক করে এবং মাইক্রোকোমেডোন গঠনে বাঁধা দেয় ত্বকের মাধ্যমে এডাপালিন খুবই অল্প পরিমান শোষিত হয়।

ঔষধের মাত্রা

এডাপালিন ০.১%: ত্বকের আক্রান্তস্থানে প্রতিদিন রাতে একবার প্রয়োগ করতে হবে।
এডাপালিন ০.৩%: সারা মুখে এবং ত্বকের আক্রান্ত স্থানে প্রতিদিন সন্ধ্যায় একবার প্রয়োগ করতে হবে।

১২ বছরের কম বয়সের ক্ষেত্রে: এডাপালিন ব্যবহারের কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা ১২ বছরের কম বয়সের ক্ষেত্রে এখনও প্রতিষ্ঠিত নয়।

সেবনবিধি

ব্রণ আক্রান্ত সম্পূর্ণ স্থানে ক্রীম অথবা জেল পাতলা করে লাগাতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন আক্রান্ত পুরো জায়গাতেই ভালোভাবে ওষুধ প্রয়োগ করা হয়।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

ত্বকে ব্যবহারে তীব্র অস্বস্তিকর অনুভূতি সৃষ্টিতে সক্ষম [মেডিকেটেড সামগ্রী বা মুখে ব্যবহারের সাবান ও ত্বক পরিষ্কারক ক্লিনজার, সাবান ও কসমেটিকস (যাদের তীব্র ত্বক শুষ্ককারক ভূমিকা রয়েছে), অধিক ঘনত্বপূর্ণ অ্যালকোহলযুক্ত সামগ্রী এবং ত্বক টানটান করতে সক্ষম] সামগ্রীর সাথে একত্রে ব্যবহারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যে সমস্ত সামগ্রীতে সালফার, রেসরসিনল বা স্যালিসাইলিক এসিড রয়েছে তাদের সাথে একত্রে এডাপালিন ব্যবহারে বিশেষ সতর্কতা রাখতে হবে। এসব সামগ্রী যদি ব্যবহার করতেই হয় তবে ত্বকে উক্ত সামগ্রীর প্রভাব শেষ না হওয়া পর্যন্ত এডাপালিন প্রয়োগ করা উচিত নয়। যদি উভয় সামগ্রীর একত্রে ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয় তবে দুটি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো।

প্রতিনির্দেশনা

যাদের এডাপালিন ক্রীম অথবা জেল-এ উপস্থিত যে কোন উপাদানের প্রতি সংবেদনশীলতা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা যাবে না।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

ইরাইথেমা, চুলকানি, ত্বকের উপরিভাগের স্তর উঠে যাওয়া, তাপে প্রদাহ, প্রভৃতি উপসর্গ ব্যবহারের প্রথম মাসে প্রায়ই দেখা যায় কিন্তু নিয়মিত ওষুধ প্রয়োগে  এসব উপসর্গ হ্রাস পায়।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ঝুঁকির তুলনায় সুফলের মাত্রা বেশী হলে গর্ভকালীন অবস্থায় এডাপালিনের প্রয়োগ বিবেচনা করা যেতে পারে। এডাপালিন মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয় কিনা, এটা এখনও নিশ্চিত নয়, তবে স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে এডাপালিন ব্যবহারে বিশেষ সতর্কতা গ্রহণ করা উচিত।

সতর্কতা

ক্ষত, কাঁটা, একজিমা ও রোদে পুড়ে যাওয়া ত্বকে এডাপালিন ব্যবহার করা উচিত নয়।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Topical retinoid and related preparations

সংরক্ষণ

আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, ২৫° ডিগ্রী সেঃ তাপমাত্রার নীচে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।