প্যানাক্স জিনসেং
নির্দেশনা
জিনসেং অবসন্নতা ও স্নায়বিক চাপ কমায়, এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে জীবনীশক্তি বাড়ায়। এটি দীর্ঘকালীন জ্বরজনিত দুর্বলতায় নির্দেশিত। এটি যৌনাকাংখা বৃদ্ধি করে, শারীরিক সহিষ্ণুতা বৃদ্ধি করে, সন্তান উৎপাদনে অক্ষমতা প্রতিরোধ করে। এটি ডায়াবেটিস রোগে সহায়ক ঔষধ হিসেবে নির্দেশিত।
প্রাথমিক ব্যবহার:
প্রাথমিক ব্যবহার:
- এডাপ্টোজেন (অবসন্নতা, অস্থিরতা ইত্যাদি প্রতিহতকারী) ও সাধারণ শক্তি বর্ধক
- সহিষ্ণুতা ও ক্রীড়া ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নয়ণকারী
- ইমিউনিমডিউলেটরী ইফেক্ট
- কামোদ্দিপক, লিঙ্গোত্থানজনিত অপরাগতা ও অক্ষমতায়
- মেনোপজ এর লক্ষণ সমূহে
- ইনসুলিন অনির্ভর ডায়াবেটিস মেলাইটাস এ ক্রণিক ও তীব্র শ্বাসযান্ত্রিক রোগে শ্বাসপ্রশ্বাস উন্নয়নকারী হিসেবে
- শ্বাস যন্ত্রের সংক্রমণে এন্টিবায়োটিক এর সহযোগী ঔষধ হিসেবে।
মাত্রা ও সেবনবিধি
জিনসেং ক্যাপসুল দৈনিক এক বা দুইবার অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
প্রতিনির্দেশনা
জিনসেং যে কোন ভিটামিন, মিনারেল অথবা হারবাল ঔষধের সাথে গ্রহণ করা যায়। তথাপি, অন্য কোন ঔষধ গ্রহণ কালীন সময়ে জিনসেং গ্রহণের ব্যাপারে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া ভাল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও জার্মান কমিশন ই এর সূত্র মতে জিনসেং এর বিরুদ্ধ ব্যবহার সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায় না।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
বহু বছর ব্যবহারে জিনসেং এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা অন্য ঔষধের সাথে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয় না।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
জার্মান কমিশন ই ও আমেরিকান হারবাল প্রডাক্ট এসোসিয়েশনের সূত্র মতে গর্ভাবস্থায় বা স্তন্যদানকালে জিনসেং ব্যবহারে কোন প্রতিবন্ধকতা নেই। তবে, দীর্ঘদিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিরাপত্তাজনিত তথ্য অপ্রতুল। চাইনিজ ট্রেডিশনাল মেডিসিনে জিনসেং মূল গর্ভাবস্থায়, সন্তান জন্মদান কালে ও জন্ম পরবর্তী কালের নির্দেশনায় কোন প্রকার বিরুদ্ধ নির্দেশনা পাওয়া যায় না।
সতর্কতা
জিনসেং গ্রহণে অনেক সময় অতিরিক্ত উত্তেজনা বা ইনসমনিয়া (নির্ঘুম) সৃষ্টি হতে পারে। কোন কোন ক্ষেত্রে রক্তচাপ বৃদ্ধি বা অতিরিক্ত যৌন উত্তেজনা পরিলক্ষিত হতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে অথবা যকৃৎ বা কিডনী রোগাক্রান্ত অবস্থায় জিনসেং নিরাপদ কিনা সে বিশয়ে কিছু বিজ্ঞান ভিত্তিক নির্দেশনা পাওয়া যায় না।
থেরাপিউটিক ক্লাস
Herbal and Nutraceuticals
সংরক্ষণ
আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, ৩০ ডিগ্রী সেঃ তাপমাত্রার নীচে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।