বায়োটিন
নির্দেশনা
বায়ােটিন নিম্নোক্ত উপসর্গে নির্দেশিত-
- চুল পড়া
- দুর্বল, নরম ও ভঙ্গুর নখ
- একজিমা ও চর্মরােগ।
ফার্মাকোলজি
বায়ােটিন একটি প্রয়ােজনীয় ভিটামিন যা ভিটামিন এইচ নামেও পরিচিত। এটি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শরীরবৃত্তীয় কাজ যেমন- ফ্যাটি এসিড সংশ্লেষণ, অ্যামিনাে এসিড ক্যাটাবলিজম এবং গ্লুকোনিয়ােজেনেসিস ইত্যাদি এর সঙ্গে সম্পর্কিত। পাইরুভেট এবং অ্যাসিটাইল-কোএ এর এনজাইমেটিক কার্বক্সিলেসনে এটি একটি কোফ্যাকটর হিসেবে কাজ করে। বায়ােটিন, এপিডার্মাল কোষের বৃদ্ধি ও বিভেদকে প্রভাবিত করে এবং এই কারনে চুল, ত্বক ও নখের গঠন এবং চুল, ত্বক ও নখের নতুন করে তৈরিতে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি চুলের গোঁড়ায় থাকা মাইটোকনড্রিয়াল কার্বক্সিলেসের কোএনজাইম হিসেবে কাজ করে এবং ক্যারাটিনের গঠন উন্নত করে। বায়ােটিনের অভাব জনিত সমস্যায় চুল পড়ার পাশাপাশি অন্যান্য লক্ষণ যেমন ডার্মাটাইটিস এবং এসিডিউরিয়া দেখা যায়। যে কোন ধরনের চুল পড়ার সমস্যায়, বায়ােটিন সর্বাধিক ব্যবহারকৃত একটি ওষুধ।
মাত্রা ও সেবনবিধি
বায়ােটিনের সেবন মাত্রা রােগের ধরণ এবং রােগীর বয়সের উপর নির্ভর করে।
প্রাপ্তবয়ষ্কদের ক্ষেত্রে: সাধারণত প্রতিদিন ১-৩ টি ট্যাবলেট সেব্য অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দেশিত।
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে: ১ সপ্তাহ থেকে ২ বছর বয়সে বায়ােটিনের অভাব জনিত সমস্যা যেমন- খিচুনি, বৃদ্ধি ব্যহত, মাংসপেশীর অসমক্রিয়া, অচেতনতা, ঘন ঘন শ্বাস নেয়া ইত্যাদি দেখা যায়। বাচ্চাদের এ সকল রােগের ক্ষেত্রে ৫-১০ টি ট্যাবলেট গুঁড়া করে পানির সাথে বা ফলের জুসের সাথে মিশিয়ে খাওয়ানাে যেতে পারে অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দেশিত।
প্রস্তাবিত গ্রহণের পরিমান-
নবজাতক-
স্তন্যদানকালে: ৩০ মাইক্রোগ্রাম/দিন
প্রাপ্তবয়ষ্কদের ক্ষেত্রে: সাধারণত প্রতিদিন ১-৩ টি ট্যাবলেট সেব্য অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দেশিত।
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে: ১ সপ্তাহ থেকে ২ বছর বয়সে বায়ােটিনের অভাব জনিত সমস্যা যেমন- খিচুনি, বৃদ্ধি ব্যহত, মাংসপেশীর অসমক্রিয়া, অচেতনতা, ঘন ঘন শ্বাস নেয়া ইত্যাদি দেখা যায়। বাচ্চাদের এ সকল রােগের ক্ষেত্রে ৫-১০ টি ট্যাবলেট গুঁড়া করে পানির সাথে বা ফলের জুসের সাথে মিশিয়ে খাওয়ানাে যেতে পারে অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দেশিত।
নবজাতক-
- ০-৬ মাস: ৫ মাইক্রোগ্রাম/দিন
- ৭-১২ মাস: ৬ মাইক্রোগ্রাম/দিন
- ১-৩ বছর: ৮ মাইক্রোগ্রাম/দিন
- ৪-৮ বছর: ১২ মাইক্রোগ্রাম/দিন
- ৯-১৩ বছর: ২০ মাইক্রোগ্রাম/দিন
- ১৪-১৮ বছর: ২৫ মাইক্রোগ্রাম/দিন
- ≥১৯ বছর: ৩০ মাইক্রোগ্রাম/দিন
স্তন্যদানকালে: ৩০ মাইক্রোগ্রাম/দিন
ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া
এন্টিকনভালসেন্ট ওষুধ সমূহ রক্তরসে বায়োটিনের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। এন্টিবায়ােটিক ব্যবহারের কারনে, বৃহদান্ত্রে উপস্থিত অণুবীক্ষণিক জীবের দ্বারা সৃষ্ট বায়ােটিনের পরিমাণ কমে যায়। কাঁচা ডিমের সাদা অংশের অত্যধিক গ্রহণ শরীরে বায়ােটিনের শােষণ ব্যহত করে।
প্রতিনির্দেশনা
বায়ােটিনের প্রতি অতিসংবেদনশীল রােগীদের ক্ষেত্রে ইহা প্রতিনির্দেশিত।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
নির্দেশিত মাত্রায় শরীরের জন্য সহনশীল। সর্বাধিক ২০০ মিগ্রা মুখে সেবনে বা ২০ মিগ্রা শিরাপথে গ্রহণ করার পরও কোন বিষক্রিয়ার তথ্য জানা যায়নি।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে বায়ােটিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত তথ্য জানা যায়নি।
থেরাপিউটিক ক্লাস
Herbal and Nutraceuticals
সংরক্ষণ
আলাে ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, ঠাণ্ডা ও শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করুন। সকল ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন ।