এ্যামাইনো এসিড কিটোএনালগস্

নির্দেশনা

এ্যামাইনো এসিড কিটোএনালগস্ সেসব রোগীদের জন্য প্রযোজ্য যাদের প্রতিদিন ৪০ গ্রাম বা তার থেকে কম প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হয়। সাধারণত যাদের গ্লোমেরুলার ফিলট্রেশন রেট ২৫ মি.গ্রা./ মি. এর নিচে তাদের জন্য এমাইনো এসিড কিটোএনালোগস নির্দেশিত।

উপাদান

প্রতিটি ফিল্ম কোটেড ট্যাবলেটে আছে-
  • ক্যালসিয়াম-৩-মেথাইল-২-অক্সোভ্যালিরেট (আলফা-কিটো এনালগ এর আইসোলিউসিন, ক্যালসিয়াম সল্ট): ৬৭ মিগ্রা
  • ক্যালসিয়াম-৪-মেথাইল-২-অক্সোভ্যালিরেট (আলফা-কিটো এনালগ এর লিউসিন, ক্যালসিয়াম সল্ট): ১০১ মিগ্রা
  • ক্যালসিয়াম-২-অক্সো-৩ ফিনাইলপ্রোপিওনেট (আলফা-কিটো এনালগ এর ফিনাইলঅ্যালানিন, ক্যালসিয়াম সল্ট): ৬৮ মিগ্রা
  • ক্যালসিয়াম-৩-মিথাইল-২-অক্সোবিউটাইরেট (আলফা-কিটোএনালগ এর ভ্যালিন, ক্যালসিয়াম সল্ট): ৮৬ মিগ্রা
  • ক্যালসিয়াম-ডিএল-২-হাইড্রোক্সি-৪-(মিথাইলথিও) বিউটাইরেট (আলফা-হাইড্রোক্সি এনালগ থেকে মেথিওনিন, ক্যালসিয়াম সল্ট): ৫৯ মিগ্রা
  • এল-লাইসিন অ্যাসিটেট ইউএসপি (লাইসিন ৭৫ মিগ্রা সমতুল্য): ১০৫ মিগ্রা
  • এল-থ্রিওনিন ইউএসপি: ৫৩ মিগ্রা
  • এল-ট্রিপটোফেন ইউএসপি: ২৩ মিগ্রা
  • এল-হিস্টিডিন ইউএসপি (হিস্টিডিন হাইড্রোক্লোরাইড মনোহাইড্রেট হিসেবে): ৩৮ মিগ্রা
  • এল-টাইরোসিন ইউএসপি: ৩০ মিগ্রা

ফার্মাকোলজি

এই নিউট্রিশনাল সাপ্লিমেন্টটিতে এমাইনো এসিড রয়েছে, অংশত সংশ্লিষ্ট কিটোএনালগগুলির আকারে, যা দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য অপরিহার্য। এটি এমাইনো অ্যাসিডের মতো একই ক্যাটাবলিক পথ অনুসরণ করে এবং শরীরের প্রোটিনের বিপাককে উন্নত করে কাজ করে, যার ফলে কিডনির কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।

এমাইনো এসিড কিটো এনালগস অপরিহার্য এমাইনো এসিড এর পরিমান বাড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি এমাইনো নাইট্রোজেনের অধিগ্রহণ কমাতে সাহায্য করে। এতে থাকা কিটো ও হাইড্রোক্সি এনালগ গুলো ট্রানস এমিনেশন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে নন-এসেনশিয়াল এমাইনো এসিড থেকে নাইট্রোজেন নিয়ে এসেনশিয়াল এমাইনো এসিডে পরিনত হয়। যার ফলে এমাইনো গ্রুপ ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে ইউরিয়ার পরিমাণ কমে এবং ফলস্বরুপ শোষণ সম্ভব হয়।

মাত্রা ও সেবনবিধি

  • সাধারণভাবে খাবারের সময় দিনে ৩ বার ৪-৮টি ট্যাবলেট নিন। এই ডোজ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রযোজ্য (যাদের ওজন ৭০ কেজি বা তার বেশি)
  • পুরোটা গিলে ফেলুন। ট্যাবলেট চিবিয়ে খাওয়া যাবে না।
  • প্রাপ্তবয়স্কদের খাদ্যে ৪০ গ্রাম/দিন প্রোটিন বা তার কম থাকা উচিত
  • এমাইনো এসিড কিটোএনালগস্ খাবারের সাথে খেলে এর শোষণ এবং পরিপাক দ্রুত হয়।
  • যতক্ষণ পর্যন্ত ইজিএফআর ৫ থেকে ২৫ মি.লি./ মিনিট থাকে ততক্ষণ রেনোলগ দেয়া যাবে।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

ক্যালসিয়ামযুক্ত ওষুধের একযোগে ব্যবহার সিরাম ক্যালসিয়ামের মাত্রা বাড়াতে বা বাড়িয়ে দিতে পারে।

অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রক্সাইড দেয়ার ক্ষেত্রে, প্রয়োজনে এই ওষুধের ডোজ কমাতে হবে।

যে ওষুধগুলি ক্যালসিয়ামের সাথে অল্প পরিমাণে দ্রবণীয় যৌগ তৈরি করে (যেমন, টেট্রাসাইক্লাইন, কুইনোলোন যেমন সিপ্রোফ্লক্সাসিন এবং নরফ্লক্সাসিন সেইসাথে আয়রন, ফ্লোরাইড বা এস্ট্রাস্টিনযুক্ত ওষুধ) এমাইনো এসিড কিটোএনালগস্ এর সাথে একই সময় গ্রহণ করা উচিত নয় যাতে এই ওষুধগুলির শোষণে বাধা না পড়ে। এমাইনো এসিড কিটোএনালগস্ এবং এইসব ওষুধ খাওয়ার মধ্যে অন্তত দুই ঘণ্টার ব্যবধান থাকতে হবে।

কার্ডিওঅ্যাকটিভ গ্লাইকোসাইডের প্রতি সংবেদনশীলতা, এবং তা থেকে অ্যারিদমিয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পাবে।

অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড সহযোগে প্রয়োগের ক্ষেত্রে সিরাম ফসফেটের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন ।

প্রতিনির্দেশনা

  • এ্যামাইনো এসিড কিটোএনালগস্ এর কোন উপাদানের সাথে অতিসংবেদনশীলতা
  • হাইপারক্যালসেমিয়া
  • এমাইনো মেটাবলিজম ডিজঅর্ডার

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

হাইপারক্যালসেমিয়া (খুবই বিরল), হাইপারক্যালসেমিয়া থাকলে ভিটামিন ডি নেয়ার পরিমাণ কমাতে হবে। দীর্ঘ দিন হাইপারক্যালসেমিয়া থাকলে এমাইনো এসিড কিটোএনালগস ও অন্য যে কোন ক্যালসিয়াম যুক্ত খাদ্যের সেবন মাত্রা কমাতে হবে।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে এমাইনো এসিড কিটোএনালগস্ ব্যবহার এর কোন তথ্য নেই। বিভিন্ন প্রাণীদের ক্ষেত্রে বিকাশে ক্ষতিকর প্রভাব দেখা গেছে তাই গর্ভবর্তী নারীদের অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ। দুগ্ধদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা করা হয় নি। গর্ভবতী নারীদের দেয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

সতর্কতা

  • সেরাম ক্যালসিয়াম প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
  • পরিমাণমত ক্যালরি নিতে হবে।
  • বংশগত ফিনাইলকিটোনিউরিয়া থাকলে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে কারণ এমাইনো এসিড কিটোএনালগস্ এ ফিনাইলএলানিন রয়েছে।
  • এমাইনো এসিড কিটোএনালগস্ এর সাথে অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড দেয়া হলে ফসফেট এর মাত্রা লক্ষ রাখতে হবে।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Other genito-urinary preparations

সংরক্ষণ

৩০° সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার উপরে সংরক্ষণ থেকে বিরত থাকুন । আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে রাখুন। সকল ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।