স্যাফ্রন

স্যাফ্রন ক্যাপসুল যে সকল রোগের চিকিৎসায় ও প্রতিরোধে নির্দেশিত-

• মেজর ডিপ্রেসিভ ডিসওর্ডার
• ডিস্কাইমিয়া
• প্রিমেন্সট্রুয়াল ডিপ্রেসন
• পোস্টপারটাম ডিপ্রেসন
• পোস্ট মেনোপজাল ডিপ্রেসন
• পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসওর্ডার
• ফাইব্রোমায়ালজিয়া
• কগনিটিভ ইমপেয়ারমেন্ট
• আলঝেইমারস ডিজিজ

স্যাফ্রন (ক্রকাস পতিতাস) দক্ষিণ ইউরোপ এবং পশ্চিম এশিয়ার একটি উদ্ভিদ। স্যাফ্রন এর গভর্নন্ডের মূল কার্যকরী উপাদান গুলোর মধ্যে ক্রসিন, সাফ্রোনাল, ক্রসিটিন এবং পিক্রোক্রসিন অন্যতম। স্যাফ্রন এর বিষণ্নতানাশক, স্নায়ু রক্ষাকারী, প্রদাহনাশক এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কার্যকারিতার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে যে ক্রকাস পতিতাস মস্তিষ্কে ডোপামিন নর এপিনেফ্রিন এবং সেরোটোনিন এর মাত্রা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে মন ভাল করা ও বিষণ্নতানাশক হিসেবে কাজ করে। স্যাফ্রন এর মস্তিষ্কের হিপোক্যাম্পাসের প্রতি উচ্চমাত্রায় প্রবনতা রয়েছে এবং এটি মস্তিষ্কের হিপোক্যাম্পাসে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ বন্ধ করে এছাড়াও এটি নিউরাল প্লাস্টিসিটি বৃদ্ধি করার মাধ্যমে স্নায়ুবিক যোগাযোগ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। স্যাফ্রন বিষন্নতার বিভিন্ন উপসর্গ যেমন ওজন হ্রাস বা অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি, ঘুমের ব্যাঘাত, উৎফুল্লহীনতা, বোধশক্তি হ্রাস, বিষাদগ্রস্ততা এবং কর্মউদ্দমতা হ্রাস ইত্যাদি নিরাময় করে। স্যাফ্রন বিষণ্নতা রোগের পূনরাবৃত্তি রোধ করতে সহায়তা করে।

প্রতিদিন সকালে বা রাতে ১-২টি ক্যাপসুল খাবার পর সেব্য অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দেশিত। সেবনের স্থিতিকাল কমপক্ষে ৪ সপ্তাহ এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধটির পূনরাবৃত্ত গ্রহণ নির্দেশিত।

স্যাফ্রন প্লাটিলেটের জমাট বাধাকে বাঁধা প্রদান করতে পারে। তাই যে সকল রোগী এন্টিকোয়াগুলেন্ট বা এন্টিপ্লাটিলেট জাতীয় ওষুধ যেমন ওয়ারফেরিন গ্রহণ করেন তাদের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

যে সকল রোগীদের স্যাফ্রন এর প্রতি অতিসংবেদনশীলতা আছে তাদের ক্ষেত্রে প্রতিনির্দেশিত। রক্তপাত জনিত সমস্যা আছে এমন রোগীদের ক্ষেত্রে স্যাফ্রন এর ব্যবহার প্রতিনির্দেশিত। ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহার নির্দেশিত নয়।

স্যাফ্রন এর উপর সংঘটিত বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। নির্দেশিত মাত্রায় স্যাফ্রন শরীরের জন্য সহনশীল।

গর্ভাবস্থায় ব্যবহার নির্দেশিত নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী স্তন্যদানকালে ব্যবহার নির্দেশিত।

৩০° সেলসিয়াস তাপমাত্রার উপর সংরক্ষণ করা থেকে বিরত থাকুন, আলো এবং আর্দ্রতা থেকে দূরে রাখুন। সকল ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।