অ্যাপালুটামাইড

নির্দেশনা

অ্যাপালুটামাইড নিম্নোক্ত উপসর্গে নির্দেশিত-
  • মেটাস্ট্যাটিক ক্যাস্ট্রেশন সেন্সিটিভ প্রোস্ট্যাট ক্যান্সার
  • নন মেটাস্ট্যাটিক ক্যাস্ট্রেশন রেসিস্ট্যান্ট প্রোস্ট্যাট ক্যান্সার

ফার্মাকোলজি

অ্যাপালুটামাইড হচ্ছে একটি সিলেকটিভ এন্ড্রোজেন রিসেপ্টর ইনহিবিটর যা সরাসরি এন্ডোজেন রিসেপ্টর এর লিগ্যান্ড বাইন্ডিং ডোমেইন এর সাথে বন্ধন গঠন করে। অ্যাপালুটামাইড এন্ড্রোজেন রিসেপ্টর নিউক্লিয়ার ট্রান্সলোকেশন রোধ করে, ডিএনএ বাইন্ডিংয়ে বাধা দেয়, এন্ড্রোজেন রিসেপ্টর মেডিয়েটেড ট্রান্সক্রিপশনেও বাধার সৃষ্টি করে, এবং এন্ড্রোজেন রিসেপ্টর এগোনিস্টের সক্রিয়তা হ্রাস করে।

মাত্রা ও সেবনবিধি

অ্যাপালুটামাইডের অনুমোদিত ভোজ হচ্ছে ২৪০ মি. গ্রা. (চারটি ৬০ মি. গ্রা. ট্যাবলেট খেতে হবে) দিনে একবার। খাবারের সাথে বা খাবার ছাড়াও গ্রহণ করা যায়। এর সাথে রোগীর একটি গোনাডোট্রপিন ক্ষরণকারী হরমোন এনালগ গ্রহণ করা উচিত।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

অ্যাপালুটামাইড অন্যান্য ওষুধের উপর উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করে। অন্যান্য ওষুধের উপর অ্যাপালুটামাইডের প্রভাবের মধ্যে, অ্যাপালুটামাইড সিওয়াইপি-৩এ৪, সিওয়াইপি-২সি৯, সিওয়াইপি-২সি১৯. ইউডিপি-গ্লুকোরোনোসাইট্রান্সফারেজ, প্যারাগ্লাইকোপ্রোটিন, এবিসিজি২, ওএটিপি-১ বি১ এর সাবস্ট্রেটের প্রভাবকে বাধাগ্রস্ত করে। অন্যদিকে, শক্তিশালী সিওয়াইপি ২সি৮ বা সিওয়াইপি ৩এ৪ প্রতিবন্ধক, অ্যাপালুটামাইড বা এর সক্রিয় মেটাবোলাইট, এনডেসমিথাইল অ্যাপালুটামাইডের লেভেল বৃদ্ধি করতে পারে। তবে মৃদু সিওয়াইপি-২ সি৮ বা সিওয়াইপি-৩ এ৪ প্রতিবন্ধক এ ধরনের কাজে সমর্থ নয়।

প্রতিনির্দেশনা

গর্ভবতী নারী এবং খিঁচুনির ইতিহাস আছে এমন রোগীদের জন্য অ্যাপালুটামাইড অনুমোদিত নয়।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

অ্যাপালুটামাইডের সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে দুর্বলতা, ক্লান্তিভাব, গিটে ব্যথা, পেশী দুর্বল বা শক্ত হয়ে যাওয়া, ডায়রিয়া, বমিভাব, ক্ষুধামন্দা, ওজন হ্রাস ইত্যাদি। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে খিঁচুনি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, হাত, পা বা পায়ের পাতা ফুলে যাওয়া, হঠাৎ পতন, বুকে ব্যথা, র‍্যাশ ইত্যাদি দেখা।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

গর্ভাবস্থায়: গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে অ্যাপালুটামাইড সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। এর কার্যপ্রণালী অনুসারে, গর্ভাবস্থায় এর প্রয়োগ ভ্রুণের ভয়াবহ ক্ষতি করতে পারে।

মাতৃদুগ্ধ প্রদানের সময়: অ্যাপালুটামাইড মাতৃদুগ্ধের সাথে নিঃসৃত হয় কিনা এ ব্যাপারে স্পষ্ট কোন ডাটা পাওয়া যায়নি। তবে সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত থাকার জন্য এ সময় অ্যাপালুটামাইড গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকা উচিত।

প্রজননক্ষম রোগীর ক্ষেত্রে জন্মনিয়ন্ত্রণ: অ্যাপালুটামাইডের কার্যপ্রণালী এবং প্রাণীদেহে পরীক্ষা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চিকিৎসা চলাকালীন সময় থেকে চিকিৎসা শেষ হওয়ার তিন মাস পর পর্যন্ত পুরুষ রোগীদের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করা উচিত।

বন্ধ্যাত্ব: অ্যাপালুটামাইড প্রজননক্ষম পুরুষের প্রজনন ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করে।

সতর্কতা

সেরেব্রোভাস্কুলার এবং ইসচেমিক কার্ডিওভাস্কুলার ঘটনাসমূহের উল্লেখ পাওয়া যায়, এ ধরনের রোগীদের তাই ভালোভাবে পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন। ৩য় গ্রেড বা ৪র্থ গ্রেডের ঘটনা দেখা দিলে চিকিৎসা বন্ধ করা উচিত।

অ্যাপালুটামাইডের প্রয়োগের ফলে পতন ও হাড়ভাঙার ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায়। এ কারণে হাড়ভাঙার সম্ভাবনা আছে এমন রোগীদের অ্যাপালুটামাইড প্রয়োগের সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে খিঁচুনি দেখা দিলে চিকিৎসা সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে। এছাড়া এর কার্যপ্রণালী থেকে দেখা যায়, এটি গর্ভবর্তী নারীদের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Cytotoxic Chemotherapy

সংরক্ষণ

আলো থেকে দূরে শুষ্ক স্থানে ও ৩০° সে এর নিচে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

Available Brand Names

Thanks for using MedEx!
How would you rate your experience so far?