গাবাপেনটিন

নির্দেশনা

গাবাপেনটিন নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে নির্দেশিত-
  • নিউরোপ্যাথিক ব্যথা।
  • পার্শ্বিয়াল সিজার এবং প্রাইমারী জেনারেলাইজড সিজার এর সহযোগী চিকিৎসায়।

ঔষধের মাত্রা

নিউরোপ্যাথিক ব্যথা: ১ম দিন একটি ৩০০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট দিয়ে চিকিৎসা শুরু করা যেতে পারে। এরপর ২য় দিন ৩০০ মি.গ্রা. দিনে ২ বার এবং ৩য় দিন থেকে ৩০০ মি.গ্রা. দিনে ৩ বার। যদি দরকার হয় দৈনিক ৩ বার করে ১৮০০ মি.গ্রা. পর্যন্ত সেবন বৃদ্ধি করা যেতে পারে।

ইপিলেপসি-
  • ১২ বছরের উর্ধ্বে শিশুদের ক্ষেত্রে: গাবাপেনটিন এর কার্যকারী ডোজ হল- দৈনিক ৯০০ মি.গ্রা. থেকে ১৮০০ মি.গ্রা. ৩টি বিভক্ত মাত্রায়। প্রারম্ভিক মাত্রা হল ৩০০ মি.গ্রা. দিনে ৩ বার।
  • ৩-১২ বছরের শিশুদের ক্ষেত্রে: প্রারম্ভিক মাত্রা দৈনিক ১০-১৫ মি.গ্রা./কেজি দিনে ৩ বার। ৩ দিনের মধ্যে মাত্রা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করে কার্যকরী মাত্রা প্রয়োগ করা যেতে পারে। 

সেবনবিধি

খাবার গ্রহণের সাথে গাবাপেনটিন সেবনের কোন সম্পর্ক নেই।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

এন্টাসিড, গাবাপেনটিন এর রক্তের ঘনমাত্রা ২০% কমায়। সিমেটিডিন, গাবাপেনটিন এর বৃক্কীয় নিঃসরণ কমায়। গাবাপেনটিন অন্য খিচুনীরোধক ওষুধ এবং জন্ম বিরতিকরণ ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া দেখায় না।

প্রতিনির্দেশনা

গাবাপেনটিন এর প্রতি অতি প্রতিক্রিয়াশীল রোগীদের ক্ষেত্রে প্রতিনির্দেশিত।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

ক্লান্তি, ঝিঁমুনি, এটাকশিয়া, ওজন বৃদ্ধি, শুষ্ক মুখ এবং সমনোলেন্স দেখা দিতে পারে।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

প্রেগনেন্সি ক্যাটাগরি 'সি'। গর্ভাবস্থায় এটি শুধুমাত্র তখনই ব্যবহার করা উচিত যখন এর উপকারিতা ভ্রুণের সম্ভাব্য তির চেয়ে বেশি হয়। গাবাপেনটিন মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয়। তাই এটি শুধুমাত্র তখনই ব্যবহার করা উচিত যখন এর উপকারিতা সম্ভাব্য ক্ষতির চেয়ে বেশি হয়।

সতর্কতা

রোগীকে যানবাহন চালানো অথবা অন্য জটিল যন্ত্র চালানো থেকে বিরত থাকা উচিত যতক্ষন না পর্যন্ত সে গাবাপেনটিন এর মানসিক এবং মোটর ক্রিয়ার উপর প্রভাব সম্পর্কে পূর্ণ অভিজ্ঞতা অর্জন না করে।

বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার

বৃক্কের সমস্যা রয়েছে এমন ক্ষেত্রে গাবাপেনটিন এর মাত্রা হ্রাস করা বাঞ্চনীয়।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Adjunct anti-epileptic drugs

সংরক্ষণ

আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, 25 ডিগ্রী সেঃ তাপমাত্রার নীচে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।