হ্যালোবেটাসল প্রোপিওনেট
নির্দেশনা
হ্যালােবেটাসল প্রােপিওনেট কর্টিকোস্টেরয়েড সংবেদনশীল ডার্মাটাইটিস এর প্রদাহ নিরাময়ে এবং এর দ্বারা সৃষ্ট চুলকানি উপশমে নির্দেশিত। একটানা দুই সপ্তাহের অধিক ব্যবহার নির্দেশিত নয় এবং যেহেতু ইহা এইচপিএ এক্সিস সাপ্রেশন করে সেহেতু প্রতি সপ্তাহে ৫০ গ্রামের অধিক মাত্রা ব্যবহার করা যাবে না।
ফার্মাকোলজি
অন্যান্য তুকীয় কর্টিকোস্টেরয়েডের মত হ্যালােবেটাসল প্রােপিওনেট এর প্রদাহ নাশক, চুলকানি নাশক এবং রক্তনালী সংকোচন করার কার্যকারিতা রয়েছে। ত্বকীয় কর্টিকোস্টেরয়েডগুলাের প্রদাহ নাশক কার্যকারিতার সাধারণ ক্রিয়াকৌশল সঠিকভাবে জানা যায়নি। ধারণা করা হয় যে ফসফোলাইপেজ এ-২ ইনহিবিটরী প্রােটিন (লিপােকর্টিন) সমূহকে প্রভাবিত করে কর্টিকোস্টেরয়েডগুলাে তাদের কার্যকারিতা প্রদর্শন করে। লিপােকর্টিন সমূহ এরাকিডনিক এসিডের নিঃসরণকে বাধা প্রদানের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রদাহ সৃষ্টিকারী উপাদানের (যেমন- প্রােস্টাগ্লানডিনস, লিওকোট্রাইইন্স) বায়ােসিনথেসিস নিয়ন্ত্রন করে। ফসফোলাইপেজ এ-২ এর মাধ্যমে মেমব্রেন ফসফোলিপিড থেকে এরাকিডনিক এসিড নিঃসৃত হয়।
মাত্রা ও সেবনবিধি
রােগের ব্যাপকতার উপর নির্ভর করে আক্রান্ত স্থানে দিনে ১-২ বার ক্রীম বা অয়েন্টমেন্টের পাতলা প্রলেপ দিতে হবে। হ্যালােবেটাসল প্রােপিওনেট একটি অধিক শক্তিশালী কর্টিকোস্টেরয়েড, তাই ইহার ব্যবহার দুই সপ্তাহের মধ্যে নিয়ন্ত্রিত রাখতে হবে এবং প্রতি সপ্তাহে ৫০ গ্রামের অধিক মাত্রা ব্যবহার করা যাবে না। অন্যান্য ত্বকীয় কর্টিকোস্টেরয়েডের মত ইহাও রােগের নিয়ন্ত্রন আসা মাত্র ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। যদি দুই সপ্তাহের মধ্যে রােগের নিয়ন্ত্রন না হয় তাহলে পুনরায় রােগ পরীক্ষা করতে হবে।
প্রতিনির্দেশনা
এই ওষুধের প্রতি যেসব রােগীর অতিসংবেদনশীলতা আছে তাদের ক্ষেত্রে এটি প্রতিনির্দেশিত।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
ত্বকীয় স্টেরয়েড ব্যবহারের ফলে নিম্নোক্ত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো মাঝে মাঝে দেখা দিতে পারে। যেমন- জ্বলুনী, চুলকানী, শুষ্কতা, ফলিকুলাইটিস, একনি, হাইপােপিগমেনটেশন, পেরিওরাল ডার্মাটাইটিস, স্পর্শজনিত ত্বকের এলার্জি, চামড়ার ক্ষয়, সেকেন্ডারী ইনফেকশন, স্ট্রাই এবং মিলিয়ারিয়া।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
কেবল মাত্র ভ্রুণের ক্ষতির ঝুঁকির চেয়ে মায়ের উপকৃত হবার সম্ভাবনা যৌক্তিক মনে হলেই গর্ভাবস্থায় কর্টিকোস্টেরয়েড ব্যবহার করা যেতে পারে। ত্বকীয় ব্যবহারের ফলে স্টেরয়েডগুলাের সিস্টেমিক শােষণের কারণে মায়ের দুধে নির্ণয়যােগ্য পরিমানে এদের উপস্থিতি হয় কিনা তা এখনাে জানা যায়নি। তারপরেও স্তন্যদায়ী মায়েদের ক্ষেত্রে ত্বকীয় স্টেরয়েড ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে।
সতর্কতা
ত্বকীয় কর্টিকোস্টেরয়েডের সিস্টেমিক শােষণের ফলে হাইপােথ্যালামিক পিটুইটারী এড্রেনাল এক্সিস সাপ্রেশন, কুশিং সিনড্রম, হাইপারগ্লাইসেমিয়া এবং গ্রকোসুরিয়া হতে পারে । যে সকল রােগী অধিকতর মাত্রায়, অধিক জায়গা জুড়ে অধিক শক্তিশালী স্টেরয়েড অকুসিভ ড্রেসিং সহ ব্যবহার করে আসছে তাদের ইউরিনারী ফ্রি কর্টিসল এবং এসিটিএইচ স্টিমুলেশন টেস্টের মাধ্যমে এইচপিএ এক্সিস সাপ্রেশনের পরিমান নির্ণয় করতে হবে। যদি এইচপিএ এক্সিস সাপ্রেশন হয় সেক্ষেত্রে ওষুধটির ব্যবহার বন্ধ করতে হবে, ব্যবহারের পরিমান কমাতে হবে অথবা এর চেয়ে কম শক্তিশালী রয়েড ব্যবহার করতে হবে।
বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার
শিশুদের ক্ষেত্রে হ্যালােবেটাসল প্রােপিওনেট ব্যবহার নিরাপদ এবং কার্যকরী কি না তা এখনাে জানা যায়নি। ত্বকীয় স্টেরয়েড ব্যবহারের ফলে বয়স্কদের তুলনায় শিশুদের এইচপিএ এক্সিস সাপ্রেশনের সম্ভাবনা বেশি।
থেরাপিউটিক ক্লাস
Other Topical corticosteroids
সংরক্ষণ
২৫° সে. এর নিচে রাখুন। সকল ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।