আয়রণ + ফলিক এসিড + ভিটামিন এ + ভিটামিন সি + জিংক

নির্দেশনা

শিশুর পুষ্টিহীনতার অনেকগুলো কারণের মধ্যে এনিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা একটি অন্যতম প্রধান কারণ।  বাংলাদেশে পাঁচ বছরের নিচের শিশুদের শতকরা ৫০ ভাগেরও বেশি রক্তস্বল্পতায় ভুগছে। ইহা রক্তস্বল্পতা পূরণ ও প্রতিরোধে কার্যকর।  এটি এক ধরনের স্বাদ ও গন্ধহীন অনুপুষ্টি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট পাউডার।

এই প্রিপারেসশনটি নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে ব্যাবহার করা হয়-
  • মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতিগুলি প্রতিরোধ করে করে এবং শিশুদের সামগ্রিক পুষ্টির স্থিতি উন্নতি করে (৬-২৪ মাস)।
  • মস্তিষ্কের বিকাশ এবং শারীরিক বৃদ্ধি করে।
  • শিক্ষা, গেমস এবং স্পোর্টস ইত্যাদির মতো বিভিন্ন ক্রিয়ায় মনোযোগ বাড়ায় এবং মনোযোগ বৃদ্ধি করে।
  • শেখার ক্ষমতা এবং মেমরি ফাংশন উন্নত করে।
  • রোগ প্রতিরোধের বৃদ্ধি এবং সংক্রমণ হ্রাস করে।
  • ক্ষুধা বাড়ে।

উপাদান

১ গ্রাম পাউডারে আছে:
  • ভিটামিন এ (ভিটামিন এ অ্যাসিটেট) ইউএসপি: ০.৩ মি.গ্রা.
  • ভিটামিন সি (এসকরবিক এসিড) ইউএসপি: ৩০ মি.গ্রা.
  • ফলিক এসিড ইউএসপি: ০.১৬ মি.গ্রা.
  • আয়রন (ফেরাস ফিউমারেট) বিপি: ১২.৫ মি.গ্রা.
  • জিংক (জিংক গ্লুকোনেট) ইউএসপি: ৫ মি.গ্রা.

মাত্রা ও সেবনবিধি

৬ মাস থেকে ২৩ মাস বয়সী শিশুদের জন্য ইহা খুবই কার্যকরী। তবে WHO এর মতে, বাংলাদেশে ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের অপুষ্টিজনিত ঘাটতি পূরণ এবং রক্তস্বল্পতা দূরীকরণেও মনিমিক্স খুবই উপযোগী।

ইহা খাবার নিয়ম:
  • ইহা আধা শক্ত বা নরম খাবারের (ভাত, খিচুড়ি, সুজি ইত্যাদি) সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে।
  • মনে রাখবেন, শিশু যে বেলায় বেশি খাবার খায় বা ক্ষুধার্ত থাকে সে বেলার খাবারের প্রথম দুই থেকে তিন লোকমার সাথে এক প্যাকেট মনিমিক্স মিশিয়ে খাওয়ানো উত্তম।  এই পাউডার মেশানো সবটুকু খাবার শিশুকে আধা ঘন্টার মধ্যে খাওয়াতে হবে।
  • দিনে এক প্যাকেট যে কোনো একবেলার মূল খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে একটানা ২ মাস শিশুকে খাওয়াতে হবে, তারপর ৪ মাস বিরতি দিয়ে আবার ২ মাস খাওয়াতে হবে।  এই নিয়মে শিশুর বয়স ৫৯ মাস হওয়া পর্যন্ত মনিমিক্সষ্ট খাওয়ানো চালিয়ে যেতে হবে।

প্রতিনির্দেশনা

থ্যালাসেমিয়া ও সিকেল সেল এনিমিয়া এবং HIV/AIDS- এ আক্রান্ত শিশুদের মনিমিক্স খাওয়ানো যাবে না।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

ইহার তেমন কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।  তবে এতে আয়রন থাকার কারণে শিশুর পায়খানার রং সাময়িকভাবে কালো কিংবা একটু শক্ত বা নরম হতে পারে, যা কয়েকদিন পর স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

সতর্কতা

  • মারাত্নক অপুষ্টিতে আক্রান্ত ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মুমূর্ষ শিশুদের এই পাউডার দেয়া যাবে না।  এক্ষেত্রে ৭ দিন পর চিকিৎসায় উন্নতি হলে এবং শিশু স্বাভাবিকভাবে খেতে পারলে তখন নিয়ম মেনে মনিমিক্স খাওয়ানো যাবে।
  • ইহা বেশি গরম, বেশি তরল বা শক্ত খাবারে না মেশানোই ভাল।
  • ছেড়া, পরিত্যক্ত বা মেয়াদোত্তীর্ণ প্যাকেটের মনিমিক্স খাওয়ানো যাবে না।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Iron, Vitamin & Mineral Combined preparation

সংরক্ষণ

৩০°সে. তাপমাত্রার নিচে  আলো থেকে দূরে এবং শুষ্ক স্থানে রাখুন।