রমজানে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধান

20 Apr, 2022
রমজানের সময় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকেরই দেখা দেয়। রোজা রাখার পর ইফতারে অপুষ্টিকর খাবার কিংবা অতিরিক্ত খাওয়া গ্যাস্ট্রিকে ভোগার অন্যতম একটি কারণ। রোজায় গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলো প্রয়োগ করতে পারেন-

ইফতারে অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার কিংবা তেলে ডুবিয়ে যেসব খাবার তৈরি করা হয় যেমন পেঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, চিকেন ফ্রাই, জিলাপি ইত্যাদি যতটুকু সম্ভব পরিহার করতে হবে।

রোজা রাখার পর একসঙ্গে অনেক বেশি খাবার খাওয়া যাবে না। অনেকে ইফতারে বসেই অনেক খাবার খেয়ে ফেলেন। এটি কখনোই করা যাবে না।

খেজুর দিয়ে ইফতার করা সুন্নত। খেজুরের মধ্যে শর্করা ছাড়াও প্রায় সব ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে। চারটি মাঝারি সাইজের (৩৫ গ্রাম) খেজুরের মধ্যে প্রায় ১০০ ক্যালোরি থাকে। ইফতারিতে ৪-৫টি খেজুর খেতে পারেন। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা অবশ্যই রক্তে শর্করার মাত্রা মেপে তবেই খেজুর খাবেন। না হলে ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে।

টকজাতীয় ফলে ভিটামিন ‘‘সি’’- এর পাশাপাশি সাইট্রিক অ্যাসিডও থাকে। তাই রোজার সময় টক ফল বেশি খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। 

ঝাল খাবার পাকস্থলীতে অ্যাসিডিটির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই কাঁচামরিচ কিংবা অতিরিক্ত ঝাল খাবার পরিহার করতে হবে। 

চর্বি জাতীয় ও অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার এবং চা কফি ইত্যাদি পরিহার করতে হবে। 

গ্যাস্ট্রিকের কয়েক ধরনের ওষুধ রয়েছে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবনই উত্তম।


Source: dhakatribune.com
Thanks for using MedEx!
How would you rate your experience so far?