নির্দেশনা

এইচপিআর নম্নোক্ত উপসর্গে নির্দেশিত-
  • জ্বর
  • দাঁতের ব্যথা
  • মাথার ব্যথা
  • মাইগ্রেন
  • প্রাথমিক ডিসমেনোরিয়া
  • মেনোরেজিয়া
  • বাতের ব্যথা
  • কম থেকে মাঝারি মাত্রার ট্রমাটিক ব্যথা
  • কোমরের ব্যথা
  • তরুণ বয়সে দীর্ঘদিন ধরে বাতের ব্যথা।

ফার্মাকোলজি

এতে রয়েছে মেফিনামিক এসিড যা ননস্টেরইডাল ব্যথানাশক, জ্বরনাশক এবং প্রদাহনাশক হিসেবে কাজ করে। এটি প্রোস্টাগ্লানডিন এর উপর দুইভাবে কাজ করে। এটি প্রোস্টাগ্লানডিন তৈরীর জন্য দরকারী এনজাইম প্রোস্টাগ্লানডিন সিন্থেটেজকে বাধা দেয় এবং প্রোস্টাগ্লানডিন এর কর্মক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়।

মাত্রা ও সেবনবিধি

বয়স্কদের জন্য:
  • ৫০০ মিগ্রা করে দিনে সর্বোচ্চ ৩ বার (১.৫ গ্রাম) সেবন করা যেতে পারে। পরবর্তীতে মাত্রা কমিয়ে ২৫০ মিগ্রা করে দিনে ৩ বার দেওয়া যেতে পারে।
  • মেনোরেজিয়া এর ক্ষেত্রে মেনস্ এর শুরু থেকে ৫০০ মিগ্রা করে দিনে ৩ বার (১.৫ গ্রাম) অথবা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
শিশুদের জন্য:
  • ৬ মাস-১ বছরের শিশুদের জন্য: ৫ মিলি করে দিনে তিন বার সেব্য।
  • ২ বছর ৪ বছরের শিশুদের জন্য: ১০ মিলি করে দিনে তিন বার সেব্য।
  • ৫ বছর-৮ বছরের শিশুদের জন্য: ১০ মিলি করে দিনে চার বার সেব্য।
  • ৯ বছর-১২ বছরের শিশুদের জন্য: ১৫ মিলি করে দিনে চার বার সেব্য।
ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া সাত দিনের বেশী ওষুধ সেবন করা উচিত নয়।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

অন্যান্য ননস্টেরয়েড এন্টিইনফ্লামেটেরী ওষুধ এর ন্যায় এইচপিআর এবং অ্যাসপিরিন একসাথে গ্রহণ করা সাধারনত অনুমোদিত নয় কারণ এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এইচপিআর ওয়ারফেরিন এর সাথে আন্তঃক্রিয়া করে প্লাটিলেট জড়ো হওয়াকে বাধা দিতে পারে এবং প্রথ্রোম্বিন সময় বাড়িয়ে দিতে পারে।

প্রতিনির্দেশনা

যাদের মেফিনামিক এসিড এর প্রতি জানা অতিসংবেদনশীলতা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ওষুধটি প্রতিনির্দেশিত। পেপটিক আলসার, আন্ত্রিক প্রদাহ, যকৃত ও কিডনীর সমস্যা রয়েছে এমন রোগীদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ সেবন গ্রহণ করা উচিত নয়। এছাড়া যেসব রোগীদের অ্যাসপিরিন এবং অ্যাসপিরিন এর ন্যায় অন্যান্য ননস্টেরয়েড এন্টিইনফ্লামেটেরী ওষুধ কর্তৃক উৎপন্ন ব্রঙ্কোস্প্যাজম, ত্বকের ফুসকুঁড়ি দেখা দেয় তাদের ক্ষেত্রে এ ওষুধ গ্রহণ করা উচিত নয়।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

আন্ত্রিক ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, পেটফাঁপা, ঢেকুর ওঠা, বমিবমি ভাব, গ্যাস্ট্রিক আলসার, বমি, ঝিমুনিভাব, কিডনীর সমস্যা, চুলকানি, ত্বকে ফুসকুঁড়ি, ইত্যাদি দেখা দিতে পারে এবং ১-১০% রোগীদের এ উপসর্গগুলো বেশী মাত্রায় দেখা দিতে পারে।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

গর্ভাবস্থায় মেফিনামিক এসিড নিরাপদ কিনা তা এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত হয়নি। কাজেই ক্ষতির চেয়ে যদি উপকারের মাত্রা বেশী হয় তবে গর্ভাবস্থায় ব্যবহার করা যেতে পারে। খুব অল্প পরিমাণ মেফিনামিক এসিড মাতৃদুগ্ধে নিঃসরণ এবং তা নবজাতকের দেহে প্রবেশ করে। কাজেই স্তন্যদানরত মায়েদের এই ওষুধ গ্রহণ থেকে বিরত থাকা উচিত যাতে নবজাতকের রক্তসংবহনতন্ত্রের কোন ক্ষতি না করে।

সতর্কতা

হাঁপানির রোগীদের বিশেষ করে যাদের এলার্জি রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে ওষুধ গ্রহণ করা উচিত। ডায়রিয়া, ত্বকে ফুসকুঁড়ি, কোলেস্টেটিক জন্ডিস, থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া, হিমোলাইটিক অ্যানিমিয়া দেখা দিলে ওষুধ গ্রহণ বন্ধ করতে হবে।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Drugs for Osteoarthritis, Drugs used for Rheumatoid Arthritis, Non-steroidal Anti-inflammatory Drugs (NSAIDs)

সংরক্ষণ

আলো থেকে দূরে, ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে এবং শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।