নির্দেশনা

ইবাস্টিন নিম্নোক্ত উপসর্গ উপশমে নির্দেশিত-
  • সিজনাল এবং পেরিনিয়াল এলার্জিক রাইনাইটিস।
  • ইডিওপ্যাথিক ক্রনিক আর্টিকারিয়া।

ফার্মাকোলজি

ইবাস্টিন দীর্ঘক্ষণ কার্যকরী এবং সুনির্দিষ্ট ভাবে এইচ১ রিসিপ্টর এন্টাগনিষ্ট। ইবাস্টিন বারবার গ্রহণের পর পেরিফেরাল রিসিপ্টর নিবৃত্ত করার মতাে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় পৌছায়। ইবাস্টিন মুখে গ্রহণের পর খুব দ্রুত শােষিত হয় এবং বিস্তৃত ফাস্ট পাস মেটাবােলিজম হয়। ইবাস্টিন সম্পূর্ণ ভাবে কারইবাস্টিনে রূপান্তরিত হয় যা ফার্মাকোলজিক্যালি একটি সক্রিয় এসিড মেটাবােলাইট।

মাত্রা ও সেবনবিধি

ট্যাবলেটঃ
  • প্রাপ্তবয়স্ক (১২ বছরের ঊর্ধ্ব): দৈনিক ১০ মিগ্রা (১ টি ট্যাবলেট)
  • শিশু (৬-১২ বছর): দৈনিক ৫ মিগ্রা (১/২ টি ট্যাবলেট)
সিরাপঃ
  • শিশু (২-৫ বছর): ২.৫ মিলি একবার (পেরিনিয়াল এলার্জিক রাইনাইটিস এর মত জটিল পরিস্থিতিতে ৫ মিলি পর্যন্ত দেওয়া যেতে পারে)
  • শিশু (৬-১২ বছর): ৫ মিলি দিনে একবার (পেরিনিয়াল এলার্জিক রাইনাইটিস এর মত জটিল পরিস্থিতিতে ১০ মিলি পর্যন্ত দেওয়া যেতে পারে)
ইবাস্টিন খাওয়ার আগে বা পরে যে কোন সময় গ্রহণ করা যেতে পারে।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

কিটোকোনাজল অথবা ইরাইথ্রোমাইসিন এর সাথে ইবাস্টিন ব্যবহার করলে ইবাস্টিনের পরিমাণ প্লাজমায় বেড়ে যায় এবং কিউটিসি বিরতি বর্ধিত করে। ইবাস্টিনের থিওফাইলিন, ওয়ারফারিন, সিমিটিডিন, ডায়াজিপাম অথবা অ্যালকোহলের উপর কোন ফার্মাকোকাইনেটিকস প্রতিক্রিয়া নেই। ডায়াজিপাম ও অ্যালকোহল দ্বারা সৃষ্ট তন্দ্রাভাব ইবাস্টিন বৃদ্ধি করতে পারে।

প্রতিনির্দেশনা

ওষুধটির কোন উপাদানের প্রতি সংবেদনশীল হলে ইহা প্রতিনির্দেশিত।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

মাথা ব্যথা, মুখের শুষ্কতা, ঝিমুনিভাব। বিরল ক্ষেত্রেঃ পেট ব্যথা, ক্ষুধামন্দা, বমি বমি ভাব এবং নিদ্রাহীনতা হতে পারে।

মাত্রাধিক্যতা

দিনে ১০০ মিগ্রা পর্যন্ত গ্রহণের পরেও ক্লিনিক্যাল গুরুত্বপূর্ণ কোন সংকেত বা রােগের লক্ষণ পাওয়া যায়নি। ইবাস্টিনের কোন সুনির্দিষ্ট এন্টিডােট নেই। আকস্মিক মাত্রাধিক্যের কারণে গ্যাস্ট্রিক ল্যাভেইজ, ইসিজি পর্যবেক্ষণ এবং সিম্পটোমেটিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Non-sedating antihistamines

সংরক্ষণ

৩০° সে. তাপমাত্রার নিচে রাখুন। আলাে থেকে দূরে, ঠান্ডা ও শুস্ক স্থানে রাখুন।