নির্দেশনা

কড-লিভার অয়েলসহ মাল্টিভিটামিন সিরাপে নিম্নোক্ত উপসর্দে নির্দেশিত-
  • বাড়ন্ত শিশুর বৃদ্ধির পাশাপাশি শিশুর গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সমুহের বৃদ্ধি এবং কাজ সঠিক নিয়ন্ত্রণ করে।
  • টামিনের অভাব পূরণ করে অসুস্থ বাড়ন্ত শিশুর রোগের কারণে ক্ষুধামন্দা ও দুর্বলতা দূর করার পাশাপাশি রোগ পরবর্তী হারানো জীবনী শক্তি ফিরিয়ে আনে।
  • ইহা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি সুস্থ সবল ত্বক, চুল, নখ, দাঁত, হাড়, চোখ এবং স্নায়ুতন্ত্র গঠনে সহায়তা করে।
  • কাশি, সর্দি, বুক এবং ফুসফুসের বিভিন্ন রোগ হতে প্রতিরোধ বাড়িয়ে দেয়।
  • মস্তিষ্ক গঠনেও সহায়তা করে।
  • ইহা প্রাপ্তবয়স্কদের হার্টের রোগ, রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস, সিওপিডি, ক্যানসার ইত্যাদিসহ গুরুত্বপূর্ণ রোগসমূহের প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় সাহায্য করে।
  • ইহা গর্ভস্থ এবং দুগ্ধপোষ্য শিশুর বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

উপাদান

প্রতি ৫ মিঃলিঃ সিরাপে আছে-
  • ভিটামিন এ (ভিটামিন এ পামিটেট ইউএসপি হিসাবে) ২০০০ আই ইউ
  • ভিটামিন বি১ (থায়ামিন হাইড্রোক্লোরাইড বিপি হিসাবে) ০.৭০ মি.গ্রা.
  • ভিটামিন বি২ (রিবোফ্লাবিন সোডিয়াম ফসফেট বিপি হিসাবে) ০.৮৫ মি.গ্রা.
  • ভিটামিন বি৬ (পাইরিডক্সিন হাইড্রোক্লোরাইড ইউএসপি হিসাবে) ০.৩৫ মি.গ্রা.
  • ভিটামিন সি (এসকরবিক এসিড ইউএসপি হিসাবে) ১৭.৫০ মি.গ্রা.
  • ভিটামিন ডি (কোলেক্যালসিফেরল ইউএসপি হিসাবে) ২০০ আই ইউ
  • ভিটামিন ই (আলফা টোকোফেরোল এসিটেট ইউএসপি হিসাবে) ১.৫০ মি.গ্রা.
  • নিকোটিনামাইড ইউএসপি ৯.০০ মি.গ্রা. এবং
  • কড় লিভার অয়েল ইউএসপি ১০০.০০ মি.গ্রা.।

ফার্মাকোলজি

এই প্রিপারেশনে আছে ৮টি প্রয়োজনীয় ভিটামিনসহ কড় লিভার অয়েল। ইহা শিশুদের বাড়তি সুরক্ষা দেয় এবং শিশুদের শক্তভাবে বেড়ে ওঠা ও সুস্থ থাকার জন্য পর্যাপ্ত ভিটামিন সরবরাহ নিশ্চিত করে। কড় লিভার অয়েলের মধ্যে আছে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ইপিএ ও ডিএইচএ। রোগ প্রতিরোধ, অস্থি বৃদ্ধি, নাইট ভিশন, কোষের বৃদ্ধি, টেস্টিকিউলার ও ওভারিয়ান ফাংশনে ভিটামিন এ প্রয়োজন হয়। ক্যালসিয়ামের শোষণ ও ব্যবহার এবং হাঁড়ের বৃদ্ধিতে ভিটামিন ডি প্রয়োজন হয়। ইপিএ ও ডিএইচএ হচ্ছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড যেগুলো শরীরে প্রোস্টাগ্লানডিনে রূপান্তরিত হয়। হরমোনের কাজের উপর প্রোস্টাগ্লানডিনের নিয়ন্ত্রণ করার প্রভাব থাকায় বিভিন্ন ধরণের শারীরিক প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড অস্টিওআথ্রাইটিস ও রিওমাটয়েড আথ্রাইটিসের উপসর্গ দূর করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং রক্ত সঞ্চালন সচল রাখে। ধারণা করা হয় যে, ইপিএ ও ডিএইচএ হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। অভূমিষ্ট শিশুর মস্তিষ্ক বৃদ্ধির জন্যও ডিএইচএ প্রয়োজন।

মাত্রা ও সেবনবিধি

১ মাস হতে ১২ মাস: প্রতিদিন ২.৫ মিঃলি (অর্ধেক চা-চামচ)
১ বছর হতে ৪ বছর: প্রতিদিন ৫ মিঃলি (১ চা-চামচ)
৪ বছরের ঊর্ধ্বে: প্রতিদিন ৭.৫ মিঃলি (১.৫ চা-চামচ)
প্রাপ্তবয়স্ক: প্রতিদিন ১০ মিঃলি (২ চা-চামচ)

এই সিরাপ পানি অথবা দুধের সাথে পান করা যেতে পারে।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

ইরাইথ্রোমাইসিন, কনজুগেটেড ইস্ট্রোজেন, সোডিয়াম বাইকার্বোনেট, ক্লোরামফেনিকল ইত্যাদি ঔষধের সাথে ইন্টারেকশন হতে পারে।

প্রতিনির্দেশনা

এই সিরাপের যে কোন একটি উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রে এটি প্রতিনির্দেশিত।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

সাধারণতঃ সু-সহনীয়। তবু কিছু এলার্জিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।

সতর্কতা

এই ঔষধ শরীরে জমা হতে পারে বলে বিপদ ঘটাতে পারে। মাত্রাতিরিক্ত সেবন করা উচিত নয় অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Specific combined vitamin preparations

সংরক্ষণ

আলো ও তাপ থেকে দূরে শুষ্ক স্থানে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।