নির্দেশনা

ইহা নিম্নোক্ত উপসর্গে নির্দেশিত-
  • ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন-সি এর বর্ধিত প্রয়োজনে, যেমন- গর্ভাবস্থায়, স্তন্যদান, দ্রুত বর্ধনের সময় (শিশুকাল, কৈশোর বয়ঃসন্ধি), বার্ধক্যে
  • সংক্রমিত রোগসমূহে এবং খিঁচুনিতে
  • ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন-সি এর ঘাটতি পূরণে
  • অসটিওপোরোসিস
  • মাসিকের পূর্বের সিনড্রোমে
  • মাসিক বন্ধের পরে সমস্যাসমূহে
  • ঠাণ্ডা ও ইনফ্লুয়েঞ্জার ক্ষেত্রে অন্যান্য ওষুধের সাথে

ফার্মাকোলজি

মানবদেহে প্রায় সমস্ত ঘাটতি পূরণের জন্য ক্যালসিয়াম একটি ফার্মাকোলজিক উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। দেহের বিভিন্ন কার্যাবলীর পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, আমাদের দেহের ভিতরের বায়োকেমেস্ট্রি অল্প সময়ের জন্য ক্যালসিয়ামের অভাব সহ্য করতে পারে না। ভিটামিন-সি খাদ্যের একটি অপরিহার্য উপাদান; কেননা মানুষ ভিটামিন-সি সংশ্লেষণ করতে পারে না। ইহা অত্যন্ত শক্তিশালী বিজারক পদার্থ। দেহের ক্ষত পূরণের ক্ষেত্রে ভিটামিন-সি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সংক্রমণরোধে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মাত্রা ও সেবনবিধি

৩ হতে ৭ বছরের শিশু: প্রতিদিন ১/২ টি এফারভেসেন্ট ট্যাবলেট।
প্রাপ্ত বয়স্ক ও ৭ বছরের উর্ধ্বে শিশু: প্রতিদিন ১টি এফারভেসেন্ট ট্যাবলেট।
এক গ্লাস পানিতে একটি ট্যাবলেট গুলিয়ে খেতে হবে।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

মারাত্মক ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়াঃ
  • ডিগক্সিন, টেট্রাসাইক্লিন, ফুরোসেমাইড, পেন্টাগ্যাস্ট্রিন
  • অ্যামাইনোফাইলিন, রিওমাইসিন, ইরাইথ্রোমাইসিন, ল্যাকটোবায়োনেট, ন্যাফসিলিন, নাইট্রোফিউরানটোয়িন, কনজুগেটেড ইস্ট্রোজেনস, সালফাফিউরাজল, ডাই ইথানোলামাইন, ক্লোরামফেনিকল
উল্লেখযোগ্য উপকারী প্রতিক্রিয়াঃ
  • ভিটামিন-ডি, অক্সিটসিন এবং প্রোস্টাগ্লানডিনস
  • ভিটামিন-সি আয়রনের শোষণ বৃদ্ধি করে

প্রতিনির্দেশনা

হাইপারক্যালসেমিয়া (যেমন-হাইপারপ্যারাথাইরয়েডিজম, ভিটামিন-ডি-এর মাত্রাধিক্যতা, ডিক্যালসিফায়িং টিউমার যেমন-প্লাসমে সাইটোমা, অস্থির মেটাসট্যাসেস); তীব্র হাইপারক্যালসিউরিয়া তীব্র রেনাল ফেইলিওর।

হাইপারঅক্সালইউরিয়া, গ্লুকোজ-৬ ফসফেট ডিহাইড্রোজিনেজ ঘাটতি এবং আয়রনের মাত্রাধিক্যতাজনিত রোগীদের ক্ষেত্রে। উচ্চ ডোজ গ্যাসট্রোইনটেস্টাইনাল আপসেট ঘটাতে পারে।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

মৃদু গ্যাস্ট্রে ইন্টেস্টাইনাল সমস্যাসমূহে (ব্লোটিং, ডায়রিয়া) বিরল ক্ষেত্রে ঘটতে পারে। প্রিডিসপোজড ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের চিকিৎসা মূত্রতন্ত্রে পাথর তৈরীতে সহায়তা করে।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

ইপিডেমিয়োলজিক্যাল স্টাডিজে ওরাল ক্যালসিয়ামে টেরাটোজেনিক বিশৃঙ্খলা দেখা যায় না। যদিও পরিপূরক ক্যালসিয়াম দুগ্ধে নিঃসৃত হতে পারে তথাপি যে ঘনত্বে এটা নিঃসৃত হয় তা নবজাতকের তেমন কোন ক্ষতি করার জন্য পর্যাপ্ত নয়। গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানের সময় ভিটামিন-সি নিরাপদভাবে গ্রহণ করা যায়।

সতর্কতা

মৃদু হাইপারক্যাপসিউরিয়া (৩০০ মিগ্রা = ৭.৫ মিলিমোলের অধিক প্রতি ২৪ ঘন্টায়), মৃদু অথবা মধ্যম প্রকারের রেনাল ইমপেয়ারমেন্ট অথবা মূত্রে পাথরজনিত ইতিহাসের ক্ষেত্রে মূত্রে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ মনিটরিং করা প্রয়োজন। প্রয়োজনে ডোজ কমানো অথবা চিকিৎসা বন্ধ করে দেওয়া উচিত। যতক্ষণ না বিশেষভাবে নির্দেশিত হয় ততক্ষণ পর্যন্ত ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন-সি এর এই প্রস্তুতির সঙ্গে উচ্চ ডোজের ভিটামিন-ডি পরিহার করা উচিত।

যেহেতু সাইট্রেট লবণসমূহ অ্যালুমিনিয়ামের শোষণ বাড়িয়ে দেয়, সেজন্য ক্যালসিফার তীব্র রেনাল ইমপেয়ারমেন্ট রোগীদের ক্ষেত্রে সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করা উচিত; কেননা ক্যালসিফার -এর একটি উপাদান সাইট্রেট এসিড। চিনির পরিমাণ ডায়াবেটিক রোগীদের স্মরণে থাকা উচিত।

মাত্রাধিক্যতা

তীব্র মাত্রাধিক্যতার ব্যাপারে তথ্য পাওয়া যায়নি এটা ধারণা করা হয় যে, গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল সমস্যাসমূহ দেখা দিলেও তা হাইপারক্যালসেমিয়া হবে না যদি না কেউ উচ্চ ডোজের ভিটামিন-ডি অথবা এর ডেরিভেটিভস দ্বারা চিকিৎসাধীন থাকে।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Specific mineral & vitamin combined preparations

সংরক্ষণ

শুষ্ক ও ঠাণ্ডা স্থানে সংরক্ষণ করুন। অধিক তাপমাত্রা, আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে এবং শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। প্রতিবার ব্যবহারের পর টিউবের মুখ ভালভাবে বন্ধ রাখুন।