নির্দেশনা

ইহা জিংক এবং বি ভিটামিন সমূহের ঘাটতি পূরণে এবং প্রতিরোধমূলক চিকিৎসায় নির্দেশিত।

উপাদান

প্রতি ৫ মিঃলিঃ সিরাপে আছে-
  • থায়ামিন হাইড্রোক্লোরাইড বিপি ৫ মি.গ্রা.
  • রিবোফ্লাভিন-৫-ফসফেট সোডিয়াম বিপি ২.৭৪ মি.গ্রা. যা রিবোফ্লাভিন ২ মি.গ্রা. এর সমতুল্য
  • পাইরিডক্সিন হাইড্রোক্লোরাইড বিপি ২ মি.গ্রা.
  • নিকোটিনামাইড বিপি ২০ মি.গ্রা. এবং
  • জিংক সালফেট মনোহাইড্রেট ইউএসপি ২৭.৪৫ মি.গ্রা. যা এলিমেন্টাল জিংক ১০ মি.গ্রা. এর সমতুল্য।
প্রতি ট্যালেটে আছে-
  • থায়ামিন হাইড্রোক্লোরাইড বিপি ৫ মি.গ্রা.
  • রিবোফ্লাভিন-৫-ফসফেট সোডিয়াম বিপি ২.৭৪ মি.গ্রা. যা রিবোফ্লাভিন ২ মি.গ্রা. এর সমতুল্য
  • পাইরিডক্সিন হাইড্রোক্লোরাইড বিপি ২ মি.গ্রা.
  • নিকোটিনামাইড বিপি ২০ মি.গ্রা. এবং
  • জিংক সালফেট মনোহাইড্রেট ইউএসপি ২৭.৪৫ মি.গ্রা. যা এলিমেন্টাল জিংক ১০ মি.গ্রা. এর সমতুল্য।

ফার্মাকোলজি

জিংক অনেক বায়োলজিক্যাল ফাংশন যেমন-রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, ক্ষত সারানো, পরিপাক, প্রজনন, শারীরিক বৃদ্ধি এবং মানসিক বিকাশের জন্য অপরিহার্য। জিংক গর্ভাবস্থায়, শৈশব এবং কৈশোরে স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং গঠনে সহায়তা করে। জিংক এর কিছু এন্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষমতাও রয়েছে। শিশুদের এডিএইচডি (এটেনশন ডেফিসিট হাইপার-অ্যাকটিভিটি ডিসঅর্ডার) চিকিৎসায়ও জিংক ব্যবহৃত হয়। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে জিংক এর অভাবে ক্ষুধামান্দ্য, স্বাদ এবং ঘ্রাণ গ্রহণের ক্ষমতা কমে যাওয়া, বিষণ্ণতার প্রবনতা, নখে সাদা দাগ, ঘন ঘন ইনফেকশন, দূর্বল প্রজনন ক্ষমতা, প্রস্টেট এর সমস্যা, মানসিক সমস্যা, দেরিতে ঘা শুকানো, দূর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, ডায়রিয়া, মানসিক দূর্বলতা, অমসৃন ত্বক ও ওজন হ্রাস হতে পারে।

বি-ভিটামিন খাদ্য থেকে শক্তি তৈরীতে প্রয়োজনীয়। শিশু ও বয়স্কদের সুস্থ মস্তিষ্ক ও স্নায়ুর সঠিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে এবং সুগঠিত লোহিত রক্ত কণিকা তৈরীতে বি ভিটামিনগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে শিশুর সঠিক বৃদ্ধি ও বিকাশে এটি বিশেষভাবে প্রয়োজনীয়। বি ভিটামিনের অভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের গভীর অবসন্নতা এবং বিভিন্ন ধরনের স্নায়বিক সমস্যা যেমন- দূর্বলতা, ভারসাম্যহীনতা, দ্বিধাগ্রস্ততা, বিরক্তিভাব, স্মৃতিভ্রম, ভীতি, হাত-পা এ শির শির ভাব এবং সমন্বয়হীনতা দেখা দিতে পারে। এছাড়া বি-ভিটমিনের অভাবে নিদ্রা সমস্যা, বমি বমি ভাব, ক্ষুধামান্দ্য, ঘন ঘন ইনফেকশন এবং চর্মরোগ দেখা দেয়।

মাত্রা ও সেবনবিধি

সিরাপ-
  • প্রাপ্ত বয়স্ক: দৈনিক ১০ মিঃলিঃ (২ চা-চামচ করে), ২-৩ বার বা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।
  • বাচ্চা: দৈনিক ১০ মিঃলিঃ (২ চা-চামচ করে), ১-৩ বার বা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।
  • শিশু: দৈনিক ৫ মিঃলিঃ (১ চা-চামচ করে), ১-২ বার বা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।
ট্যাবলেট-
  • প্রাপ্ত বয়স্ক এবং শিশু যাদের ওজন ৩০ কেজি এর উপরে: ১ থেকে ২ টি ট্যাবলেট প্রতিদিন ২ থেকে ৩ বার বা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

টেট্রাসাইক্লিন গ্রুপের ওষুধ এবং জিংক একসাথে গ্রহণ করলে টেট্রাসাইক্লিন এর গ্যাস্ট্রোইন্টেসটিনাল শোষণ এবং সিরাম লেভেল কমে যেতে পারে। একই ভাবে জিংক এবং ফ্লুরোকুইনোলন গ্রুপের ওষুধ একত্রে গ্রহণ করলে কিছু কিছু ফ্লুরোকুইনোলন এর গ্যাস্ট্রোইন্টেসটিনাল শোষণ এবং সিরাম লেভেল কমে যেতে পারে। নিয়াসিন এবং এইচএমজি-কোএ রিডাকটেজ ইনহিবিটর (যেমনঃ লোভাসটাটিন) সাথে গ্রহণ করলে মায়োপ্যাথী এবং র‍্যাবডোমায়ালাইসিস হতে পারে। পাইরিডক্সিন পেরিফেরাল মেটাবলিজম বাড়ানোর মাধ্যমে লেভোডোপার কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। পাইরিডক্সিন এবং ফেনিটইন একত্রে গ্রহণ করলে ফেনিটইন এর সিরাম লেভেল কমে যেতে পারে।

প্রতিনির্দেশনা

যেসব রোগীর এই ওষুধের কোন উপাদানের প্রতি জ্ঞাত অতিসংবেদনশীলতা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ইহা প্রতিনির্দেশিত।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

এই প্রিপারেশনটি সাধারণত সুসহনীয়। তবে কতিপয় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন- বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, পাকস্থলীর সমস্যা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। নির্দিষ্ট ভিটামিনের ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া উল্লেখিত থাকলেও সেগুলো সাধারণতঃ নির্দেশিত মাত্রা থেকে বেশী মাত্রায় ঘটে।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

ইহা গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকালে নিৰ্দেশিত।

সতর্কতা

বৃক্কের অকার্যকারিতার ক্ষেত্রে শরীরে জিংক জমা হতে পারে, তাই সেক্ষেত্রে সেবন মাত্রা সমন্বয় করা প্রয়োজন। এ ঔষধে প্রদত্ত কোন নির্দিষ্ট উপাদানের তীব্র ঘাটতির চিকিৎসায় ইহা নির্দেশিত নয়।

মাত্রাধিক্যতা

মাত্রাধিক্যের ক্ষেত্রে প্রথমতঃ পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া এবং বমি হতে পারে। এক্ষেত্রে দ্রুত জরুরী চিকিৎসা ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। প্রথমতঃ একটি বমি উদ্রেককারী ওষুধ দেয়া উচিত এবং তারপর পেট খালি করা সহ অন্যান্য সহযোগীমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Specific mineral & vitamin combined preparations

সংরক্ষণ

আলো থেকে দূরে ঠাতা ও শুষ্ক স্থানে রাখুন। সকল ঔষধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।