Vital-D Capsule

কোলিক্যালসিফেরল (ভিটামিন ডি৩) এর ঘাটতি জনিত চিকিৎসা এবং প্রতিরোধে নির্দেশিত। এটি ভিটামিন ডি৩ এর ঘাটতি জনিত অস্টিওপোরোসিস রোগীদের সহায়ক চিকিৎসা হিসেবেও নির্দেশিত।

কোলিক্যালসিফেরল (ভিটামিন ডি৩) ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের পরিশোষণ ও পূণঃপরিশোষণে সহায়তা করে। ভিটামিন ডি৩ হাড়ের স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে প্রয়োজনীয়। এটি ব্যাকটেরিয়া জনিত সংক্রমণের তীব্রতা কমায়, ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ায়, ক্যান্সার এর (স্তন, কোলোরেকটাল) ঝুঁকি প্রতিরোধ করে এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের পর্যাপ্ত ইনসুলিনের মাত্রা বজায় রাখতেও সাহায্য করে।

প্রাপ্তবয়স্ক-

• ভিটামিন ডি৩ এর ঘাটতি পূরণে: প্রতি সপ্তাহে ৪০০০০ আইইউ ৭ সপ্তাহ পর্যন্ত। মেইনটেনেন্স থেরাপির মাত্রা দৈনিক ১৪০০-২০০০ আইইউ। ২৫ হাইড্রক্সিভিটামিন ডি টার্গেট লেভেলে অর্জিত হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য মেইনটেনেন্স থেরাপি শুরুর ৩-৪ মাস পর এটির পরিমাণ নির্ণয় করা উচিত।
• ভিটামিন ডি৩ এর ঘাটতি প্রতিরোধে: প্রতি ৪ সপ্তাহে ২০০০০ আইইউ করে সেবন করতে হবে। নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রায় প্রয়োজন হতে পারে।
• অস্টিওপোরোসিস রোগীদের সহায়ক চিকিৎসায়: প্রতি মাসে ২০০০০ আইইউ।

শিশু (১২-১৮ বছর)-

• ভিটামিন ডি৩ ঘাটতি জনিত চিকিৎসায়: প্রতি ২ সপ্তাহে ২০০০০ আইইউ ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত।
• ভিটামিন ডি৩ ঘাটতি প্রতিরোধে: প্রতি ৬ সপ্তাহে ২০০০০ আইইউ।

ফেনিটোইন, বারবিচুরেটস, গ্লকোকর্টিকয়েডস, নির্দিষ্ট কিছু ল্যাক্সাটিভ (যেমন প্যারাফিন অয়েল), একটিনোমাইসিন এবং ইমিডাজল এন্টিফাঙ্গাল এজেন্টের সাথে যুগপৎ ব্যবহারে এটির মিথস্ক্রিয়তা আছে।

ভিটামিন ডি৩ এর কোন উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রে এটি প্রতিনির্দেশিত।

সাধারন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সমূহ হলোঃ হাইপারক্যালসেমিয়া, হাইপারক্যালসিইউরিয়া, ত্বকের র‌্যাশ, আর্টিকারিয়া, বমিবমি ভাব, পেটে ব্যথা।

গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভাবস্থায় ৪০০০ আই ইউ পর্যন্ত ভিটামিন ডি৩ নিরাপদ। গর্ভবতীদের জন্য নির্দেশিত দৈনিক সেবন মাত্রা ৪০০ আই ইউ। তবে যে সব নারীদের ভিটামিন ডি৩ এর ঘাটতি রয়েছে তারা বেশী মাত্রায় সেবন করতে পারে। গর্ভবতীদের উচিত চিকিৎসকের পরার্মশ অনুযায়ী ভিটামিন ডি৩ সেবন করা। কারন, রোগের ধরন এবং চিকিৎসায় সাড়াদানের উপর তাদের ভিটামিন ডি৩ এর চাহিদার তারতম্য হতে পারে।

ভিটামিন ডি৩ এবং এর বিপাককৃত উপাদান গুলো বুকের দুধে নিঃসরিত হয়। বুকের দুধ পানরত নবজাতকদের মধ্যে ভিটামিন ডি৩ এর মাত্রাধিক্যতা পরিলক্ষিত হয় নাই। তারপরও বুকের দুধ পানরত শিশুদের ভিটামিন ডি৩ এর সেবন মাত্রা বৃদ্ধির সময় মায়ের ভিটামিন ডি৩ সেবন মাত্রার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

বৃক্কীয় অকার্যকর রোগীদের ক্ষেত্রে এটি সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত।

শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহারঃ ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি৩ এর নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

মাত্রাধিক্যে হাইপারভিটামিনোসিস ডি হতে পারে।

Vitamin in bone formation, Vitamin-D preparations

আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, ৩০ ডিগ্রী সেঃ তাপমাত্রার নীচে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।