Unit Price:
৳ 40.00
Also available as:
নির্দেশনা
ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন নিম্নে উল্লেখিত ক্ষেত্রে নির্দেশিত-
- প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে একিউট ব্যাকটেরিয়াল এক্সাসারবেশন অফ ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস
- একিউট ম্যাক্সিলারি সাইনুসাইটিস
- কমিউনিটি-একুয়ার্ড নিউমোনিয়া
- ফ্যারিঞ্জাইটিস বা টনসিলাইটিস
- জটিলতাবিহীন স্কিন এবং স্কিন স্ট্রাকচার সংক্রমণ
- বাচ্চাদের ক্ষেত্রে একিউট অটাইটিস মিডিয়া
- ডিসেমিনেটেড মাইকোব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ এর চিকিৎসা ও প্রোফাইল্যাক্সিস
- প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে হেলিকোব্যাকটার পাইলোরি এর সংক্রমণ এবং ডিওডেনাল আলসার।
ফার্মাকোলজি
ক্লারিথ্রোমাইসিন রাইবােজোমের ৫০ এস সাব-ইউনিটের সাথে যুক্ত হয়ে ব্যাকটেরিয়ার প্রােটিন সংশ্লেষণে বাধা প্রদান করে। ক্ল্যারিথ্রোমাইসিনের বহুবিধ গ্রাম পজিটিভ ব্যাকটেরিয়া, ক্ল্যামাইডিয়া এবং কিছু গ্রাম-নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া ও মাইকোপ্লাজমা নিউমােনি বিরােধী কার্যকারিতা রয়েছে। ল্যাবরেটরী পরীক্ষায় বহুবিধ গ্রাম পজিটিভ ব্যাকটেরিয়ার প্রতি এরিথ্রোমাইসিনের সমান বা অধিকতর কার্যকারিতা রয়েছে। হেমােফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জার বিবুদ্ধে এরিথ্রোমাইসিনের তুলনায় ক্লারিথ্রোমাইসিনের দ্বিগুন কার্যকারিতা রয়েছে। লক্ষবস্তু ভেদ করার কারনে বেশীরভাগ গ্রাম-নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া ক্ল্যারিখ্রােমাইসিনের প্রতি রেজিস্টেন্ট।
ঔষধের মাত্রা
ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন মুখে গ্রহণ করা হয় এবং এটি খাবারের সাথে বা খাবার ছাড়া গ্রহণ করা যেতে পারে।
প্রাপ্ত বয়স্ক:
ট্রিপল থেরাপি: ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন/ ল্যানসোপ্রাজোল/এ্যামোক্সিসিলিন: প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নির্দেশিত মাত্রা হলো ৫০০ মিগ্রা ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন, ৩০ মিগ্রা ল্যানসোপ্রাজোল এবং ১ গ্রাম এ্যামোক্সিসিলিন, সবগুলো ওষুধ একসাথে প্রতি ১২ ঘণ্টা পর পর ১০ বা ১৪ দিন দিতে হবে।
ট্রিপল থেরাপি: ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন/ওমিপ্রাজোল/এ্যামোক্সিসিলিন: প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নির্দেশিত মাত্রা হলো ৫০০ মিগ্রা ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন, ২০ মিগ্রা ওমিপ্রাজোল এবং ১ গ্রাম এ্যামোক্সিসিলিন; সবগুলো ওষুধ একসাথে প্রতি ১২ ঘণ্টা পর পর ১০ বা ১৪ দিন দিতে হবে। আলসার রোগীদের ক্ষেত্রে থেরাপি শুরু করার পূর্বে, আলসার নিরাময় এবং উপসর্গ উপশমের জন্য প্রতিদিন ২০ মিগ্রা ওমিপ্রাজোল অতিরিক্ত ১৪ বা ১৮ দিন দিতে হবে।
ডুয়াল থেরাপি: ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন/ওমিপ্রাজোল: প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নির্দেশিত মাত্রা হলো প্রতি ৮ ঘণ্টা পর পর ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন ৫০০ মিগ্রা এবং প্রতিদিন সকালে ওমিপ্রাজোল ৪০ মিগ্রা করে মোট ১৪ দিন দিতে হবে। আলসার নিরাময় এবং উপসর্গ উপশমের জন্য প্রতিদিন ২০ মিগ্রা ওমিপ্রাজোল অতিরিক্ত ১৪ দিন দিতে হবে।
শিশু: নির্দেশিত দৈনিক মাত্রা ১৫ মিগ্রা/কেজি যা ভাগ করে প্রতি ১২ ঘণ্টা পর পর মোট ১০ দিন দিতে হবে। বাচ্চাদের মাইকোব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ এর চিকিৎসা ও প্রোফাইল্যাক্সিস এর জন্য নির্দেশিত মাত্রা হলো প্রতি ১২ ঘণ্টা পর পর ৭.৫ মিগ্রা/কেজি থেকে প্রতি ১২ ঘণ্টা পর পর ৫০০ মিগ্রা ওষুধ।
বৃক্ক ও যকৃতের অকার্যকারিতায়: ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন প্রধানত বৃক্ক এবং যকৃতের মাধ্যমে নিষ্কাশিত হয়। বৃক্কের কার্যকারিতা ঠিক থাকলে শুধুমাত্র যকৃতের অকার্যকারিতার জন্য ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন এর মাত্রা সমন্বয় এর কোনো প্রয়োজন নেই। তবে মারাত্মক বৃক্কের অকার্যকারিতার ক্ষেত্রে যকৃতের অকার্যকারিতা থাকুক বা না থাকুক, স্বল্প মাত্রায় ওষুধ প্রয়োগ অথবা ডোজ মধ্যবর্তী সময়কাল দীর্ঘায়িতকরণ এর প্রয়োজন হতে পারে।
প্রাপ্ত বয়স্ক:
- একিউট ব্যাকটেরিয়াল এক্সাসারবেশন অফ ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস: প্রতি ১২ ঘণ্টা পর পর ২৫০ মিগ্রা থেকে ৫০০ মিগ্রা ওষুধ ৭ থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত।
- একিউট ম্যাক্সিলারি সাইনুসাইটিস: প্রতি ১২ ঘণ্টা পর পর ৫০০ মিগ্রা ওষুধ ১৪ দিন পর্যন্ত ।
- কমিউনিটি-একুয়ার্ড নিউমোনিয়া: প্রতি ১২ ঘণ্টা পর পর ২৫০ মিগ্রা ওষুধ ৭ থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত।
- ফ্যারিঞ্জাইটিস বা টনসিলাইটিস: প্রতি ১২ ঘণ্টা পর পর ২৫০ মিগ্রা ওষুধ ১০ দিন পর্যন্ত ।
- জটিলতাবিহীন স্কিন এবং স্কিন স্ট্রাকচার সংক্রমণসমূহ: প্রতি ১২ ঘণ্টা পর পর ২৫০ মিগ্রা ওষুধ ৭ থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত।
- ডিসেমিনেটেড মাইকোব্যাকটেরিয়াম এভিয়াম রোগ এর চিকিৎসা ও প্রোফাইল্যাক্সিস: সংক্রমণ সারা শরীরে ছড়িয়ে পরার ঝুঁকি কমে না আসা পর্যন্ত প্রতি ১২ ঘণ্টা পর পর ৫০০ মিগ্রা ওষুধ দিতে হবে।
ট্রিপল থেরাপি: ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন/ ল্যানসোপ্রাজোল/এ্যামোক্সিসিলিন: প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নির্দেশিত মাত্রা হলো ৫০০ মিগ্রা ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন, ৩০ মিগ্রা ল্যানসোপ্রাজোল এবং ১ গ্রাম এ্যামোক্সিসিলিন, সবগুলো ওষুধ একসাথে প্রতি ১২ ঘণ্টা পর পর ১০ বা ১৪ দিন দিতে হবে।
ট্রিপল থেরাপি: ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন/ওমিপ্রাজোল/এ্যামোক্সিসিলিন: প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নির্দেশিত মাত্রা হলো ৫০০ মিগ্রা ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন, ২০ মিগ্রা ওমিপ্রাজোল এবং ১ গ্রাম এ্যামোক্সিসিলিন; সবগুলো ওষুধ একসাথে প্রতি ১২ ঘণ্টা পর পর ১০ বা ১৪ দিন দিতে হবে। আলসার রোগীদের ক্ষেত্রে থেরাপি শুরু করার পূর্বে, আলসার নিরাময় এবং উপসর্গ উপশমের জন্য প্রতিদিন ২০ মিগ্রা ওমিপ্রাজোল অতিরিক্ত ১৪ বা ১৮ দিন দিতে হবে।
ডুয়াল থেরাপি: ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন/ওমিপ্রাজোল: প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নির্দেশিত মাত্রা হলো প্রতি ৮ ঘণ্টা পর পর ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন ৫০০ মিগ্রা এবং প্রতিদিন সকালে ওমিপ্রাজোল ৪০ মিগ্রা করে মোট ১৪ দিন দিতে হবে। আলসার নিরাময় এবং উপসর্গ উপশমের জন্য প্রতিদিন ২০ মিগ্রা ওমিপ্রাজোল অতিরিক্ত ১৪ দিন দিতে হবে।
শিশু: নির্দেশিত দৈনিক মাত্রা ১৫ মিগ্রা/কেজি যা ভাগ করে প্রতি ১২ ঘণ্টা পর পর মোট ১০ দিন দিতে হবে। বাচ্চাদের মাইকোব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ এর চিকিৎসা ও প্রোফাইল্যাক্সিস এর জন্য নির্দেশিত মাত্রা হলো প্রতি ১২ ঘণ্টা পর পর ৭.৫ মিগ্রা/কেজি থেকে প্রতি ১২ ঘণ্টা পর পর ৫০০ মিগ্রা ওষুধ।
বৃক্ক ও যকৃতের অকার্যকারিতায়: ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন প্রধানত বৃক্ক এবং যকৃতের মাধ্যমে নিষ্কাশিত হয়। বৃক্কের কার্যকারিতা ঠিক থাকলে শুধুমাত্র যকৃতের অকার্যকারিতার জন্য ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন এর মাত্রা সমন্বয় এর কোনো প্রয়োজন নেই। তবে মারাত্মক বৃক্কের অকার্যকারিতার ক্ষেত্রে যকৃতের অকার্যকারিতা থাকুক বা না থাকুক, স্বল্প মাত্রায় ওষুধ প্রয়োগ অথবা ডোজ মধ্যবর্তী সময়কাল দীর্ঘায়িতকরণ এর প্রয়োজন হতে পারে।
সেবনবিধি
ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন খাবারের পূর্বে ও পরে উভয় অবস্থায় গ্রহণ করা যাবে।
ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া
অন্য ওষুধের সাথেঃ এইচএমজি-কোএ রিডাকটেজ ইনহিবিটরস (যেমন- লোভাস্ট্যাটিন এবং সিম্রাস্ট্যাটিন), গ্যাস্ট্রোপ্রোকাইনেটিক এজেন্টস (যেমন- সিসাপ্রাইড), এরগট অ্যালকালয়েডস (যেমন- এরগোটামিন এবং ডাইহাইড্রোএরগোটামিন), অ্যান্টিসাইকোটিকস (যেমন- পিমোজাইড এবং কুইটিয়াপিন) এবং অ্যান্টি-গাউট এজেন্টস (যেমন- কোলচিসিন) এর সাথে ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন এর একত্রে ব্যবহার প্রতিনির্দেশিত। অ্যান্টিঅ্যারিদমিক ওষুধসমূহ (যেমন- ডাইসোপিরামাইড, কুইনিডিন, ডফটিলাইড, এমিওডারোন, সোটালোল এবং প্রোকেইনামাইড) এর সাথে ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন এর একত্রে ব্যবহার প্রতিনির্দেশিত।
প্রতিনির্দেশনা
যাদের ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন, ইরাইথ্রোমাইসিন, ম্যাক্রোলাইড অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ওষুধ বা এই ওষুধের অন্যান্য উপাদানের প্রতি অতি সংবেদনশীলতা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন প্রতিনির্দেশিত। এছাড়াও যে সকল রোগীর ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন ব্যবহারের কারণে কোলেস্ট্যাটিক জন্ডিস বা যকৃতের অকার্যকারিতার ইতিহাস রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রেও এটি প্রতিনির্দেশিত।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
ক্ল্যারিপ্রামাইসিন সাধারণত সুসংবেদনশীল। যে ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় সেগুলাে হচ্ছে- বমিভাব, বমি, ডায়রিয়া এবং পেট ব্যথা। তাছাড়াও স্টোমাটাইটিস ও গ্লোসাইটিস দেখা যেতে পারে। এছাড়াও মাথা ব্যথা এবং এলার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
উপযুক্ত মাত্রায় নবজাতক ও শিশুদের ক্ষেত্রে ইহা গ্রহন করা যেতে পারে। ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন দ্বারা চিকিৎসাকালীন সময়ে দুগ্ধদান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। স্বল্প তথ্য পাওয়ার কারনে ক্ল্যারিপ্রােমাইসিন গর্ভাবস্থায় নির্দেশিত নয়।
সতর্কতা
যদি গুরুতর তীব্র অতিসংবেদনশীলতা প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তাহলে ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন বন্ধ করা উচিত। যে সকল রোগীর নিশ্চিত QT দীর্ঘায়ন রয়েছে বা যে সকল রোগী এরকম ওষুধ খাচ্ছে যা QT দীর্ঘায়ন করে, যাদের ভেন্ট্রিকুলার অ্যারিদমিয়া, হাইপোক্যালেমিয়া বা হাইপোম্যাগনেসেমিয়া, লক্ষণযুক্ত ব্র্যাডিকার্ডিয়া রয়েছে অথবা যারা ক্লাস IA অথবা III অ্যান্টিঅ্যারিদমিক ওষুধ খাচ্ছে, তাদের ক্ষেত্রে ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন পরিহার করা উচিত। ওষুধ চলাকালীন সময়ে হেপাটাইটিস এর কোনো লক্ষণ প্রকাশ পেলে ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন সেবন থামিয়ে দেওয়া উচিত। করোনারী ধমনীর রোগ রয়েছে এমন রোগীদের ক্ষেত্রে ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন দিয়ে চিকিৎসার এক বছর বা তার বেশি সময় পর বিভিন্ন কারণে সার্বজনীন মৃত্যু ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। তাই, সন্দেহজনক বা নিশ্চিত করোনারী ধমনীর রোগ রয়েছে এমন রোগীদের ক্ষেত্রে ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন দিয়ে চিকিৎসার পূর্বে সম্ভাব্য ঝুঁকি ও চিকিৎসায় আরোগ্য লাভের সম্ভাবনা বিবেচনা করতে হবে। যদি ডায়রিয়া হয়, ক্লস্ট্রিডিয়াম ডেফিসিলে দ্বারা ডায়রিয়া হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করতে হবে। ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন থেরাপি গ্রহণকারী রোগীদের মধ্যে মায়াস্থেনিয়া গ্রাভিসের তীব্রতা দেখা গেছে।
বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার
শিশু ও কিশোরদের ক্ষেত্রে ব্যবহার: ৬ মাস বা তার বেশি বয়সী শিশুদের মধ্যে যাদের ফ্যারিঞ্জাইটিস বা টনসিলাইটিস, কমিউনিটি-একুয়ার্ড নিউমোনিয়া, একিউট ম্যাক্সিলারি সাইনুসাইটিস, একিউট অটাইটিস মিডিয়া, জটিলতাবিহীন স্কিন এবং স্কিন স্ট্রাকচার সংক্রমণ রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে ক্ল্যারিথ্রোমাইসিনের নিরাপদ ব্যবহার এবং কার্যকারিতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পরিণত এইচআইভি সংক্রমণে ২০ মাস বা তার বেশি বয়সী শিশু রোগীদের মধ্যে ছড়িয়ে পরা মাইকোব্যাকটেরিয়াম এভিয়াম কমপ্লেক্স (এমএসি) রোগ প্রতিরোধের জন্য ক্ল্যারিথ্রোমাইসিনের নিরাপদ ব্যবহার এবং কার্যকারিতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ২০ মাসের কম বয়সী এমএসি রোগীদের মধ্যে ক্ল্যারিথ্রোমাইসিনের নিরাপদ ব্যবহার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ৬ মাসের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে ক্ল্যারিথ্রোমাইসিনের নিরাপদ ব্যবহার এবং কার্যকারিতা প্রতিষ্ঠিত হয়নি ।
মাত্রাধিক্যতা
বিবরণী থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, অধিক পরিমাণে ক্লারিথ্রোমাইসিন প্রবেশ করানাে হলে গ্যাস্ট্রোইন্টেসটিনাল উপসর্গসমুহ তৈরী হওয়ার অনুমান করা যায়। বাইপােলার ব্যাধির ইতিহাসে আছে এমন একজন রােগীকে ৮ গ্রাম ক্লারিথ্রোমাইসিন দেওয়া হয়েছিল এবং সেক্ষেত্রে পরিববিৰ্তত মানসিক অবস্থা, ভ্রমগ্রস্থ আচরণ, হাইপােক্যালেমিয়া এবং হাইপােক্সিমিয়া দেখা দিয়েছিল। তৎক্ষনাৎ অশােধিত ওষুধ নিষ্কাশন করে নিয়ে ও সহায়ক পদক্ষেপ নিয়ে অতিমাত্রা ঘটিত বিরুপ প্রতিক্রিয়ার চিকিৎসা করা উচিৎ। অন্যান্য ম্যাক্রোলাইডের মত হেমােডায়ালাইসিস বা পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস দ্বারা রক্তরসে ক্লারিথ্রোমাইসিন এর মাত্রার উপর উপলদ্ধি হওয়ার মত কোন প্রকার প্রভাব পড়ে না।
থেরাপিউটিক ক্লাস
Macrolides
সংরক্ষণ
আলাে ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, শুদ্ধ ও ঠাণ্ডা স্থানে রাখুন। প্রস্তুতকৃত সাসপেনশন স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখলে ৭ দিনের মধ্যে এবং রেফ্রিজেটরে রাখলে ১৪ দিনের মধ্যে ব্যবহার করতে হবে। সকল ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।