নির্দেশনা

চোখের জন্য: তীব্র পুঁজযুক্ত কনজাংটিভাইটিস, কর্ণিয়ার উপরে এবং ভিতরের পর্দার প্রদাহ সহ কর্ণিয়ার ক্ষতে এই সংমিশ্রণটি নির্দেশিত। কেরাটাইটিস এবং হারপেটিক-পরবর্তী গভীরে সৃষ্ট কেরাটাইটিস, এ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস, এ্যালার্জিক ব্লেফারাইটিস, তীব্র এবং দীর্ঘস্থায়ী আইরাইটিসে, ত্রুণিক এন্টেরিয়র ইউভেইটিস, রাসায়নিক বিকিরণ অথবা তাপে দগ্ধ বা বাহিরের বস্তু প্রবেশজনিত চোখের ইনজুরীতে ইহা ব্যবহার্য। যে সমস্ত প্রদাহজনিত চোখের সমস্যায় স্টেরয়েড-এর প্রয়োজন আছে এবং যেখানে ব্যাকটেরিয়াজনিত চোখের সংক্রমণের ঝুঁকিতে কর্টিকোস্টেরয়েড নির্দেশিত, সেখানে এই সংমিশ্রণটি ব্যবহার করা যাবে। এই সংমিশ্রণটি অপারেশন পরবর্তী প্রদাহে এবং চোখের অন্যান্য প্রদাহের সহিত জড়িত সংক্রমণেও ব্যবহৃত হয়।

কানের জন্য: এই সংমিশ্রণটি বহি ও মধ্য কর্ণের এবং দীর্ঘদিনের পুজঁভর্তি মধ্য কর্ণের প্রদাহে নির্দেশিত।

মাত্রা ও সেবনবিধি

চোখের জন্য:
  • ব্যাকটেরিয়াল কনজাংটিভাইটিস: শুরুতে ১-২ ফোঁটা করে প্রথম ২ দিন ২ ঘন্টা পর পর এবং পরবর্তী ৫ দিন ১-২ ফোঁটা করে ৪ ঘন্টা পর পর জাগ্রত অবস্থায় দিতে হবে।
  • কর্ণিয়াল ক্ষত: আক্রান্ত চোখে ১৫ মিনিট পর পর ২ ফোঁটা করে প্রথম ৬ ঘন্টায় এবং দিনের অবশিষ্ট সময়ে ৩০ মিনিট পর পর ২ ফোঁটা করে প্রয়োগ করতে হবে। দ্বিতীয় দিন প্রতি ঘন্টা পর পর ২ ফোঁটা করে এবং তৃতীয় থেকে চৌদ্দ দিন পর্যন্ত প্রতি ৪ ঘন্টা পর পর ২ ফোঁটা করে আক্রান্ত চোখে প্রয়োগ করতে হবে। কর্ণিয়ায় ইপিথেলিয়াম পুনঃ দেখা না দিলে ১৪ দিনের পরেও ব্যবহার করা যাবে।
কানে প্রয়োগ: প্রাথমিক অবস্থায় কানের সংক্রমণে ২-৩ ফোঁটা করে ২-৩ ঘন্টা পর পর এবং সংক্রমণের উন্নতির সাথে সাথে মাত্রা কমাতে হবে। তবে সম্পূর্ণ সুস্থ হবার আগে চিকিৎসা বন্ধ করা উচিত নয়।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

রক্ত জমাট বিরোধী ঔষধ যেমন ওরফারিন এবং ক্লোরামফেনিকল একত্রে শোষিত হলে ওরফারিনের কার্যকারিতা বেড়ে যেতে পারে। ফেনোবারবিটালের সাথে একত্রে প্রয়োগ করা হলে ক্লোরামফেনিকলের কার্যকারিতা ব্যাহত হতে পারে। ফেনাইটোইন, ফেনোবারবিটন, ইফিড্রিন এবং রিফামপিসিন এর কারণে ডেক্সামিথাসনের চিকিৎসাতে ফলপ্রসূতা কমে যেতে পারে ।

প্রতিনির্দেশনা

ইপিথেলিয়াল হার্পেস সিমপ্লেক্স কর্ণিয়ালিস, ছত্রাক, ভাইরাল, টিউবারকুলাস এবং চোখের অন্যান্য সংক্রমণে ও গ্লুকোমায় প্রতিনির্দেশিত। পূর্বে ক্লোরামফেনিকলের সংস্পর্শে স্নায়ু রজ্জুর ক্ষমতা কমে যাওয়া এবং ক্লোরামফেনিকল এবং ডেক্সামিথাসনসহ এই ঔষধের যে কোন উপাদানের প্রতি অতি সংবেদনশীলতা।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

চোখে সামান্য ক্ষণস্থায়ী জ্বালাভাব বা অস্বস্তিভাব হতে পারে এবং অন্যান্য প্রতিক্রিয়া যেমন কাটাকাটা অনুভূতি, লাল হয়ে যাওয়া, চুলকানি, কনজাংটিভাইটিস, বাহিরের বস্তুর উপস্থিতির অনুভূতি, ফটোফবিয়া, সাময়িক ঝাপসা দৃষ্টি, শুষ্ক অনুভূতি এবং চোখে ব্যথা হতে পারে। ক্লোরামফেনিকল-এর স্থানিক ব্যবহারে এ্যালার্জিক সংবেদনশীলতার সৃষ্টি হতে পারে। ইন্ট্রাঅকুলার প্রেসার বৃদ্ধিসহ সম্ভাব্য গ্লুকোমা সৃষ্টি এবং মাঝে মাঝে চোখের স্নায়ুর ক্ষতি ও পোষ্টেরিয়র সাব-ক্যাপসুলার আকৃতির ছানি তৈরি হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে ব্যবহারের পর্যাপ্ত পরিমাণ ও সুনিয়ন্ত্রিত গবেষণা করা হয়নি। যদি ভ্রুণের সমস্যার চেয়ে গর্ভবতী মায়ের উপকার বেশি হয় সেক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। স্তন্যদানকালে ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।

সতর্কতা

দীর্ঘদিন কর্টিকোস্টেরয়েড ব্যবহারের পর কর্ণিয়ার স্থায়ী ফাঙ্গাল সংক্রমণ বিবেচনায় নেয়া উচিত। স্টেরয়েড সমৃদ্ধ ঔষধের দীর্ঘায়িত ব্যবহারের পর পোষ্টেরিয়র সাব-ক্যাপসুলার আকৃতির ছানি গঠন, চোখের স্নায়ুর ক্ষতিসহ গ্লুকোমা হতে পারে। ইন্ট্রাঅকুলার প্রেসার পর্যবেক্ষণ করা উচিত। দীর্ঘদিন এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করলে সংবেদনশীল নয় এমন জীবাণুর (ছত্রাক) বৃদ্ধি ঘটতে পারে। নতুন সংক্রমণ ঘটলে এই ঔষধ ব্যবহার বন্ধ করতে হবে বা অন্য চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Ophthalmic steroid - antibiotic combined preparations

সংরক্ষণ

আলো থেকে দূরে, শুষ্ক ও ঠাণ্ডা স্থানে এবং শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। মুখ খোলার ৩০ দিন পরে ঔষধটি ব্যবহার করা যাবে না।