নির্দেশনা

মেটফরমিন টাইপ- ডায়াবেটিস মেলাইটাস এর চিকিৎসায় নির্দেশিত বিশেষ করে যেসব রোগীর ওজন মাত্রাতিরিক্ত এবং এককভাবে খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ শরীরচর্চার মাধ্যমে রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ পর্যাপ্ত পরিমানে নিয়ন্ত্রণ হয় না
  • প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে: মেটফরমিন একক চিকিৎসা হিসেবে অথবা মুখে সেব্য অন্য ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধের সাথে অথবা ইনসুলিনের সাথে ব্যবহৃত হতে পারে
  • শিশুদের ক্ষেত্রে ১০ বছর বয়স থেকে এবং কিশোরদের জন্য: মেটফরমিন একক চিকিৎসা হিসেবে অথবা ইনসুলিনের সাথে ব্যবহৃত হতে পারে
মাত্রাতিরিক্ত ওজনের প্রাপ্ত বয়স্ক টাইপ- ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণে কাজ না হলে প্রথম সারির চিকিৎসা হিসেবে মেটফরমিন ব্যবহার করলে ডায়াবেটিসের জটিলতা হ্রাস পায়

ফার্মাকোলজি

মেটফরমিন হচ্ছে বাইগুয়ানাইড ধরনের মুখে সেব্য ডায়াবেটিস বিরোধী ঔষধ যা টাইপ ২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হয়। এটি স্বাভাবিক অবস্থায় ও খাবারের পর রক্তে Glucose এর পরিমাণ কমায়। এর কার্যপ্রনালী সালফোনাইলইউরিয়া থেকে ভিন্ন এবং এটি হাইপোগ্লাইসেমিয়া করে না। মেটফরমিন যকৃতের Glucose এর উৎপাদন কমায়, অন্ত্রের Glucose শোষণ কমায় এবং পেরিফেরাল Glucose গ্রহণ ও ব্যবহারকে বৃদ্ধি করার মাধ্যমে ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা উন্নতি করে।

মাত্রা ও সেবনবিধি

মেটফরমিন ইমিডিয়েট রিলিজ ট্যাবলেট: কার্যকারিতা ও সহনশীলতার ভিত্তিতে মেটফরমিন এর নিজস্ব মাত্রা থাকবে যেন উহা উল্লে­খিত দৈনিক মাত্রা অতিক্রম না করে।
  • প্রাপ্ত বয়স্কদের: সাধারনত প্রারম্ভিক সেবনমাত্রা হচ্ছে মেটফরমিন ৫০০ মিঃগ্রাঃ দিনে দুইবার অথবা ৮৫০ মিঃগ্রাঃ দিনে একবার খাবারের সাথে। ঔষধের মাত্রা সপ্তাহে ৫০০ মিঃগ্রাঃ অথবা প্রতি দুই সপ্তাহে ৮৫০ মিঃগ্রাঃ করে বাড়ানো উচিত, এভাবে বিভক্ত মাত্রায় দৈনিক ২০০০ মিঃগ্রাঃ পর্যন্ত দেয়া যায়। যেসব রোগীদের অধিক Glucose এর নিয়ন্ত্রন দরকার, তাদের ক্ষেত্রে মেটফরমিন সর্বোচ্চ দৈনিক ২৫৫০ মিঃগ্রাঃ পর্যন্ত দেয়া যেতে পারে। ঔষধের মাত্রা ২০০০ মিঃগ্রাঃ এর বেশী হলে দৈনিক তিনবার খাবারের সাথে খেলে অধিকতর সহনীয় হতে পারে।
  • শিশুদের: সাধারনত প্রারম্ভিক সেবনমাত্রা হচ্ছে মেটফরমিন ৫০০ মিঃগ্রাঃ দিনে দুইবার খাবারের সাথে। ঔষধের মাত্রা সপ্তাহে ৫০০ মিঃগ্রাঃ করে বাড়ানো উচিত, এভাবে বিভক্ত মাত্রায় দৈনিক ২০০০ মিঃগ্রাঃ পর্যন্ত দেয়া যায়।

মেটফরমিন এক্সটেন্ডেড রিলিস ট্যাবলেটে
: ইহা পুরোটা একসাথে মুখে সেবন করতে হবে এবং কখনও পিষে, কাটা বা চিবানো যাবে না।
  • প্রাপ্তবয়স্কদের: মেটফরমিন এক্স.আর. এর সাধারণ প্রারম্ভিক মাত্রা হচ্ছে রাতের খাবারের সাথে দৈনিক ৫০০ মিলিগ্রাম করে একবার। মাত্রা ৫০০ মিলিগ্রাম করে সাপ্তাহিকভাবে বৃদ্ধি করে দৈনিক সর্বোচ্চ ২০০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যাবে এবং রাতের খাবারের সাথে একবারে সেবন করতে হবে অথবা ১০০০ মিলিগ্রাম করে দিনে দুইবার খাবারের সাথে সেবন করতে হবে। মেটফরমিন ইমিডিয়েট রিলিজ ট্যাবলেট গ্রহণকারী রোগী তাদের নির্দেশিত সর্বোচ্চ দৈনিক মাত্রা ঠিক রেখে মেটফরমিন এক্সটেন্ডেড রিলিস ট্যাবলেটে স্যুইচ করতে পারবে।
  • শিশুদের: শিশুদের ক্ষেত্রে মেটফরমিন এক্সটেন্ডেড রিলিজ ট্যাবলেট এর উপর কোন গবেষণা হয়নি।
  • কিডনির সমস্যাজনিত রোগীদের: যে সকল রোগীদের eGFR ৩০ মিঃলিঃ/মিনিট/১.৭৩ মি এর নিচে, তাদের ক্ষেত্রে মেটফরমিন ব্যবহার করা যাবে না। eGFR ৪৫ মিঃলিঃ/মিনিট/১.৭৩ মি এর নিচে হলে মেটফরমিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে ক্ষতি/সুবিধা বিবেচনা করতে হবে।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

মেটফরমিন ও ফিউরোসেমাইড একত্রে সেবনে দীর্ঘমেয়াদী কোন প্রতিক্রিয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি। নিফিডিপিন মেটফরমিনের শোষণ বাড়ালেও নিফিডিপিনের উপর মেটফরমিনের সামান্য প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। ক্যাটায়নিক ড্রাগ (যেমন: অ্যামিলোরাইড, ডিগোক্সিন, মরফিন, প্রোকেইনামাইড, কুইনিডিন, কুইনিন, ট্রায়ামটিরিন, ট্রাইমিথোপ্রিম অথবা ভেনকোমাইসিন) যারা কিডনির মাধ্যমে নিষ্কাশিত হয়, সেসব ক্ষেত্রে নিষ্কাশিত হবার সময় মেটফরমিনের সাথে প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে পারে। সিমেটিডিনের ফার্মাকোকাইনেটিক বৈশিষ্ট্যের উপর মেটফরমিনের কোন প্রভাব নেই। কিছু কিছু ঔষধ যেমন থায়াজাইড এবং অন্যান্য মূত্রবর্ধক, কর্টিকোস্টেরয়েড, ফেনোথায়াজিন, থাইরয়েড প্রডাক্ট, ইস্ট্রোজেন, মুখে খাবার জন্মনিরোধক, ফিনাইটোয়েন, নিকোটিনিক এসিড, সিমপ্যাথোমিমেটিক ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার এবং আইসোসরবাইড হাইপোগ্লাইসেমিয়া তৈরি করতে পারে এবং এসব ঔষধ গ্রহণের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

প্রতিনির্দেশনা

  • সক্রিয় উপাদানের প্রতি অথবা যে কোন উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীলতার ক্ষেত্রে।
  • যেকোনো ধরনের বিপাকীয় এসিডোসিস যেমন ল্যাকটিক এসিডোসিস (শরীরে ল্যাকটেট এর পরিমাণ বৃদ্ধি), ডায়াবেটিক কিটোএসিডোসিস (রক্তে কিটোনবডির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া)
  • কিডনীর মারাত্মক বিপর্যয় (জিএফআর <৩০ মিলি/মিনিট)।
  • সঙ্কটজনক অবস্থা যা কিডনীর কার্যকারিতাকে পরিবর্তন করে যেমন- পানিশূন্যতা, মারাত্মক সংক্রমণ, শক।
  • তীব্র অথবা দীর্ঘমেয়াদী রোগ যা টিস্যুর অক্সিজেনের পরিমাণ কমাতে পারে যেমন- হৃদপিন্ড অথবা শ্বাসনালীর অকার্যকারিতা, সাম্প্রতিক মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন (হৃদপিন্ডের আন্তঃকোষের ক্ষয়), শক, যকৃতের অকার্যকারিতা, মদ জাতীয় পানীয়র মারাত্মক নেশা, মদ জাতীয় পানীয়র প্রতি অতি আসক্তি।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

রক্ত এবং লসিকানালী সংক্রান্ত সমস্যা: জানা যায়নি: হেমোলাইটিক এ্যানিমিয়া (রক্ত কণিকা বিধ্বংসী রক্তস্বল্পতা)

পরিপাক এবং পুষ্টি সংক্রান্ত সমস্যা: খুবই বিরল: ল্যাকটিক এসিডোসিস (শরীরে ল্যাকটেট এর পরিমাণ বৃদ্ধি)। দীর্ঘ-দিন মেটফরমিন গ্রহণে ভিটামিন বি১২ এর শোষণ হ্রাসের সাথে রক্তে ভিটামিন বি১২ এর পরিমান কমতে পারে। যদি রোগীর ম্যাগালোব্লাসটিক এ্যানিমিয়া (রক্ত কণিকার আকার বৃদ্ধিজনিত রক্তস্বল্পতা) উপস্থিত থাকে সে ক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনা নির্দেশিত হবে। বিক্রয় পরবর্তী অভিজ্ঞতায় ভিটামিন বি১২ এর ঘাটতির রোগীদের পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি (পার্শ্বিয় স্নায়ুতন্ত্রের প্রদাহ) হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে (পুনরাবৃত্তির তথ্য জানা যায়নি)।

স্নায়ুতন্ত্র সংক্রান্ত সমস্যা: সাধারণ: খাবারের স্বাদ গ্রহণ সংক্রান্ত সমস্যা, জানা যায়নি: এনসেফ্যালোপ্যাথি (মস্তিষ্কের রোগ)। 

পরিপাকতন্ত্র সংক্রান্ত সমস্যা: খুব সাধারণ: পরিপাকতন্ত্র সংক্রান্ত সমস্যা যেমন বমিবমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, পেটের ব্যথা এবং ক্ষুধামান্দ্য। চিকিৎসার শুরু দিকে এইসমস্ত উপসর্গ প্রায়শই ঘটে থাকে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে অনায়াসে সমাধান হয়ে যায়। এইসব বিরূপ প্রতিক্রিয়াসমূহ প্রতিরোধ করতে মেটফরমিন এর মাত্রা দৈনিক ২ অথবা ৩টি ভাগে প্রয়োগ নির্দেশিত এবং ওষুধটির মাত্রা বৃদ্ধি ধীর গতিতে করতে হবে। মাত্রার ধীর গতিতে বৃদ্ধি পরিপাকতন্ত্র সংক্রান্ত সহনশীলতার সক্ষমতাকে উন্নত করে।

হেপাটোবিলিয়ারি (যকৃত ও পিত্ত সংক্রান্ত) সমস্যা: খুবই বিরল: যকৃতের পরীক্ষায় অস্বাভাবিক কার্যকারিতা অথবা যকৃতের প্রদাহের মত বিচ্ছিন্ন ফলাফল পাওয়া যায় যা মেটফরমিন প্রত্যাহারের মাধ্যমে সমাধান করা হয়।

ত্বক ও ত্বকের নিচের কলার রোগ: খুবই বিরল: ত্বকের প্রতিক্রিয়াসমূহ যেমন- ফুসকুড়ি, চুলকানি, আর্টিক্যারিয়া।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

গর্ভাবস্থায় (গর্ভকালীন অথবা স্থায়ী) অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস শিশুর জন্মগত অস্বাভাবিকতা এবং পেরিন্যাটাল (জন্মের পর এক থেকে চার সপ্তাহ সময়কাল) মৃত্যুহার এর ঝুঁকি বৃদ্ধির সাথে জড়িত। ভ্রুণের বিকলাঙ্গতার ঝুঁকি কমাতে, রোগী গর্ভধারণের পরিকল্পনা করলে এবং গর্ভধারণের সময় মেটফরমিন দিয়ে ডায়াবেটিসের চিকিৎসা নির্দেশিত নয় কিন্তু রক্তের গ্লুকোজের পরিমান যতটা সম্ভব স্বাভাবিকের কাছাকাছি বজায় রাখার জন্য ইনসুলিন প্রয়োগ করতে হবে।

স্তন্যদানকালে: মেটফরমিন মায়ের বুকের দুধের মাধ্যমে নি:সৃত হয়। স্তন্যদানকালে নবজাতকের কোন বিরূপ প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়নি। তবুও যেহেতু এক্ষেত্রে সীমিত তথ্য পাওয়া গেছে তাই মেটফরমিন দিয়ে চিকিৎসা চলাকালে স্তন্যদান নির্দেশিত নয়। স্তন্যদানের উপকারিতা এবং শিশুর উপর সম্ভাব্য বিরূপ প্রতিক্রিয়াসমূহের প্রভাব বিবেচনা করে মা স্তন্যদান বন্ধ রাখবে কিনা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত।

সতর্কতা

মেট এক্স আর কিডনির মাধ্যমে দেহ থেকে ধীরে ধীরে বের হয়। তাই শরীরে মেটফরমিন জমা হওয়া ও ল্যাকটিক এসিডোসিস হওয়ার সম্ভাবনা কিডনির অক্ষমতার মাত্রার উপর নির্ভর করে। মেটফরমিন শরীরে ভিটামিন বি১২ এর পরিমাণ কমায় এবং ইনসুলিন বা ইনসুলিন সিক্রেটোগগ এর সাথে একত্রে ব্যবহারে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।

বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার

বয়স্কদের ক্ষেত্রে: বয়স্কদের ক্ষেত্রে কিডনীর কার্যকারিতা হ্রাসের সম্ভাবনা থাকায় কিডনীর কার্যকারিতার উপর ভিত্তি করে মেটফরমিনের মাত্রা সমন্বয় করা উচিত। সেক্ষেত্রে নিয়মিত কিডনীর কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন।

শিশুদের ক্ষেত্রে: শিশুদের ক্ষেত্রে মেটফরমিন দিয়ে চিকিৎসা শুরুর পূর্বে রোগ নির্নয় করে নিশ্চিত হতে হবে যে, রোগীর টাইপ-২ ডায়াবেটিস মেলাইটাস রয়েছে।

এক বছর ধরে করা নিয়ন্ত্রিত ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং বয়:সন্ধি কালীন বৃদ্ধির উপর মেটফরমিনের কোন প্রভাব পাওয়া যায়নি এবং এই সুনির্দিষ্ট বিষয়ের উপর দীর্ঘমেয়াদী কোন তথ্য নেই। তাই এসব বিষয়ের উপর মেটফরমিন দ্বারা চিকিৎসাধীন শিশুদের বিশেষভাবে বয়:সন্ধি পূর্ববর্তী শিশুদের উপর মেটফরমিনের প্রভাবের একটি নিবিড় পর্যবেক্ষণ নির্দেশিত।

১০ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে: ১০ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে ওষুধটির ব্যবস্থাপত্র দেওয়ার সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন নির্দেশিত।

কিডনীর কার্যকারিতার উপর প্রভাব: যেহেতু মেটফরমিন কিডনী দ্বারা নিঃসৃত হয় তাই চিকিৎসা শুরুর পূর্বেই ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স (ককক্রফট-গল্ট সূত্র ব্যবহার করে রক্তে ক্রিয়েটিনিনের পরিমান থেকে এটি নির্ধারণ করা যাবে) নির্ধারণ করতে হবে এবং তারপর-
  • যেসব রোগীর কিডনীর কার্যকারিতা স্বাভাবিক রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে বছরে কমপক্ষে একবার ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
  • বয়স্ক রোগী এবং যেসব রোগীর ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স মান স্বাভাবিকের নিম্নতম মাত্রায় রয়েছে তাদের বছরে কমপক্ষে দুই থেকে চার বার ক্লিয়ারেন্স পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
বয়স্ক রোগীর ক্ষেত্রে: কিডনীর কার্যকারিতা হ্রাসের ঘটনা প্রায়শই ঘটে এবং তা উপসর্গবিহীন হয়। কিডনীর কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এমন বিষয় যেমন প্রারম্ভিক ভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধ অথবা মুত্রবর্ধক ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করার সময় এবং ব্যথানাশক ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা শুরুর সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

চিকিৎসা শুরুর পূর্বে এবং পরবর্তীর্তে নিয়মিতভাবে জিএফআর পরিমাপ করা উচিৎ। জিএফআর <৩০ মিলি/মিনিট রয়েছে এমন রোগীদের ক্ষেত্রে মেটফরমিন নিষিদ্ধ এবং কিডনীর কার্যকারিতা পরিবর্তন হয় এমন অবস্থার উপস্থিতিতে মেটফরমিন সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা উচিৎ।

মাত্রাধিক্যতা

মেটফরমিন ৮৫ গ্রাম পর্যন্ত সেবনে হাইপোগ্লাইসেমিয়া দেখা যায়নি, যদিও ল্যাকটিক অ্যাসিডোসিস হওয়ার তথ্য আছে। এক্ষেত্রে ল্যাকটিক অ্যাসিডোসিস এর চিকিৎসা করা জরুরি এবং রোগীকে জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করা উচিত। ল্যাকটেট এবং মেটফরমিন অপসারণের সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হিমোডায়ালাইসিস।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Biguanides

সংরক্ষণ

আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, ৩০° সেঃ তাপমাত্রার নীচে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
Pack Image of Met XR 1000 mg Tablet Pack Image: Met XR 1000 mg Tablet