2 ml ampoule:
৳ 9.00
(2 x 5: ৳ 90.00)
Also available as:
নির্দেশনা
ফ্রুসিন নিম্নোক্ত উপসর্গে নির্দেশিত-
- দীর্ঘ মেয়াদী কনজেস্টিভ কার্ডিয়াক ফেইলিওরের (হৃদযন্ত্রের অকার্যকারিতায়) কারণে শরীরে পানি জমা হলে (যদি মূত্রবর্ধনকারী ওষুধের দরকার হয়)।
- তীব্র কনজেস্টিভ কার্ডিয়াক ফেইলিওরের (হৃদযন্ত্রের অকার্যকারিতায়) কারণে শরীরে পানি জমা হলে
- দীর্ঘমেয়াদী কিডনী রোগের কারণে শরীরে পানি জমা হলে।
- তীব্র কিডনী ফেইলিওরের (অকার্যকারিতার) কারণে শরীরে পানি জমা হলে তার সাথে গর্ভাবস্থায় বা শরীর পুড়ে যাবার কারণেও হতে পারে সেক্ষেত্রে সেই পানি নি:সরণে সহায়ক হিসাবে।
- নেফ্রেটিক সিন্ড্রোম (কিডনী রোগের কারণে মূত্রের সাথে অধিক পরিমানে প্রোটিন নির্গত হওয়া) এর ফলে শরীরে পানি জমা হলে (যদি মূত্রবর্ধনকারী ওষুধের দরকার হয়)।
- যকৃতের রোগের ফলে শরীরে পানি জমা হলে (যদি এ্যালডোস্টেরন এ্যাণ্টাগোনিস্টস এর সাথে সম্পূরক চিকিৎসার প্রয়োজন হয়)।
- উচ্চরক্তচাপ
- উচ্চরক্তচাপ জনিত সংকটে সহায়ক চিকিৎসা হিসেবে।
- ফোর্সড ডায়ুরেসিস এর সহায়ক হিসাবে।
ফার্মাকোলজি
ফিউরোসেমাইড একটি মনোসালফোনাইল ডায়ুরেটিক। এটি একটি কার্যকরী ডায়ুরেটিক যা কম গ্লোমেরুলার ফিলট্রেশন রেট (জিএফআর) এর ক্ষেত্রেও কার্যকরী। বৃক্কীয় নালিকার কার্যকারিতার উপর ফিউরোসেমাইড এর স্বতন্ত্র ভূমিকা আছে। এটি অন্যান্য ডায়ুরেটিকের চেয়ে সর্বোচ্চ ডায়ুরেসিসে সক্ষম। অন্যান্য বৈশিষ্ট্য সমূহের মধ্যে: (১) দ্রুত কার্যকারীতার সূত্রপাত ঘটায় (২) লুপ অব হেনলীর উর্ধমুখী নালিকার সোডিয়াম এবং ক্লোরাইড আয়নের পরিবহনে বাঁধা দান করে (৩) অম্ল-ক্ষারকের ভারসাম্যের পরিবর্তনের সাথে এর কার্যকারীতা সম্পর্কযুক্ত নয়। ফিউরোসেমাইড প্রধাণত লুপ অব হেনলীর ঊর্ধ্বমুখী পুরু অংশে ইলেকট্রোলাইট পরিশোধনে বাঁধা দান করে। ফিউরোসেমাইড পরিপাকতন্ত্র থেকে সহজেই শোষিত হয় এবং উল্লেখযোগ্য পরিমাণ প্লাজমা প্রোটিনের সাথে সংযুক্ত থাকে। এটি মুত্রের মাধ্যমে দ্রুত নিঃসৃত হয়। শিরাপথে প্রয়োগের পরে এর কার্যকারিতা ৫ মিনিটের মধ্যে পরিলক্ষিত হয় যা ২ ঘন্টা পর্যন্ত বজায় থাকে।
মাত্রা ও সেবনবিধি
ফিউরোসেমাইড ৪০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট-
ইডিমা-
ইডিমা-
- প্রাপ্তবয়স্ক: প্রারম্ভিক দৈনিক মাত্রা ৪০ মি.গ্রা. যার মাত্রা পরে কমিয়ে প্রতিদিন ২০ মি.গ্রা. অথবা ১ দিন পরপর ৪০ মি.গ্রা. করে সেবন করা যায়। কিছু রোগীদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন ৮০ মি.গ্রা. বা তদুর্ধ (ভাগ করা মাত্রা) মাত্রার প্রয়োজন হতে পারে। রেসিস্ট্যান্ট ইডিমার ক্ষেত্রে দৈনিক মাত্রা ৮০-১২০ মি.গ্রা.। তীব্র ইডিমায় আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে যদি ফিউরোসেমাইডের মাত্রা দৈনিক ৮০ মি.গ্রা. এর বেশি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা হয় তখন রোগীকে সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষনের মধ্যে রাখতে হবে।
- শিশু (নবজাতক): ০.৫-২ মি.গ্রা./কেজি দেহ ওজনে ১২-২৪ ঘন্টা অন্তর (রজঃস্রাব পরবর্তী বয়স যদি ৩১ সপ্তাহের কম হয় তবে ২৪ ঘন্টা অন্তর ব্যবহার করতে হবে)
- ১ মাস-১২ বছর বয়সের শিশু: ০.৫-২ মি.গ্রা./কেজি দেহ ওজনে (রজঃস্রাব পরবর্তী বয়স যদি ৩১ সপ্তাহের কম হয় তবে ২৪ ঘন্টা অন্তর ব্যবহার করতে হবে)। রেসিস্ট্যান্ট ইডিমার ক্ষেত্রে উচ্চতর মাত্রার দরকার হতে পারে; প্রতি দিন সর্বোচ্চ ১২ মি.গ্রা. প্রতি কেজি দেহ ওজনে ব্যবহার করা যেতে পারে, দৈনিক মাত্রা ৮০ মি.গ্রা. অতিক্রম করা যাবে না।
- ১২-১৮ বছরের শিশু: প্রতিদিন ২০-৪০ মি.গ্রা., রেসিস্ট্যান্ট ইডিমার ক্ষেত্রে মাত্রা বৃদ্ধি করে প্রতিদিন ৮০-১২০ মি.গ্রা. ব্যবহার করা যেতে পারে।
- বয়ঃবৃদ্ধ: ফিউরোসেমাইড বয়ঃবৃদ্ধ রোগীদের ক্ষেত্রে খুব ধীরে ধীরে শরীর থেকে নির্গত হয়। পর্যাপ্ত প্রতিক্রিয়া না পাওয়া পর্যন্ত মাত্রা পরিবর্তন করে সেবন করা উচিত।
- প্রাপ্তবয়স্ক: সাধারণত উচ্চরক্তচাপের ক্ষেত্রে ফিউরোসেমাইড এর প্রারম্ভিক মাত্রা ৮০ মি.গ্রা. যা প্রতিদিন ২টি বিভক্ত মাত্রায় সেবন করা যেতে পারে। প্রতিক্রিয়া অনুসারে মাত্রা নির্ধারণ করা উচিত। প্রতিক্রিয়া সন্তোষজনক না হলে অন্যান্য উচ্চরক্তচাপ প্রশমনকারী ওষুধ সংযোজন করা যেতে পারে।
- শিশু: শিশুদের ক্ষেত্রে সাধারণ মাত্রা ১-৩ মি.গ্রা. প্রতি কেজি দেহ ওজনে যা দৈনিক সর্বোচ্চ ৪০ মি.গ্রা. পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
- বয়ঃবৃদ্ধ: ফিউরোসেমাইড বয়ঃবৃদ্ধ রোগীদের ক্ষেত্রে খুব ধীরে ধীরে শরীর থেকে নির্গত হয়। পর্যাপ্ত প্রতিক্রিয়া না পাওয়া পর্যন্ত মাত্রা পরিবর্তন করে সেবন করা উচিত।
ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া
যখন ফ্রুসিন এসিই ইনহিবিটর এর সাথে ব্যবহার করা হয় তখন রক্তচাপ আশঙ্কাজনকভাবে কমে যেতে পারে। লিথিয়াম ফ্রুসিন এর সাথে ব্যবহার করলে রক্তরসে লিথিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যায়। নেফ্রোনের জন্য বিষাক্ত এন্টিবায়োটিকের সাথে ফ্রুসিনের ব্যবহার এন্টিবায়োটিকের বিরূপ প্রতিক্রিয়া বেড়ে যেতে পারে।
প্রতিনির্দেশনা
ফিউরোসেমাইড অ্যানুরিয়া, ইলেকট্রোলাইট এর অভাবে এবং প্রি-কমাটোজ স্টেটস সম্পর্কিত লিভার সিরোসিস এর ক্ষেত্রে প্রতিনির্দেশিত। যাদের ফিউরোসেমাইড অথবা সালফোনেমাইড এর প্রতি হাইপারসেনসিটিভিটি রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ফিউরোসেমাইড প্রতিনির্দেশিত।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
অন্যান্য ডায়ুরেটিকের সাথে দীর্ঘসময় ধরে ফ্রুসিন ব্যবহারের ফলে ইলেকট্রোলাইট ও পানির ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে অ্যালকালোসিস হতে পারে । ফ্রুসিন ইউরিক এসিডের নিঃসরণে বাধা দিতে পারে এবং কদাচিত তীব্র গেটে বাতের সৃষ্টি করে। ফ্রুসিন রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি এবং মূত্রে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়াতে পারে।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
পালমোনারী ইডিমা জনিত কার্ডিওজেনিক শক্ এর ক্ষেত্রে এবং গর্ভবতী মায়েদের প্রথম ৩ মাসের মধ্যে ফিউরোসেমাইড সাবধানতার সাথে ব্যবহার করতে হবে। ইলেকট্রোলাইট অভাবজনিত রোগীদের সাবধানতার সাথে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। স্তন্যদানকারী মায়েদের ফিউরোসেমাইড ব্যবহারে দুগ্ধ নিঃসরণ বন্ধ হতে পারে অথবা মাতৃদুগ্ধে ফিউরোসেমাইড নিঃসৃত হতে পারে। সেক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে।
সতর্কতা
প্রোস্ট্যাটিক হাইপারট্রফি রোগীদের একিউট রিটেনশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। যখন এসিই ইনহিবিটারগুলি ফ্রুসিন থেরাপিতে যুক্ত করা হয় তখন রক্তচাপের একটি উল্লেখযোগ্য পতন দেখা যায়। নেফ্রোটক্সিক অ্যান্টিবায়োটিকের বিষাক্ত প্রভাবে এ জাতীয় ফ্রুসিনের মতো শক্তিশালী মূত্রবর্ধকগুলির সহকারী প্রশাসন দ্বারা বাড়ানো যেতে পারে।
গাড়ি চালানো ও অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ কাজ সম্পাদনার উপর প্রভাব: কিছু বিরূপ প্রতিক্রিয়া যেমন- অনাকাঙ্খিত হঠাৎ নিম্নরক্তচাপ রোগীর মনোযোগ ও প্রতিক্রিয়ার সামর্থ্য কমিয়ে দেয়। এ কারণে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হয় এমন পরিস্থিতিতে (যেমন: গাড়ি অথবা যন্ত্রপাতি চালানো) ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে।
গাড়ি চালানো ও অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ কাজ সম্পাদনার উপর প্রভাব: কিছু বিরূপ প্রতিক্রিয়া যেমন- অনাকাঙ্খিত হঠাৎ নিম্নরক্তচাপ রোগীর মনোযোগ ও প্রতিক্রিয়ার সামর্থ্য কমিয়ে দেয়। এ কারণে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হয় এমন পরিস্থিতিতে (যেমন: গাড়ি অথবা যন্ত্রপাতি চালানো) ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে।
মাত্রাধিক্যতা
মাত্রারিক্ততা: লক্ষণ এবং উপসর্গসমূহ ইলেক্ট্রোলাইট (শরীরে প্রয়োজনীয় খনিজ লবন) এবং ফ্লুইড (তরলের) ঘাটতির পরিমাণ এবং এর ফলে সৃষ্ট পরিণতির উপর নির্ভর করে মাত্রারিক্ততার লক্ষণ এবং উপসর্গসমূহ প্রকাশ পায় যেমন- হাইপোভলেমিয়া (রক্তশুন্যতা), পানিশূন্যতা, রক্তের ঘনত্ব, অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন (এভি বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং ভেন্ট্রিফুলার ফিব্রিলেশন)।
ব্যবস্থাপনা: ফ্রুসিনের কোন ধরনের সুনিদৃষ্ট অ্যান্টিডোট (প্রতিষেধক) জানা নাই। দূর্ঘটনাবশত কেউ গ্রহণ করে ফেললে দ্রুত গ্যাষ্ট্রিক ল্যাভেজ (পাকস্থলি ধৌত করা) করানো অথবা এর শোষণ কমাতে পরিকল্পিত প্রতিরোধক ব্যবস্থা গ্রহণ উচিত যেন ওষুধটি রক্তে না পৌছায় (যেমন- এ্যাকটিভেটেড চারকোলের মাধ্যমে অপসারণ)।
ব্যবস্থাপনা: ফ্রুসিনের কোন ধরনের সুনিদৃষ্ট অ্যান্টিডোট (প্রতিষেধক) জানা নাই। দূর্ঘটনাবশত কেউ গ্রহণ করে ফেললে দ্রুত গ্যাষ্ট্রিক ল্যাভেজ (পাকস্থলি ধৌত করা) করানো অথবা এর শোষণ কমাতে পরিকল্পিত প্রতিরোধক ব্যবস্থা গ্রহণ উচিত যেন ওষুধটি রক্তে না পৌছায় (যেমন- এ্যাকটিভেটেড চারকোলের মাধ্যমে অপসারণ)।
থেরাপিউটিক ক্লাস
Loop diuretics
সংরক্ষণ
আলো থেকে দূরে রাখুন। মেয়াদ উত্তীর্ণের পর ব্যবহার করবেন না। সকল ওষুধ শিশুদের হাতের নাগালের বাইরে রাখুন। শুধুমাত্র রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী বিতরণযোগ্য।