নির্দেশনা

ইবার্ন ক্রিম নিম্নোক্ত উপসর্গে নির্দেশিত-
  • পোড়ার ক্ষতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে প্রতিরোধক হিসেবে দেহের বহিরাংশে ব্যবহৃত হয়।
  • পোড়ার ক্ষত ব্যতীত অন্য নির্দিষ্ট ধরনের ক্ষত্রে যেখানে সংক্রমণ হতে পারে সেক্ষেত্রে জীবাণুরোধী হিসেবে দেহের বহিরাংশে ব্যবহৃত হয়।

মাত্রা ও সেবনবিধি

অগ্নিদগ্ধ ক্ষতটি ভালভাবে পরিষ্কার করে দিনে এক থেকে দুবার প্রায় ১/১৬ ইঞ্চি বা ১.৫ মি.মি. পুরুত্বের প্রলেপ দিতে হবে। ত্বকটিতে সব সময় সিলভার সালফাডায়াজিন ক্রিম লাগিয়ে রাখতে হবে। যদি কোন কারনে ক্ষত স্থান হতে ক্রীম সরে যায়, তবে সেখানে পুনরায় সিলভার সালফাডায়াজিন ক্রিম প্রয়োগ করতে হবে। রোগী যদি ড্রেসিং ব্যবহার করতে চায় তবে সেক্ষেত্রে তা ব্যবহার করা যাবে। ক্ষতের সন্তোষজনক ক্ষয়পূরণ বা গ্রাফটিং করা যাবে এমন অবস্থায় না আসা পর্যন্ত এই ক্রিম প্রয়োগ করতে হবে।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

ইবার্নের সাথে এনজাইম্যাটিক ডেব্রিডিং এজেন্ট, ওরাল হাইপোগ্লাইে সমিক ওষুধ, ফেনিটোইন এবং সিমিটিডিনের পারষ্পরিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়।

প্রতিনির্দেশনা

যারা সিলভার সালফাডায়াজিনে ব্যবহৃত কোন উপাদানের প্রতি অতি সংবেদণশীল তাদের ক্ষেত্রে ইহা নির্দেশিত নয়। গর্ভবতী মা (যারা বিশেষ করে সন্তান প্রসবের সময়ে পৌঁছেছে), অকালিক ভূমিষ্ট শিশু, সদ্য ভূমিষ্ট শিশু যাদের বয়স ২ মাসের নীচে তাদের ক্ষেত্রে সিলভার সালফাডায়াজিন নির্দেশিত নয়।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে ক্ষনস্থায়ী লিউকোপেনিয়ার রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া কিছু কিছু ক্ষেত্রে ত্বকের নেক্রোসিস, ইরাইথিমা মাল্টিফর্ম, ত্বকের অবর্ননীয়তা, জ্বলার অনুভূতি, র‌্যাশ এবং আন্তঃকোষীয় নেফ্রাইটিস দেখা দিতে পারে।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

সিলভার সালফাডায়াজিন-এর প্রেগ্‌ন্যান্সি ক্যাটাগরী হচ্ছে বি। গর্ভাবস্থায় বিশেষ করে প্রসব দানের সময়কালে কেবল মাত্র বিশেষ বিবেচনায় ব্যবহার করতে হবে। সিলভার সালফাডায়াজিন মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয় কিনা তা জানা যায় নাই। তবুও যেহেতু সালফোনামাইড সমূহ মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয় সেহেতু স্তন্যদানকালীন সময়ে ওষুধটি বিশেষ প্রয়োজন বিবেচনায় ব্যবহার করতে হবে।

সতর্কতা

সাধারনঃ যকৃৎ ও বৃক্কের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হলে ওষুধটির নিষ্কাষন কমে যায, ফলে দেহে এর সঞ্চয়ন বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে চিকিৎসায় সুফল বিবেচনা করে ওষুধ বন্ধ বা চালিয়ে যেতে হবে। ত্বকীয় আমিষ বিশেষক এনজাইমের সাথে ব্যবহার করলে, ইবার্ন এন্‌জাইমের কার্যকারিতা নষ্ট করতে পারে।

ল্যাবরেটরী পরীক্ষাঃ শরীরের অনেক অংশ পুড়ে গেলে সেক্ষেত্রে ইবার্ন ব্যবহার করলে প্রাপ্ত বয়ষ্কদের ক্ষেত্রে সিরাম সালফা মাত্রা থেরাপিউটিক লেভেল ৪ মি.গ্রা.% হতে ১২ মি.গ্রা. % পৌঁছে। এ সময় রোগীর সিরাম সালফা মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে। তাছাড়া রেনাল কার্যক্রম সতর্কভাবে পর্যবেক্ষন এবং মূত্রে সালফা ক্রিষ্টাল আছে কিনা দেখতে হবে।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Topical Antibiotic preparations

সংরক্ষণ

আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, ৩০° ডিগ্রী সেঃ তাপমাত্রার নীচে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
Thanks for using MedEx!
How would you rate your experience so far?