Unit Price: ৳ 10.00 (5 x 10: ৳ 500.00)
Strip Price: ৳ 100.00

নির্দেশনা

প্রোপাইলথায়োইউরাসিল নিম্নোক্তো উপসর্গে নির্দেশিতঃ
  • যেসব রোগীদের গ্রেভস' ডিজিস এর সাথে হাইপারথাইরয়েডিজম অথবা বিষাক্ত মাল্টিনডুলার গলগণ্ড রয়েছে, যারা মেথিমাজল এর প্রতি অসহিষ্ণু এবং যাদের জন্য শল্যচিকিৎসা অথবা তেজস্ক্রিয় আয়োডিন চিকিৎসা উপযুক্ত নয়।
  • যারা মেথিমাজল এর প্রতি অসহিষ্ণু এবং হাইপারথাইরয়েডিজম এর উপসর্গ সমূহ উপশমের জন্য যারা থাইরয়েড গ্রন্থির অপসারণ বা তেজস্ক্রিয় আয়োডিন চিকিৎসা নিতে যাচ্ছেন।

ফার্মাকোলজি

প্রোপাইলথায়োইউরাসিল থাইরয়েড হরমোনের সংশ্লেষণে বাঁধা দেয় এবং তাই এটি হাইপারথাইরয়েডিজমের চিকিৎসায় নির্দেশিত। এটি থাইরয়েডে সংরক্ষিত অথবা রক্তে পরিভ্রমণকারী থাইরক্সিন ও ট্রাইআয়োডোথাইরোনিনকে নিষ্ক্রিয় করে না এবং এটি মুখে অথবা ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগকৃত থাইরয়েড হরমোনের কার্যকারিতায়ও হস্তক্ষেপ করে না। প্রোপাইলথায়োইউরাসিল প্রান্তীয় কলায় থাইরক্সিন থেকে ট্রাইআয়োডোথাইরোনিন এর রুপান্তরে বাঁধা দেয় আর তাই এটি থাইরয়েড স্টরমের চিকিৎসায় কার্যকর।

মাত্রা ও সেবনবিধি

প্রোপাইলথায়োইউরাসিল মুখে সেব্য। দৈনিক মোট সেবনের মাত্রা ৮ ঘণ্টা অন্তর তিন ভাগে সেবন করতে হয়।

প্রাপ্তবয়স্কদের: দৈনিক প্রারম্ভিক সেবন মাত্রা হল ৩০০ মি.গ্রা.। যেসব রোগীর তীব্র হাইপারথাইরয়েডিজম, অনেক বড় গলগণ্ড বা উভয়ই রয়েছে তাদের দৈনিক প্রারম্ভিক সেবন মাত্রা ৪০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে; একজন অনিয়মিত রোগীর প্রাথমিক অবস্থায় ৬০০ থেকে ৯০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত প্রয়োজন হতে পারে।

শিশুদের: বিরল অবস্থা ছাড়া যখন অন্য বিকল্প চিকিৎসা উপযুক্ত নয়, প্রোপাইলথায়োইউরাসিল সাধারণত শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করা হয় না। শিশুদের জন্য উপযুক্ত মাত্রা মূল্যায়ন করে কোনও সমীক্ষা করা হয় নি, যদিও সাধারণ অনুশীলন এর ক্ষেত্রে ৬ বছর ও তার বেশী বয়সের রোগীদের চিকিৎসার শুরুতে দৈনিক ৫০ মি.গ্রা. মাত্রা দিয়ে সতর্কভাবে প্রতিক্রিয়া অনুযায়ী টিএসএইচ ও মুক্ত টি৪ পর্যবেক্ষণ করে ঊর্ধ্বমুখী মাত্রা সমন্বয় করতে হবে।

বৃদ্ধদের: প্রকাশিত ক্লিনিক্যাল অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বৃদ্ধ এবং কম বয়সের রোগীদের মধ্যে প্রতিক্রিয়ার ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয় নি। সাধারণভাবে বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে মাত্রা নির্ধারণের সময় ক্ষয়প্রাপ্ত যকৃত, বৃক্ক অথবা হৃদপিণ্ড এর কার্যকারিতা, সহগামী রোগ অথবা অন্যান্য সেবনকৃত ওষুধের সতর্কতার সাথে বিবেচনা করতে হবে।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

ওষুধের সাথে: এন্টিকোয়াগুলেন্ট (মুখে সেব্য)- যেহেতু প্রোপাইলথায়োইউরাসিল ভিটামিন এর কার্যকারিতায় বাঁধা দেয়, তাই মুখে সেব্য এন্টিকোয়াগুলেন্ট (যেমনঃ ওয়ারফারিন) কার্যকারিতা বৃদ্ধি পেতে পারে; PT/INR এর অতিরিক্ত পর্যবেক্ষণ করতে হবে, বিশেষ করে শল্যচিকিৎসার পূর্বে।

বিটা-অ্যাড্রেনারজিক ব্লকিং উপাদান- হাইপারথাইরয়েডিজমের ফলে বিটা ব্লকার গুলোর নিষ্কাশন আনুপাতিকভাবে বেড়ে যেতে পারে। হাইপারথাইরয়েড রোগী যখন ইউথাইরয়েড হয়ে যাবে তখন বিটা ব্লকার এর মাত্রা কমাতে হবে।

ডিজিটালিস গ্লাইকোসাইডস- হাইপারথাইরয়েড রোগী যখন একটি স্থির ডিজিটালিস গ্লাইকোসাইডস সেবনরত অবস্থায় ইউথাইরয়েড হয়ে যাবে তখন রক্তে ডিজিটালিস এর মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, তাই ডিজিটালিস গ্লাইকোসাইডস এর মাত্রা কমাতে হতে পারে।

থিওফাইলিন- হাইপারথাইরয়েড রোগী যখন একটি স্থির থিওফাইলিন সেবনরত অবস্থায় ইউথাইরয়েড হয়ে যাবে তখন থিওফাইলিন এর নিষ্কাশন কমে যেতে পারে, তাই থিওফাইলিন এর মাত্রা কমাতে হতে পারে।

খাবারের সাথে: প্রোপাইলথায়োইউরাসিল এর ক্ষেত্রে এমন কোনও নির্দিষ্ট খাদ্য নেই যা এই ওষুধ সেবন কালে রোগীকে খাবার তালিকা থেকে বর্জন করতে হবে।

প্রতিনির্দেশনা

প্রোপাইলথায়োইউরাসিল বা এর যে কোন উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীলতার ক্ষেত্রে এটি প্রতিনির্দেশিত।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

সাধারণ: ফুসকুড়ি, ছুলি, চুলকান, অস্বাভাবিক চুল পড়া, ত্বকের রঙ্গকতা, ফুলা, বমি বমি ভাব, বমি, পাকস্থলীর পীড়া, স্বাদ হ্রাস, অস্থি সন্ধিতে ব্যথা, পেশির ব্যথা, প্যারেস্থেসিয়া এবং মাথা ব্যথা, শ্বেত রক্ত কণিকা হ্রাস, অ্যাগ্রেনুলোসাইটোসিস, যকৃতে প্রদাহ, যকৃতের অকৃতকার্যতা।

বিরল: অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানেমিয়া, ওষুধজনিত জ্বর, লুপাস সদৃশ উপসর্গ, যকৃতের তীব্র প্রতিক্রিয়া, পেরিআর্টেরাইটিস, হাইপোপ্রোথ্রোম্বেনেমিয়া, থ্রোম্বোসাইটোপেনিয়া এবং রক্ত ক্ষরণ বৃক্কে প্রদাহ, ফুসফুসে প্রদাহ, রক্ত নালীর প্রদাহ এবং প্রদাহ জনিত পেশীর দুর্বলতা।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

প্রোপাইলথায়োইউরাসিল প্লাসেন্টা অতিক্রম করতে পারে এবং ভ্রূণের গলগণ্ড ও হাইপারথাইরয়েডিজম ঘটাতে পারে। মায়ের প্রয়োজনীয়তা ও ভ্রূণের ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে সম্ভাব্য সর্বনিম্ন মাত্রা প্রয়োগ করতে হবে। প্রোপাইলথাইয়োইউরাসিল মাতৃদুগ্ধে অল্প পরিমাণে তাই মাতৃদুগ্ধ দানকালে এই ওষুধ সেবন করা হলে নবজাতক শিশুর অগ্রগতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

সতর্কতা

অ্যাগ্রেনুলোসাইটোসিস এর ঝুঁকির কারণে রোগীদের সতর্ক করতে হবে যদি গলা ব্যথা, জ্বর, মুখে ঘা, অসুস্থতা, অনির্দিষ্ট অসুস্থতা বা অন্য কোনও সংক্রমণ এর উপসর্গ দেখা দিলে তারা যেন দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। যদি নিউট্রোপেনিয়া এর ক্লিনিক্যাল বা পরীক্ষাগারে প্রমান পাওয়া যায় তবে সম্পূর্ণ রক্তের গণনা করতে হবে এবং চিকিৎসা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। থায়োসিল হাইপোপ্রোথ্রোম্বিনেমিয়া এবং রক্তক্ষরণ ঘটাতে পারে তাই চিকিৎসার সময় প্রোথ্রোম্বিন টাইম পর্যবেক্ষণ করতে হবে, বিশেষকরে শল্যচিকিৎসার পূর্বে। প্রোপাইলথাইয়োউরাসিল ব্যবহারের ফলে বয়স্ক ও শিশু উভয়ের ক্ষেত্রেই যকৃতে তীব্র প্রতিক্রিয়ার কিছু ঘটনা দেখা গিয়েছে, যা ছিল প্রাণনাশক এবং যেখানে যকৃত প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন পড়েছিল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যকৃতে প্রতিক্রিয়া ৬ মাসের মধ্যে দেখা দেয়। যদি প্রোপাইলথায়োইউরাসিল ব্যবহারের ফলে যকৃতের এনজাইমের উল্লেখযোগ্য অস্বাভাবিকতা দেখা দেয় তবে অবিলম্বে ওষুধ সেবন বন্ধ করতে হবে। যেসকল রোগীর বৃক্কে অকার্যকারিতা বা যকৃতে ব্যাধি রয়েছে তাদের থায়োসিল সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে।

বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার

শিশু ও কিশোর রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার: যারা মেথিমাজল এর প্রতি অসহিষ্ণু এবং যাদের জন্য শল্যচিকিৎসা অথবা তেজস্ক্রিয় আয়োডিন চিকিৎসা উপযুক্ত নয়, এরূপ বিরল অবস্থা ছাড়া প্রোপাইলথায়োইউরাসিল শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য নির্দেশিত নয়। শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হলে পিতামাতা ও রোগীকে যকৃতের অকৃতকার্যতা সম্পর্কে অবগত করতে হবে।

মাত্রাধিক্যতা

প্রোপাইলথায়োইউরাসিল অত্যধিক মাত্রায় ব্যবহারের উপসর্গ সমূহ হতে পারে বমি বমি ভাব, বমি, পাকস্থলীর পীড়া, মাথা ব্যথা, জ্বর, অস্থি সন্ধিতে ব্যথা, চুলকান, ফুলা এবং রক্ত কনিকার হ্রাস। অ্যাগ্রোনুলোসাইটোসিস হল প্রোপাইলথায়োইউরাসিল এর বিষক্রিয়ার সবচেয়ে তীব্র বিরূপ প্রভাব। অত্যধিক মাত্রার ক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা অনুযায়ী উপযুক্ত সহায়ক চিকিৎসার ব্যাবস্থা করতে হবে।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Thyroid drugs & hormone

সংরক্ষণ

সংরক্ষণ আলো থেকে দূরে, শুষ্ক ও ঠাণ্ডা স্থানে (৩০° সেঃ তাপমাত্রার নিচে) রাখুন। সকল ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।