60 mcg pre-filled syringe:
৳ 5,505.00
Also available as:
নির্দেশনা
ডিপইটিন নিম্নলিখিত কারণে সৃষ্ট অ্যানিমিয়ার চিকিৎসায় নির্দেশিত:
- ক্রণিক কিডনী ডিজিজে আক্রান্ত রোগীদের অ্যানিমিয়ার চিকিৎসায় (ডায়ালাইসিস এবং নন-ডায়ালাইসিস উভয় ক্ষেত্রে)।
- ননমাইলোয়েড জটিলতার কারণে অ্যানিমিয়ায়, যেখানে কেমোথেরাপী ব্যবহারের কারণে অ্যানিমিয়ার উৎপত্তি হয়।
ফার্মাকোলজি
ডার্বেপোয়েটিন আলফা একটি ইরাইথ্রোপোয়েসিস স্টিমুলেটিং প্রোটিন যা রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ প্রযুক্তির মাধ্যমে চাইনিজ হ্যামস্টারের ডিম্বাশয় থেকে উৎপন্ন হয়। এটি একটি ১৬৫-অ্যামিনো এসিড যা রিকম্বিনেন্ট হিউম্যান ইরাইথ্রোপোয়েটিন থেকে ভিন্ন; এতে ৫ টি N-লিংকড অলিগোস্যাকারাইড চেইন রয়েছে যেখানে রিকম্বিনেন্ট হিউম্যান ইরাইথ্রোপোয়েটিনে ৩টি চেইন রয়েছে। ইরাইথ্রোপয়েটিন পেপটাইড ব্যাকবোনে অ্যামিনো এসিড প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে ২ টি অতিরিক্ত N-গ্লাইকোসাইলেশন সাইট পাওয়া যায়।
ঔষধের মাত্রা
ক্রনিক রেনাল ফেইলিওরজনিত অ্যানিমিয়ার চিকিৎসায়: হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ১২ গ্রাম/ডে.লি. (৭.৫ মি.মোল/লিটার) পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য ডার্বেপোয়েটিন আলফা সাবকিউটেনিয়াস বা আইভি পথে প্রয়োগ করা উচিত। ডার্বেপোয়েটিন আলফা দ্বারা চিকিৎসা দুই পর্যায়ে বিভক্ত; সংশোধন এবং মেইনটেনেন্স।
ক্রনিক রেনাল ফেইলিওরে আক্রান্ত প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে:
সংশোধন পর্যায়:
ক্রনিক রেনাল ফেইলিওরে আক্রান্ত প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে:
- সংশোধন পর্যায়: প্রারম্ভিক মাত্রা ০.৪৫ মাইক্রোগ্রাম/কেজি হিসেবে সপ্তাহে একবার সাবকিউটেনিয়াস বা আইভি পথে প্রয়োগ করতে হবে। বিকল্প হিসেবে যে সমস্ত রোগীর ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয় না তাদের ক্ষেত্রে প্রারম্ভিক মাত্রা ০.৭৫ মাইক্রোগ্রাম/কেজি প্রতি দুই সপ্তাহে বা ১.৫ মাইক্রোগ্রাম/কেজি মাসে একবার সাবকিউটেনিয়াস পথে দেয়া যাবে।
- ডায়ালাইসিসের রোগীদের ক্ষেত্রে ডার্বেপোয়েটিন আলফা সপ্তাহে একবার বা দুই সপ্তাহে একবার চলমান রাখা যেতে পারে। যে সমস্ত ডায়ালাইসিসের রোগীদের ডোজ সপ্তাহে একবার থেকে দুই সপ্তাহে একবার এ পরিবর্তন করা হয় তাদের ক্ষেত্রে প্রারম্ভিকভাবে ডার্বেপোয়েটিন আলফা এর মাত্রা পূর্ববতীর্ সাপ্তাহিক মাত্রার দ্বিগুন প্রয়োগ করতে হবে।
- যে সমস্ত রোগীর ডায়ালাইসিস প্রয়োজন হয় না তাদের ক্ষেত্রে ডার্বেপোয়েটিন আলফা একটি ইঞ্জেকশন সপ্তাহে একবার, দুই সপ্তাহে একবার বা মাসে একবার হিসেবে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
সংশোধন পর্যায়:
- ১ বছর বা তদূর্দ্ধ বয়সী বাচ্চাদের ক্ষেত্রে প্রারম্বিক মাত্রা: ০.৪৫ মাইক্রোগ্রাম/কেজি হিসেবে সপ্তাহে একবার সাবকিউটেনিয়াস বা ইন্ট্রাভেনাস পথে প্রয়োগ করতে হবে অথবা
- যে সমস্ত রোগীদের ডায়ালাইসিস হচ্ছে না তাদের ক্ষেত্রে প্রারম্ভিক মাত্রা ০.৭৫ মাইক্রোগ্রাম/কেজি হিসেবে সাবকিউটেনিয়াস পথে প্রতি দুই সপ্তাহে একবার প্রয়োগ করা যেতে পারে।
- ১ বছর বা তদূর্দ্ধ বয়সী বাচ্চাদের ক্ষেত্রে মেইনটেইনেন্স থেরাপী হিসেবে ডার্বেপোয়েটিন আলফা প্রতি এক বা দুই সপ্তাহ পরপর একবার প্রয়োগ করা যেতে পারে।
- ৬ বছরের নীচে বাচ্চাদের হিমোগ্লোবিনের উচ্চতর মেইনটেনেন্স মাত্রার প্রয়োজন হতে পারে।
- ১১ বছরের বেশী বয়সী যাদের ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয় না তাদের প্রতি দুই সপ্তাহে একবার ডার্বেপোয়েটিন আলফা প্রয়োগের পর হিমোগ্লোবিনের লক্ষ্য অর্জিত হলে সাবকিউটেনিয়াস পথে মাসে একবার করে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
সেবনবিধি
- ঝাঁকাবেন না। ডার্বেপোয়েটিন আলফা ঝাঁকানো বা হিমায়িত করে ব্যবহার করবেন না।
- প্রি-ফিল্ড সিরিঞ্জটি আলো হতে দূরে রাখুন।
- সরাসরি রক্তে প্রয়োগকৃত ওষুধ সমূহের ক্ষেত্রে, রক্তে প্রয়োগের পূর্বে ওষুধ সমূহে কোন প্রকার বলুকণা আছে কিনা অথবা রং পরিবর্তন হয়েছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করে নেয়া উচিত।
- ডার্বেপোয়েটিন আলফা এর অব্যবহৃত অংশ ফেলে দেয়া উচিত।
- ডার্বেপোয়েটিন আলফা এর দ্রবণ লঘু করা উচিত নয় বা অন্য কোন ওষুধের দ্রবণের সাথে এক সাথে ব্যবহার করা যাবে না।
প্রতিনির্দেশনা
- অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ
- পিউর রেড সেল এ্যাপ্লাসিয়া
- মারাত্নক অ্যালার্জিক বিক্রিয়া
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
উচ্চরক্তচাপ, স্ট্রোক, কাঁপুনি, অ্যালাজি, ফুসকুড়ি এবং পিউর রেড সেল এ্যাপ্লাসিয়া।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
প্রেগনেন্সী ক্যাটেগরী সি। ডার্বেপোয়েটিন মাতৃদুগ্ধের সাথে নিঃসৃত হয় কিনা তা জানা যায়নি। স্তন্যদানকালে ডার্বেপোয়েটিন সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত।
সতর্কতা
অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ, মৃগীরোগ, পিউর রেড সেল এ্যাপ্লাসিয়া বা ডার্বেপোয়েটিনের প্রতি অতিসংবেদনশীলতার ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত।
মাত্রাধিক্যতা
ডিপইটিন এর মাত্রাধিক্যের কারণে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা নির্দেশিত লক্ষ্যমাত্রার থেকে বেশী হয়ে যেতে পারে যা ডার্বেপোয়েটিনের মাত্রা কমানো বা বন্ধ করার মাধ্যমে অথবা ফ্লেবোটোমির মাধ্যমে ঠিক করা যেতে পারে।
থেরাপিউটিক ক্লাস
Haematopoietic Agents
সংরক্ষণ
আলো থেকে দূরে, ২°-৮° সে. তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে। ঝাঁকানো বা হিমায়িত করা থেকে বিরত থাকুন।