নির্দেশনা

মাইকোনাজল ওরাল জেল নিম্নোক্ত উপসর্গে নির্দেশিত-
  • মুখ ও পরিপাকতন্ত্রীয় ক্যানডিডা জনিত সংক্রমনের চিকিৎসায়।
  • মুখ ও পরিপাকতন্ত্রীয় ছত্রাকের কলোনাইজেশন নির্মূলে।
  • সুপার ইনফেকশনে দায়ী গ্রাম-পজেটিভ ব্যাকটেরিয়া নির্মূলে।

ফার্মাকোলজি

ফার্মাকোডিনামিক বিশ্লেষণ: মাইকোনাজল ডারমাটোফাইট্স এবং ঈস্ট এর বিরুদ্ধে ছত্রাকবিরোধী এবং কিছু কিছু গ্রাম পজেটিভ ব্যাসিলাই ও কক্কাই এর বিরুদ্ধে ব্যাকটেরিয়া বিরোধী কার্যকারিতা প্রদর্শন করে। মাইকোনাজল আরগোস্টেরল সংশ্লেষণ-এর মিথাইলেশন ধাপে বাধা দেয়। আরগোস্টেরল হল ঈস্ট ও ছত্রাক এর প্রধান স্টেরল এবং এদের বায়োসিনথেটিক পাথওয়ের শেষ উৎপাদ। ঈস্ট ও ছত্রাকে আরগোস্টেরল সংশ্লেষণ ব্যাহত হওয়ায় ছত্রাকের কোষঝিলীতে ছিদ্রের সৃষ্টি হয়। এ ছিদ্র দিয়ে ছত্রাক কোষের প্রয়োজনীয় উপাদান কোষের বাইরে চলে আসে, ফলে ঈস্ট ও ছত্রাক মারা যায়।

ফার্মাকোকাইনেটিক বিশ্লেষণ: মাইকোনাজলের ওরাল বায়োঅ্যাভেইলএবিলিটি কম (২৫-৩০%), কারণ অন্ত্রনালী থেকে এর শোষণ সামান্য। ওরাল জেল হিসাবে গ্রহণের পর মাইকোনাজল সিস্টেমিক্যালি শোষিত হয়। শোষিত মাইকোনাজল প্লাজমা প্রোটিন (৮৮.২%), প্রাথমিকভাবে সেরাম অ্যালবুমিন এবং লোহিত রক্ত কণিকা (১০.৬%) এর সাথে যুক্ত হয়। মাইকোনাজল ওরাল জেল এর শোষিত অংশের অধিকাংশই বিপাক হয়। গৃহীত মাত্রার এক শতাংশের কম পরিমাণ মূত্রের সাথে অপরিবর্তিত অবস্থায় নির্গত হয়। অধিকাংশ রোগীর ক্ষেত্রে প্লাজমা অর্ধায়ু ২০-২৫ ঘন্টা। মাইকোনাজলের এলিমিনেশন হাফ লাইফ বৃক্কীয় সমস্যাগত রোগীদের ক্ষেত্রে একই থাকে।

ঔষধের মাত্রা

ওরোফ্যারিংগাল ক্যানডিডোসিস-
  • ৬-২৪ মাসের শিশুদের ক্ষেত্রে: ১.৫ মিঃলিঃ (১/৪ পরিমাপক চামচ) জেল, দিনে চারবার খাবারের পর লাগাতে হবে।
  • প্রাপ্তবয়স্ক এবং ২ বছর বয়সী বাচ্চাদের এবং বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে: ২.৫ মিঃলিঃ (১/২ পরিমাপক চামচ) জেল, দিনে চারবার খাবারের পর লাগাতে হবে।
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্ট ক্যানডিডোসিস-
  • শিশু (চার মাস বয়স বা তদূর্ধ্ব), বাচ্চা এবং প্রাপ্তবয়স্কদের যাদের ট্যাবলেট গিলে খেতে অসুবিধা আছে তাদের ক্ষেত্রে: দিনে ২০ মিঃগ্রাঃ প্রতি কেজি শরীরের ওজন অনুযায়ী, চার বিভক্ত মাত্রায়। প্রতিদিনের মাত্রা ২৫০ মিঃগ্রাঃ (১০ মিঃলিঃ জেল) দিনে চারবারের বেশী বাড়ানো উচিত নয়।
নির্দিষ্ট সময়ে ব্যবহার করতে ভুলে গেলে করণীয়: নির্দিষ্ট সময়ে ডোজ নিতে ভুলে গেলে মনে হওয়া মাত্র সেবন করতে হবে। তবে পরবর্তী ডোজ নেয়ার সময় হয়ে গেলে, তা পরিহার করে স্বাভাবিক সেবনবিধি মেনে চলতে হবে।

সেবনবিধি

মুখের ক্ষতের ক্ষেত্রে অল্প পরিমাণ মাইকোনাজোল জেল পরিষ্কার আঙ্গুল দিয়ে দিনে ২-৪ বার সরাসরি সংক্রমিত স্থানে প্রয়োগ করতে হবে। সর্বোত্তম ফলাফলের জন্য সংক্রমিত স্থানে যতক্ষণ সম্ভব রাখতে হবে। লক্ষণ দূরীভূত হওয়ার পরও এক সপ্তাহ পর্যন্ত চিকিৎসা চালানো উচিত। ওরাল ক্যান্ডিডোসিস এর ক্ষেত্রে রাতে ডেন্টাল প্রসথেসিস পরিহার করে জেল দিয়ে ব্রাশ করা উচিত।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

টারফেনাডিন, এসটেমিজল এবং সিসাপ্রাইড এর সাথে মাইকোনাজল ব্যবহার পরিহার করা উচিত কারণ মাইকোনাজল এদের বিপাকে বাধা দেয়, ফলে এরা অধঃক্ষিপ্ত হতে পারে।

মাইকোনাজল ফিনাইটয়িন এবং সাইক্লোসপরিন এর বিপাক বিলম্বিত করে এবং এর ফলে এদের বিষক্রিয়া পরিলক্ষিত হতে পারে।

প্রতিনির্দেশনা

যে সমস্ত রোগীর এই ঔষধের যে কোন উপাদানের প্রতি অতি সংবেদনশীলতা আছে তাদের ক্ষেত্রে মাইকোনাজোল প্রতিনির্দেশিত।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

বমি বমি ভাব এবং বমি করা, দীর্ঘদিন ব্যবহারে ডায়রিয়া এবং কদাচিৎ এলার্জিক প্রতিক্রিয়া।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

গর্ভকালীন সময় মাইকোনাজোল ওরাল জেল ব্যবহারে নিরাপত্তামূলক কোন তথ্য নেই। সুতরাং গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে সম্ভব হলে মাইকোনাজোল পরিহার করতে হবে অথবা সম্ভাব্য ঝুঁকিসমূহকে সম্ভাব্য সুবিধার সাথে সমন্বয় করতে হবে। যেহেতু অনেক ঔষধ মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয়, স্তন্যদাত্রী মায়েদের ক্ষেত্রে মাইকোনাজোল ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

সতর্কতা

মাইকোনাজোল এবং এন্টিকোআগুল্যান্ট একত্রে ব্যবহার করলে এন্টিকোআগুল্যান্ট-এর কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে এবং মাত্রা সমন্বয় করতে হবে। মাইকোনাজোল এবং ফিনাইটোয়েন একত্রে ব্যবহার করলে এদের প্লাজমা লেভেল পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। শিশু এবং বাচ্চাদের ক্ষেত্রে যেন গলায় আটকে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

মাত্রাধিক্যতা

মাত্রাধিক্যের ফলে বমি ও ডায়রিয়া হতে পারে। লক্ষণের ধরণের ভিত্তিতে চিকিৎসা দিতে হবে। এর জন্য কোন নির্দিষ্ট এন্টিডোট নেই।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Aural Anti-fungal preparations

সংরক্ষণ

আলো ও তাপ থেকে দূরে শুষ্ক স্থানে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
Thanks for using MedEx!
How would you rate your experience so far?