ফেনারগ্যান প্লাস সিরাপ
Pack Image
(৫ মিগ্রা+৬.২৫ মিগ্রা)/৫ মিলি
100 ml bottle:
৳ 93.00
নির্দেশনা
প্রোমিথাজিন হাইড্রোক্লোরাইড এবং ফেনাইলেফ্রিন হাইড্রোক্লোরাইড সিরাপ অ্যালার্জি বা সাধারণ সর্দির সাথে যুক্ত নাক বন্ধ সহ উর্ধ্ব শ্বসনতন্ত্রের উপসর্গসমূহের সাময়িক উপশমের জন্য নির্দেশিত।
মাত্রা ও সেবনবিধি
ওষুধটির নির্দেশিত মাত্রা নিচে দেয়া হয়েছে:
প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১২ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের শিশু: প্রতি ৪ থেকে ৬ ঘন্টা অন্তর পূর্ণ এক চা চামচ (৫ মি.লি.), কিন্তু কোনভাবেই ২৪ ঘণ্টায় ৬ চা চামচের (৩০ মিলি) বেশি নয়।
৬ থেকে ১২ বছরের কম বয়সী শিশু: প্রতি ৪ থেকে ৬ ঘন্টা অন্তর অর্ধেক চা চামচ থেকে পূর্ণ এক চামচ (২.৫ থেকে ৫ মি.লি.) কিন্তু কোনভাবেই ২৪ ঘণ্টায় ৬ চা চামচের (৩০ মিলি) বেশি নয়।
২ থেকে ৬ বছরের কম বয়সী শিশু: প্রতি ৪ থেকে ৬ ঘন্টা অন্তর এক চা চামচের চার ভাগের একভাগ থেকে অর্ধেক চা চামচ (১.২৫ থেকে ২.৫ মিলি)।
প্রোমিথাজিন এবং ফেনাইলেফ্রিন ২ বছরের বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য নির্দেশিত নয়।
প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১২ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের শিশু: প্রতি ৪ থেকে ৬ ঘন্টা অন্তর পূর্ণ এক চা চামচ (৫ মি.লি.), কিন্তু কোনভাবেই ২৪ ঘণ্টায় ৬ চা চামচের (৩০ মিলি) বেশি নয়।
৬ থেকে ১২ বছরের কম বয়সী শিশু: প্রতি ৪ থেকে ৬ ঘন্টা অন্তর অর্ধেক চা চামচ থেকে পূর্ণ এক চামচ (২.৫ থেকে ৫ মি.লি.) কিন্তু কোনভাবেই ২৪ ঘণ্টায় ৬ চা চামচের (৩০ মিলি) বেশি নয়।
২ থেকে ৬ বছরের কম বয়সী শিশু: প্রতি ৪ থেকে ৬ ঘন্টা অন্তর এক চা চামচের চার ভাগের একভাগ থেকে অর্ধেক চা চামচ (১.২৫ থেকে ২.৫ মিলি)।
প্রোমিথাজিন এবং ফেনাইলেফ্রিন ২ বছরের বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য নির্দেশিত নয়।
ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া
প্রোমিথাজিন: প্রোমিথাজিন হাইড্রোক্লোরাইডের উত্তেজনা প্রশমনের ক্ষমতা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উত্তেজনা প্রশমনকারী অন্যান্য ওষুধ যেমন অ্যালকোহল (মদ), মাদকজাতীয় ব্যথানাশক, উত্তেজনা প্রশমক, হিপনোটিকস (সম্মোহক পদার্থ), ট্রাইসাইক্লিক অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টস এবং ট্রানকুইলাইজার জাতীয় ওষুধের কার্যকারীতাকে বৃদ্ধি করতে পারে তাই এগুলো প্রোমিথাজিনের সাথে প্রয়োগ করা উচিত নয় অথবা প্রোমিথাজিন গ্রহণকারী রোগীদের ক্ষেত্রে তা কম মাত্রায়। দেয়া উচিত।
ফেনাইলেফ্রিন
ড্রাগ: ফেনাইলেফ্রিন ব্যবহারের পূর্বে মনোমাইন অক্সিডেস ইনহিবিটরস (MAOI) প্রয়োগ করলে।
প্রভাব: কার্ডিয়াক প্রেসর প্রতিক্রিয়া বৃদ্ধি পেতে পারে যার ফলে তীব্র উচ্চ রক্তচাপ জনিত সংকট হতে পারে।
ড্রাগ: ট্রাইসাইক্লিক এন্টিডিপ্রেসেন্ট সমূহের সাথে ফেনাইলেস্ক্রিন প্রয়োগ করা হলে।
প্রভাব: প্রেসর প্রতিক্রিয়া বৃদ্ধি পায়।
ড্রাগ: এরগট অ্যালকালয়েডের সাথে ফেনাইলেফ্রিন।
প্রভাব: রক্তচাপ অত্যধিক বৃদ্ধি পায়।
ড্রাগ: ব্রঙ্কোডাইলেটর (বৃদ্ধাসের প্রসারণকারী) সিম্প্যাথোমিমেটিক উপাদান সমূহ এবং এপিনেফ্রিন বা সিম্প্যাথোমিমেটিক সমূহের সাথে ফেনাইলেফ্রিন।
প্রভাব: টাকাইকার্ডিয়া (অস্বাভাবিক দ্রুত হৃদস্পন্দন) বা অন্যান্য অ্যারিথমিয়া (অনিয়মিত হৃদস্পন্দন) হতে পারে।
ড্রাগ: অ্যাট্রোপাইন সালফেটের সাথে ফেনাইলেফ্রিন।
প্রভাব: রিফ্লেক্স ব্র্যাডিকার্ডিয়া ব্লকেড (একধরণের অস্বাভাবিক মন্থর হৃদস্পন্দন); প্রেসর প্রতিক্রিয়া বৃদ্ধি পায়।
ড্রাগ: ফেনাইলেফ্রিন প্রয়োগের পূর্বে প্রোপ্রানোলল বা অন্যান্য বিটা-অ্যাড্রেনার্জিক ব্লকারের ব্যাবহারের ক্ষেত্রে।
প্রভাব: কার্ডিও উদ্দীপক প্রভাব অবরুদ্ধ।
ড্রাগ:ফেনাইলেস্ক্রিন প্রয়োগের পূর্বে ফেনটোলামাইন বা অন্যান্য অ্যাড্রেনার্জিক ব্লকারের ব্যাবহারের ক্ষেত্রে।
প্রভাব: প্রেসর প্রতিক্রিয়া হ্রাস পায়।
ওষুধ: ওজন কমানোর প্রস্তুতির সময় অ্যামফিটামাইনস বা ফেনাইলপ্রোপানোলামাইন ব্যাবহারে সময় ফেনাইলেফ্রিন প্রয়োগ করলে
প্রভাব: সিনারজিস্টিক এড্রেনার্জিক প্রতিক্রিয়া।
ফেনাইলেফ্রিন
ড্রাগ: ফেনাইলেফ্রিন ব্যবহারের পূর্বে মনোমাইন অক্সিডেস ইনহিবিটরস (MAOI) প্রয়োগ করলে।
প্রভাব: কার্ডিয়াক প্রেসর প্রতিক্রিয়া বৃদ্ধি পেতে পারে যার ফলে তীব্র উচ্চ রক্তচাপ জনিত সংকট হতে পারে।
ড্রাগ: ট্রাইসাইক্লিক এন্টিডিপ্রেসেন্ট সমূহের সাথে ফেনাইলেস্ক্রিন প্রয়োগ করা হলে।
প্রভাব: প্রেসর প্রতিক্রিয়া বৃদ্ধি পায়।
ড্রাগ: এরগট অ্যালকালয়েডের সাথে ফেনাইলেফ্রিন।
প্রভাব: রক্তচাপ অত্যধিক বৃদ্ধি পায়।
ড্রাগ: ব্রঙ্কোডাইলেটর (বৃদ্ধাসের প্রসারণকারী) সিম্প্যাথোমিমেটিক উপাদান সমূহ এবং এপিনেফ্রিন বা সিম্প্যাথোমিমেটিক সমূহের সাথে ফেনাইলেফ্রিন।
প্রভাব: টাকাইকার্ডিয়া (অস্বাভাবিক দ্রুত হৃদস্পন্দন) বা অন্যান্য অ্যারিথমিয়া (অনিয়মিত হৃদস্পন্দন) হতে পারে।
ড্রাগ: অ্যাট্রোপাইন সালফেটের সাথে ফেনাইলেফ্রিন।
প্রভাব: রিফ্লেক্স ব্র্যাডিকার্ডিয়া ব্লকেড (একধরণের অস্বাভাবিক মন্থর হৃদস্পন্দন); প্রেসর প্রতিক্রিয়া বৃদ্ধি পায়।
ড্রাগ: ফেনাইলেফ্রিন প্রয়োগের পূর্বে প্রোপ্রানোলল বা অন্যান্য বিটা-অ্যাড্রেনার্জিক ব্লকারের ব্যাবহারের ক্ষেত্রে।
প্রভাব: কার্ডিও উদ্দীপক প্রভাব অবরুদ্ধ।
ড্রাগ:ফেনাইলেস্ক্রিন প্রয়োগের পূর্বে ফেনটোলামাইন বা অন্যান্য অ্যাড্রেনার্জিক ব্লকারের ব্যাবহারের ক্ষেত্রে।
প্রভাব: প্রেসর প্রতিক্রিয়া হ্রাস পায়।
ওষুধ: ওজন কমানোর প্রস্তুতির সময় অ্যামফিটামাইনস বা ফেনাইলপ্রোপানোলামাইন ব্যাবহারে সময় ফেনাইলেফ্রিন প্রয়োগ করলে
প্রভাব: সিনারজিস্টিক এড্রেনার্জিক প্রতিক্রিয়া।
প্রতিনির্দেশনা
যেসব রোগীর প্রোমিথাজিন অথবা অন্য ফেনোথায়াজিন জাতীয় ওষুধেরর প্রতি অতি সংবেদন- শীলতা অথবা একটি বিশেষ ধরনের প্রতিক্রিয়ার পূর্ব ইতিহাস রয়েছে রয়েছে (ইডিয়োসি- ক্রিয়াটিক) তাদের ক্ষেত্রে ওষুধটি নির্দেশিত নয়। হাঁপানি সহ নিম্ন শ্বসনতন্ত্রের উপসর্গসমূহের চিকিৎসায় এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ নির্দেশিত নয়। যে সকল রোগীর উচ্চ রক্তচাপ অথবা পার্শ্বীয় রক্তনালীর রক্ত সংবহনের অপ্রতুলতা রয়েছে (রক্ত সংবহন স্বল্পতার কারণে যে সব রোগীর গ্যাংগ্রিন, অথবা রক্তনালীর অস্বাভাবিকতার কারণে থ্রোম্বোসিস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে) তাদের ক্ষেত্রে ফেনাইলেফ্রিন ব্যবহার করা উচিত নয়। যেসব রোগীর ফেনাইলেক্ট্রিনের প্রতি অতি রয়েছে বা যারা মনোমাইন অক্সিডেস ইনহিবিটর (MADI) গ্রহণ করছেন। তাদের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা উচিত নয়।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
স্নায়ুতন্ত্র: অবসাদ, তন্দ্রা, মাঝে মাঝে ঝাপসা দৃষ্টি, গলা/মুখ শুকিয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা; কদাচিৎ: বিভ্রান্তি, দিকভ্রান্ত হওয়া, এবং এক্সট্রাপাইরামিডাল উপসর্গ সমূহ যেমন- অকুলোজি রিক সংকট (একটি বিরল সমস্যা, যাতে চোখের বহির্মুখী মাংসপেশির তীব্র অনৈচ্ছিক সঙ্কোচন হয়), গলা ব্যথা এবং অনৈচ্ছিক ভাবে নিজের জিহ্বা প্রসারণ করে কামড়ে দেয়া (সাধারণত প্যারেন্টেরাল ইনজেকশন বা মাত্রাধিক্যের কারণে এটি হয়ে থাকে)।
কার্ডিওভাসকুলার (রক্ত সংবহনতন্ত্র সম্পর্কিত): উচ্চ বা নিম্ন রক্তচাপ। চর্মরোগ সংক্রান্ত: র্যাশ/ফুসকুড়ি, বিরল ক্ষেত্রে আলোক সংবেদনশীলতা।
হেমাটোলজিক (রক্তকণ) সংক্রান্ত: কদাচিত লিউকোপেনিয়া (লিউকোসাইটের স্বল্পতা), থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া (রক্তে অণুচক্রিকার ঘাটতি); রকে গ্র্যানুলোসাইটের স্বল্পতা (একটিমাত্র ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হয়েছে) গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল (পরিপাকতন্ত্র সংক্রান্ত): বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া।
স্নায়ুতন্ত্র: অস্থিরতা, উদ্বেগ, ভীতি এবং মাথা ঘোরা।
কার্ডিওভাসকুলার (রক্ত সংবহনতন্ত্র সম্পর্কিত): উচ্চ রক্তচাপ (সতর্কতা অংশ দেখুন)।
অন্যান্য: বুকের সামনের স্নায়ুর সঙ্কোচন বা প্রসারণের কারণে সৃষ্ট ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, কাঁপুনি এবং দুর্বলতা।
কার্ডিওভাসকুলার (রক্ত সংবহনতন্ত্র সম্পর্কিত): উচ্চ বা নিম্ন রক্তচাপ। চর্মরোগ সংক্রান্ত: র্যাশ/ফুসকুড়ি, বিরল ক্ষেত্রে আলোক সংবেদনশীলতা।
হেমাটোলজিক (রক্তকণ) সংক্রান্ত: কদাচিত লিউকোপেনিয়া (লিউকোসাইটের স্বল্পতা), থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া (রক্তে অণুচক্রিকার ঘাটতি); রকে গ্র্যানুলোসাইটের স্বল্পতা (একটিমাত্র ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হয়েছে) গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল (পরিপাকতন্ত্র সংক্রান্ত): বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া।
স্নায়ুতন্ত্র: অস্থিরতা, উদ্বেগ, ভীতি এবং মাথা ঘোরা।
কার্ডিওভাসকুলার (রক্ত সংবহনতন্ত্র সম্পর্কিত): উচ্চ রক্তচাপ (সতর্কতা অংশ দেখুন)।
অন্যান্য: বুকের সামনের স্নায়ুর সঙ্কোচন বা প্রসারণের কারণে সৃষ্ট ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, কাঁপুনি এবং দুর্বলতা।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
গর্ভাবস্থা (প্রেগন্যান্সি) প্রেগন্যান্সি ক্যাটাগরি সি। গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রোমিথাজিন এর উপর কোন পর্যাপ্ত এবং সুনিয়ন্ত্রিত গবেষণা করা হয়নি। শুধুমাত্র ভ্রুণের সম্ভাব্য ঝুঁকির চেয়েও রোগ উপশমে রোগীর সুবিধা বেশি বিবেচিত হলেই গর্ভাবস্থায় প্রোমিথাজিন এবং ফেনাইলেফ্রিন ব্যবহার করা উচিত।
সতর্কতা
গর্ভবতী ক্ষেত্রে এই ওষুধ দুটির সংমিশ্রণ প্রয়োগ ভ্রূণের ক্ষতি করে কি না বা স্বাভাবিক প্রজনন ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে কি না তা জানা নেই। গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রোমিথাজিন এবং ফেনাইলেস্ক্রিন শুধুমাত্র তখনই প্রয়োগ করা উচিত যখন এটি নিতান্তই প্রয়োজন হয়। প্রোমিথাজিন কার্ডিওভাস্কুলার রোগ (হৃদরোগ), রক্তসংবহন তন্ত্রের রোগ বা যকৃতের (লিভার) কার্যকারিতার সমস্যা রয়েছে এমন রোগীদের ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত কার্ডিওভাস্কুলার রোগ (হৃদরোগ) ও রক্তসংবহন তন্ত্রের রোগী সহ বিশেষ করে যেসব রোগীদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাদের সাবধানতার সাথে ফেনাইলেফ্রিন ব্যবহার করা উচিত।
প্রোমিথাজিন: প্রোমিথাজিন এর কারণে লক্ষণীয় মাত্রায় তন্দ্রাচ্ছন্নতা হতে পারে। যেসব রোগী প্রোমিথাজিন গ্রহণ করছেন তাদেরকে সতর্ক করা উচিত যেন তারা তন্দ্রাচ্ছন্ন বা মাথা ঘোরার উপসর্গ থাকলে গাড়ি চালানো বা বিপজ্জনক যন্ত্রপাতি চালানোর মতো কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকেন। প্রোমিথাজিন হাইড্রোক্লোরাইডের উত্তেজনা প্রশমনের ক্ষমতা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উত্তেজনা প্রশমনকারী ওষুধের প্রভাবকে বৃদ্ধি করতে পারে তাই অ্যালকোহল (মদ), মাদকজাতীয় ব্যাথানাশক, উত্তেজনা প্রশমক, হিপনোটিকস (সম্মোহক পদার্থ) এবং ট্রানকুইলাইজার (প্রশান্তকারক উপাদানসমূহ) প্রোমিথাজিন এর সাথে ব্যবহার করা উচিত নয় অথবা প্রোমিথাজিন হাইড্রোক্লোরাইডের উপস্থিতিতে কম মাত্রায় ব্যবহার করা উচিত। প্রোমিথাজিন হাইড্রোক্লোরাইডের সাথে প্রয়োগ করা হলে, বারবিচুরেট জাতীয় ওষুধের মাত্রা কমপক্ষে অর্ধেক কমাতে হবে এবং ব্যথানাশক যেমন মরফিন বা মেপেরিডিনের মাত্রা অবশ্যই এক-চতুর্থাংশ থেকে অর্ধেক কমানো উচিত।
প্রোমিথাজিন খিঁচুনি প্রতিরোধের সক্ষমতা হ্রাস করে ঝুঁকি বাড়াতে পারে। খিঁচুনির রোগীদের চিকিৎসা করার সময় এবং মাদকজাতীয় ওষুধ কিংবা শরীরের বহিরাংশে ব্যবহারযোগ্য চেতনানাশক প্রয়োগের সময় এটা অবশ্যই বিবেচনা করা উচিত যে, এসব ওষুধের সাথে প্রোমিথাজিন এর সহপ্রয়োগ খিঁচুনি প্রতিরোধের সক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে। স্লিপ অ্যাপনিয়ার (যে সকল রোগীর ঘুমের ভেতর শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যাঘাতের কারোণে অনিদ্রা ঘটে) রোগীদের ক্ষেত্রে উত্তেজনা প্রশমনকারী ওষুধ বা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের প্রশমক প্রয়োগ পরিহার করা উচিত। যেসব রোগীর সংকীর্ণ-কোণ (ন্যারো এঙ্গেল) গ্লুকোমা, স্টেনোসিং পেপটিক আলসার, পাইলোরোডিউডেনাল প্রতিবন্ধকতা, প্রোস্ট্যাটিক হাইপারট্রফির উপসর্গ এবং মূত্রাশয়ের গ্রীবা সংকীর্ণ হওয়ার কারণে মূত্রথলির প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে অ্যান্টিহিস্টামিন ব্যবহার করা উচিত।
প্রোমিথাজিনের ব্যবহার করা হয়েছে এমন রোগীর ক্ষেত্রে কোলেস্ট্যাটিক জন্ডিসের ঘটনাও পরিলক্ষিত হয়েছে।
ফেনাইলেফ্রিন: ফেনাইলেফ্রিন যেহেতু একটি অ্যাসিরেনারজিক উপাদান তাই এটি থাইরয়েডের রোগ, ডায়াবেটিস মেলাইটাস এবং হৃদরোগে আক্রান্ত রোগী কিংবা যেসব রোগী ট্রাইসাইক্লিক অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট গ্রহণ করছেন তাদের ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে প্রয়োগ করা উচিত। যেসব পুরুষ রোগীদের উপসর্গযুক্ত, বিনাইন প্রোস্ট্যাটিক হাইপারট্রফি (প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের হাইপার ট্রফি) রয়েছে তাদের মুখের বা নাকের ডিকনজেস্ট্যান্ট জাতীয় ওষুধ দেয়া হলে প্রস্রাবের বেগ রোধ হতে পারে।
ফেনাইলেফ্রিন ব্যবহারের কারণে কার্ডিয়াক আউটপুট হ্রাস পেতে পারে তাই আর্টেরিওস্ক্লেরোসিসে আক্রান্ত বয়স্ক ব্যক্তি এবং/অথবা প্রাথমিকভাবে দুর্বল সেরিব্রাল (মস্তিষ্কে) বা করোনারি (হৃদপিন্ডে) রক্ত সঞ্চালনের রোগীদের ক্ষেত্রে শিরায় (প্যারেন্টেরাল) বা মুখে ড্রাগটি প্রয়োগ করার সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের অংশ হিসেবে অ্যামফিটামিন বা ফেনাইলপ্রোপানোলামাইন গ্রহণকারী রোগীদের ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে ফেনাইলেফ্রিন ব্যবহার করা উচিত, কারণ এটির যুগপত অ্যাড্রেনার্জিক প্রভাবের কারণে গুরুতর উচ্চ রক্তচাপের প্রতিক্রিয়া এবং সম্ভাব্য স্ট্রোক হতে পারে।
প্রোমিথাজিন: প্রোমিথাজিন এর কারণে লক্ষণীয় মাত্রায় তন্দ্রাচ্ছন্নতা হতে পারে। যেসব রোগী প্রোমিথাজিন গ্রহণ করছেন তাদেরকে সতর্ক করা উচিত যেন তারা তন্দ্রাচ্ছন্ন বা মাথা ঘোরার উপসর্গ থাকলে গাড়ি চালানো বা বিপজ্জনক যন্ত্রপাতি চালানোর মতো কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকেন। প্রোমিথাজিন হাইড্রোক্লোরাইডের উত্তেজনা প্রশমনের ক্ষমতা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উত্তেজনা প্রশমনকারী ওষুধের প্রভাবকে বৃদ্ধি করতে পারে তাই অ্যালকোহল (মদ), মাদকজাতীয় ব্যাথানাশক, উত্তেজনা প্রশমক, হিপনোটিকস (সম্মোহক পদার্থ) এবং ট্রানকুইলাইজার (প্রশান্তকারক উপাদানসমূহ) প্রোমিথাজিন এর সাথে ব্যবহার করা উচিত নয় অথবা প্রোমিথাজিন হাইড্রোক্লোরাইডের উপস্থিতিতে কম মাত্রায় ব্যবহার করা উচিত। প্রোমিথাজিন হাইড্রোক্লোরাইডের সাথে প্রয়োগ করা হলে, বারবিচুরেট জাতীয় ওষুধের মাত্রা কমপক্ষে অর্ধেক কমাতে হবে এবং ব্যথানাশক যেমন মরফিন বা মেপেরিডিনের মাত্রা অবশ্যই এক-চতুর্থাংশ থেকে অর্ধেক কমানো উচিত।
প্রোমিথাজিন খিঁচুনি প্রতিরোধের সক্ষমতা হ্রাস করে ঝুঁকি বাড়াতে পারে। খিঁচুনির রোগীদের চিকিৎসা করার সময় এবং মাদকজাতীয় ওষুধ কিংবা শরীরের বহিরাংশে ব্যবহারযোগ্য চেতনানাশক প্রয়োগের সময় এটা অবশ্যই বিবেচনা করা উচিত যে, এসব ওষুধের সাথে প্রোমিথাজিন এর সহপ্রয়োগ খিঁচুনি প্রতিরোধের সক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে। স্লিপ অ্যাপনিয়ার (যে সকল রোগীর ঘুমের ভেতর শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যাঘাতের কারোণে অনিদ্রা ঘটে) রোগীদের ক্ষেত্রে উত্তেজনা প্রশমনকারী ওষুধ বা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের প্রশমক প্রয়োগ পরিহার করা উচিত। যেসব রোগীর সংকীর্ণ-কোণ (ন্যারো এঙ্গেল) গ্লুকোমা, স্টেনোসিং পেপটিক আলসার, পাইলোরোডিউডেনাল প্রতিবন্ধকতা, প্রোস্ট্যাটিক হাইপারট্রফির উপসর্গ এবং মূত্রাশয়ের গ্রীবা সংকীর্ণ হওয়ার কারণে মূত্রথলির প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে অ্যান্টিহিস্টামিন ব্যবহার করা উচিত।
প্রোমিথাজিনের ব্যবহার করা হয়েছে এমন রোগীর ক্ষেত্রে কোলেস্ট্যাটিক জন্ডিসের ঘটনাও পরিলক্ষিত হয়েছে।
ফেনাইলেফ্রিন: ফেনাইলেফ্রিন যেহেতু একটি অ্যাসিরেনারজিক উপাদান তাই এটি থাইরয়েডের রোগ, ডায়াবেটিস মেলাইটাস এবং হৃদরোগে আক্রান্ত রোগী কিংবা যেসব রোগী ট্রাইসাইক্লিক অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট গ্রহণ করছেন তাদের ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে প্রয়োগ করা উচিত। যেসব পুরুষ রোগীদের উপসর্গযুক্ত, বিনাইন প্রোস্ট্যাটিক হাইপারট্রফি (প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের হাইপার ট্রফি) রয়েছে তাদের মুখের বা নাকের ডিকনজেস্ট্যান্ট জাতীয় ওষুধ দেয়া হলে প্রস্রাবের বেগ রোধ হতে পারে।
ফেনাইলেফ্রিন ব্যবহারের কারণে কার্ডিয়াক আউটপুট হ্রাস পেতে পারে তাই আর্টেরিওস্ক্লেরোসিসে আক্রান্ত বয়স্ক ব্যক্তি এবং/অথবা প্রাথমিকভাবে দুর্বল সেরিব্রাল (মস্তিষ্কে) বা করোনারি (হৃদপিন্ডে) রক্ত সঞ্চালনের রোগীদের ক্ষেত্রে শিরায় (প্যারেন্টেরাল) বা মুখে ড্রাগটি প্রয়োগ করার সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের অংশ হিসেবে অ্যামফিটামিন বা ফেনাইলপ্রোপানোলামাইন গ্রহণকারী রোগীদের ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে ফেনাইলেফ্রিন ব্যবহার করা উচিত, কারণ এটির যুগপত অ্যাড্রেনার্জিক প্রভাবের কারণে গুরুতর উচ্চ রক্তচাপের প্রতিক্রিয়া এবং সম্ভাব্য স্ট্রোক হতে পারে।
থেরাপিউটিক ক্লাস
Sedating Anti-histamine
সংরক্ষণ
৩০° সেঃ তাপমাত্রায় বা এর নীচে শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করুন। আলো থেকে দূরে রাখুন।