Unit Price:
৳ 916.00
(4 x 7: ৳ 25,648.00)
Strip Price:
৳ 6,412.00
নির্দেশনা
এলট্রমবোপ্যাগ নিম্নলিখিত ক্ষেত্রসমূহে নির্দেশিত-
- স্থায়ী অথবা ক্রনিক ইমিউন থ্রম্বোসাইটোপেনিয়ার রোগীদের থ্রম্বোসাইটোপেনিয়ার চিকিৎসায়
- হেপাটাইটিস সি সংক্রমিত রোগীদের থ্রম্বোসাইটোপেনিয়ার চিকিৎসায়
- সিভিয়ার এপ্লাস্টিক এনিমিয়ার চিকিৎসায়
ফার্মাকোলজি
এলট্রমবোপ্যাগ ওলামিন হচ্ছে একটি থ্রম্বোপয়েটিন (টিপিও) রিসেপ্টর এগোনিস্ট। এলট্রমবোপ্যাগ হিউম্যান টিপিও-রিসেপ্টরের ট্রান্সমেমব্রেন ডোমেইনের সাথে ক্রিয়া করে অস্থিমজ্জার প্রোজেনিটর কোষের বিস্তার ও পৃথকীকরণে সাহায্য করে যা অণুচক্রিকার উৎপাদন বৃদ্ধি করে।
মাত্রা ও সেবনবিধি
ওষুধ গ্রহণের পথ: এলট্রমবোপ্যাগ ট্যাবলেট মুখে গ্রহণ করা হয় এবং খাবারের আগে অথবা স্বল্প মাত্রায় ক্যালসিয়াম (≤৫০ মিগ্রা) সমৃদ্ধ খাবারের পরে এটি গ্রহণ করা যেতে পারে।
স্থায়ী অথবা ক্রনিক ইমিউন থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া: রক্তপাতের ঝুঁকি হ্রাসে এলট্রমবোপ্যাগ এর সর্বনিম্ন মাত্রা ব্যবহার করে অণুচক্রিকার মাত্রা ৫০x১০৯/লিটার এর সমান অথবা বেশি রাখতে হবে। দিনে ৭৫ মিগ্রা এর বেশি দেয়া যাবে না।
প্রাপ্ত বয়স্ক এবং ৬ বছর ও এর বেশি বয়সী যে সকল শিশু আইটিপিতে আক্রান্ত: এশীয় বংশ এবং মৃদু থেকে তীব্র যকৃতের অকার্যকারিতার রোগী ব্যতীত অন্য সকল রোগীর ক্ষেত্রে দিনে একবার ৫০ মিগ্রা মাত্রায় এলট্রমবোপ্যাগ শুরু করতে হবে। এশীয় বংশের আইটিপি রোগীদের ক্ষেত্রে দিনে ২৫ মিগ্রা মাত্রায় এলট্রমবোপ্যাগ শুরু করতে হবে। আইটিপি এর যে সকল রোগীর মৃদু, মাঝারি অথবা মারাত্মক যকৃতের অকার্যকারিতা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে দিনে একবার ২৫ মিগ্রা এর হ্রাসকৃত মাত্রায় শুরু করতে হবে। এশীয় বংশের যে সকল আইটিপি রোগীর যকৃতের অকার্যকারিতা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে দিনে একবার ১২.৫ মিগ্রা এর হ্রাসকৃত মাত্রায় শুরু করতে হবে।
১ থেকে ৫ বছর বয়সী যে সকল শিশু আইটিপিতে আক্রান্ত: দিনে একবার ২৫ মিগ্রা মাত্রায় এলট্রমবোপ্যাগ শুরু করতে হবে।
ক্রনিক হেপাটাইটিস সি সংশ্লিষ্ট থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া: দিনে একবার ২৫ মিগ্রা মাত্রায় এলট্রমবোপ্যাগ শুরু করতে হবে। অ্যান্টিভাইরাল থেরাপি শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় অণুচক্রিকার মাত্রা অর্জনের প্রতি ২ সপ্তাহে এলট্রমবোপ্যাগ এর দৈনিক মাত্রা ২৫ মিগ্রা করে বৃদ্ধি করতে হবে। দিনে ১০০ মিগ্রা এর বেশি দেয়া যাবে না।
ফার্স্ট লাইন সিভিয়ার এপ্লাস্টিক এনিমিয়া: শুরুতে প্রচলিত ইমিউনোসাপ্রেসিভ থেরাপির সাথে একত্রে দৈনিক একবার ২.৫ মিগ্রা/কেজি (২ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশু), ৭৫ মিগ্রা (৬ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশু) অথবা ১২ বছর ও এর বেশি বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে ১৫০ মিগ্রা করে এলট্রমবোপ্যাগ ৬ মাস দিতে হবে। এশীয় বংশ এবং মৃদু, মাঝারি ও মারাত্মক মাত্রার যকৃতের অকার্যকারিতার রোগীদের ক্ষেত্রে ৫০% হ্রাসকৃত মাত্রায় ওষুধটি শুরু করতে হবে। অণুচক্রিকার মাত্রা, অ্যালানিন অ্যামাইনোট্রান্সফারেজ (এএলটি) বা অ্যাসপারটেট অ্যামাইনোট্রান্সফারেজ (এএসটি) মাত্রার বৃদ্ধি এবং প্রশ্নোএম্বোলিক প্রতিক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে এলট্রমবোপ্যাগ এর মাত্রা সমন্বয় করতে হবে।
রিফ্র্যাকটরি সিভিয়ার এপ্লাস্টিক এনিমিয়া: দিনে ৫০ মিগ্রা মাত্রায় এলট্রমবোপ্যাগ শুরু করতে হবে। হেমাটোলজিক প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনে মাত্রা বৃদ্ধি করে দৈনিক ১৫০ মিগ্রা পর্যন্ত দেয়া যেতে পারে এবং এলট্রমবোপ্যাগ দ্বারা চিকিৎসা শুরুর পর ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হতে পারে। এশীয় বংশ এবং মৃদু, মাঝারি ও মারাত্মক মাত্রার যকৃতের অকার্যকারিতার রোগীদের ক্ষেত্রে দিনে একবার ২৫ মিগ্রা এর হ্রাসকৃত মাত্রায় ওষুধটি শুরু করতে হবে। অণুচক্রিকার মাত্রা ৫০x১০৯/লিটার এর সমান অথবা এর বেশি রাখার উদ্দেশ্যে প্রতি ২ সপ্তাহে এলট্রমবোপ্যাগ এর দৈনিক মাত্রা ২৫ মিগ্রা করে বৃদ্ধি করতে হবে। দিনে ১৫০ মিগ্রা এর বেশি দেয়া যাবে না।
স্থায়ী অথবা ক্রনিক ইমিউন থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া: রক্তপাতের ঝুঁকি হ্রাসে এলট্রমবোপ্যাগ এর সর্বনিম্ন মাত্রা ব্যবহার করে অণুচক্রিকার মাত্রা ৫০x১০৯/লিটার এর সমান অথবা বেশি রাখতে হবে। দিনে ৭৫ মিগ্রা এর বেশি দেয়া যাবে না।
প্রাপ্ত বয়স্ক এবং ৬ বছর ও এর বেশি বয়সী যে সকল শিশু আইটিপিতে আক্রান্ত: এশীয় বংশ এবং মৃদু থেকে তীব্র যকৃতের অকার্যকারিতার রোগী ব্যতীত অন্য সকল রোগীর ক্ষেত্রে দিনে একবার ৫০ মিগ্রা মাত্রায় এলট্রমবোপ্যাগ শুরু করতে হবে। এশীয় বংশের আইটিপি রোগীদের ক্ষেত্রে দিনে ২৫ মিগ্রা মাত্রায় এলট্রমবোপ্যাগ শুরু করতে হবে। আইটিপি এর যে সকল রোগীর মৃদু, মাঝারি অথবা মারাত্মক যকৃতের অকার্যকারিতা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে দিনে একবার ২৫ মিগ্রা এর হ্রাসকৃত মাত্রায় শুরু করতে হবে। এশীয় বংশের যে সকল আইটিপি রোগীর যকৃতের অকার্যকারিতা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে দিনে একবার ১২.৫ মিগ্রা এর হ্রাসকৃত মাত্রায় শুরু করতে হবে।
১ থেকে ৫ বছর বয়সী যে সকল শিশু আইটিপিতে আক্রান্ত: দিনে একবার ২৫ মিগ্রা মাত্রায় এলট্রমবোপ্যাগ শুরু করতে হবে।
ক্রনিক হেপাটাইটিস সি সংশ্লিষ্ট থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া: দিনে একবার ২৫ মিগ্রা মাত্রায় এলট্রমবোপ্যাগ শুরু করতে হবে। অ্যান্টিভাইরাল থেরাপি শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় অণুচক্রিকার মাত্রা অর্জনের প্রতি ২ সপ্তাহে এলট্রমবোপ্যাগ এর দৈনিক মাত্রা ২৫ মিগ্রা করে বৃদ্ধি করতে হবে। দিনে ১০০ মিগ্রা এর বেশি দেয়া যাবে না।
ফার্স্ট লাইন সিভিয়ার এপ্লাস্টিক এনিমিয়া: শুরুতে প্রচলিত ইমিউনোসাপ্রেসিভ থেরাপির সাথে একত্রে দৈনিক একবার ২.৫ মিগ্রা/কেজি (২ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশু), ৭৫ মিগ্রা (৬ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশু) অথবা ১২ বছর ও এর বেশি বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে ১৫০ মিগ্রা করে এলট্রমবোপ্যাগ ৬ মাস দিতে হবে। এশীয় বংশ এবং মৃদু, মাঝারি ও মারাত্মক মাত্রার যকৃতের অকার্যকারিতার রোগীদের ক্ষেত্রে ৫০% হ্রাসকৃত মাত্রায় ওষুধটি শুরু করতে হবে। অণুচক্রিকার মাত্রা, অ্যালানিন অ্যামাইনোট্রান্সফারেজ (এএলটি) বা অ্যাসপারটেট অ্যামাইনোট্রান্সফারেজ (এএসটি) মাত্রার বৃদ্ধি এবং প্রশ্নোএম্বোলিক প্রতিক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে এলট্রমবোপ্যাগ এর মাত্রা সমন্বয় করতে হবে।
রিফ্র্যাকটরি সিভিয়ার এপ্লাস্টিক এনিমিয়া: দিনে ৫০ মিগ্রা মাত্রায় এলট্রমবোপ্যাগ শুরু করতে হবে। হেমাটোলজিক প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনে মাত্রা বৃদ্ধি করে দৈনিক ১৫০ মিগ্রা পর্যন্ত দেয়া যেতে পারে এবং এলট্রমবোপ্যাগ দ্বারা চিকিৎসা শুরুর পর ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হতে পারে। এশীয় বংশ এবং মৃদু, মাঝারি ও মারাত্মক মাত্রার যকৃতের অকার্যকারিতার রোগীদের ক্ষেত্রে দিনে একবার ২৫ মিগ্রা এর হ্রাসকৃত মাত্রায় ওষুধটি শুরু করতে হবে। অণুচক্রিকার মাত্রা ৫০x১০৯/লিটার এর সমান অথবা এর বেশি রাখার উদ্দেশ্যে প্রতি ২ সপ্তাহে এলট্রমবোপ্যাগ এর দৈনিক মাত্রা ২৫ মিগ্রা করে বৃদ্ধি করতে হবে। দিনে ১৫০ মিগ্রা এর বেশি দেয়া যাবে না।
ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া
অন্য ওষুধের সাথে: যেসব ওষুধে পলিভ্যালেন্ট ক্যাটায়ন যেমন- এন্টাসিড অথবা মিনারেল সাপ্লিমেন্ট (যেমন- আয়রন, ক্যালসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সেলেনিয়াম এবং জিংক) আছে সেসব ওষুধ গ্রহণের ২ ঘণ্টা আগে অথবা ৪ ঘণ্টা পরে এলট্রমবোপ্যাগ গ্রহণ করতে হবে।
খাবার ও অন্য কিছুর সাথে: ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের ২ ঘণ্টা আগে অথবা ৪ ঘণ্টা পরে এটমবোপ্যাগ গ্রহণ করতে হবে।
খাবার ও অন্য কিছুর সাথে: ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের ২ ঘণ্টা আগে অথবা ৪ ঘণ্টা পরে এটমবোপ্যাগ গ্রহণ করতে হবে।
প্রতিনির্দেশনা
যাদের এলট্রমবোপ্যাগ বা এই ওষুধের অন্যান্য উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এটমবোপ্যাগ প্রতিনির্দেশিত।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো হলো রক্তশূন্যতা, বমি বমি ভাব, জ্বরজ্বর ভাব, এএলটি বেড়ে যাওয়া, কাশি, অবসাদ, মাথা ব্যথা এবং ডায়রিয়া।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
জন্মগত ত্রুটি, গর্ভপাত অথবা মা বা ভ্রূণের বিরূপ পরিণতি সৃষ্টির ক্ষেত্রে ওষুধ-সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি মূল্যায়নে পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায়নি। মাতৃদুগ্ধে এলট্রমবোপ্যাগ বা এর সক্রিয় মেটাবোলাইটস এর উপস্থিতি, মায়ের দুধ পাচ্ছে এরকম শিশুদের উপর অথবা দুগ্ধ নিঃসরণে এর প্রভাব সম্বন্ধে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। মায়ের দুধ পাচ্ছে এরকম শিশুদের ক্ষেত্রে এলট্রমবোপ্যাগ ব্যবহারে মারাত্মক বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা থাকায়, চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে স্তন্যদান থেকে বিরত থাকতে হবে।
সতর্কতা
ক্রনিক হেপাটাইটিস সি রোগীদের ক্ষেত্রে ইন্টারফেরন এবং রিবাভিরিনের সাথে এলট্রমবোপ্যাগ এর একত্রে ব্যবহারে হেপাটিক ডিকম্পেনসেশনের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে পারে। থেরাপি শুরু করার আগে এবং চলাকালীন সময় নিয়মিত যকৃতের কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এটি মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় এবং মায়েলোডিসপ্লাস্টিক সিনড্রোম থেকে একিউট মায়েলয়েড লিউকেমিয়ার দিকে ধাবিত করে। যারা দীর্ঘদিন ধরে যকৃতের রোগে আক্রান্ত তারা যদি এলট্রমবোপ্যাগ গ্রহণ করে তাহলে তাদের পোর্টাল ভেইন থ্রম্বোসিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নিয়মিত অণুচক্রিকার পরিমাণ পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার
শিশু ও কিশোরদের ক্ষেত্রে ব্যবহার: ১ বছরের কম বয়সী যে সকল শিশু আইটিপিতে আক্রান্ত তাদের ক্ষেত্রে এই ওষুধের নিরাপদ ব্যবহার ও কার্যকারিতা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। শিশুদের ক্ষেত্রে ক্রনিক হেপাটাইটিস সি এবং রিফ্র্যাকটরি এপ্লাস্টিক এনিমিয়া সংশ্লিষ্ট থ্রম্বোসাইটোপেনিয়ার চিকিৎসায় এই ওষুধের নিরাপদ ব্যবহার ও কার্যকারিতা প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
মাত্রাধিক্যতা
মাত্রাধিক্যের ক্ষেত্রে অণুচক্রিকা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে এবং থ্রম্বোটিক বা থ্রম্বোএম্বোলিক দেখা দিতে পারে। মাত্রাধিক্য হলে এলট্রমবোপ্যাগ ভাঙতে এবং এর শোষণ হ্রাসে ধাতবজাত ক্যাটায়ন সমৃদ্ধ ওষুধ যেমন- ক্যালসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম বা ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ ওষুধ দিতে হবে।
থেরাপিউটিক ক্লাস
Haemostatic drugs
সংরক্ষণ
সংরক্ষণ আলো থেকে দূরে, ঠাণ্ডা (২৫°সে. এর নিচে) ও শুষ্ক স্থানে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।