নির্দেশনা

লােপেরামাইড হাইড্রোক্লোরাইড নিম্নোক্ত উপসর্গে নির্দেশিত-
  • তীব্র ডায়রিয়া
  • উদরে ব্যথা ও খিচুনিসহ ডায়রিয়া
  • দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া
  • ক্রন'স রোগ
  • গ্যাস্ট্রিক পরবর্তী সার্জারী
  • আলসারেটিভ কোলাইটিস।

ফার্মাকোলজি

কোলিনার্জিক ও নন-কোলিনার্জিক নিউরােট্রান্সমিটারের ক্রিয়াকে বাঁধাদানের মাধ্যমে লােপেরামাইড অন্ত্রের লম্বা ও বৃত্তীয় পেশীর সংকোচন প্রসারণ বাধাগ্রস্থ করে। লােপেরামাইড হাইড্রোক্লোরাইড অন্ত্র প্রাচীরের অপিয়েট রিসেপ্টরের সাথে সংযুক্ত হয়ে অন্ত্রের সংকোচন প্রসারণ কমিয়ে দেয় এবং অন্ত্ৰীয় ট্রানজিট টাইম (অন্ত্রে পাচ্য ও অপাচ্য খাদ্যের অবস্থানের সময়) বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া ইহা অন্ত্রে ইলেক্ট্রোলাইট ও তরল নিঃসরণকে বাঁধা প্রদান করে।

মাত্রা ও সেবনবিধি

তীব্র ডায়রিয়া-
  • প্রাপ্ত বয়স্ক: প্রাথমিক অবস্থায় ২টি ক্যাপসুল, এর পরে ১টি করে ক্যাপসুল প্রতিবার পাতলা পায়খানা হওয়ার পর। সাধারণত ৩-৪টি ক্যাপসুল প্রতিদিন। তবে প্রতিদিন ৮টি ক্যাপসুলের বেশী নয়।
  • অপ্রাপ্ত বয়স্ক (৯-১২ বছর): ১টি করে ক্যাপসুল প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর এবং পাতলা পায়খানা না থামা পর্যন্ত চলবে। তবে প্রতিদিন ৬টি ক্যাপসুলের বেশী নয়।
  • অপ্রাপ্ত বয়স্ক (৫-৯ বছর): ১টি করে ক্যাপসুল প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর এবং পাতলা পায়খানা না থামা পর্যন্ত চলবে। তবে প্রতিদিন ৪টি ক্যাপসুলের বেশী নয়।
দীর্ঘমেয়াদী ডায়রিয়া-
  • প্রাপ্ত বয়স্ক: তীব্রতার উপর নির্ভর করে প্রতিদিন ২-৪টি ক্যাপসুল বিভক্ত মাত্রায়।
  • অপ্রাপ্ত বয়স্ক: তীব্রতার উপর নির্ভর করে প্রতিদিন ১-২টি ক্যাপসুল। অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

এ ব্যাপারে কোন সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায় নি।

প্রতিনির্দেশনা

যারা লোপেরামাইড হাইড্রোক্লোরাইড এর প্রতি অতিসংবেদনশীল এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে আক্রান্ত তাদের ইহা দেয়া উচিত নয়। তীব্র ডায়রিয়ায় যদি মলের সাথে রক্ত দেখা যায় এবং শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায় তবে সে অবস্থায় শুধুমাত্র লােপেরামাইড হাইড্রোক্লোরাইড ব্যবহার করা উচিত নয়।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

তলপেটে ব্যথা, পরিপাকতন্ত্রের অস্বাচ্ছন্দ্য, মুখ শুকিয়ে যাওয়া, মাথা ঘােরা, অবসাদ এবং ত্বকে লালচে ভাব প্রভৃতি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

গর্ভাবস্থায় লােপেরামাইড হাইড্রোক্লোরাইড ব্যবহারের নিরাপত্তা এখনও প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। গর্ভাবস্থায় অন্যান্য ঔষধের সাথে লােপেরামাইড হাইড্রোক্লোরাইড ব্যবহার থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। যদিও মাতৃদুগ্ধে অতি সামান্য মাত্রায় লােপেরামাইড হাইড্রোক্লোরাইড নিঃসরণ হয় তবুও স্তন্যদানকালে ইহা ব্যবহারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

সতর্কতা

মারাত্মক যকৃতের সমস্যায় লােপেরামাইড হাইড্রোক্লোরাইড সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত।

মাত্রাধিক্যতা

মাত্রাতিরিক্ত লােপেরামাইড হাইড্রোক্লোরাইড ব্যবহারে কোষ্ঠকাঠিন্য, কেন্দ্রীয় স্নায়ুবিক দূর্বলতা ও বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Anti-diarrhoeal, Anti-motility drugs

সংরক্ষণ

আলাে থেকে দূরে, ঠাণ্ডা ও শুষ্ক স্থানে রাখুন। সকল ঔষধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।