নির্দেশনা

অ্যাপ্রেপিট্যান্ট নিম্নোক্ত উপসর্গে নির্দেশিত-
  • অস্ত্রোপচার পরবর্তী বমি বমি ভাব এবং বমি প্রতিরোধে।
  • কেমোথেরাপি জনিত বমি বা বমিবমি ভাব প্রতিরোধে।

ফার্মাকোলজি

অ্যাপ্রেপিট্যান্ট সুনির্দিষ্টভাবে এবং অতিকার্যকারিতার সাথে মানবদেহে সাবসট্যান্স-পি নিউরোকাইনিন ১ (এনকে-১) রিসেপ্টর অ্যান্টাগনিস্ট হিসেবে কাজ করে। সাবসট্যান্স-পি রিসেপ্টরের সাথে সংযুক্ত অবস্থায় থাকলে বমি বমি ভাব অথবা বমি হয়ে থাকে। অ্যাপ্রেপিট্যান্ট সাবসট্যান্স-পি কে এনকে-১ রিসেপ্টরের সাথে যুক্ত হতে বাধা প্রদান করে। এর মাধ্যমে অ্যাপ্রেপিট্যান্ট কেমোথেরাপি এবং অস্ত্রোপচার পরবর্তী বমি বমি ভাব এবং বমি প্রতিরোধ করে।

ঔষধের মাত্রা

পোস্ট অপারেটিভ বমি বা বমিবমি ভাব: এনেস্থেসিয়া প্রয়োগের ৩ ঘণ্টা পূর্বে একটি অ্যাপ্রেপিট্যান্ট ৪০ মি.গ্রা. ক্যাপসুল মুখে সেবনযোগ্য।

কেমোথেরাপি জনিত বমি বা বমিবমি ভাব:

** উচ্চ মাত্রায় বমি উদ্রেক কারক ক্যান্সার, কেমোথেরাপিতে বমি বা বমিবমি ভাব নিরাময়ে নিম্নলিখিত মাত্রায় ঔষধগুলো মুখে সেবনযোগ্য- 
  • দিন-১: অ্যাপ্রেপিট্যান্ট ১২৫ মি.গ্রা., ডেক্সামিথাসন ১২ মি.গ্রা., ৫-এইচটি এন্টাগোনিস্ট (ওন্ডানসেট্রন) ২৪ মি.গ্রা. কেমোথেরাপির ৩০ মিনিট পূর্বে
  • দিন-২: অ্যাপ্রেপিট্যান্ট ৮০ মি.গ্রা., ডেক্সামিথাসন ৮ মি.গ্রা.
  • দিন-৩: অ্যাপ্রেপিট্যান্ট ৮০ মি.গ্রা., ডেক্সামিথাসন ৮ মি.গ্রা.
  • দিন-৪: ডেক্সামিথাসন ৮ মি.গ্রা.
অ্যাপ্রেপিট্যান্ট ১ম দিন কেমোথেরাপি শুরুর ১ ঘণ্টা পূর্বে এবং ২য় ও ৩য় দিনে সকাল বেলা মুখে সেবনযোগ্য। ডেক্সামিথাসন ১ম দিন কেমোথেরাপি শুরুর ৩০ মিনিট পূর্বে এবং ২য় থেকে ৪র্থ দিনে সকালবেলা মুখে সেবনযোগ্য। ডেক্সামিথাসনের মাত্রার উপর ড্রাগ ইন্টার‍্যাকশন নির্ভর করে।

** মধ্যম মাত্রায় বমি উদ্রেক কারক ক্যান্সার কেমোথেরাপিতে বমি বা বমিবমি ভাব নিরাময়ে নিম্নলিখিত মাত্রায় নিয়ম অনুযায়ী ঔষধগুলো মুখে সেবনযোগ্য-
  • দিন-১: অ্যাপ্রেপিট্যান্ট ১২৫ মি.গ্রা., ডেক্সামিথাসন ১২ মি.গ্রা., ৫-এইচটি এন্টাগোনিস্ট (ওন্ডানসেট্রন) ৮ মি.গ্রা. কেমোথেরাপির ৩০ মিনিট পূর্বে এবং ৮ ঘন্টা পরে আরো ৮ মি.গ্রা.
  • দিন-২: অ্যাপ্রেপিট্যান্ট ৮০ মি.গ্রা., ৫-এইচটি এন্টাগোনিস্ট (ওন্ডানসেট্রন) ৮ মি.গ্রা. ট্যাবলেট দিনে ২ বার
  • দিন-৩: অ্যাপ্রেপিট্যান্ট ৮০ মি.গ্রা., ৫-এইচটি এন্টাগোনিস্ট (ওন্ডানসেট্রন) ৮ মি.গ্রা. ট্যাবলেট দিনে ২ বার
অ্যাপ্রেপিট্যান্ট ১ম দিন কেমোথেরাপি শুরুর ১ঘণ্টা পূর্বে এবং ২য় ও ৩য় দিনে সকালবেলা মুখে সেবনযোগ্য। ডেক্সামিথাসন ১ম দিন কেমোথেরাপি শুরুর ৩০ মিনিট পূর্বে এবং ২য় থেকে ৪র্থ দিনে সকালবেলা মুখে সেবনযোগ্য। ডেক্সামিথাসনের মাত্রার উপর ড্রাগ ইন্টার‍্যাকশন নির্ভর করে।

সেবনবিধি

অ্যাপ্রেপিট্যান্ট খাবারের সাথে বা খাবার ছাড়া নেয়া যেতে পারে। বয়স্ক রোগীদের সেবনমাত্রার সংশোধনের দরকার নেই।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

অ্যাপ্রেপিট্যান্ট CYP3A4 এর একটি সাবসট্রেট অথবা CYP3A4 এর দূর্বল থেকে মধ্যম ধরনের (মাত্রা নির্ভরশীল) প্রতিরোধক বা সক্রিয়ক। এটি CYP2C9 এরও একটি সক্রিয়ক। এর ফলে যে সকল ঔষুধ সক্রিয় হতে CYP3A4 অথবা CYP2C9 ব্যবহার করে, অ্যাপ্রেপিট্যান্টের সাথে সে সকল ওষুধ ব্যবহার করলে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, যেমন ওয়ারফেরিন, টলবিউটামাইড, ফিনাইটোইন, কিটোকোনাজোল, ইট্রাকোনাজোল, নেফাজোডোন, ট্রোলিনডোমাইসিন, ক্লারিথ্রোমাইসিন, রিটোনাভির, নেলফিনাভির, ডিলটিয়াজেম, রিফামপিন, কার্বামাজেপিন ইত্যাদি।

হরমোন জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি গ্রহনকালীণ সময়ে অ্যাপ্রেপিট্যান্ট গ্রহন করলে অথবা অ্যাপ্রেপিট্যান্টের সর্বশেষ ডোজ এর পরবর্তী ২৮ দিন পর্যন্ত হরমোন জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতির কার্যকারিতা কমে যেতে পারে। অ্যাপ্রেপিট্যান্ট গ্রহনকালীণ সময়ে অথবা অ্যাপ্রেপিট্যান্টের সর্বশেষ ডোজ এর পরবর্তী মাস পর্যন্ত বিকল্প জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি গ্রহন করতে হবে।

প্রতিনির্দেশনা

অ্যাপ্রেপিট্যান্টের প্রতি যাদের অতিসংবেদনশীলতা আছে তাদের ক্ষেত্রে অ্যাপ্রেপিট্যান্ট প্রতিনির্দেশিত। অ্যাপ্রেপিট্যান্ট পিমোজাইড, টারফেনাডিন, অ্যাসটেমিজোল এবং সিজাপ্রাইডের সাথে গ্রহন করা যাবে না।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

কোষ্ঠ্যকাঠিন্য, নিম্ন রক্তচাপ, চুলকানি ,প্রবল জ্বর হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

গর্ভাবস্থায় বি ক্যাটেগরীভূক্ত। গর্ভাবস্থায় অ্যাপ্রেপিট্যান্ট সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে। ওষুধটি বুকের দুধে নিঃসৃত হয় কিনা তার কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। স্তন্যদানকারী মায়ের ক্ষেত্রে রোগীর গুরুত্ব বিবেচনা করে, অ্যাপ্রেপিট্যান্ট সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে।

বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার

কিডনির অকার্যকারিতায়: কিডনির অকার্যকারিতায় সেবনমাত্রার সংশোধনের প্রয়োজন নেই। কিডনি সম্পুর্নরূপে অকার্যকর রোগী যারা হেমোডায়ালাইসিস গ্রহন করছেন, তাদের ক্ষেত্রে সেবনমাত্রা সংশোধন করতে হবে না।

যকৃতের অকার্যকারিতায়: যকৃতের অল্পমাত্রার অকার্যকারিতায় সেবনমাত্রার সংশোধনের প্রয়োজন নেই। যকৃতের অতিমাত্রায় অকার্যকারিতায় সেবনমাত্রার সংশোধনের তথ্য পাওয়া যায়নি।

মাত্রাধিক্যতা

অ্যাপ্রেপিট্যান্টের মাত্রাধিক্যের কোন সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা তথ্য জানা যায়নি। একজন সুস্থ মানবদেহে এককালীন ৬০০ মি.গ্রা. পর্যন্ত মাত্রায় অ্যাপ্রেপিট্যান্ট সহনীয় হতে দেখা গেছে। মাত্রাধিক্যের ফলে মাথাঘোরা, মাথাব্যথা উপসর্গগুলো দেখা দিতে পারে। মাত্রাধিক্য হলে রোগীর অ্যাপ্রেপিট্যান্ট গ্রহন করা বন্ধ করে দিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় প্রতিরোধক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। যেহেতু অ্যাপ্রেপিট্যান্ট অ্যান্টি-ইমেটিক কার্যকারিতা দেখায় তাই বমি সক্রিয়ক ওষুধ এক্ষেত্রে কার্যকর নয়। হেমোডায়ালিসিসের মাধ্যমে অ্যাপ্রেপিট্যান্ট দূর করা যায় না।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Anti-emetic drugs

সংরক্ষণ

আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, ৩০ ডিগ্রী সেঃ তাপমাত্রার নীচে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।