Unit Price: ৳ 12.00 (3 x 10: ৳ 360.00)
Strip Price: ৳ 120.00
Also available as:

নির্দেশনা

মিরালিন নিম্নোক্ত উপসর্গে নির্দেশিত-
  • পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথিক পেইন
  • নিউরোপ্যাথিক পেইন
  • ডায়াবেটিক পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথিক পেইন
  • পোস্ট হারপেটিক নিউরালজিয়া।

ফার্মাকোলজি

মিরোগাবালিন গামা অ্যামিনো অ্যাসিড এবং তার প্রকারভেদের শ্রেণীভূক্ত। মিরোগাবালিন ভোল্টেজ-গেটেড ক্যালসিয়াম চ্যানেলের আলফা-২ ডেল্টা সাবইউনিট গুলোর সাথে নির্দিষ্টভাবে যুক্ত হয়। এটি ক্যালসিয়াম (ক্যালসিয়াম২+) ইনফ্লাক্স এবং নিউরোট্রান্সমিশন কমায় যা প্রিসাইন্যাপটিক নিউরন প্রান্তে নিউরোট্রান্সমিটার নিঃসরণকে বাধা দেয়। নিউরোট্রান্সমিটার নিঃসরণ বাধাগ্রস্ত হওয়ার কারণে, কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের (সিএনএস) হাইপারএক্সাইটেবিলিটি হ্রাস পায়।

মিরোগাবালিন আলফা-২-ডেলটা সাবইউনিটে আবদ্ধ হয় এবং পরবর্তীতে বিচ্ছিন্ন হয়। এটি আলফা-২-ডেলটা-২ সাবইউনিটের তুলনায় আলফা-২-ডেলটা-১ সাবইউনিটে শক্তিশালীভাবে যুক্ত হয়। এটি আলফা-২-ডেলটা-২ সাবইউনিটের তুলনায় আলফা-২-ডেলটা-১ সাবইউনিট হতে ধীরে ধীরে বিচ্ছিন্ন হয়। যার দরুন এটি আলফা-২-ডেলটা-১ সাবইউনিটে শক্তিশালীভাবে যুক্ত হয়ে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধন তৈরী করে থেরাপিউটিক ইফেক্ট প্রকাশ করে এবং এটি আলফা-২-ডেলটা-২ সাবইউনিটে দূর্বল বন্ধন তৈরী করে এবং খুবই কম সময় এখানে অবস্থান করায় সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম সর্ম্পকিত পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া সমূহ কম হয়, যা এটির দীর্ঘ মেয়াদী নিরাপত্তা নিশ্চিত করে (প্রশস্ত থেরাপিউটিক ব্যবহার প্রকাশ করে)।

মাত্রা ও সেবনবিধি

প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে: প্রাথমিক মাত্রা হল মিরোগাবালিন ৫ মি.গ্রা. দিনে দুবার। অন্তত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫ মি.গ্রা. করে পর্যায়ক্রমিকভাবে মাত্রা বাড়ানো যেতে পারে ১৫ মি.গ্রা. পর্যন্ত দিনে দুবার। বয়স এবং উপসর্গের উপর ভিত্তি করে দৈনিক যথাযথ মাত্রা সমন্বয় করা যেতে পারে ১০ মি.গ্রা. থেকে ১৫ মি.গ্রা. পর্যন্ত দিনে দুবার ।

শিশু ও কিশোরদের ক্ষেত্রে: শিশু ও কিশোরদের ক্ষেত্রে মিরোগাবালিন এর নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা এখনও সুপ্রতিষ্ঠিত নয়।

যকৃতের বিকলতা: হালকা থেকে মাঝারী যকৃতের বিকলতা সম্পন্ন রোগীদের ক্ষেত্রে, মিরোগাবালিনের একক ১৫ মি.গ্রা. মাত্রার ডোজ উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া করে না। গুরুতর যকৃতের বিকলতা সম্পন্ন রোগীদের ক্ষেত্রে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

কিডনির বিকলতা: হালকা কিডনির বিকলতা সম্পন্ন রোগীদের প্রাথমিক ডোজ ৫ মি.গ্রা. দিনে ২ বার থেকে শুরু হয়, ধীরে ধীরে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডোজ বেড়ে ৫ মি.গ্রা. থেকে ১০ মি.গ্রা. পর্যন্ত হয়। মাঝারী কিডনির বিকলতা সম্পন্ন রোগীদের প্রাথমিক ডোজ ২.৫ মি.গ্রা. দিনে ২ বার থেকে শুরু হয়, ধীরে ধীরে ১ সপ্তাহের ব্যবধানে ডোজ ২.৫ মি.গ্রা. করে বেড়ে দিনে ২ বার ৭.৫ মি.গ্রা. পর্যন্ত হয়। গুরুতর কিডনির বিকলতা সম্পন্ন রোগীদের প্রাথমিক ডোজ ২.৫.মি.গ্রা. দিনে ১ বার থেকে শুরু হয়, ধীরে ধীরে ১ সপ্তাহের ব্যবধানে ডোজ ২.৫ মি.গ্রা. করে বেড়ে দিনে ১ বার ৭.৫ মি.গ্রা. পর্যন্ত হয়।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

ঔষধের সাথে: সিমেটিডিন বা প্রোবেনিসিডের সাথে মিরোগাবালিন একত্রে গ্রহণ করলে মিরোগাবালিনের প্লাজমা ঘনত্ব বাড়াতে পারে। গুরুত্বপূর্ণভাবে, লোরাজেপামের সাথে মিরোগাবালিন গ্রহণ করা হলে, কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উপর ডিপ্রেসিভ প্রভাব দেখা দিতে পারে।

খাবার ও অন্যান্যের সাথে: মিরোগাবালিনের শোষণের উপর খাবারে কোন ক্লিনিক্যাল প্রভাব নেই। মিরোগাবালিনের দ্বারা চিকিৎসা চলাকালীন সময় অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা উচিত কেননা চলাচল ও ঘুমের উপর অ্যালকোহলের প্রভাবকে মিরোগাবালিন ত্বরান্বিত করে।

প্রতিনির্দেশনা

যাদের মিরোগাবালিন এর প্রতি হাইপারসেন্সিটিভিটির সম্ভাবনা আছে তাদের এই ওষুধ সেবনে বিরত থাকা উচিৎ। যাদের মাঝারি থেকে মারাত্মক বৃত্তীয় এবং মূত্রনালির সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রেও মিরোগাবালিন সেবন অনুচিত।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো হলো:- মাথাঘোরা, ঘুম ঘুম ভাব, এডেমা এবং ওজন বেড়ে যাওয়া। নিচের লক্ষণগুলো দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তার এর কাছে যেতে হবে।
  • মাথায় বল না পাওয়া, অচেতন হয়ে যাওয়া।
  • জেনারেল মেলাইজ, ক্ষুধা মন্দা, বমি এবং জন্ডিস।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে মিরোগাবালিন সেবনের নিরাপত্তা সম্বলিত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

সতর্কতা

মিরোগাবালিন সেবনে মাথাঘোরা, ঘুম ঘুম ভাব এবং অজ্ঞান হবার সম্ভাবনা থাকে। তাই ঝুঁকিপূর্ণ যন্ত্রাংশ বা গাড়ি চালাবার সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। মিরোগাবালিন সেবনে ওজন বেড়ে যেতে পারে মিরোগাবালিন সেবনে ঝাপসা দেখার সম্ভাবনা থাকে ।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Adjunct anti-epileptic drugs, Primary anti-epileptic drugs

সংরক্ষণ

আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, ৩০° সেলসিয়াস এর নিচে ও শুকনো স্থানে রাখুন। সকল ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।।