নির্দেশনা

ফিনেরেনন টাইপ ২ ডায়াবেটিস (T2DM) এর সাথে যুক্ত দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ (CKD) সহ প্রাপ্ত বয়স্ক রোগীদের হৃদযন্ত্রের ব্যর্থতার জন্য দীর্ঘস্থায়ী eGFR হ্রাস, শেষ পর্যায়ের কিডনি রোগ, কার্ডিওভাসকুলার মৃত্যু, নন-ফেটাল মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি কমাতে নির্দেশিত।

ফার্মাকোলজি

ফিনেরেনন একটি ননস্টেরয়েডাল, সিলেক্টিভ মিনারেলোকোর্টিকয়েড রিসেপ্টর (এমআর) ব্লকার, যা অ্যালডোস্টেরন এবং কর্টিসল দ্বারা সক্রিয় হয় এবং জিন ট্রান্সক্রিপসান নিয়ন্ত্রণ করে। ফিনেরেনন এপিথেলিয়াল (যেমন, কিডনি) এবং ননএপিথেলিয়াল (যেমন, হৃদপিন্ড এবং রক্তনালী) উভয় টিস্যুতে এমআর সম্পৃক্ত সোডিয়াম পুনঃশোষণ এবং অত্যধিক এমআর সক্রিয়করণকে ব্লক করে। অত্যধিক এমআর সক্রিয়তা ফাইব্রোসিস এবং প্রদাহের জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়। এমআর এর জন্য ফিনেরেনন এর উচ্চক্ষমতা এবং সিলেক্টিভিটি রয়েছে কিন্তু অ্যান্ড্রোজেন, প্রোজেস্টেরন, এস্ট্রোজেন, কিংবা গ্লুকোকোর্টিকয়েড রিসেপ্টরের প্রতি এর কোন প্রভাব নেই। ফিনেরেনন দিয়ে চিকিৎসা করা রোগীদের মধ্যে, গড় সিস্টোলিক রক্তচাপ ৩ mmHg কমে যায় এবং ১ মাসে গড়ে ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ ১-২ mmHg কমে যায়, তারপরে স্থিতিশীল হয়। সর্বাধিক অনুমোদিত মাত্রার ৪ গুন মাত্রায় ফিনেরেনন ক্লিনিক্যালি প্রাসঙ্গিক মাত্রায় QT ব্যবধানকে দীর্ঘায়িত করে না। ওরাল সেবনে ফিনেরেনন সম্পূর্ণরুপে শোষিত হয় তবে বিপাক প্রক্রিয়ায় বায়োঅ্যাবেলিবিলিটি ৪৪% হয়। সেবনের পর ০.৫ থেকে ১.২৫ ঘন্টার মধ্যে ফিনেরেনন Cmax অর্জন করে।

মাত্রা ও সেবনবিধি

আনুমানিক গ্লোমেরুলার পরিশ্রাবণ হার (eGFR) এবং সিরাম পটাসিয়াম থ্রেশহোল্ডের উপর ভিত্তি করে প্রাথমিক নির্দেশিত সেবনমাত্রা হল ওরালি ১০ মি.গ্রা. বা ২০ মি.গ্রা. প্রতিদিন একবার।

eGFR এবং সিরাম পটাসিয়াম থ্রেশহোল্ডের উপর ভিত্তি করে ৪ সপ্তাহ পরে মাত্রা বৃদ্ধি করে প্রতিদিন একবার ২০ মি.গ্রা. করে লক্ষ্যমাত্রার ডোজ নিতে হবে।

ট্যাবলেট খাবারের পূর্বে ও পরে সেবন করা যায়।

নির্দেশিত মাত্রা-
eGFR ≥৬০ মি.লি./মিনিট/১.৭৩ মি: শুরুর ডোজ ২০ মি.গ্রা. দিনে একবার
eGFR ≥২৫ থেকে <৬০ মি.লি./মিনিট/১.৭৩ মি: শুরুর ডোজ ১০ মি.গ্রা. দিনে একবার
eGFR <২৫ মি.লি./মিনিট/১.৭৩ মি: নির্দেশিত নয়।

যেসকল রোগী ট্যাবলেট গিলে খেতে অক্ষম সেসব রোগীদেরকে ফিনেরেনন ট্যাবলেট ভেঙ্গে গুঁড়া করে পানি কিংবা নরম খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো যাবে।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

শক্তিশালী CYP3A4 ইনহিবিটরস: ব্যবহার প্রতিনির্দেশিত।

আঙ্গুর এবং আঙ্গুরের রস: একসাথে ব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে।

মৃদু এবং কম শক্তিশালী CYP3A4 ইনহিবিটরস: সিরাম পটাসিয়ামের মাত্রা নিরীক্ষণ করে ডোজ শুরু বা সামঞ্জস্য করতে হবে।

শক্তিশালী অথবা মধ্যম শক্তিশালী CYP3A4 উদ্দীপকসমূহ: একসাথে ব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে।

প্রতিনির্দেশনা

শক্তিশালী CYP3A4 ইনহিবিটরের সাথে একযোগে ব্যবহার এবং অ্যাড্রিনাল অকার্যকারিতার ক্ষেত্রে প্রতিনির্দেশিত।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

≥১% রোগীর মধ্যে ফিনেরেননের তুলনায় প্ল্যাসিবোতে বেশি ঘন ঘন প্রতিকূল পরতিক্রিয়া যেমন হাইপারক্যালেমিয়া, হাইপোটেনশন এবং হাইপোনেট্রেমিয়া দেখা দেয়।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত সেফটি ডাটা পাওয়া যায়নি। স্তন্যদানকালে নির্দেশিত নয়।

সতর্কতা

কিডনির কার্যকারিতা কমে যাওয়া এবং বেসলাইন পটাসিয়ামের উচ্চ মাত্রার রোগীদের ক্ষেত্রে হাইপারক্যালেমিয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায। সিরামে পটাসিয়ামের মাত্রা নিরীক্ষণ করে প্রয়োজন অনুসারে মাত্রা সামঞ্জস্য করতে হবে।

বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার

শিশুদের জন্য: ১৮ বছরের নিচে নির্দেশিত নয়।

বয়স্কদের জন্য: কোনো প্রকার মাত্রা সামঞ্জস্যের প্রয়োজন নেই।

যকৃতের দূর্বলতা: তীব্র যকৃতের দূর্বলতার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় (চাইল্ড পাগ C)। মৃদু এবং কম তীব্র যকৃতের দূর্বলতার ক্ষেত্রে কোনো প্রকার ডোজ সামঞ্জস্যের প্রয়োজন নেই (চাইল্ড পাগ A & B)।

মাত্রাধিক্যতা

অতিরিক্ত মাত্রার ক্ষেত্রে অবিলম্বে ফিনেরেনন চিকিৎসা বন্ধ করুন। ওভারডোজের সবচেয়ে সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া হল হাইপারক্যালেমিয়া। হাইপারক্যালেমিয়া হলে উপযুক্ত চিকিৎসা শুরু করা উচিত। প্রায় ৯০% প্লাজমা প্রোটিনের সাথে বাইন্ডিং হওয়ায় হেমোডায়ালাইসিস দ্বারা ফিনেরেনন কার্যকরভাবে অপসারণ করার সম্ভাবনা কম।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Mineralocorticoid Receptor Antagonists

সংরক্ষণ

৩০°সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার নিচে, শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করুন। আলো থেকে দূরে রাখুন। সকল ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।