IV Injection

ভরিটেক ইঞ্জেকসন

২০০ মি.গ্রা./ভায়াল
200 mg vial: ৳ 2,000.00

নির্দেশনা

ভরিটেক আজল গ্রুপের একটি অ্যান্টি-ফাংগাল ওষুধ যা নিন্মোক্ত রােগের প্রতি নির্দেশিত
  • ইনভ্যাসিভ অ্যাম্পারগিলােসিস
  • ক্যান্ডিডেমিয়া এবং ত্বক, পাকস্থলী, যকৃত, রক্তনালী এবং ক্ষতে ছড়িয়ে পড়া ক্যাডিডিয়াসিস
  • ইসােফেজিয়াল ক্যানডিডিয়াসিস
  • সেডােস্পেরিয়াম এ্যাপিওস্পারমাম এবং ফুসারিয়াম দ্বারা সৃষ্ট মারাত্মক ফাংগাল ইনফেকশন যেমন ফুসারিয়াম সােলানি
  • অন্যান্য ওষুধের চিকিৎসায় রােগীদের অসহনীয়তা বা কাঙ্ক্ষিত ফল না পাওয়া।

ফার্মাকোলজি

ভরিকোনাজল একটি ট্রায়াজোল অ্যান্টি-ফাংগাল যেটা মারাত্মক ধরনের ফাংগাল সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ভরিকোনাজল CYP450 নির্ভরশীল ১৪-আলফা ডিমিথাইলেজ এনজাইমের সাথে যুক্ত হয়ে এরগােস্টেরল সংশ্লেষণ বন্ধ করে দেয় যার ফলে ফাংগাসের কোষে এরগােস্টেরল এর ঘাটতি তৈরি হয়

মাত্রা ও সেবনবিধি

ভরিকোনাজল ট্যাবলেট এবং সাসপেনশন তৈরির পাউডার খাবার এক ঘন্টা আগে বা পরে সেবন করতে হবে।
  • ৪০ কেজি বা তার বেশি দৈহিক ওজনে: প্রাথমিকভাবে (প্রথম ২৪ ঘন্টা) ৪০০ মিগ্রা অথবা ১০ মিলি করে দিনে দুইবার এবং পরবর্তীতে (প্রথম ২৪ ঘন্টা পর) ২০০ মিগ্রা অথবা ৫ মিলি করে দিনে দুইবার।
  • ৪০ কেজির কম দৈহিক ওজনে: প্রাথমিকভাবে (প্রথম ২৪ ঘন্টা) ২০০ মিগ্রা অথবা ৫ মিলি করে দিনে দুইবার এবং পরবর্তীতে (প্রথম ২৪ ঘন্টা পর) ১০০ মিগ্রা অথবা ২.৫ মিলি করে দিনে দুইবার।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

  • CYP3A4, CYP2C9 এবং CYP2C19-এর উপর যে সকল ওষুধ কাজ করে তাদের ক্ষেত্রে ভরিটেক এর মাত্রা সমন্বয় করে যে কোন প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ করতে হবে
  • ভরিটেক CYP3A4, CYP2C9 এবং CYP2C19 এর সাবস্ট্রেট ওষুধের মাত্রা ও কার্যকারিতা বাড়িয়ে দিতে পারে। সেক্ষেত্রে এ সকল ওষুধের মাত্রা কমিয়ে দিয়ে যে কোন প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে হবে
  • ফেনাইটোইন অথবা এফাভিরেঞ্জ এর সাথে দিলে ভরিটেক এর মাত্রা বাড়িয়ে দিতে হবে

প্রতিনির্দেশনা

  • ভরিকোনাজল বা এই ওষুধের যে কোন উপাদানের প্রতি অতি সংবেদনশীলতা
  • টারফেনাডিন, অ্যাসটেমিজল, সিছাপ্রাইড, কুইনিডিন ও সিরােলিমাস এর সাথে দিলে মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে
  • রিফামপিন, কার্বামাজিপাইন, বার্বিচুরেটস, এফাভিরেনঞ্জ , রিটোনাভির, আরগট অ্যালকালয়েডস এর সাথে দিলে কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলাে হল তলপেটে ব্যথা, অ্যানিমিয়া, ঝাপসা দৃষ্টিশক্তি, মাথা ব্যথা, বুকে ব্যথা, বমি বমি ভাব ও ডায়ারিয়া।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

গর্ভাবস্থায় ভরিকোনাজল সম্পর্কিত পর্যাপ্ত তথ্য ও সুনির্দিষ্ট গবেষণা নেই। গর্ভাবস্থায় সুনির্দিষ্ট প্রয়ােজনীয়তা থাকলেই শুধুমাত্র এটা ব্যবহার করা যাবে। মাতৃদুগ্ধে এটার নিঃসরণ এখনাে জানা যায়নি।

সতর্কতা

১৮০ দিনের বেশি দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসার ক্ষেত্রে রােগীর রিস্ক-বেনিফিট অনুপাত সতর্কতার সাথে নিরীক্ষণ করতে হবে। তাছাড়া দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের ফলে স্কোয়ামাস সেল কারসিনােমা লক্ষ করা যায়।

বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার

১২ বছরের নিচের শিশুদের ক্ষেত্রে ভরিটেকের সহনশীলতা ও কার্যকারিতা নির্ধারিত নয়।

মাত্রাধিক্যতা

ভরিটেকের অতিরিক্ত ব্যবহারজনিত কোন গবেষণা পাওয়া যায়নি।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Other Antifungal preparations

পুনর্গঠন প্রণালী

সাসপেনশন তৈরির প্রণালীঃ পানি মেশানাের আগে বােতল ভালভাবে ঝাঁকিয়ে নিন যেন পাউডার জমাট বেধে না থাকে। এরপর ২৫ মিলি (সাথে দেওয়া চামচের ৫ চামচ) ফুটানাে ঠান্ডা পানি বােতলে ঢালুন এবং পাউডার সম্পূর্ণ মিশে না যাওয়া পর্যন্ত ঝাঁকিয়ে নিন। তৈরিকৃত সাসপেনশন ১৫° থেকে ৩০° সে. তাপমাত্রার মধ্যে রাখুন। সাসপেনশন তৈরির ১৪ দিনের মধ্যে খাওয়া বা খাওয়ানাে শেষ করতে হবে।

সংরক্ষণ

শিশুদের নাগালের বাইরে, আলাে থেকে দূরে এবং ঠাণ্ডা (২৫° সে. তাপমাত্রার নিচে) ও শুষ্কস্থানে রাখুন। ভরিটেক সাসপেনশন ২°-৮° সে. তাপমাত্রার মাঝে রাখুন।