নির্দেশনা
এসএমসি জিংক জিংকের ঘাটতি এবং জিংক ক্ষয় নিয়ন্ত্রণে নির্দেশিত। অপর্যাপ্ত খাবার অথবা শোষণের ঘাটতি জনিত কারণে জিংকের ঘাটতি হতে পারে। আঘাত, পোড়া, ডায়রিয়া এবং প্রোটিন ক্ষয়ের ফলেও জিংকের অতিরিক্ত ঘাটতি হতে পারে। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত সম্পূরক হিসেবে জিংক সেবন করতে হবে; তবে তীব্র শোষণের ঘাটতি, জিংক শোষণ জনিত ব্যাধি অথবা জিংকের ক্ষয় নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘ দিন পর্যন্ত নিতে হতে পারে।
ফার্মাকোলজি
জিংক সালফেট মনোহাইড্রেট একটি প্রক্রিয়াজাত খনিজ উপাদান যা অতি অল্পমাত্রায় শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় এবং শরীরের অসংখ্য এনজাইম সিস্টেমের সাথে সম্পৃক্ত। স্বাস্থ্য এবং স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য শরীরে জিংক প্রয়োজন। সেক্সচুয়াল ম্যাচুরেশন এবং প্রজনন, ডার্ক ভিশন এডাপ্টেশন, ওলফেক্টরী এবং স্বাদগ্রাহী ক্ষমতা, ইনসুলিন সংরক্ষণ ও নিঃসরণ এবং বিভিন্ন ধরনের হোস্ট ইমিউন ডিফেন্সের জন্য জিংক অত্যন্ত গুরুত্ব¡পূর্ণ। জিংক এর অভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, দেরিতে ক্ষত শুকানো, স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতি কমে যাওয়া, রাতকানা, এ্যাবর্শন এর ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া, মাথায় টাক পড়া, মানসিক লেথার্জি, ত্বকের পরিবর্তন এবং প্রজনন অঙ্গের পরিপক্কতা কম হতে পারে ।
মাত্রা ও সেবনবিধি
১০ কেজির নিচের শিশুদের ক্ষেত্রেঃ ৫ মিঃলিঃ (১ চা চামচ) দৈনিক ২ বার খাবারের পরে।
১০ কেজি থেকে ৩০ কেজি পর্যন্ত শিশুদের জন্যঃ ১০ মিঃলিঃ (২ চা চামচ) দৈনিক ১-৩ বার খাবারের পরে।
প্রাপ্ত বয়স্ক এবং ৩০ কেজির ঊর্দ্ধে শিশুদের জন্যঃ ২০ মিঃলিঃ (৪ চা চামচ) দৈনিক ১-৩ বার খাবারের পরে।
আহারের ১ ঘন্টা পূর্বে অথবা ২ ঘন্টা পরে সেবনে এই ঔষধটি তার সর্বোচ্চ কার্যকারিতা দেখায়। পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা হলে এটি আহারের সাথে সেবন করা যেতে পারে।
১০ কেজি থেকে ৩০ কেজি পর্যন্ত শিশুদের জন্যঃ ১০ মিঃলিঃ (২ চা চামচ) দৈনিক ১-৩ বার খাবারের পরে।
প্রাপ্ত বয়স্ক এবং ৩০ কেজির ঊর্দ্ধে শিশুদের জন্যঃ ২০ মিঃলিঃ (৪ চা চামচ) দৈনিক ১-৩ বার খাবারের পরে।
আহারের ১ ঘন্টা পূর্বে অথবা ২ ঘন্টা পরে সেবনে এই ঔষধটি তার সর্বোচ্চ কার্যকারিতা দেখায়। পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা হলে এটি আহারের সাথে সেবন করা যেতে পারে।
ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া
টেট্রাসাইক্লিন এবং জিংক একত্রে সেবন করলে উভয়ের শোষণের মাত্রা কমে যেতে পারে। অনুরুপভাবে জিংক এবং কুইনোলন জাতীয় ঔষধ একত্রে সেবন করলে উভয়ের শোষণের হার কমে যেতে পারে। পেনিসিলামিন এবং জিংক এর সহ সেবন জিংক এর শোষণের হার কমিয়ে দিতে পারে।
প্রতিনির্দেশনা
জিংক বা এটির কোন উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা যাবে না।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
কিছু কিছু ক্ষেত্রে বমি-বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা, বুক জ্বালা পোড়া এবং পেটে প্রদাহ হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
গর্ভাবস্থায় এই ঔষধের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত নয়। জিংক প্লাসেন্টা অতিক্রম করতে পারে এবং স্তন্যদুগ্ধে পাওয়া যায়।
সতর্কতা
তীব্র রেনাল ফেইলিউরের ক্ষেত্রে শরীরে জিংক জমা হতে পারে; সেক্ষেত্রে মাত্রা সমন্বয় করতে হবে।
থেরাপিউটিক ক্লাস
Specific mineral preparations, Vaccines, Anti-sera & Immunoglobulin
সংরক্ষণ
আলো ও তাপ থেকে দূরে শুষ্ক স্থানে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।