নির্দেশনা

ফ্রেনিয়া নিম্নোক্ত উপসর্গে নির্দেশিত-
  • তীব্র এবং ক্রোনিক সাইকোসিস
  • ম্যানিয়া
  • সিজোফ্রেনিয়া

ফার্মাকোলজি

রিসপেরিডোন একটি নির্দিষ্ট মনোঅ্যামাইনারজিক অ্যান্টাগোনিস্ট যা সেরোটোনিন ৫ হাইড্রোক্সি ট্রিপটামিন-২ এবং ডোপামিনারজিক ডি-২ রিসেপ্টরের প্রতি অতি মাত্রায় আকৰ্ষিত। রিসপেরিডোন আলফা-১ অ্যাড্রিনারজিক রিসেপ্টরের এইচ-১ হিস্টামিন এবং আলফা-২ অ্যাড্রিনারজিক রিসেপ্টরের সাথে যুক্ত হয়। কোলিনারজিক রিসেপ্টরের প্রতি রিসপেরিডোনের কোন আকর্ষণ নেই। রিসপেরিডোন শক্তিশালী ডি-২ অ্যান্টাগোনিষ্ট হিসেবে সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণসমূহের উন্নতি করে কিন্তু মোটর কার্যকারিতায় মৃদু হতাশা সৃষ্টি করে। সঠিক মাত্রায় কেন্দ্রীয় সেরোটোনিন এবং ডোপামিন এ্যান্টাগোনিজমের মাধ্যমে অতিরিক্ত পাইরেমিডাল প্রভাব কমায় এবং সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণসমূহের থেরাপিউটিক কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।

মাত্রা ও সেবনবিধি

সাইকোসিস:
  • ১ম দিনে ২ মি.গ্রা. করে ১-২টি সমমাত্রায় এবং ২য় দিনে ৪ মি.গ্রা. করে ১-২ টি সমমাত্রায় নির্দেশিত (কিছু রোগীর ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে মাত্রা নির্ধারণ করতে হবে)।
  • সাধারণ মাত্রা সীমা দৈনিক ৪-৬ মি.গ্রা.। যদি উপকারিতা সম্ভাব্য বিপদকে অতিক্রম করে শুধু মাত্র সেইক্ষেত্রে মাত্রা ১০ মি.গ্রা. এর বেশি বিবেচিত হবে (সর্বোচ্চ দৈনিক ১৬ মি.গ্রা.)।
  • বয়স্কদের (অথবা বৃক্কীয় ও যকৃত সমস্যার ক্ষেত্রে) প্রাথমিকভাবে দৈনিক ১ মি.গ্রা. ২টি সমমাত্রা থেকে পর্যায়ক্রমে ১-২ মি.গ্রা. মাত্রায় দৈনিক দুবার পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে।
  • ১৫ বছরের নিচে শিশুদের ক্ষেত্রে নির্দেশিত নয়।
ম্যানিয়া:
  • প্রাথমিকভাবে দৈনিক ১ মি.গ্রা. একক মাত্রা থেকে পর্যায়ক্রমে প্রয়োজনে দৈনিক ২ মি.গ্রা. একক মাত্রায় পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে। সাধারণ মাত্রা সীমা দৈনিক ১-৬ মি.গ্রা.
  • বয়স্কদের (অথবা যকৃত ও বৃক্কীয় সমস্যার ক্ষেত্রে) প্রাথমিক ভাবে দৈনিক ১ মি.গ্রা. ২টি সমমাত্রা থেকে পর্যায়ক্রমে ১-২ মি.গ্রা. মাত্রায় দৈনিক দুবার পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে
সিজোফ্রেনিয়ায়:
  • প্রাথমিকভাবে রিসপেরিডোন ১ মি.গ্রা. দৈনিক দুবার মাত্রায় সেবন করা উচিত, ২য় ও ৩য় দিনে দৈনিক ১ মি.গ্রা. করে ২ বার মাত্রা বাড়িয়ে যদি সহনশীল হয় তাহলে লক্ষ্য মাত্রা দৈনিক ৩ মি.গ্রা. দুবার পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে।
  • যদি নির্দেশিত হয় তাহলে ১ সপ্তাহের কম বিরতি দিয়ে মাত্রা সমন্বয় করা উচিত। মাত্রা সমন্বয়ের প্রয়োজন হলে ১-২ মি.গ্রা. স্বল্প মাত্রায় হ্রাস/বৃদ্ধি করা যেতে পারে।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

লিভোডোপা ও ডোপামিন অ্যাগোনিষ্টকে অ্যান্টাগোনাইজ করতে পারে। কার্বামাজিপাইনের ক্রোনিক ব্যবহারে ফ্রেনিয়াের প্লাজমা ক্লিয়ারেন্স কমে যায়। ক্লোজাপাইন এর ক্রোনিক ব্যবহার ফ্রেনিয়াের ক্লিয়ারেন্স কমিয়ে দেয়। ফ্রেনিয়া কিছু এন্টিহাইপারটেনসিভ এর কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।

প্রতিনির্দেশনা

যাদের রিসপেরিডোনের প্রতি সংবেদনশীলতা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে প্রতিনির্দেশিত।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

নিদ্রা সমস্যা, অ্যাজিটেশন, উদ্বিগ্নতা, মাথা ব্যথা, হালকা ঝিমুনি ভাব, মনোযোগে বিঘ্নতা, দূর্বলতা, ঝাপসা দৃষ্টি, কোষ্ঠকাঠিন্য, খাবারে অনীহা ও বমি বমি ভাব, ডিসপেপসিয়া, হাইপারপ্রোলেকটেমিয়া, প্রস্রাবে সমস্যা, টেকিকার্ডিয়া, হাইপারটেনশন, ইডিমা, ফুসকুড়ি, রাইনাইটিস, সেরিব্রোভাসকিউলার সমস্যা, নিউট্রোপেনিয়া এবং থ্রোম্বোসাইটোপেনিয়া হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

গর্ভাবস্থায়: যদিও প্রাণী দেহে পরীক্ষায় রিসপেরিডোন কোন রিপ্রোডাকটিভ বিষক্রিয়া দেখা যায় নাই, কিন্তু অনির্দিষ্ট প্রোল্যাকটিন ও সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমে এর প্রভাব দেখা যায়। কোন পরীক্ষায় কোন টেরাটোজেনিসিটি পরিলক্ষিত হয়নি। রিসপেরিডোনের কোন নিরাপদ অবস্থা গর্ভাবস্থার ক্ষেত্রে এখনও প্রতিষ্ঠিত হয় নাই।

স্তন্যদানকালে: দেখা গিয়েছে রিসপেরিডোন এবং ৯-হাইড্রোক্সি রিসপেরিডোন মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয়। সুতরাং মায়েদের ক্ষেত্রে যারা শিশুদের দুধ খাওয়ান তাদের রিসপেরিডোন পরিহার করা উচিৎ।

সতর্কতা

পূর্বে হৃদরোগের সমস্যা থাকলে সতর্কতা নেয়া উচিৎ। যদি টারডাইভ ডিসকাইনেশিয়া, বৃক্কীয় এবং যকৃতের সমস্যা থাকে, বয়স্কদের মৃগীরোগ, পারকিনসন্স রোগ থাকে এবং গর্ভাবস্থায় ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Atypical neuroleptic drugs

সংরক্ষণ

৩০° সে. এর উপরে সংরক্ষণ করা হতে বিরত থাকুন। আলো থেকে দূরে এবং শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
Pack Image of Frenia 4 mg Tablet Pack Image: Frenia 4 mg Tablet