Unit Price:
৳ 19.06
(3 x 10: ৳ 571.80)
Strip Price:
৳ 190.60
Also available as:
নির্দেশনা
গাবা-এইড ফিল্ম কোটেড ট্যাবলেট নিম্নোক্ত সকল ক্ষেত্রে নির্দেশিতঃ
- ডায়াবেটিক পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথির (ডিপিএন) সাথে সংশ্লিষ্ট নিউরোপ্যাথিক ব্যাথা
- পোস্টহার্পেটিক নিউরালজিনা (পিএইচএন)
- এক মাস ও এর বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে পার্সিয়াল অনসেট সিজারের সহায়ক চিকিৎসা
- ফাইব্রোমাথেলজিয়া
- স্পাইনাল কর্ডের আঘাতের সাথে সংশ্লিষ্ট নিউরোপ্যাথিক ব্যথা
- ডায়াবেটিক পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথির (ডিপিএন) সাথে সংশ্লিষ্ট নিউরোপ্যাথিক ব্যথা
- পোস্টহার্পেটিক নিউরালজিয়া (পিএইচ)
ফার্মাকোলজি
প্রিগাবালিন এক ধরনের ইনহিবিটরি নিউরোট্রান্সমিটার যা গামা-অ্যামিনোবিউটাইরিক এসিডের (GABA) একটি গাঠনিক ডেরিভেটিভ। এটি সরাসরি GABAA, GABAB, অথবা বেনজোডায়াজেপিন রিসেপ্টরের সাথে যুক্ত হয় না। প্রিগাবালিন কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের টিস্যুসমূহের Alpha2-delta সাইটের (ভোল্টেজ-গেটেড ক্যালসিয়াম চ্যানেলের একটি অতিরিক্ত সাবইউনিট) সাথে উচ্চ সংযুক্তি সহকারে যুক্ত হন। প্রিগাবালিনের সঠিক কার্যপদ্ধতি জানা না গেলেও Alpha2-delta সাবইউনিটের সাথে সংযুক্তিই প্রিগাবালিনের ব্যথা নিরোধক এবং খিচুনি বিরোধী প্রভাবের জন্য দায়ী বলে প্রাণীদের উপর পরীক্ষায় জানা গেছে।
ঔষধের মাত্রা
প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিক পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথির সাথে সংশ্লিষ্ট নিউরোপ্যাথিক ব্যথা (ডিপিএন): যে সকল রোগীর ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স ৬০ মিলি/মিনিট বা এর চেয়ে বেশি, তাদের জন্য প্রিগাবালিন এর সর্বোচ্চ নির্দেশিত মাত্রা ১০০ মিগ্রা করে দিনে ৩ বার (মোট দৈনিক মাত্রা ৩০০ মিগ্রা। ওষুধটি শুরু করার সময় ৫০ মিগ্রা করে দিনে ৩ বার (মোট দৈনিক মাত্র ১৫০ মিগ্রা) দিতে হবে। ওষুধের কার্যকারিতা এবং ওষুধের প্রতি রোগীর সহনশীলতার উপর ভিত্তি করে এক সপ্তাহের মধ্যে মোট দৈনিক মাত্রা ৩০০ মিগ্রা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে। প্রিগাবালিন সিআর শুরুতে ১৬৫ মিগ্রা করে দিনে একবার সেবন করতে হবে এবং রোগীর প্রতিক্রিয়া এবং সহনশীলতার উপর ভিত্তি করে ১ সপ্তাহের মধ্যে প্রতিদিন একবার ৩০০ মিগ্রা পর্যন্ত মাত্রা বৃদ্ধি করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রিগাবালিন সিআর এর সর্বোচ্চ মাত্রা হলো ৩০০ মিগ্রা করে দিনে একবার।
প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে পোস্টহার্পেটিক নিউরালজিয়ার চিকিৎসায় (পিএইচএন): যে সকল রোগীর ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স ৬০ মিলি/মিনিট বা এর চেয়ে বেশি, তাদের জন্য প্রিগাবালিন এর নির্দেশিত মাত্রা ৭৫ মিগ্রা থেকে ১৫০ মিগ্রা করে দিনে ২ বার অথবা ৫০ মিগ্রা থেকে ১০০ মিগ্রা করে দিনে ৩ বার (মোট দৈনিক মাত্রা ১৫০ মিগ্রা থেকে ৩০০ মিগ্রা)। ঔষধটি শুরু করার সময় ৭৫ মিগ্রা করে দিনে ২ বার অথবা ৫০ মিগ্রা করে দিনে ৩ বার (মোট দৈনিক মাত্রা ১৫০ মিগ্রা) দিতে হবে। ওষুধের কার্যকারিতা এবং ওষুধের প্রতি রোগীর সহনশীলতার উপর ভিত্তি করে এক সপ্তাহের মধ্যে মোট দৈনিক মাত্রা ৩০০ মিগ্রা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে। মোট দৈনিক মাত্রা ৩০০ মিগ্রা দ্বারা চিকিৎসার ২ থেকে ৪ সপ্তাহ পরেও যথেষ্ট ব্যাথা নিরসন না হলে, যে সকল রোগী প্রিগাবালিন এর অতিরিক্ত মাত্রার প্রতি সহনশীল তাদের ক্ষেত্রে ৩০০ মিগ্রা করে দিনে ২ বার অথবা ২০০ মিগ্রা করে দিনে ৩ বার (মোট দৈনিক মাত্রা ৬০০ মিগ্রা) দেওয়া যেতে পারে।
প্রিগাবালিন সিআর শুরুতে ১৬৫ মিগ্রা করে দিনে একবার সেবন করতে হবে এবং রোগীর প্রতিক্রিয়া এবং সহনশীলতার উপর ভিত্তি করে ১ সপ্তাহের মধ্যে প্রতিদিন একবার ৩৩০ মিগ্রা পর্যন্ত মাত্রা বৃদ্ধি করা যেতে পারে। প্রতিদিন একবার করে ৩৩০ মিগ্রা মাত্রায় ২ থেকে ৪ সপ্তাহের চিকিৎসার পরও যে সকল রোগীদের পর্যাপ্ত ব্যাথা উপশম হয় না, তাদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন একবার করে ৬৬০ মিগ্রা পর্যন্ত প্রিগাবালিন সিআর এর সহনশীল মাত্রার দেয়া যেতে পারে। মাত্রা নির্ভর প্রতিনির্দেশনা এবং বিরুপ প্রতিক্রিয়ার কারণে চিকিৎসা বন্ধের উচ্চ হারের পরিপ্রেক্ষিতে, ৩৩০ মিগ্রা/প্রতিদিন উপরের মাত্রা শুধুমাত্র সেই রোগীদের জন্য সংরক্ষিত করা উচিত যাদের চলমান ব্যথা রয়েছে এবং প্রতিদিন ৩৩০ মিগ্রা মাত্রা যাদের ক্ষেত্রে সহনশীল ছিল। এ ক্ষেত্রে প্রিগাবালিন সিআর এর সর্বোচ্চ মাত্রা হলো ৬৬০ মিগ্রা করে দিনে একবার।
প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে ফাইব্রোমায়ালজিয়া চিকিৎসায়: প্রিগাবালিন এর নির্দেশিত মোট দৈনিক মাত্রা ৩০০ মিগ্রা থেকে ৪৫০ মিগ্রা। ঔষধটি শুরু করার সময় ৭৫ মিগ্রা করে দিনে দুইবার (মোট দৈনিক মাত্রা ১৫০ মিগ্রা) করে দিতে হবে। ওষুধের কার্যকারিতা এবং ওষুধের প্রতি রোগীর সহনশীলতার উপর ভিত্তি করে এক সপ্তাহের মধ্যে মাত্রা বৃদ্ধি করে ১৫০ করে দিনে ২ বার (মোট দৈনিক মাত্রা ৩০০ মিগ্রা) দেখা থেকে পাবে। মোট দৈনিক মাত্রা ৩০০ মিগ্রা করে দেয়ার পরেও যথেষ্ট উপকারিতা পাওয়া না খেলে ২২৫ মিগ্রা করে দিনে ২ বার (মোট দৈনিক মাত্রা ৪৫০ মিগ্রা) দেয়া যেতে পারে।
স্পাইনাল কর্ডের আঘাতের সাথে সংশ্লিষ্ট নিউরোপ্যাথিক ব্যাথার চিকিৎসায়: প্রিগাবালিন এর নির্দেশিত মোট দৈনিক মাত্রা ১৫০ মিগ্রা থেকে ৬০০ মিগ্রা। ওষুধটি শুরু করার সময় ৭৫ মিগ্রা করে দিনে ২ বার (মোট দৈনিক মাত্রা ১৫০ মিগ্রা) দিতে হবে। ওষুধের কার্যকারিতা এবং ওষুধের প্রতি রোগীর সহনশীলতার উপর ভিত্তি করে এক সপ্তাহের মধ্যে মাত্রা বৃদ্ধি করে ১৫০ করে দিনে ২ বার (মোট দৈনিক মাত্র ৩০০ মিগ্রা) দেয়া যেতে পারে। ১৫০ মিগ্রা করে দিনে ২ বার মাত্রার চিকিৎসার ২ থেকে ৩ সপ্তাহ পরেও যথেষ্ট ব্যাথা নিরসন না হলে, যে সকল রোগী প্রিগাবালিন এর অতিরিক্ত মাত্রার প্রতি সহনশীল তাদের ক্ষেত্রে ৩০০ মিগ্রা করে দিনে ২ বার দেওয়া যেতে পারে।
প্রিগাবালিন থেকে প্রিগাবালিন সিআর এ পরিবর্তন করার সময়: রোগীদের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের সকালের প্রিগাবালিন ডোজ নিতে হবে এবং রাতের খাবারের পরে প্রিগাবালিন সিআর সেবন শুরু করতে হবে।
প্রিগাবালিন এর মোট দৈনিক মাত্রা (প্রতিদিন ২ বা ৩ বার): প্রিগাবালিন সিআর এর মাত্রা (দিনে একবার):
প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে পোস্টহার্পেটিক নিউরালজিয়ার চিকিৎসায় (পিএইচএন): যে সকল রোগীর ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স ৬০ মিলি/মিনিট বা এর চেয়ে বেশি, তাদের জন্য প্রিগাবালিন এর নির্দেশিত মাত্রা ৭৫ মিগ্রা থেকে ১৫০ মিগ্রা করে দিনে ২ বার অথবা ৫০ মিগ্রা থেকে ১০০ মিগ্রা করে দিনে ৩ বার (মোট দৈনিক মাত্রা ১৫০ মিগ্রা থেকে ৩০০ মিগ্রা)। ঔষধটি শুরু করার সময় ৭৫ মিগ্রা করে দিনে ২ বার অথবা ৫০ মিগ্রা করে দিনে ৩ বার (মোট দৈনিক মাত্রা ১৫০ মিগ্রা) দিতে হবে। ওষুধের কার্যকারিতা এবং ওষুধের প্রতি রোগীর সহনশীলতার উপর ভিত্তি করে এক সপ্তাহের মধ্যে মোট দৈনিক মাত্রা ৩০০ মিগ্রা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে। মোট দৈনিক মাত্রা ৩০০ মিগ্রা দ্বারা চিকিৎসার ২ থেকে ৪ সপ্তাহ পরেও যথেষ্ট ব্যাথা নিরসন না হলে, যে সকল রোগী প্রিগাবালিন এর অতিরিক্ত মাত্রার প্রতি সহনশীল তাদের ক্ষেত্রে ৩০০ মিগ্রা করে দিনে ২ বার অথবা ২০০ মিগ্রা করে দিনে ৩ বার (মোট দৈনিক মাত্রা ৬০০ মিগ্রা) দেওয়া যেতে পারে।
প্রিগাবালিন সিআর শুরুতে ১৬৫ মিগ্রা করে দিনে একবার সেবন করতে হবে এবং রোগীর প্রতিক্রিয়া এবং সহনশীলতার উপর ভিত্তি করে ১ সপ্তাহের মধ্যে প্রতিদিন একবার ৩৩০ মিগ্রা পর্যন্ত মাত্রা বৃদ্ধি করা যেতে পারে। প্রতিদিন একবার করে ৩৩০ মিগ্রা মাত্রায় ২ থেকে ৪ সপ্তাহের চিকিৎসার পরও যে সকল রোগীদের পর্যাপ্ত ব্যাথা উপশম হয় না, তাদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন একবার করে ৬৬০ মিগ্রা পর্যন্ত প্রিগাবালিন সিআর এর সহনশীল মাত্রার দেয়া যেতে পারে। মাত্রা নির্ভর প্রতিনির্দেশনা এবং বিরুপ প্রতিক্রিয়ার কারণে চিকিৎসা বন্ধের উচ্চ হারের পরিপ্রেক্ষিতে, ৩৩০ মিগ্রা/প্রতিদিন উপরের মাত্রা শুধুমাত্র সেই রোগীদের জন্য সংরক্ষিত করা উচিত যাদের চলমান ব্যথা রয়েছে এবং প্রতিদিন ৩৩০ মিগ্রা মাত্রা যাদের ক্ষেত্রে সহনশীল ছিল। এ ক্ষেত্রে প্রিগাবালিন সিআর এর সর্বোচ্চ মাত্রা হলো ৬৬০ মিগ্রা করে দিনে একবার।
প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে ফাইব্রোমায়ালজিয়া চিকিৎসায়: প্রিগাবালিন এর নির্দেশিত মোট দৈনিক মাত্রা ৩০০ মিগ্রা থেকে ৪৫০ মিগ্রা। ঔষধটি শুরু করার সময় ৭৫ মিগ্রা করে দিনে দুইবার (মোট দৈনিক মাত্রা ১৫০ মিগ্রা) করে দিতে হবে। ওষুধের কার্যকারিতা এবং ওষুধের প্রতি রোগীর সহনশীলতার উপর ভিত্তি করে এক সপ্তাহের মধ্যে মাত্রা বৃদ্ধি করে ১৫০ করে দিনে ২ বার (মোট দৈনিক মাত্রা ৩০০ মিগ্রা) দেখা থেকে পাবে। মোট দৈনিক মাত্রা ৩০০ মিগ্রা করে দেয়ার পরেও যথেষ্ট উপকারিতা পাওয়া না খেলে ২২৫ মিগ্রা করে দিনে ২ বার (মোট দৈনিক মাত্রা ৪৫০ মিগ্রা) দেয়া যেতে পারে।
স্পাইনাল কর্ডের আঘাতের সাথে সংশ্লিষ্ট নিউরোপ্যাথিক ব্যাথার চিকিৎসায়: প্রিগাবালিন এর নির্দেশিত মোট দৈনিক মাত্রা ১৫০ মিগ্রা থেকে ৬০০ মিগ্রা। ওষুধটি শুরু করার সময় ৭৫ মিগ্রা করে দিনে ২ বার (মোট দৈনিক মাত্রা ১৫০ মিগ্রা) দিতে হবে। ওষুধের কার্যকারিতা এবং ওষুধের প্রতি রোগীর সহনশীলতার উপর ভিত্তি করে এক সপ্তাহের মধ্যে মাত্রা বৃদ্ধি করে ১৫০ করে দিনে ২ বার (মোট দৈনিক মাত্র ৩০০ মিগ্রা) দেয়া যেতে পারে। ১৫০ মিগ্রা করে দিনে ২ বার মাত্রার চিকিৎসার ২ থেকে ৩ সপ্তাহ পরেও যথেষ্ট ব্যাথা নিরসন না হলে, যে সকল রোগী প্রিগাবালিন এর অতিরিক্ত মাত্রার প্রতি সহনশীল তাদের ক্ষেত্রে ৩০০ মিগ্রা করে দিনে ২ বার দেওয়া যেতে পারে।
প্রিগাবালিন থেকে প্রিগাবালিন সিআর এ পরিবর্তন করার সময়: রোগীদের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের সকালের প্রিগাবালিন ডোজ নিতে হবে এবং রাতের খাবারের পরে প্রিগাবালিন সিআর সেবন শুরু করতে হবে।
প্রিগাবালিন এর মোট দৈনিক মাত্রা (প্রতিদিন ২ বা ৩ বার): প্রিগাবালিন সিআর এর মাত্রা (দিনে একবার):
- ৭৫ মিগ্রা/প্রতিদিন: ৮২.৫ মিগ্রা/প্রতিদিন
- ১৫০ মিগ্রা/প্রতিদিন: ১৬৫ মিগ্রা/প্রতিদিন
- ২২৫ মিগ্রা/প্রতিদিন: ২৪৭.৫ মিগ্রা/প্রতিদিন
- ৩০০ মিগ্রা/প্রতিদিন: ৩৩০ মিগ্রা/প্রতিদিন
- ৪৫০ মিগ্রা/প্রতিদিন: ৪৯৫ মিগ্রা/প্রতিদিন
- ৬০০ মিগ্রা/প্রতিদিন: ৬৬০ মিগ্রা/প্রতিদিন
সেবনবিধি
প্রিগাবালিন মুখে গ্রহণ করা হয়ে থাকে। এটি খাবারের আগে বা পরে গ্রহণ করা যেতে পারে। প্রিগাবালিন সিআর মুখে গ্রহণ করা হয়ে থাকে। প্রিগাবালিন সিআর ট্যাবলেটি রাতের খাবারের পরে সেবন করতে হয়। এটি সম্পূর্ণ সেবন করতে হবে এবং ভাঙা, চূর্ণ বা চিবিয়ে সেবন করা যাবে না। যদি রোগীরা রাতের খাবারের পরে প্রিগাবালিন সিআর সেবন করতে ভুলে যায়, তাহলে তাদের অবশ্যই ঘুমানোর আগে হালকা খাবার খেয়ে প্রিগাবালিন সিআর সেবন করতে হবে। যদি তারা ঘুমানোর আগে প্রিগাবালিন সিআর সেবন করতে ভুলে যায়, তাহলে তাদের সকালের খাবারের পর স্বাভাবিক মাত্রা প্রিগাবালিন সিআর সেবন করতে হবে। যদি তারা সকালের খাবারের পরে প্রিগাবালিন সিআর সেবন করতে ভুলে যায়, তাহলে তাদের রাতের খাবারের পরে স্বাভাবিক সময় প্রিগাবালিন সিআর সেবন করতে হবে। প্রিগাবালিন ও প্রিগাবালিন সিআর উভয়ই দ্বারা চিকিৎসা বন্ধ করার সময় কমপক্ষে এক সপ্তাহ ধরে ওষুধের মাত্রা ক্রমান্বয়ে কমিয়ে তারপর বন্ধ করতে হবে।
ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া
অন্য ওষুধের সাথেঃ গাবা-এইডের সাথে অন্য কোনো ওষুধের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
খাবার ও অন্য কিছুর সাথেঃ প্রযোজ্য নয়।
খাবার ও অন্য কিছুর সাথেঃ প্রযোজ্য নয়।
প্রতিনির্দেশনা
যাদের প্রিগাবালিন বা এই ওষুধের অন্যান্য উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ইহা প্রতিনির্দেশিত।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
প্রাপ্ত বয়ষ্কদের ক্ষেত্রে সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো হলো মাথা ঘোরা, নিদ্রালুতা, শুষ্ক মুখগহবর, হাত পা ফুলে যাওয়া, ঝাপসা দৃষ্টি, ওজন বৃদ্ধি এবং অস্বাভাবিক চিন্তাভাবনা (প্রাথমিকভাবে মনোযোগে বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়া)। শিশুদের ক্ষেত্রে পার্সিয়াল অনসেট সিজারের চিকিৎসার সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো হলো ওজন বৃদ্ধি এবং ক্ষুধা বৃদ্ধি।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
গর্ভাবস্থায় প্রিগাবালিন ব্যবহারের কোন পর্যন্ত এ সুনিয়ন্ত্রিত তথ্য নেই। ভ্রূণের সম্ভাব্য ঝুঁকির ব্যাপারে গর্ভবর্তী মহিলাদের সতর্ক করতে হবে। মাতৃদুগ্ধে সামান্য পরিমাণে প্রিগাবালিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। টিউমার সৃষ্টির ঝুঁকি থাকায় প্রিগাবালিন দ্বারা চিকিৎসা চলাকালীন সময় অন্যদান নির্দেশিক নয়।
সতর্কতা
এনজিওইডিমা (গলা, মাথা এবং ঘাড় ফুলে যাওয়া) এবং এর ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসের জীবনঘাতী সমস্যা দেখা দিতে পারে ফলে জরুরী চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। এ সকল ক্ষেত্রে সাথে সাথে গাবা-এইড দ্বারা চিকিৎসা বন্ধ করে দিতে হবে। এছাড়া অতিসংবেদনশীলতা (যেমন-র্যাশ, শাসকষ্ট এবং শ্বাস-প্রশ্বাসে শব্দ) দেখা দিলেও সাথে সাথে গাবা-এইড দ্বারা চিকিৎসা বন্ধ করে দিতে হবে। গাবা-এইডসহ অন্যান্য খিচুনিরোধী ওষুধসমূহ আত্মহত্যামূলক চিন্তা এবং আচরণের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। সিএনএস ডিগ্রেসেন্টের সাথে গাবা-এইড এর একত্রে ব্যবহারে অথবা আগে থেকে বিদ্যমান শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা থাকলে রেসপিরেটরি ডিপ্রেশন হতে পারে। এজন্য রোগীদেরকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং প্রয়োজন আনুযায়ী মাত্রা সমন্বয় করতে হবে। গাবা-এইড মাথা ঘোরা এবং নিদ্রালুতা সৃষ্টি করতে পারে যা রোগীর গাড়ি চালনা বা যন্ত্রাদি পরিচালনায় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। হঠাৎ করে গাবা-এইড দ্বারা চিকিৎসা বন্ধ করে দিলে খিচুনির মাত্রা বেড়ে যেতে পারে বা অন্যান্য বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। গাবা-এইড দ্বারা চিকিৎসা বন্ধের সময় কমপক্ষে এক সপ্তাহ ধরে ওষুধের মাত্রা ক্রমান্বয়ে কমিয়ে তারপর বন্ধ করতে হবে। গাবা-এইডের ব্যবহারে হাত পা ফুলে যেতে পারে। গাবা-এইডের সাথে অ্যান্টিডায়াবেটিক ওষুধ থায়াজোলিডিনেডিওন একত্রে ব্যবহারের সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার
শিশু ও কিশোরদের ক্ষেত্রে ব্যবহার: ডায়াবেটিক পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথির সাথে সংশ্লিষ্ট নিউরোপ্যাথিক ব্যথা, পোস্টহার্পেটিক নিউরালজিয়া, স্পাইনাল কর্ডের আঘাতের সাথে সংশ্লিষ্ট নিউরোপ্যাথিক ব্যথা এবং ফাইব্রোমায়ালজিয়ার চিকিৎসায় শিশুদের ক্ষেত্রে গাবা-এইডের নিরাপদ ব্যবহার ও কার্যকারিতা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। পার্সিয়ান অনসেট সিজারের সহায়ক চিকিৎসায় ১ মাস এর কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে গাবা-এইডের নিরাপদ ব্যবহার ও কার্যকারিতা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। শিশু ও কিশোরদের ক্ষেত্রে গাবা-এইড এক্সটেন্ডেড রিলিজ ট্যাবলেট এর নিরাপদ ব্যবহার এবং কার্যকারিতা প্ররতিষ্ঠিত হয়নি।
মাত্রাধিক্যতা
গাবা-এইড দ্বারা মাত্রাধিক্যের ক্ষেত্রে লক্ষণগুলো হলো সচেতনতার মাত্রা হ্রাস, বিষণ্ণতা/দুশ্চিন্তা, বিভ্রান্তি, উত্তেজনা এবং অস্থিরতা। খিচুনি এবং হার্ট ব্লক পরিলক্ষিত হয়েছে। কোন নির্দিষ্ট প্রতিষেধক নাই। নির্দেশিত হলে শোষিত না হওয়া ওষুধ বমি করানোর মাধ্যমে বা গ্যাস্ট্রিক ল্যাভেজের মাধ্যমে বের করে দেয়া যেতে পারে, স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস রক্ষায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণসমূহ এবং রোগীর ক্লিনিক্যাল অবস্থা পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি সহায়ক চিকিৎসা প্রদান করতে হবে।
থেরাপিউটিক ক্লাস
Adjunct anti-epileptic drugs, Primary anti-epileptic drugs
সংরক্ষণ
আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে (৩০° সেঃ তাপমাত্রার নীচে) রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
রাসায়নিক গঠন
Molecular Formula : | C8H17NO2 |
Chemical Structure : |