Unit Price: ৳ 7.48 (6 x 10: ৳ 448.80)
Strip Price: ৳ 74.80

নির্দেশনা

ড্যাকটাস নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে নির্দেশিত-
  • যেসব ক্ষেত্রে সন্তোষজনকভাবে নন-ইনসুলিন ডিপেন্ডেন্ট (টাইপ ২) জায়াবেটিস ম্যালাইটাস রোগীদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা শুধুমাত্র খাবার এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না সেসব ক্ষেত্রে ড্যাকটাস নির্দেশিত।
  • খাবার ও ব্যায়ামের মাধ্যমে অথবা শুধুমাত্র ড্যাকটাস ও মেটফরমিন এককভাবে নির্দেশনায় যে সমস্ত রোগীদের রক্তে অধিক গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত হয় না, এমন রোগীদের রক্তে গ্লুকোজ কমাতে ড্যাকটাস ও মেটফরমিন যুগ্মভাবে নির্দেশিত।
  • এছাড়াও খাবার ও বায়ামের মাধ্যমে অথবা শুধুমাত্র ড্যাকটাস এবং রক্তে গ্লুকোজ কমায় মুখে সেব্য এমন ওষুধ যুক্তভাবে নির্দেশনায় যে সমস্ত রোগীদের রক্তে অধিক গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত হয় না, এমন রোগীদের ক্ষেত্রে ড্যাকটাস ও ইনসুলিন যুগ্মভাবে নির্দেশিত।
  • ড্যাকটাস ও ইনসুলিম যুগ্মভাবে ব্যবহারে হাইপোগ্লাইসেমিয়া বৃদ্ধি পেতে পারে।

ফার্মাকোলজি

গ্লিমেপিরাইড একটি সালফোনাইলইউরিয়া ধরনের এন্টিডায়াবেটিক ওষুধ যা রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমায়। প্রাথমিকভাবে গ্লিমেপিরাইড অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষগুলোকে উত্তেজিত করে ইনসুলিনের নিঃসরণ বাড়ানোর মাধ্যমে এর কার্যকারীতা প্রদর্শন করে। এটি গ্লুকোজের সমন্বয়ে বিটা কোষের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে ফলে ফিজিওলজিক গ্লুকোজের প্ররোচনায় ইনসুলিন নিঃসৃত হয়। এছাড়া অগ্ন্যাশয়-বহির্ভূত কার্যকারীতা যেমনঃ যকৃতের বেসাল গ্লুকোজ উৎপাদন কমানো এবং ইনসুলিনের প্রতি টিস্যু সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি ও গ্লুকোজ গ্রহণ গ্লিমেপিরাইডের কার্যকারীতার উপর প্রভাব বিস্তার করে। নন ফাস্টিং ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে গ্লিমেপিরাইডের একক মাত্রা ২৪ ঘন্টা ধরে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

ঔষধের মাত্রা

তত্বগতভাবে, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য যতটুকু গ্লিমেপিরাইড প্রয়োজন, ততটুকু এর মাত্রা হওয়া উচিত। বিপাকীয় প্রক্রিয়া প্রত্যাশিতভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য গ্লিমেপিরাইড এর সর্বনিম্ন প্রয়োগ রক্তে  এবং প্রসাবে গ্লুকোজের মাত্রার উপর নির্ভর করে (নিয়মিত মাত্রা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে প্রারম্ভিক এবং নিয়ন্ত্রণ মাত্রা নির্ধারণ করা উচিত। রক্তে এবং প্রস্রাবে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে চিকিৎসার প্রাইমারী ও সেকেন্ডারী ব্যর্থতা নির্ধারণ করা যায়।

প্রারম্ভিক মাত্রা এবং মাত্রাবৃদ্ধি: সাধারণত প্রারম্ভিক মাত্রা হচ্ছে দৈনিক ১ মি.গ্রা. একবার প্রয়োজনবোধে মাত্রা বৃদ্ধি করা যেতে পারে। যে কোন প্রকার মাত্রা বৃদ্ধি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এর মাধ্যমে ১ থেকে ২ সপ্তাহ বিরতি দিয়ে এবং পর্যায়ক্রমিকভাবে বৃদ্ধি করা উচিত, যেমনঃ ১ মি.গ্রা.→২ মি.গ্রা. →৩ মি.গ্রা. → 8 মি.গ্রা. → ৬ মি.গ্রা. এভাবে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আছে এমন রোগীদের ক্ষেত্রে মাত্রা: যে সমস্ত রোগীর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আছে, তাদের ক্ষেত্রে এর মাত্রা হচ্ছে দৈনিক ১ থেকে ৪ মি.গ্রা.।

মাত্রা বণ্টন: চিকিৎসকের নির্দেশ অনুযায়ী মাত্রা ও সময়কাল নির্ধারণ করা হয়ে থাকে এবং তা রোগীর প্রাত্যহিক জীবনযাত্রার ধরণের উপর নির্ভর করে হয়ে থাকে। সাধারণভাবে দৈনিক একক মাত্রাই পর্যাপ্ত। পর্যাপ্ত পরিমাণ নাস্তা গ্রহণের পূর্বে এই ওষুধ সেবন করা উচিত। যদি সকালের নাস্তা এবং ওষুধ কোনটাই সেবন করা না হয়ে থাকে, তবে দিনের প্রথম প্রধান খাদ্য গ্রহণের ঠিক পূর্বে সেবন করা উচিত। ওষুধ গ্রহণের পর কোন ভাবেই খাদ্য গ্রহণ না করে থাকা উচিত নয়।

দ্বিতীয় মাত্রার সমন্বয়: ডায়াবেটিসের উন্নতির সাথে সাথে ইনসুলিনের প্রতি সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। হাইপোগ্লাইসেমিয়া পরিহার করার জন্য সময়মত গ্লিমেপিরাইড মাত্রা কমাতে অথবা চিকিৎসা বন্ধ করতে হতে পারে। যখন রোগীর ওজন অথবা জীবন ধারণের পন্থা পরিবর্তন হয়, অথবা অন্য এমন কোন কারণ থাকে, যার জন্য হাইপো অথবা হাইপার গ্লাইসেমিয়া হতে পারে, সেসব ক্ষেত্রেও মাত্রার সমন্বয় প্রয়োজন।

মুখে সেবনযোগ্য অন্য এন্টিডায়াবেটিক ওষুধ এর পরিবর্তে গ্লিমেপিরাইড সেবন: রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমানোর জন্য কোন মুখে সেব্য ওষুধ এবং গ্লিমেপিরাইডের মাত্রার মধ্যে সরাসরি কোন সম্পর্ক নাই। যখন অন্য কোন ওষুধের পরিবর্তে গ্লিমেপিরাইড দেয়া হয় তখন প্রারম্ভিক  মাত্রা হবে ১ মি.গ্রা.। অন্য ঔষধের সর্বোচ্চ মাত্রা থেকে পরিবর্তনের সময়ও গ্লিমেপিরাইডের প্রারম্বিক মাত্রা হবে ১ মি.গ্রা.। যে কোন রকমের মাত্রা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পূর্বে বর্ণিত "প্রারম্ভিক মাত্রা এবং মাত্রাবৃদ্ধি" বর্ণনা মেনে চলতে হবে। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমানোর জন্য পূর্বে ব্যবহৃত ওষুধ এর কর্মক্ষমতা ও সময়কালের উপর লক্ষ্য রাখতে হবে। আসক্তি এড়াতে মাঝে মাঝে চিকিৎসার বিরতি দিতে হবে যাতে হাইপোগ্লাইসেমিয়া না হয়।

সেবনবিধি

সেবন পদ্ধতি: গ্লিমেপিরাইড ট্যাবলেট পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি দিয়ে সেবন করতে হবে।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

ড্যাকটাস এবং অন্যান্য সালফোনাইল ইউরিয়ার ইন্টার‍্যাকশনের তথ্যের উপর ভিত্তি করে নিম্নলিখিত ইন্টার‍্যাকশন সমূহ বিবেচনা করতে হবে।

ইনসুলিন এবং অন্যান্য মুখে সেবনীয় এন্টিডায়াবেটিকের সাথে সিমেপিরাইজের হাইপোগ্লাইসেমিক কার্যকারীতা যে সমস্ত ওষুধ বৃদ্ধি করে সেগুলো হচ্ছে: এসিই ইনহিবিটর, এমাইনোস্যালিসাইলিক এসিড, এনাবোলিক স্টেরয়েড এবং পরুষ সেক্স হরমোন, এজাপ্রোপাজন, ক্লোরামফেনিক্যাল, ক্লোফাইব্রেট, কুমারিনজাত ওষুধ, সাইক্লোফসফমাইড, ডিসোপাইরামাইড, ফেনফ্লুরামিন, ফিনাইরামিডল, ফাইব্রেট, ফ্লুকোনাজল, ফ্লুক্সেটিন, গুয়ানথেডিন, আইফসফামাইড, মনো এমাইনো অক্সিডেজ ইনহিবিটর, মাইকোনাজল, অক্সপেন্টিফাইলিন (উচ্চমাত্রায় শিরায় প্রয়োগ) অক্সিফেনবিউটাজোন, প্যারা এমাইনোস্যালিসাইলিক এসিড, ফিনাইল বিউটাজন, প্রোবেনেসিড, কুইনোলোন, স্যালিসাইলেট, সালফিনপাইরাজন, সালফোনামাইড এন্টিবায়োটিক, টেট্রাসাইক্লিন, ট্রাইটোকোয়ালিন, ট্রোফসফামাইড।

ড্যাকটাসের রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমানোর ক্ষমতা কমে যেতে পারে যদি একই সাথে-
  • এসিটাজোলামাইড, বারবিচূরেট, ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার, কর্টিকোস্টেরয়েড, ডায়াজক্সাইড, ডাইইউরেটিক, গ্লুকাগন, আইসোনিয়াজিড, ল্যাক্সেটিভ, নিকোটিনিক এসিড (উচ্চ মাত্রায়), ইস্ট্রোজেন, ফেনোথায়াজিন, ফেনাইটোইন, প্রোজেস্টোজেন, রিফামপিসিন, সিম্পেথোমাইমেটিক উপাদান, থাইরয়েড হরমোন।
  • এইচ ২ রিসেপ্টর এন্টাগনিস্ট, বিটা ব্লকার, ক্লোনিডিন এবং রিসারপিনের সাথে গ্রহণ করলে রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ কমানোর ক্ষমতা কমে অথবা বেড়ে যেতে পারে।
  • বিটা-ব্লকার, ক্লোনিডিন, গুয়ানেথেডিন এবং রিসারপিনের সাথে গ্রহণ করলে হাইপোগ্লাইসেমিক আক্রমণের উপসর্গসমূহ অপ্রকাশিত থাকতে পারে।
  • একিউট বা ক্রনিক অধিক পরিমাণ এলকোহল সেবন করা হলে ড্যাকটাস এর রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমানোর ক্ষমতা কমে অথবা বেড়ে যেতে পারে।

প্রতিনির্দেশনা

টাইপ-১ ডায়াবেটিস ম্যালাইটাস রোগীদের চিকিৎসার গ্লিমেপিরাইড উপযোগী নয় অথবা ডায়াবেটিক কিটো এসিডোসিস রোগীদের ক্ষেত্রে কিংবা ডায়াবেটিক কোমা-এর চিকিৎসায় উপযোগী নয়। গ্লিমেপিরাইডের অন্যান্য সালফোনাইল ইউরিয়া, অন্যান্য সালফোনামাইডের অতি সংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রে, তীব্র যকৃত ক্রিয়ার অসমার্যকারীতায়, তীব্র রেচন ক্রিয়ার অসমকার্যকারীতায় এবং ডায়ালাইসিস রোগীদের ক্ষেত্রে প্রতিনির্দেশিত।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

হাইপোগ্লাইসেমিয়া, অস্থায়ী সৃষ্টি শক্তির সমস্যা, বমিবমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, আর্টিকারিয়া, রক্তচাপ কমে যাওয়া।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

গর্ভাবস্থার গ্লিমেপিরাইড সেবন করা উচিত নয়। এ সময় ইনসুলিন ব্যবহার করা উচিত। যে সমস্ত রোগী গর্ভাধারন করতে চান, পূর্বেই চিকিৎসককে জানানো প্রয়োজন এবং তখন ইনসুলিন গ্রহণ করা উচিত। স্তন্যদানকালে মাতৃদুদ্ধে গ্লিমেপিরাইড সেবন করলে নবজাতকের ক্ষতি হতে পারে সেজন্য স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে এর সেবন অনুচিত। এসময় হয় অন্য ওষুধ ব্যবহার করা উচিত অথবা স্তন্যদান বন্ধ রাখা উচিত।

সতর্কতা

চিকিৎসা শুরুর প্রথম কয়েক সপ্তাহে সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করা উচিত, কারণ এ সময়ে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশী থাকে। যদি এ ধরনের ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে, তবে ড্যাকটাস এর মাত্রা সমন্বয় প্রয়োজনে করতে হবে। হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলে তাৎক্ষণিকভাবে কার্বোহাইড্রেট (গ্লুকোেজ অথবা চিনি) গ্রহণ করার মাধ্যমে হাইপোগ্লাইসেমিয়া নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।

মাত্রাধিক্যতা

সালফোনাইলইউরিয়ার মাত্রাধিক্য, যেমন ড্যাকটাসের ক্ষেত্রে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। মৃদু হাইপোগ্লাইসেমিক লক্ষণ সমুহে সংজ্ঞাহীন না হলে কিংবা নিউরোলজিক সমস্যাসমূহের অনুপস্থিতিতে মুখে দ্রুত গ্লুকোজ দিতে হবে এবং ওষুধের কিংবা খাদ্যের মাত্রা পুনঃনির্ধারিত করতে হবে। রোগী বিপদমুক্ত হয়েছে এ বিষয়ে চিকিৎসক নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। তীব্র হাইপোগ্লাইসেমিয়ার সাথে কোমা, খিঁচুনি অথবা অন্যান্য নিউরোলজিক্যাল ক্ষতি কখনও কখনও হতে পারে, তবে জরুরী চিকিৎসার প্রয়োজনে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন। যদি হাইপোগ্লাইসেমিক কোমা ধারণা করা বা নির্নীত হয় তবে রোগীর শিরায় গ্লুকোজের ঘন (৫০%) দ্রবণ দ্রুত ইনজেকশন করতে হবে। এরপরেই আরো লঘু (১০%) গ্লুকোজের দ্রবণ এমন একটি হারে দিতে হবে যাতে এটি রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ ১০০ মি.গ্রা./ডি.এল. এর বেশী রাখে। রোগীদের অবশ্যই ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে, কারণ সেরে যাওয়ার পরেও হাইপোগ্লাইসেমিয়া পুনরায় হতে পারে।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Sulfonylureas

সংরক্ষণ

৩০° সে. এর উপরে সংরক্ষন করা হতে বিরত থাকুন। আলো থেকে দূরে এবং শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
Pack Image of Dactus 2 mg Tablet Pack Image: Dactus 2 mg Tablet
Thanks for using MedEx!
How would you rate your experience so far?