Unit Price:
৳ 65.19
(1 x 6: ৳ 391.14)
Strip Price:
৳ 391.14
নির্দেশনা
ফ্যাক্টিসিন প্রাপ্ত বয়ষ্কদের নিম্নোক্ত ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের চিকিৎসায় নির্দেশিত-
- শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণকমিউনিটি অ্যাকুয়ার্ড নিউমোনিয়া- যা স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনি, ক্লামাইডিয়া নিউমোনি, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনি, হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা, মোরাক্সিলা ক্যাটারলিস, লেজিওনেলা নিউমোফিলা দ্বারা ঘটে।
- দীর্ঘদিনের ব্রংকাইটিসের হঠাৎ বৃদ্ধি- হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা, মোরাক্সিলা ক্যাটারলিস, স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনি দ্বারা ঘটে। তীব্র ব্যাকটেরিয়াল সাইনুসাইটিস- যা স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনি, হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা, মোরক্সিলা ক্যাটারলিস, স্ট্যাফাইলোকক্কাস অরিয়াস দ্বারা ঘটে।
- মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণ তীব্র অজটিল বৃক্কের প্রদাহ- যা ইসচেরিসিয়া কোলাই, ক্লেবসিয়েলা নিউমোনি দ্বারা সংঘটিত হয়।
- মহিলাদের অজটিল মূত্রনালীর সংক্রমণ- যা ইসচেরিসিয়া কোলাই, কেবসিয়েলা নিউমোনি দ্বারা সংঘটিত হয়।
মাত্রা ও সেবনবিধি
জেমিফ্লক্সাসিন আহারের পূর্বে বা পরে খাওয়া যেতে পারে এবং খাওয়ার পর প্রচুর পরিমানে পানি পান করতে হবে। জেমিফ্লক্সাসিন এর নির্ধারিত মাত্রা: দৈনিক ৩২০ মি.গ্রা. যা নিচে দেয়া হল-
- দীর্ঘদিনের ব্রংকাইটিসের হঠাৎ বৃদ্ধি: দৈনিক ৩২০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট ৫ দিন
- তীব্র ব্যাকটেরিয়াল সাইনুসাইটিস: দৈনিক ৩২০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট ৫ দিন
- কমিউনিটি অ্যাকুয়ার্ড নিউমোনিয়া: দৈনিক ৩২০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট ৭ দিন
- মহিলাদের অজটিল মূত্রনালীর সংক্রমণ: দৈনিক ৩২০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট ৩ দিন
- তীব্র অজটিল বৃক্কের প্রদাহ: দৈনিক ৩২০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট ১০ দিন
- মারাত্মক নিউমোনিয়ার ক্ষেত্রে: চিকিৎসার ১৪ দিন পর্যন্ত বর্ধিত করা যেতে পারে।
প্রতিনির্দেশনা
জেমিফ্লক্সাসিন ও অন্যান্য কুইনোলোন জাতীয় ওষুধের প্রতি অতিসংবেদনশীল এবং যে সকল রোগীর পূর্বে ফ্লুরোকুইনোলোন ব্যবহারজনিত কারনে টেনডোন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না। জেমিফ্লক্সাসিন ১৮ বছরের কম বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা উচিত নয়।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া, মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব, বমি এবং ফুঁসকুড়ি। কিছু বিরল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে ছত্রাকের মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি, মাথা ঘোরা, অনিদ্রা, চুলকানি এবং ম্যাকুলোপ্যাপুলার ইরাইদেমেটোস স্কিন র্যাশ। ফ্যাক্টিসিন ব্যবহারে যদি ফুঁসকুড়ি দেখা দেয় তাহলে চিকিৎসা বন্ধ করে দিতে হবে।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
জেমিফ্লক্সাসিন গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার করা যাবে না। গর্ভবতী ও স্তন্যদায়ী মহিলাদের ক্ষেত্রে জেমিফ্লক্সাসিনের ব্যবহার নিরাপদ এবং কার্যকর বলে প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
সতর্কতা
যে সমস্ত রোগীদের মারাত্মক বৃক্কের অকার্যকারিতা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে দৈনিক ১৬০ মি.গ্রা. করে, মাত্রা পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে। অত্যাধিক মূত্র ঘনত্ব এবং কৃস্টালুরিয়া প্রতিরোধের জন্য ফ্যাক্টিসিন দ্বারা চিকিৎসার সময় রোগীদের পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করা উচিত। ফ্যাক্টিসিন ঝিঁমুনি আনতে পারে। সেক্ষেত্রে রোগীদের যানবাহন বা যন্ত্রপাতি চালনা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং মানসিকভাবে সচেতন থাকতে হয় এমন কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে।
যে কোন বয়স সীমার রোগীরা যারা ফ্যাক্টিসিন ব্যবহার করেছেন বিশেষ করে ফ্যাক্টিসিন পাশাপাশি কর্টিকোস্টেরয়েড ব্যবহার করছেন তাদের ক্ষেত্রে টেনডোনের প্রদাহ ঘটতে পারে বা টেনডোন ছিড়ে যেতে পারে। টেনডোনের প্রদাহ সন্দেহ হলে ফ্যাক্টিসিন বন্ধ করে দিতে হবে অথবা পায়ে ব্যথা বা প্রদাহের প্রথম লক্ষণ পাওয়া মাত্রই ফ্যাক্টিসিন বন্ধ করতে হবে। ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা থেকে দেখা গেছে ফ্যাক্টিসিন খুব সামান্য পরিমানে গড় QTc ব্যবধান বাড়িয়ে দিতে পারে। যে সকল রোগী QTc ব্যবধান বৃদ্ধির জন্য ওষুধ নিচ্ছে অথবা যাদের পূর্বেই QTc ব্যবধান বেড়ে গেছে তাদের ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে ফ্যাক্টিসিন ব্যবহার করতে হবে। মৃগী রোগীদের ক্ষেত্রে ফ্যাক্টিসিন ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। এ্যালুমিনিয়াম বা ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ এন্টাসিড এবং আয়রণ সল্ট একই সাথে ব্যবহার করলে ফ্যাক্টিসিন এর শোষন তাৎপর্যপূর্নভাবে কমে যায়। এ সমস্ত ওষুধ ব্যবহারে কমপক্ষে দুই ঘন্টা আগে বা তিন ঘন্টা পরে ফ্যাক্টিসিন নেয়া উচিত। সুক্রালফেট খাওয়ার কমপক্ষে দুই ঘন্টা আগে ফ্যাক্টিসিন খাওয়া উচিত। মাত্রাতিরিক্ত প্রয়োগ নির্দিষ্ট কোন এন্টিডোট নেই। ডায়ালাইসিস পর্যাপ্ত পরিমান ওষুধটি দুর করার জন্য যথেষ্ট নয়। তীব্র মাত্রাতিরিক্ত প্রয়োগের ক্ষেত্রে বমি অথবা গ্যাস্ট্রিক লেভেজের মাধ্যমে পাকস্থলী খালি করতে হবে। রোগীকে সতর্কতার সাথে পর্যবেন করতে হবে এবং লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা দিতে হবে। সেই সাথে যথেষ্ট পরিমানে পানি পান করাতে হবে।
যে কোন বয়স সীমার রোগীরা যারা ফ্যাক্টিসিন ব্যবহার করেছেন বিশেষ করে ফ্যাক্টিসিন পাশাপাশি কর্টিকোস্টেরয়েড ব্যবহার করছেন তাদের ক্ষেত্রে টেনডোনের প্রদাহ ঘটতে পারে বা টেনডোন ছিড়ে যেতে পারে। টেনডোনের প্রদাহ সন্দেহ হলে ফ্যাক্টিসিন বন্ধ করে দিতে হবে অথবা পায়ে ব্যথা বা প্রদাহের প্রথম লক্ষণ পাওয়া মাত্রই ফ্যাক্টিসিন বন্ধ করতে হবে। ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা থেকে দেখা গেছে ফ্যাক্টিসিন খুব সামান্য পরিমানে গড় QTc ব্যবধান বাড়িয়ে দিতে পারে। যে সকল রোগী QTc ব্যবধান বৃদ্ধির জন্য ওষুধ নিচ্ছে অথবা যাদের পূর্বেই QTc ব্যবধান বেড়ে গেছে তাদের ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে ফ্যাক্টিসিন ব্যবহার করতে হবে। মৃগী রোগীদের ক্ষেত্রে ফ্যাক্টিসিন ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। এ্যালুমিনিয়াম বা ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ এন্টাসিড এবং আয়রণ সল্ট একই সাথে ব্যবহার করলে ফ্যাক্টিসিন এর শোষন তাৎপর্যপূর্নভাবে কমে যায়। এ সমস্ত ওষুধ ব্যবহারে কমপক্ষে দুই ঘন্টা আগে বা তিন ঘন্টা পরে ফ্যাক্টিসিন নেয়া উচিত। সুক্রালফেট খাওয়ার কমপক্ষে দুই ঘন্টা আগে ফ্যাক্টিসিন খাওয়া উচিত। মাত্রাতিরিক্ত প্রয়োগ নির্দিষ্ট কোন এন্টিডোট নেই। ডায়ালাইসিস পর্যাপ্ত পরিমান ওষুধটি দুর করার জন্য যথেষ্ট নয়। তীব্র মাত্রাতিরিক্ত প্রয়োগের ক্ষেত্রে বমি অথবা গ্যাস্ট্রিক লেভেজের মাধ্যমে পাকস্থলী খালি করতে হবে। রোগীকে সতর্কতার সাথে পর্যবেন করতে হবে এবং লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা দিতে হবে। সেই সাথে যথেষ্ট পরিমানে পানি পান করাতে হবে।
বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার
বৃক্ক জটিলতার রোগীদের ক্ষেত্রে: মৃদু থেকে মধ্যম বৃক্ক জটিলতার রোগীদের ক্ষেত্রে মাত্রা পূনঃনির্ধারন করার প্রয়োজন নেই। মারাত্মক বৃক্ক অকার্যকর রোগীদের ক্ষেত্রে মাত্রার কিছু পরিবর্তন করা যায়/নির্দেশনা আছে।
বয়ষ্ক রোগীদের ক্ষেত্রে: মাত্রা পূনঃনির্ধারনের দরকার নেই।
- ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স যদি > ৪০ মি.লি./ মিনিট হয় তাহলে সাধারণ মাত্রাই যথেষ্ট।
- ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স যদি < ৪০ মি.লি./মিনিট হয় তাহলে দৈনিক ১৬০ মি.গ্রা. করে দিতে হবে।
- যে সমস্ত রোগী হিমোডায়ালাইসিস অথবা নিয়মিত পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস করিয়ে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে দৈনিক ১৬০ মি.গ্রা. করে দিতে হবে।
বয়ষ্ক রোগীদের ক্ষেত্রে: মাত্রা পূনঃনির্ধারনের দরকার নেই।
থেরাপিউটিক ক্লাস
4-Quinolone preparations
সংরক্ষণ
আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, ৩০ ডিগ্রী সেঃ তাপমাত্রার নীচে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।